নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একে৪৭

জানি না!

একে৪৭

মনে প্রাণে মানি আমাদের পরিবর্তন দরকার। জানি এমনটা আরও লক্ষ কোটি মানুষ ভাবেন। আর সবাই ভাবেন বলেই আমরা বড্ড বিক্ষিপ্ত। তাই বিশ্বাস করি একজনই পারেন আমাদের পথ দেখাতে, বিক্ষিপ্ত আমাদের একত্রিত করতে। সেই একজন হতে না পারলেও তাকে অন্তত দেখে যেতে চাই।

একে৪৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হুজুগে বাঙ্গালি -is celebrating with the LGBT ( lesbian, gay, bisexual and transgender) community...

২৮ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৬

ছোটবেলায় প্রথম প্রথম বড় ভাইদের মুখে যখন "হুজুগে বাঙ্গালি" কথাটা শুনতাম, তখন এর মানে বুঝতাম না। শুধু এতটুকু বুঝতাম ওনারা এমন সময় কথাটা ব্যবহার করতেন যখন অন্যের কোন কাজ তাদের পছন্দ না হতো। আর তাই তখন না বুঝেই অন্যের কাজ পছন্দ না হলেই নিজেও অনেকবার তাদের "হুজুগে বাঙ্গালি" বলে ডেকেছি। আর যখন এর আসল মানে বুঝতে পারলাম তখন বুঝলাম- না বুঝে ওদের যখন তখন তা ডেকে নিজের অজান্তে আমি নিজেও অনেকবার "হুজুগে বাঙ্গালি" হয়েছি।

ছোটবেলায় বেশিরভাগ ঈদ'ই নানুর বাড়িতেই করা হতো। গ্রামের ঈদে সমবয়সি ছেলমেয়েদের দেখতাম সালামির টাকা দিয়ে বাঁশের তৈরী একধরনের বাঁশি কিনতো। একটানা বাজাতে লম্বা সময় ধরে এয়ার সাপ্লাই দেয়ার জন্য বাঁশির সাথে যে প্যকেট'টা কেনা হতো তা ছিল আসলে 'কনডম'! আমরা তখন তাকে পোটকা বলতাম। সবাই কিনতো, কিন্তু বুঝতামনা কেন যেন আমার ঘরেই ওটা পছন্দ করতো না! বলতো এর শব্দ বিরক্তিকর! এটা ক্ষতিকর! সেই পোটকার ব্যাবহার আমার চোখে তো কেবল বাঁশি বাজানোই ছিল!
সেই সময়ই টিভি-রেডিওতে এইচআইভি এইডস'এর বিজ্ঞাপন ফলাও করে প্রচার হতো। কোনভাবে জানতে পারলাম ওটা একটা ভয়ানক রোগ। বিজ্ঞাপনে পরিষ্কার বলা হতো ওইটা ব্যাবহার করলে নাকি এইডস থেকে বাঁচা যায়। আমি ভাবলাম এত ভাল একটা জিনিসকে আমার ঘরে পছন্দ করে না! একবার তো মা'কে গিয়ে বলেই ফেললাম- মা, পোটকা ব্যাবহার করলে এইডস থেকে বাঁচা যায়। এত ভাল একটা কথার জবাবে মা পরিষ্কার শুনিয়ে দিল- এটা নিয়ে যেন আর কোন কথা না শুনি! ঠিক আছে? মন খারাপ করে তখন উত্তর দিয়েছিলাম- ওকে!

পাকিস্তান টিমে একজন হিন্দু ধর্মাবলম্বি লেগ স্পিনার ছিল, "দানিশ ক্যানেরিয়া"। বিভিন্ন সময় প্রি-ম্যাচ প্রেস কনফারেন্সে বলতে শুনতাম- "... ইনশাআল্লাহ হাম লোগ জিতেঙ্গে"। সেখানে "ইনশাআল্লাহ" শব্দটা হয়তো তার ভেতর একজন সাধারন পাকিস্তানি হিসেবে কথার অভ্যাসের কারনেই বলতো।
আমার দেশে'র ৯০% মানুষ'ই প্রাকটিসিং না হলেও অন্তত নামে মুসলিম। যেমনই হোক ইসলামিক কিছু অভ্যাস, প্রাকটিস পুরো সমাজে বা আমাদের প্রায় সবার মাঝেই আছে। রং দিয়ে বিচার করলে ইসলাম একটা সাদাকালো ধর্ম। প্রত্যেকটা কাজের পেছনেই এর চাওয়া আল্লাহ'র সন্তুষ্টি অর্জন। এবং তা'র পথগুলোও খুবই সিম্পল। এখানে অতিরঞ্জিত কোন কিছুর স্থান নেই, খুশীতে গা ভাসানোর কোন উপলক্ষ নেই, কোন অজুহাতেই যা ইচ্ছে তা করার অনুমুতি নেই। এমনকি উৎসবেও এর চাওয়া হলো পবিত্র থাকা, আল্লাহ'র সন্তুষ্টির জন্য নামাজ পড়া। আর যে পথগুলি আনন্দের বলা হয়েছে, সেগুলো আমাদের চোখে- বলিউডি রংয়ের কাছে, পাশ্চাত্যের শিল্পের কাছে ফ্যাকাশে লাগে।

আমরা রং খুজি। নিজেকে ঝক ঝকে Ultra HD 4K টিভি'র Pixel এ রাঙ্গাই। আমরা ল্যান্টার্ন উড়াই, হোলি খেলি, প্রদীপ ভাসাই, কারো শোকে মোমের বাত্তি জ্বালাই, ভাই-ভাই ভুলে মামা ডাকি, ন্যায়-অন্যায় বুঝি না, ধর্মের দোহাই মানি না, কালচার'এর তোয়াক্কা করি না। যা কিছু রঙ্গিন, যা কিছু ভাল লাগে, সব আমাদের চাই। যখন যার হুজুগ উঠে, আনন্দের সাথে বুঝে না বুঝে নিজের গা খানি এলিয়ে দিয়ে কুল গাই হয়ে যাই!

আমরা এখন আরেকটা হুজুগের সামনে আছি। নিজের প্রোফাইল পিক'কে রঙধনুর রঙ্গে রাঙ্গানোর হুজুগ। ফেইসবুকও বিল্টইন সার্ভিস দিচ্ছে সহজে নিজের প্রোফাইল পিক'কে রংধনুর রঙ্গে রাঙ্গিয়ে তোলার। অনেকেই করেছে, আরও অনেকেই করবে। তবে এটা নিশ্চিত তাদের মধ্যে বেশীরভাগই না বুঝে জাস্ট হুজুগে করবে, কুল গাই হবে। আর তা দেখে যারা সেলিব্রেটিং এর আসল কারনটা জানে বা বুঝে, তারা আমার মা'য়ের মতোই বিব্রত হবে। আর কুল গাই'রা আমার মতোই আরেকবার "হুজুগে বাঙ্গালি" হবে।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুন, ২০১৫ রাত ৩:০০

আমি শঙ্খচিল বলেছেন: হুজুগে বাঙ্গালি কথাটা এক্ষেত্রে ঠিক ই আছে ।

২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৩

একে৪৭ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৬

দীপংকর চক্রবর্ত্তী বলেছেন:
আপনার পোষ্টের মানেটা ঠিক ধরতে পারলাম না। আপনি কি বলতে চাচ্ছেন LGBTQ কে সাপোর্ট করা ঠিক না?? নাকি যারা কিচ্ছু তা বুঝে সাপোর্ট করছে তাদের এ সম্পর্কে আরো জানা উচিত?
যাই হোক! আমার মতে কারোর লিঙ্গ এবং জীবনধারার উপর ভিত্তি করে সৃষ্টি হওয়া বৈষম্য এবং শোষণ সম্পর্কে সবাইকেই সচেতন হতে হবে। #I_support_LGBTQ

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৫৭

একে৪৭ বলেছেন: #I_DO_NOT_SUPPORT_LGBTQ
এগুলোকে আমার মানসিক বিকৃতি মনে হয়, এবং এই বিকৃতিকে বৈধতা বা সন্মানিত করে তা আরও ছড়িয়ে দেয়ার পক্ষে থাকার কোন প্রশ্নই আসে না।

তাদের জন্য চিকি‌ৎসা বা সংসোধানাগারে তৈরী এবং তাদেরকে তার ভেতর ভর্তি হবার সুযোগ তৈরী করার ব্যপার এলে তাতে সাপোর্ট করতে পারি।

৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:২২

দীপংকর চক্রবর্ত্তী বলেছেন: মানসিক বিকৃতি আর প্রাকৃতিক ঘটনার মধ্যে কোনো পার্থ্যকই জানা নাই আপনার।

আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল এসোসিয়েশন প্রমাণ করেছে যে Gay লোকেরা অন্য সবার মতই সমান সুস্বাথ্যের অধিকারী।
পরমত সহিষ্ণুতার অভাবেই বিশ্বে এতো ক্যাচাল। একবার অন্য দিকে নিজেকে রেখে কল্পনা করে দেখুন। আর আমার মনে হয় না LGBT কমিউনিটির কারোর সাথে আপনার কথা হয়েছে বলে। হলে বুঝতেন শুধুমাত্র সামান্য সহমর্মিতার অভাবে অনেককে আত্মহত্যার মতো পথ বেছে নিতে হয়। তাদের চিন্তা ভাবনা সস্পর্ণ ভিন্ন। এতকিছু রেখে কেনো শুধুমাত্র একজন মানুষের লিঙ্গ এখন ভালো-খারাপের মাপকাঠি হয়ে উঠলো?? তাই খামখা সস্তাভাবে নিজেকে উপস্থাপন না করে সহিষ্ণু হতে শিখুন। দুনিয়াটা শুধুমাত্র আমার কিংবা আপনার, কিংবা কোন নির্দিষ্ট জাতীর না।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:১৭

একে৪৭ বলেছেন: "মানসিক বিকৃতি আর প্রাকৃতিক ঘটনার মধ্যে কোনো পার্থ্যকই জানা নাই আপনার।"
প্রকৃতি কোন পুরুষকে আরেকজন পুরুষের সাথে, কিংবা কোন নারীকে আরেকজন নারীর সাথে যৌন ক্রিয়া করার জন্য ডিজাইন করেনি, এই বিকৃতিটা মানুষ যা তৈরী করে নিয়েছে, আর এখন প্রকৃতির উপর দায় চাপিয়ে নিজেদের বিকৃতির পক্ষে সাফাই গাওয়ার চেষ্টা করছে।

আমেরিকান হোক আর মঙ্গলগ্রহের হোক, সাইকোলজিক্যাল ব্যপারে কখনোই সার্টেইন কোন এনসার দেয়া সম্ভব না।
একই প্রশ্নের উত্তরে একজন মানুষ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন উত্তর দিতে পারে, আমেরিকান কোন এসোসিয়েশন এসে বললেই তা স্ট্যাটিক হয়ে যাবে না।

বুঝতে চেষ্টা করুন-
পৃথিবীতে সম্পুর্নভাবে সুস্থ মানুষ খুজে পাওয়া সম্ভব না।
আমারও কোন না কোন যায়গায় বিকৃতি আছে, হতে পারে তা নাক থেকে ময়লা বের করে গন্ধ শোকার, হতে পারে তা কানে থেকে ময়লা বের করার, হতে পারে তা মাছি দেখলেই মেজাজ খারাপ হবার।

আমার মতে LGBTQ'রা ঠিক তেমনই, তাদের সব হয়তো ঠিক আছে, কেবল এই ব্যপারটাতেই তাদের ভেতর বিকৃতি চলে এসেছে, এবং আমি তাকে একটি ডিজঅর্ডার মনে করি, যার চিকি‌ৎসা দরকার।

"আর আমার মনে হয় না LGBT কমিউনিটির কারোর সাথে আপনার কথা হয়েছে বলে"
আমার ব্যপারটা ভাবতে ঘৃনা হয়, তাদের সাথে কথা বলার কোন রুচি আমার নাই, কখনো তৈরী হবার সম্ভাবনাও আপাতত নাই।

"সামান্য সহমর্মিতার অভাবে অনেককে আত্মহত্যার মতো পথ বেছে নিতে হয়"
এটা সামান্য নয়, এটা সিরিয়া ইস্যু, সহমর্মিতা থেকেই তাদের পুনর্বাস কেন্দ্রে চিকি‌ৎসা দেয়ার কথা বলছি।

এমন একটা পৃথিবী কল্পনা করুন যেখানে সবাই সমকামী হয়ে উঠেছে, পৃথিবী জনশুন্য হতে কত বছর লাগবে???
এটা প্রকৃতির বিরুদ্ধ এবং মানবতা বিরোধি।

"তাই খামখা সস্তাভাবে নিজেকে উপস্থাপন না করে সহিষ্ণু হতে শিখুন।"
আপনি LGBTQ'কে সাপোর্ট করার পক্ষে, আমি বিপক্ষে। কিন্তু আমার মতকে আপনি সহিষ্ণুভাবে নিচ্ছেন না, যা আপনার স্ববিরোধি কথার পরিচয় বহন করে।

"দুনিয়াটা শুধুমাত্র আমার কিংবা আপনার, কিংবা কোন নির্দিষ্ট জাতীর না"
লজিক্যালি ভাবুন, ভেবে দেখুন দুনিয়াটা জোর যার মুল্যুক তার ধরনের।
দুনিয়ার জমি আপনাকে কে দিয়েছে? হাতি-ঘোড়া-বাঘ-ভাল্লুক-সিংহ-হায়েনার যায়গা কোথায়? কার যায়গাতে শহর গড়েছেন? কিসের ভিত্তিতে গড়েছেন? কেবল বুদ্ধির জোড়ে আপনি অন্যান্য প্রনীদের বিতারিত করে দিন দিন বহু জায়গা দখল করেছেন। দেশে বানিয়েছেন, সীমান্ত তৈরী করেছেন।
মানুষে মাঝেই আসুন, বৃটিশরা গায়ের জোরে ভারতবর্ষ শাসন করেছে, পাকিস্তান গায়ের জোরে বাংলাদেশ শাসন করেছে, বাংলাদেশিরা গায়ের জোরে পাকিস্তানিদের বিতারিত করেছে, ইসরাইল গায়ের জোরে ফিলিস্তিন দখল করেছে, এমন খুজলে আরও বহু পাবেন। (যদিও এই টপিকটা আপনার কথার মূখ্য উদ্দেশ্য না)।

#I_DO_NOT_SUPPORT_LGBTQ

৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৭:৪৫

দীপংকর চক্রবর্ত্তী বলেছেন: তাহলে আপনি বলতেছেন LGBT রা নিজের ইচ্ছা মতো পথ(লিঙ্গ) বেছে নেয়? এতে প্রকৃতির কোনো অবদান নেই?

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:১৮

একে৪৭ বলেছেন: সেই প্রশ্ন আসছে কেন?
অটিজম একটা বড় সমস্যা এখন, দিন দিন সংখ্যা বাড়ছে, তাদের কি প্রকৃতি তৈরী করেনি?
প্রকৃতি অটিজম তৈরী করেছে বলেই কি তাদের আমরা যেমন আছে তেমনই ছেড়ে দিবো?
তাদের সাভাবিক মানুষের বাঁচার জন্য কি চিকি‌ৎসা/থেরাপী/ট্রেইনিং দেয়া বন্ধ করে রাস্তায় ছেড়ে দিয়ে বলবো: নেচার তাদের যেভাবে বানিয়েছে সেভাবেই থাকতে দাও???
প্রকৃিতি যার দা‍ঁত মুখ থেকে বের করে পাঠিয়েছে, ঠোঁট কাটা পাঠিয়েছে, তাকে কি সোজা বা নরমাল করে দেয়ার চেষ্টা করবেন না???
সমকামীতাও তাই, প্রাকৃতিকভাবে তারা সমকামী হলেও তা বিকৃত, তা একটা রোগ, যার চিকি‌ৎসা দরকার।

মানুষের ভালো লাগা/মন্দ লাগাটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রাকৃতিক নয়, তা মেন মেইড, পারিপার্শিকতার উপর নির্ভরশিল।
আমার দেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠের দেশ, আমার কন্টেক্সটে আমি শুকরের মাংস খেতে দেখিনি, এখন আমি তা খাওয়ার কথা ভাবতেও পারি না। কিন্তু ইউরোপ আমেরিকায় তা একদম সাভাবিক।
ভারতীয় উপমহাদেশের গানের ধরন একরকম, একজন সাধারন ভারতিয় ব্যক্তির আমেরিকান নিগ্রোদের হিপ হপ ভালো লাগবে না। আবার নিগ্রোদের নিয়ে ভারতীয় তা না না না গান ভালো লাগাতে পারবেন না।

সমকামীতা প্রকৃতি তৈরী করে না।
যে কোনদিন সমকামীতা দেখেনি বা শোনেনি, সে সেই কাম অনুভব করবে না।
এটা তৈরী করা হয়, একজনকে দেখে বা শুনে আরেকজনের ভেতর তা সংক্রমিত হয়।
প্রাকৃতিকভাবে হলেও তা ডিসঅর্ডার এন্ড দ্যাট নিডস টু বি কিউরড।

আপনি ভারতে এসে প্রতিদিন একটা তালগাছের গোড়ায় চুমু খান।
কদিনের মধ্যে নিশ্চিতভাবে আপনি কিছু সহপাঠি পেয়ে যাবেন, যারা আপনার মতো তালগাছের গোড়ায় চুমু খাবে।
Humans are genius, but they are a big mad box too!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.