![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি কবিতা লেখা শিখানোর কোন পাঠশালা থাকত তাহলে সে পাঠশালার আজীবন অবৈতনিক ঝাড়ুদার হইতাম।
অসীম বলে তো কিছু নেই। প্রত্যেকটা বস্তুরই শেষ বলে কিছু আছে। একটা নির্দিষ্ট পিরিয়ড আছে। প্রেম, বন্ধুত্ব, আড্ডা, ভালোবাসারও একটা নির্দিষ্ট সময় আছে। সেই সময়গুলো কেটে গেলে ব্যাপারগুলোর অস্তিত্বও কেটে যেতে শুরু করে। স্কুল লাইফে মেয়েদের স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে চুল ঠিক করার মাঝে যে অনুভূতি, ভার্সিটির ক্লাসে ঢোকার আগ মুহূর্তে চুল ঠিক করার সেই অনুভূতি কখনো এক থাকে না। মাঝখানে অনেকগুলো বয়স পার হয়ে যায়। পার হয়ে যায় অনেকগুলো সময়। অনুভূতির পরিবর্তন হয়। পরিবর্তন হয় সে স্বচ্ছ বিকেলগুলোর।
বিশ্ববিদ্যালয় জায়গাটা হচ্ছে এই আড্ডা, প্রেম, অনুভূতির একদম প্রায় লাস্ট স্টেজ। কিছু কিছু মানুষ থাকে যারা এই স্টেজটা স্কুল লাইফেই পার করে আসে। এদের কলেজ জীবনটা কাটে ভ্রমের ভিতর। ভার্সিটিতে এসে এরা উপভোগ করার মত উপভোগ্য কোন জিনিসই খুঁজে পায় না। কারণ এঞ্জয় করার মত কোন কিছুই এরা অবশিষ্ট রাখে না। সব স্কুল লাইফেই পার করে আসে। প্রেমিকা পরিবর্তন হয়, বন্ধু বান্ধবের পরিবর্তন হয় ফলে ভার্সিটি জীবন পার করে খুব বিতৃষ্ণা নিয়ে নয়তো সূক্ষ্ম অভিনয় করে। খুব কম মানুষই আছে যারা এদের অভিনয় ধরতে পারে।
তাছাড়া স্কুল জীবনে যাদের সময় কাটতো স্কুল ফাঁকি দিয়ে আড্ডাতে কিংবা সান্ধ্যকালীন গানের আসরে তাদের কাছে ভার্সিটি জীবনের আড্ডা, বন্ধু বান্ধব অনেকাংশেই মেকি মনে হয়।
অনেকের কাছে ব্যাপারটা ঠিক উল্টো। তাদের কাছে ভার্সিটি জীবনের মত জীবন আর হয় না। তারা এই লাস্ট স্টেজে এসে, বলতে গেলে জীবনের অফুরন্ত দারুণ সময়গুলি পার করে। স্কুল লাইফে এরাই ছিল ক্লাসের ভদ্র ছেলেদের লিস্টে। ভার্সিটিতে এসে আচমকা হাওয়া লাগে এদের জীবনে। তখন এই হাওয়ার তোড়ে তারা ডানা মেলে রঙিন সানগ্লাসে। লাস্ট স্টেজে এসে পরিপূর্ণ পায় তাদের সুপ্ত বাসনাগুলো। স্কুল লাইফে যারা ফেসবুকে চরণ করতো নিরবে নিভৃতে তারাই এই সময়ে এসে কভার ফটোর ডেস্ক্রিপশনে লেখে 'বন্ধু আছে আর কি লাগে'।
জীবনের স্টেজগুলো বড়ই অদ্ভুত। একেক স্টেজে একেকরকম ভালো লাগা। হরেকরকম চাওয়া পাওয়া। তবুও স্টেজগুলো আমরা খুব কৌশলে পার করি। চাওয়া পাওয়ার হিসেব কষতে বসলে একদিন আমাদের মনে হয় কিছুই পাইনি আবার অন্য দিন মনে হয় জীবনটা মন্দ না খুব একটা। স্টেজগুলো আস্তে আস্তে সবই পার করছি। পুল সিরাতের মত খুব একটা কঠিন না হলেও অতো সহজও না আসলে। পার করছি আর বুঝতে পারছি মানুষ চেনা ভীষণ দায় এ গ্রহে। আর এক্সপেকটেশন লেভেল কমিয়ে রাখলেই তুমি সুখী মানব কিংবা মানবী ঘূর্ণায়মান এই গ্রহে।
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৪
অতঃপর নীরবতা বলেছেন: হ্যাঁ বলা যায়। এই দেশ ও মানব নিয়ে খুবই বিধ্বস্ত আমি।
২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:২৬
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: জীবনের একেকটা স্টেজ আসলেই এক এক রকম ।কোথাও কোনো মিল নেই । শেষ বেলা এসে পুরাতন স্মৃতি কেবলি হাতড়ে বেড়াবে । ভালো লাগল আপনার লেখাটা ।
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৮
অতঃপর নীরবতা বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:০২
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: স্কুল, কলেজ আর ভার্সিটি লাইফের প্রতিটার অনুভূতিতেই আলাদা ঘ্রন,স্বাদ।।
শেষের অংশটুকু কি বিক্ষিপ্ত মনের!!