নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তিত

মানবতার পক্ষে....

অযান্ত্রিক হৃদয়

কি করব কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না

অযান্ত্রিক হৃদয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিবর্তনবাদ প্রসঙ্গেঃ একটি বিজ্ঞান নির্ভর আলোচনা

০৪ ঠা মে, ২০১১ রাত ১:০০

বিবর্তনবাদ আধুনিক বিজ্ঞানের একটি প্রমাণিত সত্য, অতএব কাজের কথায় আসি।



বিবর্তনবাদের কয়েকটি মূল ভিত্তির কথা বলব, যেগুলির উপর বর্তমানের ডারউইনিজম এবং নিও ডারউইনিজম প্রতিষ্ঠিত........



১> প্রাণীর অত্যধিক প্রজনন হারঃ

প্রত্যেক জীবই অসংখ্য বংশধরের জন্ম দেয় এবং গুণোত্তর প্রগতিতে বংশবৃদ্ধি করে। একটি স্ত্রী স্যামন মাছ একটি প্রজনন ঋতুতে প্রায় ২৮,০০০,০০০ ডিম পাড়ে। একজোড়া মাছি পাঁচ মাসের মধ্যে ১৯১,০০০,০০০,০০০,০০০ টি মাছি উৎপন্ন করতে পারে



২> খাদ্য ও বাসস্থানের সীমাবদ্ধতাঃ

আপনারা শুধাবেন এতো মাছি যায় কই? এই বিশ্ব ছাড়া জীবদের বসবাসের অব্য কোন স্থান নেই এবং এখানেও খাদ্য ও বাসস্থান সীমাবদ্ধ বলে পৃথিবীর সীমাবদ্ধতাই জীবদের অনির্দিষ্ট ভাবে প্রজননের বিরুদ্ধে।



তাই অত্যধিক প্রজনন ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও প্রতি প্রজাতির জীব সংখ্যা প্রায় দীর্ঘ সময় ধ্রুবক থাকে।



৩> অস্তিত্বের জন্য সংগ্রামঃ

এইবার দেখেন, এক ফুল দো মালীর কেস আপনারা জানেন, আমি বলব এক ফুল হাজার মালীর কেসের কড়চা। হ্যাঁ, খাদ্য বাসস্থান সীমাবদ্ধ, কিন্তু জীব বহুত। ফলে লড়াই লাগে। প্রতিযোগিতা চলে। এর আবার তিন প্রকার।

ক> আন্তঃপ্রজাতি সংগ্রাম

খ> অন্তঃপ্রজাতি সংগ্রাম

গ> প্রতিকূল পরিবেশের সাথে সংগ্রাম



৪> প্রকরণের উদ্ভবঃ

আচ্ছা বলেন তো, আপনার সন্তানের হয়ত আপনার বা আপনার পার্টনারের সাথে কিছু মিল আছে, কিন্তু তার কি কোন নিজস্ব বৈশিষ্ট্য নেই? থাকতেই হবে।

আসলে পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেওয়ার জন্য প্রতিটি জীবেই জনিতৃ জীব থেকে কিছু আলাদা বৈশিষ্ট্য থাকে। একমাত্র সাদৃশ্য যমজ (identical twins) ছাড়া কোন দুটি জীবই এক প্রকারের হয় না।



৫> প্রাকৃতিক নির্বাচনঃ

দেখা গেছে অধিক প্রকরন যুক্ত জীবেরা পরিবেশের সাথে ভালোভাবে অভিযোজিত হতে পারে। কমযোগ্য বা অযোগ্য জীবেরা প্রাকৃতিক নির্বাচন পায় না। যেমন ধরুন দুই টাইপের জিরাফের স্পিসিস ছিল, একটার গলা লম্বা, একটার গলা খাটো, ফলে যখন মাটির কাছাকাছি এরিয়ার খাবার শেষ, তখন বড় গলার জিরাফরা গাছের নাগাল পায়, কিন্তু ছোট গলার জিরাফেরা তা পায় না, ফলে তারা প্রাকৃতিক নির্বাচন পায় না এবং লুপ্ত হয়ে যায়।

প্রাকৃতিক নির্বাচন আবার তিন প্রকার---

ক> স্থিতিশীল নির্বাচন

খ> অভিমুখী নির্বাচন

গ> সংহতিনাশক নির্বাচন







৬> যোগ্যতমের উদবর্তন এবং নতুন প্রজাতির সৃষ্টিঃ



অস্তিত্বের সংগ্রামে যে জীবরা বেঁচে থাকে তাদের সুবিধাজনক প্রকরন বা বৈশিষ্ট্য গুলি অপত্যে সঞ্চারিত হয়। ফলে ঐ অপত্যরা সুবিধাজনক প্রকরণ গুলি নিয়েই জন্মায় এবং তারা আরও কিছু প্রকরণ সৃষ্টি করে যা আবার তাদের অপত্যে সঞ্চারিত হয়, এভাবেই এগিয়ে চলে বিবর্তন।



পাঠকগণ নিশ্চই লক্ষ্য করেছেন যে আমি প্রাকৃতিক নির্বাচন এবং অস্তিত্বের জন্য সংগ্রাম এই দুটি পয়েন্টের কিছু সাব পয়েন্টের কথা উল্লেখ করেছি। এই দুটি পয়েন্টকে বেস করে আরও ডিটেলে আমার পরবর্তী পোষ্ট দেব





আরও একটি বিষয় নিয়ে পোষ্ট দেওয়ার ইচ্ছা আছে, তা হল বিবর্তনের সপক্ষে পাওয়া প্রমাণগুলো উল্লেখ করে, যেমন শারীরস্থানিক প্রমাণ, জীবন্ত জীবাশ্ম জনিত প্রমাণ এবং আরও অনেক। সময় করে এই বিষয়েও পোষ্ট দেব।





ডারউইনের নিজের লেখা বইটা ডাউনলোড করে পড়ে নিতে পারেন---







ডাউনলোড লিঙ্ক

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মে, ২০১১ রাত ১:০৬

অযান্ত্রিক হৃদয় বলেছেন: বিবর্তন বিষয়ে আপনাদের জানা ভালো ইবুক বা আর্টিকেলের খোঁজ থাকলে দিতে পারেন।

২| ০৪ ঠা মে, ২০১১ রাত ১:২২

সাইফ বাঙ্‌গালী বলেছেন: বিবর্তনবাদ আধুনিক বিজ্ঞানের একটি প্রমাণিত সত্য

হ!! মনে মনে সুখ করেন। প্রমান আর করতে হবেনা =p~ =p~ =p~

০৪ ঠা মে, ২০১১ রাত ১:৩২

অযান্ত্রিক হৃদয় বলেছেন: আপনার লেখাটি পড়তে ভুল হয়েছে, আপনি পড়েছেন বিবর্তনবাদ আধুনিক ধর্মের একটি প্রমাণিত সত্য। B-) B-) B-) কিন্তু আমি তা লিখি নাই!

৩| ০৪ ঠা মে, ২০১১ রাত ১:৩৯

সজীব আকিব বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ। আরো লেখুন।


মুক্তমনা বিবর্তন আর্কাইভ

০৪ ঠা মে, ২০১১ রাত ১:৪১

অযান্ত্রিক হৃদয় বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। মুক্তমনা বিবর্তন আর্কাইভের খোঁজ দেওয়ায় ধন্যবাদ। ঘোরাঘুরি করে দেখি.... :#) :#) :#) .

৪| ০৪ ঠা মে, ২০১১ রাত ১:৫১

সাইফ বাঙ্‌গালী বলেছেন: তাহলে বিবর্তনবাদ প্রমানিত সত্য বলে আপনি দাবি করছেন??!! বলিহারি জ্ঞান বটে আপনার

৫| ০৪ ঠা মে, ২০১১ রাত ২:৪১

অযান্ত্রিক হৃদয় বলেছেন: নিও ডারউইনজম সম্পূর্ণরূপে বিবর্তন সংক্রান্ত সব রকম ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে পারে। এইটা আমার না বিজ্ঞানীদের কথা। ডারউইন বিবর্তনের যে ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করেছিলেন সেইটা কিন্তু অলরেডি লজিক কর্তৃক প্রমাণিত হয়ে গেছে। অবরোহ পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়া থেকে পয়েন্ট গুলো দেখলেই প্রমাণিত হয়ে যায় যে ডারউইন মূল রাস্তা ঠিকই ধরেছেন। এর সাথে নিও ডারউইনইজম এ আরও কিছু ছুটকো ছাটকা তত্ত্ব যোগ করে সিন্থেসিস থিওরি দাঁড় করানো গেছে।

ডারউইনের পথে এগিয়েই এই সিন্থেসিস থিওরি দাঁড়িয়েছে। ডারউইনের লজিক যে সঠিক ছিল সে বিষয়ে সন্দেহ নেই।

আপনার স্পেসিফিক কোন পয়েন্টে দ্বিমত আছে বলতে পারেন।

৬| ০৪ ঠা মে, ২০১১ রাত ৯:১৫

ছাইরাছ হেলাল বলেছেন:

এ বিষয়ে কিছুই জানিনা ।

০৫ ই মে, ২০১১ দুপুর ২:৪৪

অযান্ত্রিক হৃদয় বলেছেন: আপনি ডারউইনের বইটা ডাউনলোড দিলে বুঝতে পারবেন। তা ছাড়া আমার পোষ্টের কথা গুলো সেটারই সার সংক্ষেপ। আরও কিছু জানার থাকলে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।

৭| ০৪ ঠা মে, ২০১১ রাত ৯:২৫

রােসল আহেমদ বলেছেন: গুড পোস্ট। +

০৫ ই মে, ২০১১ দুপুর ২:৪৫

অযান্ত্রিক হৃদয় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ দাদা... :#) :#) :#)

৮| ০৬ ই মে, ২০১১ সকাল ১১:৪৭

পারভেজ আলম বলেছেন: সাইফ বাঙ্‌গালী@ এই বিষয়ে অন্ধকারে ডুবে থাকার মানে হয়না। ডারউইনএর তত্ত্বে কোথায় কি ভুল ছিল, সীমাবদ্ধতা ছিল এইসব বললেই কি বিবর্তনবাদ মিথ্যা হয়ে যায়? জীব বিজ্ঞানে বিবর্তনবাদ অনেক আগেই প্রমানিত সত্য। আর এই সত্যের উপর ভিত্তী করে এর ইমপ্লিমেন্টেশনও হচ্ছে প্রতিনিয়ত জীব বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায়। কোন সিউডো সায়েন্সের ওয়েবসাইট না, কিছু বৈজ্ঞানিক জার্নালএ খোঁজ খবর করুন, ভ্রান্তি দূর হবে।

০৬ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:৪৪

অযান্ত্রিক হৃদয় বলেছেন: ভীষণ রকম আশ্চর্য লাগে যখন দেখি এখনো কয়েকজন বিবর্তন তত্ত্বে বিশ্বাস করে না। আর বিবর্তন তো এখন শুধু ডারউইনের তত্ত্বেই সীমাবদ্ধ নেই, তার নতুন ভার্সান নিওডারউইনিজম এ যুক্ত হয়েছে হুগো দ্যা ভ্রিস সহ আরও অন্যান্য বিখ্যাত জীববিজ্ঞানীর নাম।

চোখের সামনে হাজার হাজার প্রমাণ আর প্রয়োগ পড়ে থাকা সত্ত্বেও কেন যে কিছু মানুষ সত্য মানতে চায় না.... :(

৯| ০৭ ই মে, ২০১১ রাত ১২:৪৯

মেহেদী পরাগ বলেছেন: যদিও অন্নান্য অনেক বৈজ্ঞানিক সত্যের মত বিবর্তন তত্ত্ব ধ্রুব সত্য বলে প্রমাণিত নয়, তবু বিবর্তনের পক্ষে অনেক অনেক জোড়াল প্রমাণ আছে। তাই বিবর্তন এর ঘটনা আমি সত্য বলে মনে করি (তবে পুরো বিবর্তন তত্ত্বকে নয়)।

নিও ডারউইনজম সম্পূর্ণরূপে বিবর্তন সংক্রান্ত সব রকম ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে পারে, তবে বিনা শর্তে প্রমাণ করতে পারেনা। তবু আমি এর বেশিরভাগ কথাতেই বিশ্বাস করি।

সর্বপ্রথম কোষ বা এমাইনো এসিড কিভাবে সৃষ্টি হল সে সম্পর্কিত যে ব্যাখ্যা এখন প্রচলিত তা প্রমানীত নয়। বাই চান্স বা এক্সিডেন্ট এর মাধ্যমে কোষ সৃষ্টি হবার ব্যাখ্যা খুবই অযৌক্তিক, যেটা বাই চান্সে হইছিল সেটা আধুনিক সকল সুবিধা ব্যাবহার করেও করা যাচ্ছেনা।ভবিষ্যতে গেলেই ধ্রূব সত্যের মত বিবর্তন তত্ত্ব প্রমাণিত হতে পারে।

০৭ ই মে, ২০১১ দুপুর ১২:০৭

অযান্ত্রিক হৃদয় বলেছেন: অ্যাবায়োজেনেসিস আর বায়োজেনেসিস , কোনটা ঠিক মনে করেন?

১০| ০৭ ই মে, ২০১১ বিকাল ৫:১৮

মেহেদী পরাগ বলেছেন: যুক্তি দিয়ে চিন্তা করলেও বায়োজেনেসিস কে ঠিক মনে করি, ধর্মীয় ভাবে চিন্তা করলেও বায়োজেনেসিস কে ঠিক মনে করি।

মিলারের অজৈব যৌগ থেকে এমাইনো এসিড তৈরীর ঘটনা ঠিক আমাদের ইন্টারমিডিয়েটে পড়া ফ্রেডারিখ উহলারের ইউরিয়া থেকে জৈব যৌগ তৈরীর ঘটনার আরেকটা উদাহরণ। আর RNA world এর থিউরী যে অব্জার্ভেশনের উপর ভিত্তি করে দেয়া হয়েছে সেটাও পূর্বে তৈরীকৃত RNA এর উপর নির্ভরশীল। সমস্ত প্রয়োজনীয় কন্ডিশন দেয়ার পরেও চারটা বেস থেকে অটমেটিক RNA তৈরী করা যাচ্ছেনা যদিনা টেমপ্লেট হিসেবে আরেকটা RNA দিয়ে দেয়া হয়। এতকিছুর পরেও ডিএনএ আর প্রোটিনের জটিল মিথস্ক্রিয়াতেই জীবন চলে আসছে যা স্বতস্ফূর্ত ভাবে হবার সম্ভাবনা গানিতিক হিসেবে প্রায় নেই বললেই চলে।

আমার মতে স্পন্টেনিয়াস থিউরী যদি প্রমাণযোগ্য হত তাহলে এতদিনে তা প্রমাণিত হয়ে যেত, কারণ তা প্রমাণ করার জন্য দরকারী সকল সুবিধা আর উপাদান এখন ল্যাবে ল্যাবে বিদ্যমান। তবু দেখা যাক সামনে কি হয়!!

০৭ ই মে, ২০১১ রাত ১০:২০

অযান্ত্রিক হৃদয় বলেছেন: সুন্দর উত্তরের জন্য ধন্যবাদ।

১১| ০৭ ই মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১২

আলো-ছায়া বলেছেন: ভাই আমি বুঝলাম না আপনি বিবর্তনবাদকে বিশ্বাস করেও কিভাবে আস্তিক হন????
বিবর্তনবাদের মেইন কন্সেপ্ট টাই স্রষ্টাহীনতা।এজন্য এটা ফিলোসোফিক্যাল কন্সেপ্ট সায়েন্টেফিক না।

মিলার এক্সপেরিমেন্টের প্রচুর পরিমান খুঁত ছিল।মিলারের সহযোগী উরে কি বলেছেন দেখেন-

All of us who study the origin of life find that the more we look into it, the more we feel it is too complex to have evolved anywhere. We all believe as an article of faith that life evolved from dead matter on this planet. It is just that its complexity is so great, it is hard for us to imagine that it did,

১২| ০৭ ই মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৮

আলো-ছায়া বলেছেন: আর হ্যাঁ অনেক বড় বড় ইভ্যুলশানিস্ট বিজ্ঞানী যেমন স্টিফেন যে গোল্ড ও নিউডারউইনিজমের অনেক কিছুকে ডিনাই করেছেন।

০৭ ই মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪০

অযান্ত্রিক হৃদয় বলেছেন: আলো-ছায়া বলেছেন: ভাই আমি বুঝলাম না আপনি বিবর্তনবাদকে বিশ্বাস করেও কিভাবে আস্তিক হন????
বিবর্তনবাদের মেইন কন্সেপ্ট টাই স্রষ্টাহীনতা।এজন্য এটা ফিলোসোফিক্যাল কন্সেপ্ট সায়েন্টেফিক না


বিবর্তনবাদে বিশ্বাস করেও আস্তিক আছি কারণ, আমার কাছে বিশ্বাস বিশ্বাসে সীমাবদ্ধ। আমার কাছে ধর্ম আফিমের মত, একলা মনের ভ্রান্তি। আফিমের ঘোর কেটে গেলেই আমি চরম যুক্তিবাদী।

আলো-ছায়া বলেছেন: আর হ্যাঁ অনেক বড় বড় ইভ্যুলশানিস্ট বিজ্ঞানী যেমন স্টিফেন যে গোল্ড ও নিউডারউইনিজমের অনেক কিছুকে ডিনাই করেছেন

না জেনে মন্তব্য করা অনুচিত। উইকি দেখে নিন স্টিফেন জে গাউল্ড সোশ্যিওবায়োলজি এর বিপক্ষে ছিলেন। নিও ডারউইনিজম এর নতুন মত দুটির কোনটির এগেইন্সট ছিলেন না।

আর এই আর্টিকেলেরই "কন্ট্রোভারসি" অংশটা পড়ে দেখুন, স্টিফেন গাউল্ড এর বিপক্ষে নানা সমালোচনার সংকলন এটি। এতে লেখা আছে আস্তিকরা নানা ভাবে তাঁর বলা কথাকে ব্যবহার করেছে। স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা এই অংশটা দেখুন...

many non-specialists sometimes inferred from his early writings that Darwinian explanations had been proven to be unscientific (which Gould never tried to imply). Along with many other researchers in the field, Gould's works were sometimes deliberately taken out of context by creationists as a "proof" that scientists no longer understood how organisms evolved.[59

ওয়ার্ডে কপি পেস্ট করে ভালো ভাবে দেখুন কি লেখা আছে, (উইকিপিডিয়া)

লিঙ্কে যান, আরও অনেক ভুল ধারণা ভেঙ্গে যাবে।

জিন সিলেকশান বিষয়ে গাউল্ড আর ডকিন্স এর মধ্যে আলোচনাটা সম্পর্কে জানলে বুঝবেন, গাউল্ড জিন সিলেকশান
এর বিপক্ষে ছিলেন, নিও ডারউইনিজম এ বলা "জিনপুল" এর বিপক্ষে নয়।

গাউল্ড আমার অন্যতম প্রিয় জীববিজ্ঞানীদের একজন। কিন্তু তাঁর কথাকে এতোভাবে বিকৃত করা হয়েছে যে তাঁর আসল কাজ, মাইক্রোঅরগানিজম সংক্রান্ত গবেষণা সম্পর্কে কেউ জানেই না। এটাই দুঃখের।

মতামত দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

১৩| ০৭ ই মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৭

আলো-ছায়া বলেছেন: @আইনস্টাইন
বাইবেল বলছে স্রষ্টা আদম হাওয়াকে সৃষ্টি করছে আর চার্চ বলছে বিবর্তন???
বিবর্তনবাদের মেইন কন্সেপ্ট বুঝেন তো নাকি?????
ঘাস খাইতে খাইতে বুঝার টাইম পান না।
আস্তিক হইলে বিবর্তনবাদ মানতে পারবে কিনা তা বিবর্তনের পথ ধরে বইটা পড়ো খোকা সব ক্লিয়ার হইয়া যাইব।

আর হ্যাঁ বলদামি কইরা তো আইনস্টাইনের নাম ডুবাইতেছেন সেটা কি খেয়াল রাখছেন?????
আইনস্টাইন বাইচ্যা থাকলে আপনার বলদামি দেইখা হার্ট এটাক করত।

০৭ ই মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৩

অযান্ত্রিক হৃদয় বলেছেন: আস্তিক হইলে বিবর্তনবাদ মানতে পারবে কিনা তা বিবর্তনের পথ ধরে বইটা পড়ো খোকা সব ক্লিয়ার হইয়া যাইব।

আমি যুক্তিবাদী আস্তিক, গোঁড়ামিতে বিশ্বাস করি না। আগের উত্তর দেখুন।

১৪| ০৭ ই মে, ২০১১ রাত ৮:১৩

আলো-ছায়া বলেছেন: ভাইজান কাল মার্ক্সের বুলি তোতা পাখির মত আওরাইয়া লাভ নাই ।কাজের কথাই আসেন।
আপনি আস্তি্ক হন আর নাস্তিক হন সে বিষয়ে আমি কিছু বলছি না।কিন্তু আপনাকে প্রমান করতে হবে কোন ধর্মমতটি বিবর্তনবাদকে সাপোর্ট করে????
পি পি গ্রাসের একটা কথা আপনাকে বলি-

…Chance becomes a sort of providence, which, under the cover of atheism, is not named but which is secretly worshipped." (Pierre Paul Grassé, Evolution of Living Organisms, New York, Academic Press, 1977, p.107)

আর গোল্ড গ্রেডুয়াল ইভ্যুলুশানে বিশ্বাস করত না তাই তিনি দিয়েছিলেন পাংচুয়েটেড ইক্যুলিব্রিয়াম থিঊরী ।
গ্রেডুয়াল ইভ্যুলুশান নিঊ ডারউইনিজমের অন্যতম পার্ট।

০৭ ই মে, ২০১১ রাত ৮:৩৬

অযান্ত্রিক হৃদয় বলেছেন: হাহাহা... আপনি ভাবছেন আমি কোন স্পেশাল ধর্মকে সাপোর্ট করি?!!!

আমি কি লিখেছি আবার পড়ুন...

আমার কাছে ধর্ম আফিমের মত, একলা মনের ভ্রান্তি।

বুঝছেন? আমার কাছে সব ধর্মই ভ্রান্ত। কারণ একই সাথে এতো ধর্ম ঐ এক ঈশ্বরের মাথা থেকে বেরোয়নি।

আমার এইটা ভাবতে ভালো লাগে যে অন্তত একজন কেউ আছেন যিনি আমার সব রকম দোষ ক্ষমা করবেন, যাকে গালাগালি দেই আর মারধোর করি তিনি কিছু মনে করবেন না।

বুঝছেন এইবার? আমি সবচেয়ে আনন্দিত হব যখন এই আফিমের নেশা থেকে বেরিয়ে আসতে পারব। কারণ আমি নিজে বুঝি এই ভাবনা পুরোটাই ভ্রান্তি ছাড়া কিছু না।

আমার ধর্মমত সম্পর্কে বুইঝা লাভ নাই বড়ভাই। আমাকে যে ধর্ম তুলে প্রমাণ দেখাবেন বা গালাগালি করবেন সে অবস্থাতেও আমি নিজেকে রাখিনি।

১৫| ০৭ ই মে, ২০১১ রাত ১০:০৭

মেহেদী পরাগ বলেছেন: আলো-ছায়া@

আমি একজন প্র্যাকটিসিং মুসলিম, জন্মসূত্রে মুসলিম ছিলাম, তারপর কিছু প্রশ্ন মাথায় এসে অবিশ্বাস তৈরী করতে চাইল, তখন সিদ্ধান্ত নিলাম নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা যাক, সত্যি সত্যি নিরপেক্ষ হয়ে গেলাম, সেই যাচাই এর কাজ এখনও চলছে, এখন পর্যন্ত যা বুঝেছি তাতে আমি কনভিন্সড যে কোরান আল্লাহর বানী, যত প্রশ্নই মাথায় আসে আস্তে আস্তে তার উত্তর পেয়ে যাচ্ছি আলহামদুলিল্লাহ।

আমি বিবর্তন কে বিশ্বাস করেও কেন মুসলিম (আস্তিক) হতে পারবনা? কোরানে কোথাও বিবর্তনের বিপক্ষে কিছু বলা নেই। প্রাণের সূচনা জিনিসটা কিন্তু বিবর্তন তত্ত্বের আন্ডারে পড়েনা, বরং প্রাণ সূচনার পরে সেই প্রাণীতে কিভাবে বিবর্তনের ফলে নতুন প্রানী উদ্ভব হয় সেটাই বিবর্তন তত্ত্বের বিষয়। আমি বিশ্বাস করি আল্লাহই পৃথিবীতে প্রাণের সূচনা করেছেন। তারপর বিবর্তনের মাধ্যমে নতুন প্রানীর উদ্ভব করিয়েছেন।

বিবর্তনে বিশ্বাস করলেও মানুষ বিবর্তনের ফলে উদ্ভব হয়েছে শুধু এই কথাটা আমি বিশ্বাস করিনা, কারণ এই কথা কোরানের কথার সাথে সাংঘর্ষিক। তবে বিচ্ছিন্ন ভাবে কোন প্রানীর যদি বিবর্তন হয়ে থাকে সেটা কোরানের কোন কথার সাথে কন্ট্রাডিক্ট করে না, তাই বিবর্তন এর ঘটনা অস্বীকার করার ধর্মীয় কোন কারন আমি দেখিনা।

১৬| ০৭ ই মে, ২০১১ রাত ১০:১৫

মেহেদী পরাগ বলেছেন: কোরান ঘাঁটলে দেখা যায় যে মানুষের অনেক পূর্বেই আল্লাহ পৃথিবীতে প্রাণের সৃষ্টি করেছেন। তো সেই প্রাণে বিবর্তন হলে তা কোরানের সাথে সাংঘর্ষিক হবে কেন? মানুষকে আল্লাহ অনেক পরে আলাদা এবং উন্নত করে সৃষ্টি করে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন

১৭| ০৮ ই মে, ২০১১ সকাল ৯:০৯

আলো-ছায়া বলেছেন: লেখক বলেছেন:
আমাকে যে ধর্ম তুলে প্রমাণ দেখাবেন বা গালাগালি করবেন সে অবস্থাতেও আমি নিজেকে রাখিনি

জি ভাই আপনি অনেক চালাক।

@পরাগ ভাই
আপনি ইভ্যুলুশন বলতে আসলে কি বুঝাচ্চেন আমি বুঝতাছি না।আপ্নি মানুষের ইভ্যুলুশ্ন বিশ্বাস করেন না আবার অন্য প্রানীর ইভ্য্যলুশন বিশ্বাস করেন ব্যাপারটা ক্লীয়ার না।

আপ্নি যদি বলেন মাইক্রো ইভ্যু হ্যাঁ এটা হচ্ছে কিন্তু ম্যাক্রো নয়।

যদি অন্য প্রানীর ইভ্যু হয় তাহলে মানুষের কেন নয়???
কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে??????

০৮ ই মে, ২০১১ বিকাল ৫:২৫

অযান্ত্রিক হৃদয় বলেছেন: আলো-ছায়া বলেছেন:
জি ভাই আপনি অনেক চালাক।[/si

অনেক ধন্যবাদ বড়ভাই! :D :D

১৮| ০৮ ই মে, ২০১১ বিকাল ৪:৩৮

মেহেদী পরাগ বলেছেন: @ আলো-ছায়া ভাই,

প্রথমত, সম্পূর্ণ কোরান বোঝা আমার হয়ে উঠেনি, তবে যেটুকু বুঝেছি তাতে আমি কনভিন্সড যে কোরান আল্লাহ প্রদত্ত। তাই কোরানের যেটুকু আমি বুঝিনা সেটুকুও আমি বিশ্বাস করি।

অন্য প্রানীর বিবর্তন হয় সেটা বিশ্বাস করি কারন ১) অন্য প্রানীর বিবর্তন হতে পারবেনা এমন কোন কথা কোরানে বলা নাই, ২) আমি আমার ল্যাবে বিবর্তন বিষয়ক অনেক কাজ করি তাই জানি বিবর্তন হওয়া খুবই সম্ভব।

মানুষের বিবর্তন হয় সেটা বিশ্বাস করিনা কারন ১) আল্লাহ আদমকে (আঃ ) সরাসরি বানিয়েছেন সেটা কোরানে বলা আছে, ২) ল্যাবে বিবর্তনের পক্ষে যত সম্ভাবনাই দেখিনা কেন মানুষ যে বিবর্তনের ফলে উদ্ভব হয়েছে এটা একদম প্রত্যক্ষ ভাবে প্রমাণিত হয়নাই।

আল্লাহ সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। তিনি চাইলে এমনটা করতে পারবেননা কেন?

১৯| ০৮ ই মে, ২০১১ রাত ৮:৫৪

দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: মেহেদী পরাগ@
বাইবেল আর কোরানে কি বলা আছে যে মানুষকে কোন স্থানে বাস করার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছিল? পৃথিবীতে, নাকি স্বর্গে?

২০| ১৮ ই মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২০

ফাইরুজ বলেছেন: দারুন পোস্ট।

১৯ শে মে, ২০১১ দুপুর ২:০১

অযান্ত্রিক হৃদয় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.