নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুখোশধারীর মুখোশ খুলে দিতে সদা প্রস্তুত।

আজব পাগল

আজব পাগল › বিস্তারিত পোস্টঃ

পহেলা বৈশাখে ঘুরতে যাবেন!!! আপু এবং সাথে আপু নিয়ে যারা যাবেন পোস্টটা তাদের জন্য।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:০৮

আপডেট

আবাল পুলিশ বলেছে বিবস্রের ঘটনা ঘটেনি।

মজা লস!!! পেইজে ধরিয়ে দিতে বলা হয়েছে (চেহারা/ছবি সহ )

‘বর্ষবরণে নারীর শ্লীলতাহানীর ঘটনা জঙ্গী ও তালেবানী চক্রান্ত’ আরেক আবাল।



লিটন নন্দির জবানবন্দি। (ভিডিও)

খবর

মানব জমিন

বিডি লাইভ

আমার দেশ

আমার দেশ ২

বিডিনিউজ

--------------------------------------------------------

পহেলা বৈশাখ আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির একটা অংশ। আমরা মঙ্গল শোভা যাত্রা, অনুষ্ঠান, কনসার্ট ইত্যাদির মাধ্যমে বরন করে নেই বাংলা নতুন বছরকে।

আমরা আর কিছু পারি বা না পারি আড্ডা আর অনুষ্ঠান খুব ভাল পারি।

বাঙালি তো।

কিন্তু বাঙালি লোগো লাগানো পিতার পরিচয় বিহীন ছেলে রা সেই সুযোগ কে কাজে লাগাচ্ছে। নিচ্ছে বিকৃত যৌন লালসার সাধ।



সময় থাকতে সাবধান হোন। আপনারা যারা জানেন না কি ঘটে তাদের মনে প্রশ্ন কিভাবে!!!

আসুন জানি কিভাবে।

আগে গল্প শুনুন।



কেস স্টাডি- ১ ঃ

আবির তার বউ, শ্যালিকা আর শালা নিয়ে পহেলা বৈশাখে বের হয়েছিল। সবার ড্রেসেই উৎসবের ছোঁয়া। বৈশাখ সাজে তারা ঘুরে দেখছিল সব। শালা ও শ্যালিকার বায়নায় দুলাভাই তাদের গালে রং দিয়ে পহেলা বৈশাখ লেখায়। কিন্তু কে জানত কি হতে যাচ্ছে।

আবিরের শ্যালিকা নিতু খুব সুন্দরী, মাত্র ক্লাস ৮ এ পরে। উৎসবের সাজে একটু বেশী করেই সেজেছে। লাগছে ও অসাধারন।

গালে আলপনা আকার সময় দেখেছিল কয়েকটা ছেলে(১০-১২ টা) তাকাচ্ছে বাজে ভাবে।

নিতু রা টিএসসি এর পাশেই, সোহরোয়ারদি গেট এর কাছে ছিল।

আকা শেষে তারা ঢাকা ভার্সিটির টিএসসি এর দিকে আগায়। ছেলে গুলো পাশেই আগায়।

সহ্রওারদির গেট দিয়ে ঢুকেই দেখে সামনে খুব ভীর।

এত ভীর দেখে গেটের পাশেই আশ্রয় নেয় ওরা।

হটাত কোথা থেকে যেন একটা ভীর আসে নিতু দের উপর।

ভীরের মাঝে পরে ওরা সবাই। নিজেকে আর তার বউ কে কোন ভাবে ভীরের পাশে আসতেই আবিরের নজর পরে নিতু আর তার শাকি ও শালার উপর। ছুটে যায় সে, শালা তো পাশেই। নিতু ভীরের মাঝে, মাটিতে পরে আছে। কয়েক্তা ছেলে হয়তো তুলতে চাইছে, পারছে না। অনেক কষ্টে নিতু কে পাশে নাএ আবির।

নিতু কাঁদছে। কিছু বলতে পারছে না। তার গায়ের ড্রেসটা ছেড়া ময়লা লাগা। ভীরটাও কেমন হটাতই কমে গেছে।

তাকে আবির বোঝানর চেষ্টা করে এটা একটা এক্সিডেন্ট মাত্র।

কিন্তু নিতু বোমা ফাটায় তখন। কাদতে কাদতে জানায় এটা এক্সিডেন্ট না।

অবাক হয়ে আবির বলে মানে!!!

নিতু জানায় ভিড়টা আসলে ওই ছেলে গুলো ইচ্ছে করে করেছে। তারা এমন ভাবে এসেছে যে তোমরা তিন জন এক পাশে আর আমি আরেক পাশে পরে যাই। সেই সুযোগই তারা খুজেছে। কাঁদছে নিতু।

ভীরের মাঝেই তারা খুজেছে নিতুর নরম বুকের স্পরশ। এত গুলো লম্পটের থেকে ওই সীমিত যায়গায় বাচার কোন উপায় না দেখে শুয়ে পরে নিতু, দুই হাতে নিজের বুক ঢাকে, ছেলে গুলো তাকে তুলতে না, নিতুর হাত সরানোর চেষ্টা করেছিল। টানাটানিতে নিতুর জামা ছিরে যায়। মুখেও কাটা দাগ। বুকের উপরও কাটা দাগ।



আবির বিষয়টা এখন বুঝতে পারে। এটা ভীড় না। ভীরের মত করে নিজেদের বিকৃত মনের বাসনা মেটানো। কাজ গুলো ওই ছেলেদেরই যারা নিতুকে ফলো করছিল।

ফিরে আসে ওরা। কিছু করার নেই। তবে নিতু আর পহেলা বৈশাখে বের হবে বলে মনে হয় না।



নিতুর গালের, মুখের বা বুকের কাটা দাগ আজ হয়তো শুকিয়ে গেছে, কিন্তু যে দাগ তার মনে পরেছে সেই দাগ কি ভুলতে পারবে সে!!!!



কেস স্টাডি- ২ ঃ

আখি ও পরমা দুই বান্ধবি। পহেলা বৈশাখে ২ জনে ম্যাচিং শাড়ী পরে আসে ঢাকা ভার্সিটি তে।

সবার মত তারাও টিএসসি তে আসে।

তারা ঘুরতে থাকে মুক্ত বিহঙ্গের মত। মাথায় ফুলের ব্যান্ড ও লাগিয়েছে তারা। সুন্দর লাগছে।

ভীর ঠেলে সামনের দিকে যাচ্ছিল তারা। হটাত করেই বাশি বাজাতে বাজাতে কিছু ছেলে আসে দল বেধে।

তাদের সামনে দিয়েই চলে যায়। তারা আবার আগাতে চেষ্টা করে। কিন্তু আবার একটা ভীরের মাঝে পরে তারা, পরমা আখি বাচা বলে চিৎকার দেয়। আখি বাচাবে কি সে নিজেও ভীরের মাঝে।

কয়েক মিনিট, আবার হটাত সব ঠিক, কিন্তু আখি আর পরমা ঠিক নেই।

তাদের উপর ও নিতুর মত হামলা হয়।

কান্নারত মেয়ে দুইটা কিছু বলতেও পারছিল না, সইতে ও না।



ছেড়া শাড়ী পরেই রিকশা নিয়ে ফিরতে হয় বাসায়।



এই পোস্ট টা আপনাদের জানানোর জন্য, যাচ্ছেন যান। কিন্তু থাকবেন সাবধানে। অনেকে বলবেন বিচ্ছিন্ন ঘটনা।

সহ মত আপনাদের সাথে। আপনার যান একবার যখন আপনার বউ, মা বা বোন এই ঘটনার স্বীকার হবে, তখন বুঝবেন সহ্য করা কি কঠিন।



ওই সব কুলাঙ্গার রা সমাজে আছে থাকবে। আপনাকে সাবধান থাকতে হবে। ভীরের মাঝে অবশ্যই যাবেন না।

বাংলাদেশে পিতা বিহীন ছেলের অভাব নেই। তারা আপনার মত মেয়েদের জন্য ঘাপটি মেরে বসে আছে। সময় থাকতে সাবধান থাকুন।

**উপরের ঘটনা গুলো সত্যি, কেবল নাম গুলো কাল্পনিক।



প্রশাসন কেবল বোমা বা অগ্নেয়াস্র থেকে নিরাপত্তা দেয়। কিন্তু এই সব পিতা বিহীন জারজ সন্তানদের থেকে আপনাকেই সাবধান থাকতে হবে।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৫

সাইফুর রহমান পায়েল বলেছেন: খুব খারাপ। ঐ ছেলে গুলোকে গালি কম দেয়া হয়ে গেছে।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:৫৬

আজব পাগল বলেছেন: ওদের গালি দিলে হবে না। বিচার করতে হবে।

২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৫

ওলকচু বলেছেন: সরকার শুধু কামারুজ্জামানদের ফাঁসি দিলেই হবে না! এদের ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া জারজ সন্তানদের কি হবে?

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:৫৭

আজব পাগল বলেছেন: "এদের ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া জারজ সন্তানদের কি হবে?"

দারুন বলেছেন।

৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:১১

আজব পাগল বলেছেন: আগেই বলছিলাম সাবধান থাকুন।
Khobor

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.