নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আজব গোয়েন্দা

আমি লেখক নই তবু চেষ্টা করি লিখতে, লেখা পরিনত হয়েছে আমার নেশাতে। খুব ভাল লিখতে পারি তা না, যখন একাকি থাকি একাকি অনুভব করি নিজের একাকিত্ব ভুলে থাকার চেষ্টা করি লেখার মাধ্যমে। মনে হয় লেখাতেই যেন সব সুখ লেখার মাঝেই দিতে পারি নিজের দুঃখ গুলোকে নতুন রুপ। তাই আমি লিখতে ভালবাসি লেখা যেমন আমার নেশা লেখায় ভালবাসা

আজব গোয়েন্দা › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বার্থহীন প্রেমে পরাজয়ে একটা ছেঁকা মূলক চিঠি (কাল্পনিক)

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:১২

২০১২ এর শেষের দিকে তুর সাথে আমার প্রথম পরিচয়, জানি বন্ধুত্বটাই ছিল আমাদের জন্য শ্রেয়। তবুও কেন জানি দুজনেরই দুজনকে ভাল লাগতে লাগল, এভাবে বন্ধুত্ব আর ভাল লাগার মাঝা-মাঝিতে প্রেমের সূচনা, যদিও তা একে অপরকে বুঝতে দিতাম না।



যা হবার তা কি আর ধরে রাখা যায়? কোন এক প্রেমিক পুরুষ বলেছিলেন, প্রেম কখন, কোথায়, কার সাথে, কেন এবং কিভাবে হয়ে যায় তা কেউ বলতে পারে না। হয়ত আমরাও তা বুঝে উঠতে পারিনি, হ্যাঁ দেরিতে হলেও দুজনেই বুঝেছিলাম তাও আবার অন্য বন্ধুদের শত প্রচেষ্টার ফলে। জানোয়ার আর জানোয়ারনি গুলোই তো ফেলেছিল এই ফান্দে, আর ফান্দে পরিয়া বগা আর বগি দুজনেই কান্দে! ।



যাক প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সব কিছু ঠিক -ঠাকই ছিল, যেদিন হঠাৎ তুই ফোন করে, তুর কান্না জড়জড়িত কাঁপা কন্ঠে বলেছিলি তুর বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে এবং আগামী সপ্তাহেই বিয়ে। তখন খানিকটা বরফের মতই হয়ে গিয়েছিলাম, ভিতরে ভিতরে গলে যাচ্ছিলাম, কন্ঠরোধ হয়ে এসেছিল কিছু বলার ক্ষমতা ছিল না। শুধু তুর কথাই শুনে যাচ্ছিলাম, তারপর তুই যখন বললি পালিয়ে যেতে, তখন অনেকটা না ভেবেই উত্তর দিয়েছিলাম "না" ।



আর যখন "না" এর কারণ জিজ্ঞেস করলি তখন সহশ্রাব্দ কারণের মাঝে কোন কারণটা তুকে বলব বুঝতে পারছিলাম না। কারণ তখন তুর কাছে পালিয়ে যাওয়ার একটাই কারণ ছিল সেটা আমাকে ভালবাসা , কিন্তু আমার কাছে "না" বলার শত কারণ ছিল যা তখন তুকে বুঝালেও বুঝতি না।

আর সেই একটা শব্দ আমাকে ভুল বুঝতে বাধ্য করল তুকে! তুই আমাকে ভুল বুঝলেও আমার আফসুস নেই কারণ আমি তুকে সুখে দেখতে চেয়েছিলাম তুই সুখেই আছিস |



আশা করি এভাবেই সুখে থাকবি। যদি আমার সাথে পালিয়ে যেতি তাহলে কি এখন আমেরিকায় থাকতে পারতি?? এসি রুম. দামি কাপর, বিশাল অট্টালিকায় থাকতে পারতি?। না কখনোই না বরং আমার সাথে যাওয়ার পর তুর মুখে আমি এক বেলা খাবারও তুলে দিতে পারতাম না, দিতে পারতাম না মাথা ঘুঁজার ঠাই, একটা কথা মনে রাখিস পেটের ক্ষুদা ভালবাসা মানে না, ক্ষুদার ভয়ে ভালবাসাও পালায়, আমি ছিলাম বেকার তখনও ছাত্র জীবন পারি দিইনি তুকে নিয়ে যাব কই?।



আর আমরা তো শুধু দুজন দুজনাকে ভালবাসি কিন্তু আমাদের আপনজন যারা আমাদের সাথে ছায়ার মত লেগে থাকে তারা সবাই আমাদেরকেই ভালবাসে, এত স্বার্থপর কিভাবে হতে পারি বল? এতগুলো ভালবাসার মানুষকে কিভাবে দুঃখ দিতে পারি বল??।



তারা হয়ত আমাদের মত মহান নয় কারণ আমরা আমাদের প্রতি তাদের ভালবাসার মূল্য বুঝতে পারি কিন্তু আমাদের ভালবাসার মূল্য কি তাদের কাছে আছে?? তারা হয়ত স্বার্থপর তাও আবার আমাদের ভালর জন্যই স্বার্থপর হয়েছে, হয়ত তারা আমাদেরকে একটু সময় দিতে পারত কিন্তু আমি জানতাম তারা দিবে না তাহলে লাভ কি তুই বল?।



স্বার্থের জগতে একটু স্বার্থহীন হয়ে বেঁচে থাকতে চেয়েছিলাম সেটাই কি আমার দোষ? যদি সেটাই হয় তাহলে হ্যাঁ আমি স্বিকার করছি আমি দোষি, কিন্তু সত্যি বলছি হৃদয়ে গভীর থেকেই বলছি আমি তোকে ভালবাসতাম এবং এখনো ভালবাসি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.