নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আজব গোয়েন্দা

আমি লেখক নই তবু চেষ্টা করি লিখতে, লেখা পরিনত হয়েছে আমার নেশাতে। খুব ভাল লিখতে পারি তা না, যখন একাকি থাকি একাকি অনুভব করি নিজের একাকিত্ব ভুলে থাকার চেষ্টা করি লেখার মাধ্যমে। মনে হয় লেখাতেই যেন সব সুখ লেখার মাঝেই দিতে পারি নিজের দুঃখ গুলোকে নতুন রুপ। তাই আমি লিখতে ভালবাসি লেখা যেমন আমার নেশা লেখায় ভালবাসা

আজব গোয়েন্দা › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাউজানে রোহিঙ্গা উৎপাত এবং জাতীয়তা গ্রহন চলছে অহরহ:

৩০ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ২:২০

বাংলাদেশের সরকারের ঘাড়ে এখন প্রায় ১৭ কোটি উর্ধ জনগনের ভার। যাদের মানবতার নিশ্চয়তা কোন সরকারই এখনো প্রতিষ্টা করতে পারেনি। পেপার খুললেই বাংলাদেশের জনগনের মানবতা বিপন্ন হওয়ার নমুনা দেখা যায়। সেই সাথে আছে ১৯৭৮/১৯৯১-২ সালে মানবতা দেখানোর ফলাফল ২৯০০০ রেজিস্টারকৃত আর ২০০০০০ পলাতক রোহিঙ্গা।

বিভিন্ন সরকারী তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশের কক্সবাজারে দুটি ক্যাম্পে ২৯০০০ হাজার রোহিঙ্গার বসবাস। তারা ৯১-৯২ সালে আসা ২৫০০০০ রোহিঙ্গা-এর অংশ। বাংলাদেশ সরকারের হিসাবে বর্তমানে ২০০০০০ রোহিঙ্গা কক্সবাজারের বিভিন্ন গ্রামে বসবাস কছে। উত্তর রাখাইন রাজ্যে মোট রোহিঙ্গার সংখ্যা ছিল ৮০০০০০ তাঁর প্রায় ৩০% বাংলাদেশে অবস্থান করছে সেই ১৯৭৮ কিংবা ৯১/৯২ সাল থেকে তাদের নিজ দেশে ফেরত যাওয়ার কোন লক্ষন নেই। মিয়ানমার সরকার নেওয়ার বিন্দু মাত্র ইচ্ছা পোষন করে না।

পলাতক রোহিঙ্গাদের মধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন উপজেলা জুড়ে রোহিঙ্গারা বসবাস করছে এবং ভোটার হয়ে বাংলাদেশের জাতীয়তাও নিয়ে নিয়েছে। এ প্রসঙ্গে সরকার কোন প্রদক্ষেপ গ্রহন করেনি।
আর ঐসব রোহিঙ্গারা সুযোগের সদ ব্যবহার করে ভোটার, জন্ম নিবন্ধন, জাতীয়তা সনদ ও পার্সপোর্ট তৈরীসহ বিভিন্ন নাগরিক সুযোগ সুবিধা গ্রহন করছে বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে। তারা কৌশলে ভোটার, জাতীয় পরিচয় পত্র এবং বিদেশ গমণের প্রয়োজনীয় পাসপোর্ট সংগ্রহ করে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে পাড়ি দিয়ে নানা ধরণের অপরাধের সাথে জড়িত হয়ে বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুন্নসহ ভাবমূর্তীকে বিদেশের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে। এসব রোহিঙ্গাদের কারণে দেশের আর্থিক, সামাজিক উন্নয়ন বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে।

কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ও টেকনাফের নয়াপাড়া, লেদা শরণার্থী শিবিরকে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ার ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করছে। এসব ব্যাপার নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাঝে উদাসীনতার অভিযোগ উঠেছে।

এভাবে কক্সবাজার ও টেকনাফ হয়ে রোহীঙ্গাদের অনেকেই চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও রাউজানের বিভিন্ন গ্রামে ছড়িয়ে পরেছে। রোহিঙ্গাদের মুখের ভাষার আদল চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষার মত হওয়ার তারা এখানে খুব ভালোভাবেই মানিয়ে নিচ্ছে স্থানীয়দের সাথে উঠাবসায় এবং তারা ইতিমধ্যেই ভোটার, জন্ম নিবন্ধন, জাতীয়তা সনদ ইত্যাদি সংগ্রহ করে বর্তমানে দেশের নাগরিক হয়ে বসবাস করছে। তাদের দেখলে বুঝার কোন সুযোগ নেই ওরা রোহিঙ্গা! তাদের সহজে চিনার উপায় হচ্ছে স্থানীয় মানুষ। স্থানীয় মানুষ ছাড়া এদের চিনার উপায় নেই। এরকম কয়েকটা পরিবার রাউজানের রমজার আলী হাটের আশে পাশের বিভিন্ন কলোনিতে দেখা যায় যারা স্থানীয় হিসেবে ভোটার, জন্ম নিবন্ধন, জাতীয়তা সনদ ইত্যাদি সংগ্রহ করেছে। এবং তাদের ছেলে মেয়েও এখানের নাগরিক সুযোগ সুবিধা ।এই দৃশ্য শুধু রাউজানের রমজান আলী হাটের আশপাশের এলাকাতেই নয় বরং সমগ্র রাউজানে বিরাজ করছে। শুধু রাউজানের নয় পুরো দেশের জন্য রোহিঙ্গা এখন জাতীয় সমস্যা হিসেবে রূপ নিয়েছে। যা কখনোই একজন সচেতন নাগরিক ও নেতার পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। কেননা এতে আমাদের দেশের প্রতিটি নাগরিকের অধিকারের মধ্যে ভাগ বসে যাচ্ছে। যে কাজটা আমাদের দেশের একজন নাগরিক করতে পারবে সে কাজ করে নিচ্ছে রোহিঙ্গা, যে সুবিধাটা আমাদের দেশের নাগরিকের পাওয়ার কথা সেখানে পাচ্ছে রোহিঙ্গা! যেখানে একটা ত্রান পাঁচজন নাগরিকের জন্য মজুদ করা হয়েছে সেখানে যখন রোহিঙ্গা অংশিদার হয় তখন আমার দেশের নাগরিক বঞ্চিত হয়। তাহলে একজন সচেতন নাগরিক হিসাবে তা কেন মেনে নিব??। একজন দেশপ্রেমিক নেতাও তা মেনে নিতে নিশ্চয় নারাজ হবেন।

স্থানীয় মানুষদের অভিযোগ :

স্থানীয় মানুষদের অভিযোগ এই যে, এ ব্যাপারে রাউজানের ইউ,এন,ও এবং থানা পুলিশের কোন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেই। বিষয়টা প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিগণ খুব হালকাভাবেই নিচ্ছে। যদিও অনেকেই বলেছেন, জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে বিশেষ করে ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারগন বা চেয়ারম্যান তাদের এলাকার ভোটের সংখ্যা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে চুপ হয়ে আছেন। যেখানে প্রসাশন ও জনপ্রতিনিধেরই রয়েছে সচেতনতা ও দেশ প্রেমের ঘাটতি সেখানে সাধারণ মানুষের কি করার আছে।

তাদের ভাষ্য মতে, রাউজানের এম,পি মহোদয় খুবই কড়া নীতির দেশ প্রেমিক একজন মানুষ। দেশে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের তাঁর মত একজন সৈনিকও বেঁচে থাকতে অন্তত রাউজান এর কবল থেকে মুক্তিপাবে।যেখানে দেশের স্বার্থ এবং উন্নয়নের কথা আসে সেখানে তিনি নিজ তত্বাবধানে ঐকাজটা সম্পাদন করান। বিগত আওয়ামিলীগ সরকারের আমল হতে আওয়ামিলীগের বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তিনি, রাউজানের শিক্ষা,স্বাস্থ্যসহ, সামাজিক, অর্থনৈতিক অবকাঠামোর উন্নয়ন ঘটিয়ে রাউজানের মানুষের মৌলিক সব সমস্যা সমাধান করে রাউজানে সর্বকালের সেরা বৈপ্লিক উন্নয়নের রেকর্ড গড়েছেন। এবং তিনি তার মানবিক গুনাবলীর দিক থেকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ যে তার এই প্রচেষ্টা শেষ পর্যন্ত অব্যাহত রেখে রাউজানকে একটি পরিপূর্ণ আধুনিক মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলবেন। এলাকা বাসীর বিশ্বাস তিনি আধুনিক রাউজানের রূপকার হয়ে রাউজানকে শূন্য থেকে শিখড়ে পৌছে দিবেন।
এবি,এম ফজলে করিম চৌং এমপি একটি সমাবেশে বলেছিলেন,
“রাউজানকে আমি পেয়েছি যুদ্ধ বিধ্বস্তের মত। তিলে তিলে মডেল উপজেলায় পরিণত করেছি । এবার মানুষেরর অধিকার নিশ্চিত করতে উন্নয়নের পাশাপাশি মানব কল্যানে কাজ করা আমার রাজনীতি”

তাই এই মহান ব্যক্তিত্বের কাছে সচেতন জনগনের অনুরোধ, মানুষের অধিকার নিশ্চিত করণে তিনি যেন রাউজানে রোহিঙ্গা বসবাস এবং তাদের বাংলাদেশের জাতীয়তা নিয়ে অবস্থান বিষয়ে দ্রুত প্রদক্ষেপ গ্রহন করে বাংলাদেশের উপজেলা পর্যায়ে আরেক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.