নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আজব গোয়েন্দা

আমি লেখক নই তবু চেষ্টা করি লিখতে, লেখা পরিনত হয়েছে আমার নেশাতে। খুব ভাল লিখতে পারি তা না, যখন একাকি থাকি একাকি অনুভব করি নিজের একাকিত্ব ভুলে থাকার চেষ্টা করি লেখার মাধ্যমে। মনে হয় লেখাতেই যেন সব সুখ লেখার মাঝেই দিতে পারি নিজের দুঃখ গুলোকে নতুন রুপ। তাই আমি লিখতে ভালবাসি লেখা যেমন আমার নেশা লেখায় ভালবাসা

আজব গোয়েন্দা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সম্প্রতিক 'রাইস বাকেট চ্যালেঞ্জ' নিয়ে কিছু কথা

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫৯

আমি মনে করি বন্যার্তদের পাশে দাড়ানোর জন্য 'রাইস বাকেট চ্যালেঞ্জ'

ভাল এবং অবশ্যই উপকারি আইডিয়া, এবং এ বিষয়ে দেশের তেমন কেউ জানত না, হাতেগুনা কয়েকজন ছাড়া। কিন্তু এই বিষয়টি সহজ ভাবে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের ফেইসবুক সেলেব্রেটি আরিফ-আর-হোসাইন,তিনি যদি স্টাটাস না দিতেন তাহলে তা কোন দিনই সম্ভব হতো না বলে আমি মনে করি।। এই নিয়ে ফেইসবুক এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম গুলোতে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে, কেউ তার ডাকে সাড়া দিচ্ছেন আবার কেউ দ্বিমত পোষণ করছেন। একটি ভাল উদ্দ্যেগের পিছনে হাজারো সমালোচনা থাকতে পারে কিন্তু তার মানে তো এই নয় যে উদ্দ্যেগটাই খারাপ বা অগ্রহনযোগ্য। কারণ সব সময় ভাল কিছু করতে গেলেই যত আপত্তি বিপত্তি, না আমি আরিফ-আর-হোসাইনের পক্ষে বলছি না। বর্তমান পরিস্থিতির কথা বলছি আরে ভাই একজন একটি ভাল উদ্দ্যেগ নিতে সাহায্য করেছেন আর আপনারা ফেইসবুক জুড়ে তারই সমালোচনা করে বেড়াচ্ছেন! তাকেই আইডিয়া চুর বলছেন । হ্যাঁ আইডিয়াটা তার নয়, কিন্তু তিনি জানানোর আগে কি হাতেগুনা কয়েকজন ছাড়া কেউ এই সম্পর্কে জানতেন? নিশ্চয় না! , তাকে আইডিয়া চুর না বলে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত আপনাদের। তিনি অন্যের আইডিয়া অনুসরণ করেছেন এবং আপনাদের জানিয়েছেন, এবং জানানোর পরই নমিনেটেড বাংলাদেশী লেজেন্ট এবং জনগণ তা সমর্থন জানিয়ে অনুসরণ করেছে তাহলে তাদেরও চুর বলেন।

মূলত, বিশ্বব্যাপী একটি জনপ্রিয় ট্রেন্ড হিসেবে ইতোমধ্যে আত্মপ্রকাশ ঘটেছে 'আইস বাকেট চ্যালেঞ্জ'র। স্নায়ু সমস্যাজনিত একটি রোগ এএলএস'র ব্যাপারে মানুুষের মধ্যে সচেতনতা জন্মানোর লক্ষ্যেই মূলত এটির উদ্ভাবন। তবে এবার ভারতীয় এক মহিলা স্থানীয় ভার্সন হিসেবে 'রাইস বাকেট চ্যালেঞ্জ' নামে একটি ট্রেন্ডের সূচনা করেছেন। এর উদ্দেশ্য ধনীদেরকে গরিবদের ব্যাপারে সচেতন করা তোলা অর্থাৎ ধনীরা যাতে গরিবদের সহায়তায় এগিয়ে আসে তাদেরকে সে পথ দেখানো। {খবর দ্য হিন্দু অনলাইন ও টাইমস অব ইন্ডিয়া}



'রাইচ বাকেট চ্যালেঞ্জ'র উদ্ভাবক হায়দারাবাদের বাসিন্দা মানজু লতা কালানিধি(৩৮)। 'আইস বাকেট চ্যালেঞ্জ'র মতো তিনিও এজন্য ফেসবুককে বেছে নিয়েছেন। কালানিধি ফেসবুকে বন্ধু-বান্ধবীদেরকে চ্যালেঞ্জটি ছুড়ে দিয়ে আহ্বান জানিয়েছেন তারা যাতে প্রত্যেকে এক বালতি [বাকেট] চাল রান্না বা ক্রয় করে নিজ এলাকার গরিবদেরকে খাওয়ায়। এছাড়া এ চ্যালেঞ্জের আওতায় কেউ একশ' রুপি মূল্যের ওষুধও নিকটবর্তী সরকারি হাসপাতালে দান করতে পারবেন।



এ বিষয়ে কালানিধি তার ফেসবুক পেজে লিখেন, 'এটা হচ্ছে নিজের পাড়ার বিভিন্ন সমস্যার স্থানীয়, দেশি ও প্রায়োগিক সমাধান। 'আইস বাকেট চ্যালেঞ্জে' পানির অপচয়ের পরিবর্তে পানি বাঁচান এবং গরিবদেরকে খাওয়ান।'



কালানিধির চ্যালেঞ্জটি ইতোমধ্যে ভারতে বেশ সাড়া ফেলেছে। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে ইতোমধ্যে অনেকে নিজ এলাকায় দান করতে শুরু করেছেন।{খবর-বাংলাদেশ প্রতিদিন}

( আইডিয়াটার জন্য কালানিধিকে ধন্যবাদ এবং সে আইডিয়া দেশের সবার সাথে শেয়ার করে এক মহতি উদ্দ্যেগে উৎসাহিত করার জন্য আরিফ-আর-হোসাইনকেও ধন্যবাদ)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.