নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আজমিনুর ওয়ারিছ

জীবনটা পূরোনো হয়ে গেছে। একসময় মরচে পড়বে। যত বেশি সময় বাঁচবো তত বেশি পূরোনো হবে তত জং ধরবে। অনেকে জং ধরতে দেয় না, যত্নআত্তি করে চকচকে রাখতে পারে অনেকদিন। আমি অত যত্ন করতে পারিনা। যা হওয়ার হবে টাইপ চিন্তা ভাবনা। অত উচ্চাশাও নেই। কুপির দৈত্য এসে যদি বলে হুকুম করুন মালিক আমি আপনার তিনটা ইচ্ছে পূরণ করবো। আমার মনে হয়না কিছু চাইবার থাকবে। সময় চাইতে পারতাম। যেন অনেকদিন বেঁচে থাকি অনেক কিছু দেখতে পারি। কিন্তু তিনশো বছর বাঁচলেও পৃথিবীর আর কতটুকুই বা দেখতে পারবো? যেভাবে আছি ভালোই আছি। আমি দৈত্যকে নিশ্চই বলতাম আমার কিছু চাইবার নাই, আপাতত তুমি বিদায় হও। মৃত্যু পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারলেই আমার চলবে!

আজমিনুর ওয়ারিছ › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিচিং ফাঁক

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫১

মোশারফ করিম অভিনীত একটা নাটক। নাটকটার নাম, চিচিং ফাঁক। একান্ত নিজস্ব কিছু ব্যাপার স্যাপার ফেসবুকে চিচিং ফাঁক করে দেয়ার ফলে যে বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয় তাই এখানে তুলে ধরা হয়েছে। স্বামী-স্ত্রীর সংসার। স্বামীর সঙ্গে স্ত্রীর একটু মনোমালিন্য হলেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস চলে আসে-- বুকে আমার আগুন জ্বলে।

স্ত্রীর এই বুকের আগুন খুব দ্রুতই ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে সবখানে। বেচারা স্বামী পড়ে বিপদে। বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, কলিগ-মলিগ সবাই তাকে ফোনের পর ফোন দিয়ে অস্থির করে তুলে, ভাবির বুকে আগুন লাগলো ক্যান?

কোনদিন বেচারা স্বামীকে কুয়েত দেশ থেকে তার বন্ধু ফোন করে, হ্যালো দোস্ত তোর বেডরুমে একটা বাঘ আছে না? আরে আসল বাঘ না, ওই যে বাঘের শো-পিসটা, ভাবি এইমাত্র বাঘটার ছবি পোস্ট করেছে, আমার মেয়ে দেখে তো সেটার জন্য পাগল। দোস্ত এমন একটা বাঘ কুরিয়ার করে পাঠায় দে না--- কোনদিন তার অফিসের সুন্দরী বস ডেকে বলেন, ফারুক সাহেব আপনি লাভ বার্ড দুটো কোথা থেকে কিনেছেন? এতো সুন্দর পাখি। আগামীকাল অফিসে আসার সময় আমার জন্য ঠিক এমন দুটো লাভ বার্ড নিয়ে আসবেন।

একান্ত নিজস্ব ব্যাপারগুলো আসলে একান্তে রাখাই উচিত নইলে ফেসবুকটা একটা আতঙ্কের জায়গায় পরিনত হবে। কেউ আর কাউকে নিজের সমস্যার কথা, মনের কথা খুলে বলতে চাইবে না। বন্ধুও বন্ধুকে মেপে মেপে কথা বলতে শুরু করবে। কারণ তার মনের মধ্যে একটা শঙ্কা কাজ করবে, না জানি বন্ধু আবার স্ট্যাটাস দিয়ে দেয় কি-না? নিজের একান্ত বেডরুমটাকে ফেসবুকে নিয়ে আসাটা যেমনি অশোভনীয় তেমনি পারস্পরিক উপলব্ধি অনুভবের ব্যাপারগুলো জনসম্মুখে প্রকাশ করা একধরনের ফালতুয়ামী। প্রেমিক কিংবা প্রেমিকা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়, জানু আই লাভ ইউ সো সো সো... এটা কি গনভাবে প্রচারের কোন বিষয়? আপনি যদি কাউকে খুব ভালোবাসেন তাহলে সেটা আপনার একান্ত নিজস্ব ব্যাপার। আপনাদের দু’জনের ব্যাপার। আপনি তার কাছে গিয়ে হাতটা হাতের মধ্যে নিয়ে সেটা তাকে বলেন। এভাবে ফেসবুকবাসীকে সেটা বলার কি দরকার? আপনি গার্লফ্রেন্ডের সাথে, বয়ফ্রেন্ডের সাথে ফুচকা খেয়েছেন না চটপটি খেয়েছেন। তার গলা ধরে ছবি তুলেছেন না গাল ধরে ছবি তুলেছেন সেটাই বা প্রচার করতে হবে কেনো? ফেসবুক যেনো কারো গোপনীয়তা প্রকাশের মাধ্যম না হয় যেটা দেখে সে বিব্রত বোধ করে, বিড়ম্বনায় পড়ে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.