নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আজমিনুর ওয়ারিছ

জীবনটা পূরোনো হয়ে গেছে। একসময় মরচে পড়বে। যত বেশি সময় বাঁচবো তত বেশি পূরোনো হবে তত জং ধরবে। অনেকে জং ধরতে দেয় না, যত্নআত্তি করে চকচকে রাখতে পারে অনেকদিন। আমি অত যত্ন করতে পারিনা। যা হওয়ার হবে টাইপ চিন্তা ভাবনা। অত উচ্চাশাও নেই। কুপির দৈত্য এসে যদি বলে হুকুম করুন মালিক আমি আপনার তিনটা ইচ্ছে পূরণ করবো। আমার মনে হয়না কিছু চাইবার থাকবে। সময় চাইতে পারতাম। যেন অনেকদিন বেঁচে থাকি অনেক কিছু দেখতে পারি। কিন্তু তিনশো বছর বাঁচলেও পৃথিবীর আর কতটুকুই বা দেখতে পারবো? যেভাবে আছি ভালোই আছি। আমি দৈত্যকে নিশ্চই বলতাম আমার কিছু চাইবার নাই, আপাতত তুমি বিদায় হও। মৃত্যু পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারলেই আমার চলবে!

আজমিনুর ওয়ারিছ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা কতো টুকু বাঘ বা বিড়াল সে প্রমান আমাদেরকেই করতে দেন।

১২ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৫০

প্রসেঞ্জিৎ ও দেব মমতা'র সফর সঙ্গী হয়ে এই তো কিছুদিন আগে বাংলাদেশে এসেছিলেন। তখন ২১ শে ফেব্রুয়ারি ছিল।

তো ২২ শে ফেব্রুয়ারি দেবের ভেরিভাইড ফেইসবুক প্রোফাইলে একটি ছবি দেখলাম, তারা শহীদ মিনারের সামনে দাড়িয়ে হাস্যজ্জল মুখে ভিক্টরি চিহ্ন দেখিয়ে ছবি তুলেছিল এবং ক্যাপশনে কিছু রেস্পেক্ট টাইপের ব্লা ব্লা বলেছিল!

সে'ই ছবিতে অনেক বাংলাদেশী কে আমি দেখেছি বাহবা দিতে, যদিও ওই ছবি আমার ভাল লাগেনি!

২১ শে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস। ঐদিন শহীদদের সম্মান দেখানোর জন্য, আর শহীদ মিনার আমাদের শোকের একটা জায়গা সেখানে দাঁত কেলিয়ে ভিক্টরি সাইন দেখিয়ে ছবি তোলা নির্বুদ্ধিতার পরিচয় বহন করে এবং ব্যাপার টা অসম্মানজনক ও বটে।
ব্যাপার টা অনেক কে দোটানায় ফেলে দিতে পারে তাই প্রসঙ্গে নিরব ছিলাম।
কিম্তু আজ আর চুপ থাকতে পারলাম না।

সে যাই হোক আজকের কথা বলা যাক...

প্রতিদিনের অভ্যাসবসত সকালে ফেসবুকে ঢুকতেই প্রসেনজিত চ্যাটার্জির পোস্ট চোখে পড়লো।

তিনি তার যৌবনের একটা ছবি পোস্ট করেছেন আর তাতে ক্যাপশন-
"বাঘের কিন্তু আলাদা জাত থাকে, তাই সবসময় বেড়ালকে বাঘ ভেবে ভুল না করাই ভালো"

আমার খানিকটা সময় লাগলো ব্যাপারটা বুঝতে; কিন্তু ভুল বুঝিনি। কারন ছবিটা পোস্ট করার কয়েক মিনিটের মাঝেই আমার চোখে পড়েছে আর অল্প সময়ের মাঝেই ১০০ এর উপর কমেন্ট দেখে বুঝলাম আমি যা বুঝেছি বাকিরাও তাই বুঝেছে।

আমার প্রশ্ন হল প্রসেনজিত চ্যাটার্জি আপনার এত সাহস কেন?
এত্তত সাহস নিয়ে আপনি ছবি পোস্ট করলেন আর সেটা ঘন্টাখানিকের ভেতর রিমোভ করতে হলো কেন?

আপনি কতটুকু বাঘ বা বিড়াল সে প্রমান নিজেই দিয়েছেন। নিজের করা পোস্ট ধরে রাখার হ্যডাম নাই আপনার... ছি ছি ছি।

আমাদের প্রত্যেকটা চা'য়ের দোকানে এখনো আপনার ছবি চলে, বাঙালিরা নিজের পকেটের টাকা দিয়ে রঙ চা খায় আর আপনার ছবি দেখে। আমরা আপনাকে বেশি সন্মান দিয়ে ফেলেছি যার কারণে আপনারা আজ এত বাড় বেড়েছেন। এবার নিশ্চয়ই বুঝেছেন আপনার পেজে কত বাংলাদেশির লাইক করা ছিল? আপনাকে বাংলাদেশিরা কত ভালোবাসত?

কয়েকদিন আগেই তো খেয়ে গেলেন। যাই হউক বুঝতে পেরেছেন বাংলাদেশী রা কি জিনিস, তাদের ভ্রাতৃত্ব টা কত শক্তিশালী !

কাজটা আপনি ইচ্ছাকৃতভাবেই করেছেন, এখন হয়তো সমালোচনার মুখে নিজের ২৫ বছর আগের ছবির ডায়লগ বলে চালিয়ে দিতে চাইলেন?

এই নোংরামিটা করে আপনি কেবল আপনার নিচু মনের পরিচয়ই দিলেন না। আপনি বিশাল একটা জনগোষ্ঠীর অনুভুতিতে আঘাত করেছেন এবং ফলশ্রুতিতে আপনি আমাদের সবার শ্রদ্ধার জায়গাটা হারালেন। যদিও তাতে আপনার কিছু যায় আসে না।

আমার খুব ইচ্ছা করেছিলো একটা কমেন্ট দেই এই টাইপের-
''আর ডায়লগ খুইজা পাইলেন না দাদা? এতো বছর আগের সংলাপ আজ মনে পড়ছে! আমাদের পাগল পাইছেন?''

কিন্তু ওখানে বাংলাদেশি ছেলেরা মোটামুটি বোম্বাদা'র ধুতি খুলে দিয়েছিলো। এর পর বিদ্রুপ করার আগে ধুঁতির উপরে বেল্ট পড়বেন!!!

যাই হোক, এটলিষ্ট বাঘ দর্শন হলো আপনার। থাবায় পড়েন নি, বেঁচে গেলেন দাদা। :)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.