নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একে৪৭

জানি না!

একে৪৭

মনে প্রাণে মানি আমাদের পরিবর্তন দরকার। জানি এমনটা আরও লক্ষ কোটি মানুষ ভাবেন। আর সবাই ভাবেন বলেই আমরা বড্ড বিক্ষিপ্ত। তাই বিশ্বাস করি একজনই পারেন আমাদের পথ দেখাতে, বিক্ষিপ্ত আমাদের একত্রিত করতে। সেই একজন হতে না পারলেও তাকে অন্তত দেখে যেতে চাই।

একে৪৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফ্রান্সের ঘটনা এবং স্ববিরোধি আমরা

২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:১৮

সন্মানিত ব্লগার “নূর আলম হিরণ” ভাইয়ের লিখা আমাদের নবীকে ব্যঙ্গ করার সঠিক শাস্তি সে ফরাসি শিক্ষক কি পেয়েছে? পড়লাম।

আমি ওনাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি না, ব্লগে ওনার এই লিখাটা ছাড়া আর কোন লিখা পড়েছি কি না মনে নেই।

তবে ওনার লিখাটা পড়ে ওখানেই কমেন্ট করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু দেখলাম আমার কমেন্ট মূল লিখার চাইতেও বড় হয়ে যাচ্ছে, তাই আলাদা করে পোস্ট আকারেই তার কিছুটা পর্যালোচনা দিলাম।

ওনার পোস্টের কিছু অংশের ভাবার্থটা এরকম… ফ্রান্স ইউরোপের সবচাইতে বেশি বাকস্বাধীনতার দেশ… সেখানে নবীর কার্টুন আঁকারও স্বাধীনতা আছে…

আর তাই নবীর কার্টুন আঁকা নিয়ে ওই যুবকের শিক্ষক খুন আপনার ভাষায় কেবলই ওই যুবক বা ধর্মীয় এক্সট্রিমিস্টদের অন্যায়।

১। আমি নিজেও মনে করি না যে নবীর কার্টুন আঁকলেই কাউকে হত্যা করে ফেলতে হবে এবং তা কোনভাবেই ন্যায়সঙ্গত।
২। তবে ঘটনার সূত্রপাত যেভাবে হলো এমন অহেতুক উষ্কানিদাতাদের নির্দোষ মানতে পারি না।

আপনার লিখার ধরন পর্যালোচনা করে আমি নিশ্চিত যে ১ নম্বার পয়েন্টের সাথে আপনার কোন দ্বিমত নাই।
সত্যি বলতে যৌক্তিক যে কোন মানুষ এমনটাই ভাববেন।

কিন্তু যেহেতু ২ নম্বর পয়েন্টের সাথে রিলেভেন্ট কোনরুপ কোন ইঙ্গিত আপনার লিখায় পেলাম না, সেহেতু আমি ধরে নিতেই পারি আপনি ফ্রান্সের খৃষ্টান-ইহুদি-নাসারা-মুসলিম ধর্মিয় সংঘাতে মুসলিমদের প্রতিপক্ষের পক্ষে কথা বলছেন।

(একটা কথা না বললেই না। আমি ধর্মিয় বিভেদকারি বা ওইরকম বিভেদ যারা মনে পোষন করে, আমি তাদের মতো অযৌক্তিক পাবলিকদের ভালো মানুষ বলে মনে করি না। সকাল বিকাল অন্য ধর্মের লোকদেরকে গালিগালাজ বা অপমান করার মধ্যে কোনরুপ কোন উপকার থাকতে পারে না। তারা নিজেদেরকে নিজেদের কমিউনিটির রিপ্রেজেন্টিটিভ দাবি করলেও তারা তার নিজের এবং তার বিরুদ্ধ কমিউনিটি তথা গোটা সমাজ, রাষ্ট্র এমনকি পৃথীবির শত্রু। তাছাড়া সেই বিভেদকারি যে কমিউনিটির রিপ্রেজেন্টিটিভ দাবি করছে, সেউ কমিউনিটির মেজরিটিই তার ধারনা বা মতামতের সাথে একমত নয়)।

ফ্রান্সের বাক স্বধীনতায় আপনার আপনার পূর্ণ সমর্থন এবং তা নিয়ে গর্বিত হওয়া প্রতিয়মান হওয়ায় আপনার কাছে আমার কিছু প্রশ্ন…
১। ফ্রান্সে কি ব্ল্যাক-হোয়াইট রেসিজমের পক্ষ নিয়ে পত্রিকায় লিখালিখি করতে পাবেন?
২। LGBTQ দের বিরুদ্ধে পত্রিকায় কলাম ছাপতে পারবেন?
৩। শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থিদের ব্লাক পিপলদের বিরুদ্ধে কিংবা LGBT রা সন্মান পেতে পারে না, এই শিক্ষা দিতে পারবেন?
৪। চাইলেই কারও বাপ মা তুলা গালিগালাজ করে দিতে পারবেন?
৫। ফ্রান্সে মার্কিন দূতাবাসের সামনে গিয়ে ট্রাম্পের কুশপুত্তুলিকা দাহ করতে পারবেন?

যদি বলেন তা কেন করবেন বা পারবেন না, তবে বিনা কারনে কেন নবীর কার্টুন ছাপাবেন যেখানে আপনি যানেন তাতে বহু মানুষ অপমানিত বোধ করবে বা কষ্ট পাবে?

যা ইচ্ছা তা বলা, যা ইচ্ছা তা করার নামই যদি বাক স্বাধিনতা হয়, তবে আগের জঙ্গলযুগই ছিলো সবচাইতে বেশি বাকস্বাধীনতার যুগ।

ট্রাম্পের ছবি পোড়ালেতো সত্যি সত্যি ট্রাম্পের কিছুই হয়ে যাবে না!
কিন্তু তাতে ট্রাম্পের প্রতি তথা আমেরিকার প্রতি অসন্মান প্রদর্শন হয়, তাই বিনা কারনে যেমন তা গ্রহনযোগ্য নয়, ঠিক একইভাবে নবীর ছবি নিয়ে ব্যাঙ্গাত্বক কার্টুন ছাপানোও কোনভাবে গ্রহনযোগ্য হতে পারে না যেখানে ওইরকম এক্টিভিটি মুসলিমরা অপমানিত বোধ করবে তা আগে থেকেই জানা।

ফ্রান্সের সরকার যদি এই গেঞ্জাম নিয়ে মুসলিম কমিউনিটির উপর বিরক্তি প্রকাশ করে, তার পাশাপাশি শার্লি হেবদো কিংবা ওই শিক্ষকদের কর্মকান্ডেরও সমালোচনা করা উচি‌ৎ ছিলো এবং ভবিষ্যতে যাতে এধরনের ঘটনা আর না ঘটে সেই ব্যপারে নির্দেশনা দেয়া উচি‌ৎ ছিলো।

হয়তে বলবেন: কার্টুন ছাপলে বা দেখালে কি হয়! এটা কেন এত বড় তুলকালাম কান্ড ঘটাতে হবে!
আমি নিজেও মনে করি না এমনটা ঘটানোর কোন মানে আছে বা এমনটা ঘটানো উচি‌ৎ, কিন্তু আপনি মানুষের আবেগকে নিয়ে খেলতে পারেন না। নিজেদের বুদ্ধিমান মানলে অন্তত এই জ্ঞানটুকু তাদের থাকা উচি‌ৎ।

আরও বলেছেন: “…এগুলোর লজিক্যাল উত্তর হলো আমাদের মধ্যে গোড়ামী বেশি, কোন সভ্য জাতির সাথে বসবাস করতে আমরা অভ্যস্ত নয়…”

আমি জানি না আপনার কাছে “সভ্য” এর ডেফিনেশনটা ঠিক কেমন।
আমি অন্তত বইয়ে পড়া “সভ্য” এর ডেফিনেশন গ্রহন করিনি।

আমার মতে পৃথীবির কোথাও কেউ জাতীগতভাবে “সভ্য” হতে পারে না, তা কেবল কঠিনই নয়, প্রায় অসম্ভব।
মানুষ ব্যক্তিগতভাবে “সভ্য” হতে পারে।

আপনি “সভ্য” হতে পারেন, আমিও হতে পারি, এই ব্লগের সবাই “সভ্য” হতে পারে।
কিন্তু পুরো জাতির কথা যখন বলবেন, সবাই সভ্য নয়।

যদি সবাই সভ্য হতো, তবে এখানে চুরি-ডাকাতি-দুর্নিতি বা খুনের ঘটনা ঘটতো না।
যদি সবাই সভ্য হতো, তবে ধর্ষনের ঘটনা ঘটতো না।

এখন আপনার/আপনাদের ভাষায় কথিত ইউরোপিয় দেশগুলোতে চুরি-ডাকাতি-খুন-ধর্ষন… এগুলোর কিছুই হয় না???

পরিষ্কার রাস্তা, উচু উচু বিল্ডং আর বড় বড় ইউনিভার্সিটি পাস দিলেও জামাকাপড়ের দিক দিয়ে যারা আবার জঙ্গলযুগে প্রবেশ করেছে, তাদের সবাইকে আমি আমার চেয়ে ধনি মানলেও জামাকাপড়ের দিক দিয়ে তাদের সবাইকে পাইকারিভাবে “সভ্য” মানতে নারাজ।

ঠিক একইভাবে মুখ থাকলেই যে মুখ দিয়ে যে সব বলা যায়না, লিখতে পারলেই যে সব লিখা যায়না, আঁকতে পারলেই যে সব আঁকা উচি‌ৎ না, আর কিছু করতে পারলেই যে সব করে দেয়া যায় না, এইটা বোঝার জ্ঞান যার/যাদের নাই, সে/তারাও কোনভাবে “সভ্য” হতে পারে না।

আর আমি যদি ভবিষ্যতে ওইসব দেশে আশ্রয় বা জব নিতে যাইও, সেটা সেখানকার ওই পরিষ্কার রাস্তা, সুন্দর পরিবেশ, ভালো আইন শৃঙ্খলা, বড় বড় বিল্ডিং আর ভালো পেইং জবের জন্যই যাবো।

অর্থা‌ৎ তাদের যা আমাদের চেয়ে ভালো, তা যদি আমার জন্য লাভজনক মনে হয় কেবল তা গ্রহন করতেই যাবো, কোনভাবেই তাদের সব গ্রহন করতে নয়।
আমি মনে করি বাকিরাও তার জন্যই যায়।

ফাইনালি বলেছেন:
“…আমেরিকা বসেও সেখানে শরীয়া আইন কায়েম করার স্বপ্ন দেখি।...“
সেই দেশ যদি গনতান্ত্রিক দেশ হয় এবং জনগনের মেজরিটি যদি প্রচলিত আইন থেকে ভিন্ন কোন আইনকে গ্রহন করেই ফেলে, সেটা সত্যিকারের গনতন্ত্রের মানে ঠিক রাখতেই তা করবে!

যদিও আমরা সবাই জানি তা অসম্ভব, আর এই অসম্ভব কাজকেও যদি কেউ সম্ভব ভেবে চেষ্টা করে, কেউ যদি ওখানে শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠার সপ্ন দেখে এবং সেটা যদি প্রপার ওয়েতে হয় এবং ওই দেশের সাধারন মানুষ যদি তা গ্রহন করে, তাতে কারও কোন আপত্তি থাকার কথা নয়।

তবে যারা জিহাদের নামে গলাবাজি বা জোর-জবরদস্তি করে, খুনাখুনি করে তা প্রতিষ্ঠা করতে যায় বা সেই চেষ্টা করে থাকে, তবে তারাও কেউ সামাজিকভাবে “সভ্য” নয়।

আর এরকম প্রচেষ্টা যে কেবল মুসলিমরাই করে তা তো আর না!
ইউরোপ আমেরিকাও বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন দেশে তাদের মতামত বা তাদের মতো করে বিভিন্ন বিষয় চাপাতে চেষ্টা করে, এটাতো নতুন কিছু নয়‍!

নাকি আমরা তাদের “সভ্য” সার্টিফিকেট আছে মানি বলে তাদের সকল কর্মকান্ডই মিষ্টি??? :-P

আমি মনে করি আমেরিকা-ইউরোপ-ফ্রান্স বা আমাদের বেশিরভাগ মানুষই এই সমস্ত বিভেদকারীদের পক্ষে নেই।
টোটাল জনগনের মধ্যে গুটিকয়েক বিকৃত মস্তিষ্কের মানুষ হাতে 'মাইক/কলম/ক্যামেরা' পেয়ে আবোলতাবোল 'বলছে/লিখছে/দেখাচ্ছে' এবং অন্য সকলকে অস্থির করে তুলছে।




----------------------------------------------
কারও সাথে আমার ব্যাক্তিগত বিরোধ নেই।
সকল পাঠক এবং ব্লাগারের প্রতি আমি যথাযথ সন্মান প্রদর্শন করছি।

আমার লিখায় কোনভাবেই আমার কোন আবেগের বিহ:প্রকাশ ঘটেনি বা ঘটাইনি।
আমার কথাগুলো কেবলই আমার লজ্যিক্যাল মতামাত।
আর আমার লিখায় লজ্যিকে ভুল থাকতেও পারে, আমি নির্ভুল নই।
(বানান ভুলের জন্য ক্ষমাপ্রার্থি)

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: সারা বিশ্ব করোনা নিয়ে চিন্তিত। এর মধ্যে এই বিষয়টা নিয়ে বাড়াবাড়ি করা থিক না।

২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৮

একে৪৭ বলেছেন: সারা বিশ্ব চিন্তিত হলেও আমাদের কোন চিন্তা আছে বলেতাে মনে হয়না রাজীব ভাই! :-P

২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার ভাবনা আমার পছন্দ হয়েছে। জনসংখ্যার সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষের সমস্যা হলো, তাদের চিন্তার গভীরতা কম। শ্যালো চিন্তা-ভাবনা নিয়ে জাজমেন্টাল হয়ে গেলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে। অন্ততঃ ব্লগারদের মধ্যে চিন্তার গভীরতা সবসময়েই কাম্য, কারন এরা পাইকারী জনগোষ্ঠির তুলনায় তুলনামূলকভাবে উন্নত চিন্তা চেতনার অধিকারী।

আমাদের অনেকের কাছেই উন্নত, সভ্য বিশ্ব মানে টেবিল-চেয়ারে বসে কাটাচামুচ দিয়ে ভাত-ডাল খাওয়ার মতো। এর ব্যত্যয় ঘটলে সেটা হয়ে যায় অসভ্যতা। এটা চিন্তা করে না যে, স্থান-কাল-পাত্র ভেদে সভ্যতাও পরিবর্তিত হয়। আমাদের দেশে হাত দিয়ে খাওয়া অসভ্যতা না, যা কিনা পশ্চিমা বিশ্বের অনেকের কাছেই অসভ্যতা।

যার টাকা আছে, ক্ষমতা আছে, সে নিজের ভাবধারা অন্যের উপরে চাপানোর চেষ্টা করবে। তার মতো করে সভ্যতাকে ডিফাইন করবে.....এটা নতুন কিছু না। কিন্তু যারা নিজস্ব চিন্তা বাদ দিয়ে এদের কথা, আচার-আচরণকে বেদবাক্য ধরে নিবে, তাদের ভাবনা চিন্তা অপরিপক্ক, বলাই বাহুল্য।

মন্তব্য বড় হয়ে যাচ্ছে। জোর করে থামলাম। :)

২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৫৮

একে৪৭ বলেছেন: জোর করে থামানোর দরকার ছিলোনা।
আমি যা পড়ার মনস্থির করি তার পুরোটাই পড়ি, ধিরে ধিরে পড়ি।
আমার পোস্টে কেউ মন্তব্য করবে আর তা আমি বড় বলে পড়বো না, এমনটা হবে বলে মনে হয় না। :-D

যাই হোক, আপনার মন্তব্যের সাথেও আমি একমত।

৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৪৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ফ্রান্স তার অবস্থানে সঠিক আছে।
তাদের বক্তব্য পরিষ্কার। ডিসপ্লেতে নবীকে কিছুই বলা হয় নি।
তাদের কথা পৃথিবীর সবাই দেখুক,
সবার সুভবুদ্ধির উদয় হোক। সামান্য হাতে আঁকা কার্টুন কিছু ছবির কারনে মানুষ হত্যার যৌক্তিকতা নেই।
সে কারনেই বিশাল ডিসপ্লেতে সেই ছবি।

কোন কোরান হাদিসে নবীর ছবি আঁকা নিষেধ সে রকম আলাদা ভাবে কিছু বলা হয় নি।
ইসলামে যে কোন মানুষ বা প্রানীর ছবি, মুর্তি তৈরি ও ছবি আঁকা নিষেধ। সেই আদেশের অংশ হিসেবে নবীর ছবি আঁকা নিষেধ।

কারো জেহাদি চেতনা মাথাচাড়া দেয়ার আগে নিজেদের পাসপোর্টের ছবি, সব আইডি কার্ডের ছবি ব্লেড দিয়ে কেটে পুড়িয়ে ফেলুন, ফেবুর প্রফাইল পিক সহ সব সব ছবি ডিলিট করে ফেলুন। ছবির ভান্ডার মোবাইলটা আছাড় মেরে গুড়ো গুড়ো করে ফেলুন
তার পর অনান্য ছবির প্রতিবাদ করুন।

২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:০০

একে৪৭ বলেছেন: আমার মনে হয়না আপনি আমার লিখার পুরোটা পড়েছেন।
আর পড়লেও হয়তো কালবৈশাখী ঝড়ের বেগেই পড়েছেন, আর তাই আমার লিখার ভাবার্থ বোঝেননি।
ধৈর্যে কুলোলে আরেকবার পড়ার অনুরোধ করছি।

ধন্যবাদ।

৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার মতো যারা চিন্তা করে, তাদের কারণে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ইয়েমেন ও সিরিয়া বর্তানে অবস্হানে আছে।

২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:১৪

একে৪৭ বলেছেন: আপনি মাঝেমধ্যে অন্যদের হাসানোর অনেক চেষ্টা করেন, কিন্তু হাঁসি পায়না।

আমার মতো ভাবলে ছাগল-পাগল এক‌ই গোয়ালে থাকতো না।
আমার মতো ভাবলে পাকিরা ছাগলামি করতো না।

আমার মতো ভাবলে আপনিও পক্ষপাতদুষ্ট লিখা লিখতেন না।

৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৪

রাশিয়া বলেছেন: ফ্রান্স ইচ্ছাকৃতভাবে পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া লাগাতে চাচ্ছে, যাতে বোকা মুসলিমগণ অযথা উত্তেজিত হয়। এই উত্তেজনা মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্পের জন্য বাড়তি সুবিধা করে দেবে। তবে কালবৈশাখীর মতে 'সামান্য কার্টুন' যদি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আঁকা হয়, তবে কয়টি আইন পেছনে লেগে বুলেটের মত ঘায়েল করে দেবে - সেই প্রশ্ন রেখে গেলাম।

২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:১৯

একে৪৭ বলেছেন: কেউ কেউ নিজেদের অনেক যৌক্তিক ভাবে,
কিন্তু সব যুক্তি মাথায় আটকায় না,
আটকায় কেবলমাত্র সেটা যেটা আটকাতে তারা ভালোবাসে।
আর যেটা ভালোবাসে, তা যৌক্তিক হলেও আটকায়, অযৌক্তিক হলেও আটকায়।

সব নাম মুখে আনতে নেই, মহাপাপ হয়।

৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৫

একাল-সেকাল বলেছেন:
মহাম্মদ (সাঃ) এঁর আগমনের পূর্ব থেকেই মূর্তির প্রচলন ছিল। তথাপি উনার শত্রুদের দ্বারাও কোন মূর্তি, ছবি তৈরি হয়নাই। বিশ্ব জানেনা উনার প্রকৃত রূপ কি ছিল। একটা কাল্পনিক কার্টুন কে মোহাম্মদ (সাঃ) বলে চালিয়ে দিয়ে আসলে তারা ইসলামকে খুচাচ্ছে, যাতে রাজনৈতিক ফায়দা নেয়া যায়।

২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:২২

একে৪৭ বলেছেন: খোঁচায় কারন মুসলিমরা অতী আবেগি তারা তা জানে।
সেই আবেগকে কাজে লাগিয়ে পাকিস্তান-আফগানিস্তান-ইরাক-সিরিয়া বানিয়ে সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য নিজেদের মোড়ল বানায়।
আর মোড়লরা বরাবরই সভ্য।

৭| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ঐ ছেলে তার শিক্ষকের গলা কেটে অন্যায় করেছে এটা মেনে নিয়েছেন, এটাই যথেষ্ট ছিল বাকিগুলো লেখা টেখার আর দরকার ছিল না। ঐ পত্রিকা বর্তমান প্রেসিডেন্ট নিয়ে যে কার্টুন এঁকেছে তা দেখলে আপনারই মাথাই রক্ত চেপে যাবে।
ঐ ছেলেকে যদি বেঁচে থাকতো তাহলে কি তার ফাঁসি চেয়ে পোস্ট লিখতেন? এটার উত্তর দিলেই আপনার বাকি প্রশ্নের উত্তর হয়ে যাবে।
ধন্যবাদ এত কষ্ট করে পোস্ট লিখার জন্য।

২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:০৮

একে৪৭ বলেছেন: ঐ ছেলে বেঁচে থাকলে আপনি কি লিখতেন তার ধরন অনুযায়ী হয়তোবা দিতাম!
আবার প্রয়োজন মনে নাও করতে পারতাম।
ঐ ছেলে বা ওই ছেলের অন্যায়ে তার পুরো পরিবার ফাঁসিতে লটকায়ে দিলেও হয়তোবা লিখার প্রয়োজনীয়তা বোধ করতাম না, কত শত মানুষ‌ইতো দেশে দেশে মরছে!

আমি লিখেছি যারা কেবল একচোখে দেখছেন বা লিখছেন তাদের জন্য।
আপনাদের কাছে ওই পত্রিকা, ওই শিক্ষক এবং ফ্রান্স সরকারের অহেতুক কর্মকাণ্ড চোখে পরেনি, পরেছে অহেতুক কর্মকাণ্ডের ফলে সৃষ্ট ঘটনাটা।

মৌমাছি কামরালো কেন সেটা দোষ বলছেন,
কিন্তু ঢিল কে মারলো তার দোষ ঢাকতে পরিশ্রম করছেন।

৮| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:৩২

আমি নই বলেছেন: নূর আলম হিরণ সাহেবের পোস্টটি পড়ে এসে আপনার পোস্টটি পড়লাম, খুব ভালো হয়েছে।

ভিন্নমতালম্বিদের ইচ্ছা করে আঘাত করাটা ঠিক কোন ধরনের বাকস্বাধীনতা তা আমার মাথায় ঢোকেনা। আবার উল্টা যারা অপমানিত বোধ করছে তাদেরকেই দোষারপ করা হচ্ছে যে কেন তারা সহ্য করছেনা, আজব।

২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৭:৪০

একে৪৭ বলেছেন: দুনিয়াটাই আজব হয়ে গেছে।
যারে ভালোবাসতে চাই তার কর্মকাণ্ড হরতকির মতো তিতা হলেও মিষ্টি লাগার ভান করি।

৯| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৩৪

একাল-সেকাল বলেছেন:
লেখক বলেছেন: খোঁচায় কারন মুসলিমরা অতী আবেগি।
প্রতিটা ধর্মের অনুসারিরাই আবেগি হয়। নিজ হাতে মূর্তি বানিয়ে তাকে খাবার দেয়, যদিও জড় পদার্থ আহার করতে পারেনা। ইহা অবৈজ্ঞানিক।
ইসলাম কে খুঁচানোর মুল কারন তাদের অবৈজ্ঞানিক ধারনা গুলুর যথাযথ ব্যাবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে বাণিজ্য করা।
১ টা হিজাবের সমান কাপড় দিয়ে ১০ টা ব্রা- পেন্টি র প্রোডাকশন করা সম্ভব। সে গুলোর ক্রেতা তৈরি করতেই তাদের যত প্রচেষ্টা।

২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:২০

একে৪৭ বলেছেন: আবেগি সবাই তা সত্য, তবে মুসলিমরা অন্যদের চাইতে বেশী।
আর তার যথেষ্ট কারণও রয়েছে।

কোরআনই একমাত্র ধর্মিয় গ্রন্থ যেখানে স্পষ্টরুপে বলা হয়েছে এর বাণীতে কেউ কোন পরিবর্তন-পরিবর্ধন আনতে পারবে না
আর যেহেতু এই গ্রন্থটাই ইসলামের মূল, সেহেতু যুগে যুগে অনেক পকেট(পীর/মাহযাব ইত্যাদি) বের হলেও মূলটা একই থেকে যায়। আর তাই কেউ যদি কিছু একটা বানিয়ে তাকে আল্লাহ্ বলার চেষ্ট করে, তা সরাসরি কোরআনের সাথে সাংঘর্ষিক হয়ে পরে কারন তার আয়াত অনুযায়ী আল্লাহ্'র কোন অবয়ব নাই।
ঠিক একইভাবে কোরআনের আয়াত অনুযায়ী রসূল হলেন সবচাইতে সর্বোত্তম বা সন্মানিত ব্যাক্তি, যার কোনরুপ অপমান স্বাভাবিকভাবেই মুসলিমরা ধর্মিয় আঘাত হিসেবেই নিবে।

এই সাধারণ বিষয়টা কোন একক ব্যাক্তি নাও বুঝতে পারে।
কিন্তু যখন একটা পত্রিকা বা কোন একটা সরকারের মুখপাত্র এরকম কোন বিষয় নিয়ে পাবলিক স্টেটমেন্ট দিবে, সেখানে তা ভালো বোঝার কথা।
শুধু ছাগল-পাগল না হলে কিংবা উদ্দেশ্যপ্রনোদিত হয়ে ঝগড়া-ফ্যাসাদ লাগাতে না চাইলে কেউ আগপিছ না ভেবে এসব বলে না বা করে না।


ব্যবসায়িক উদ্যেশ্য থাকতে পারে, তবে আমার কাছে এটা কেবলই ধর্মিয় এক্সট্রিমিজম।
কেউ একজনের কল্লা কেটে করেছে, আর শার্লি হেবদো/ফ্রান্স সরকার কলম/মাইক ক্যামেরা দিয়ে কোটি মানুষে মনে আঘাত করে করেছে।

আর কিছু পাবলিক প্রথমটা দেখলেও দ্বিতীয়টার ক্ষেত্রে একদমই অন্ধ।
ন্যায়বিচারক হলে একচোখে দেখতো না।

আর ধর্মিয় এক্সট্রিমিজম এক্টিভিটি যে নাস্তিক/খৃষ্টান/হিন্দু/ইহুদি/বৌদ্ধ সবাই ই করতে পারে, এই বিষয়টাও তাদের মাথয় ঢোকে না।

দোষ কেবল সতীনের পোলার।

১০| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: সবার মন্তব্য গুলো পড়লাম।
আপনি মন্তব্য গুলোর ভালো উত্তর দিয়েছেন।

২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:২৬

একে৪৭ বলেছেন: আমি কেবল নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করেছি।
প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.