![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
(নতুন আরেকটা আইডিয়া মাথায় এসেছে, মানে অনেক আগেই এসেছিল। কিন্তু এখন লিখে ফেললাম। সিরিজ আকারে প্রকাশিত হবে প্রতি বৃহস্পতিবার। বিকেলে দিকে। কমেন্ট করে উৎসাহিত করবেন)
জাদুকন্যা
জেনারঃ ড্রামা, রোমান্স, সাই-ফাই, একশন, post-apocalyptic।
ভুমিকা
চাদের আলোয় তার বিশালদেহী শরীর চকচক করছে। পাহাড়ের পাদদেশে বসে আছে সে। তার কয়েক হাত দুরে একটা খাদ আর সেই খাদের নিচে সমুদ্রের বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়ছে ।সে তার পাশে শুয়ে থাকা দুটি শিশুর দিকে তাকাল। তারা গ্যাস মাস্ক পড়ে থাকলেও এটা বুঝতে কষ্ট হয় না যে তারা ঘুমিয়ে আছে। তাদের দিকে তাকিয়ে বিশালদেহী বড়সড় এক দীর্ঘশ্বাস ফেলল। এত কিছু হয়ে গেল তারপরেও তারা কত সুন্দর করে ঘুমাচ্ছে, দুনিয়ার আর কোনো দুশ্চিন্তা যেন তাদের উপর ভর করছে না। সে বাচ্চা দুটোর চেহারা দেখতে চাইল, কিন্তু এখন সে সময় না। তার আশে পাশে আরো সঙ্গীসাথী আছে। তারা সব তার দিকে তাকিয়ে আছে, তার কথার অপেক্ষায় আছে সবাই।
“এখন আমরা কি করব,” একটা মেয়েলী কন্ঠ বলে উঠল।
মেয়েটার কথার সাথে সাথে আশেপাশে নিরবতে ভেঙ্গে গেল। সবাই নিজের মত করে ফিসফিস করে কথা বলতে লাগল। বিশালদেহী লোকটা কিছুক্ষন তাদের গলা খাকারি দিল। সে সবার দিকে তাকাল। সবাই গোল হয়ে বসে আছে, তাদের চোখে মুখে হতাশার ছায়া দেখা যাচ্ছে। তাদের এত পরিশ্রম এত আত্মত্যাগ সব মাঠে মারা গেছে। তারা এখন কি করবে সেটা বুঝে উঠতে পারছে না। এখন তাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সে জানে এই সিদ্ধান্ত আগামী পৃথিবীর ভবিষৎ গড়তে সাহায্য করবে, হয় ভালো অর্থে না হয় খারাপ।
“আমরা যা ধংস করেছি এখন আমরা তা গড়ে উঠাতে সাহায্য করব।”
বিশালদেহীর এই কথা শুনে সবাই অবাক হল। তাদের অবাক হওয়ার চোখ দেখে সে স্মিত হাসি দিল, বলে উঠল, “জানি কথাটা তিক্ত শোনালেও আমাদের তা করা উচিত, ওরা আমাদের দিয়ে করালেও তাদের পাপের সাথে আমরাও পাপী।”
“কিন্তু, আমরাতো বাধ্য হয়েছি,” ফ্যাসে ফ্যাসে গলায় একজন বলে উঠল।
“জানি, কিন্তু আমরা যা করেছি তা কিন্তু তারা ধারনাই করতে পারেনি। সহজ কথা আমাদের অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের কারনে এখন... এই অবস্থা,” বিশাল দেহী শব্দটা উচ্চারন করতে চাইল না। সবাই তা বুঝতে পারল।
“তা, আমরা কি উত্তরসূরীদের কি জানাব বর্তমানের কথা, তুমি কি জানাবে এই দুই শিশুকে?” মেয়েলী গলারজন বলে উঠল।
“না,” বিশালদেহী দৃড়গলায় বলল, “এখন না, যখন সময় হবে তখন জানানো হবে, আর তোমাকেই দ্বায়িত্ব দেয়া হল।”
“কিভাবে?”
“সময় হলে তুমি নিজেই বুঝতে পারবে।”
বিশালদেহীর কথা কেউ ঠিক মত বুঝতে না পারলেও কেউ কিছু বলল না। তারা সবাই এই বিশালদেহীকে অনেক সম্মান এর সাথে সাথে ভয়ও করে। তাদের মধ্যে নিস্তব্ধতা বিরাজ করতে লাগল। পাহাড়ের নিচে সমুদ্রে বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়ার শব্দ ছাড়া আর কোনো শব্দ নেই।
“তাহলে আমাদের কি করা উচিত সেটা আমি সবাইকে বলে দিচ্ছি,” বিশালদেহী সবার দিকে তাকিয়ে বলল, “আমি সবাইকে বলে দিব, সবাই একে এক আসবে, আমি তখন যার যে কাজ সেটা বলে দিব।”
“আমাদের কি বিশ্বাস করা হচ্ছে না?” ফ্যাসে ফ্যাসে গলার জন বলে উঠল।
“এখানে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের কিছু আসে যায় না, তোমাদের কেউ যদি আমার বিপক্ষে থাক তাহলে চলে যাও, আমি কিছু বলব না।”
“আমি রাজী, এতদিন আপনার কথা আমরা মেনে চলেছি এখনো চলব,” এবার বিশালদেহীর উল্টোপাশে বসা এখজন বলে উঠল। সমুদ্রের ঢেউয়ের শব্দ ছাপিয়ে তার সুন্দর মিষ্টি গলার আওয়াজ শোনা গেল, সে বলতে লাগল, “আমাদের কারনেই আজ পৃথিবীর এই অবস্থা, আমাদের জন্যই আজ পৃথিবী আজ ধ্বংসের পথে। সব কিছু বিপন্নের পথে। দোষ আমাদের সবারই, কিন্তু আমাদের ক্ষমতা আছে সেটাকে ঠিক করার।”
এই কথা শোনার পর বিশালদেহী মুচকি হাসল। সে কিছু বলল না। সে সবার দিকে তাকাল, একটু আগে যাদের মধ্যে একটু হলেও দ্বিধা ভাব ছিল তা উধাও হয়ে গেছে। বিশালদেহী সবার দিকে আরেকবার ভাল করে তাকাল, তারপর বলে উঠল, “সবাই একে একে আস, যার যার দ্বায়িত্ব তাকে বুঝিয়ে দেয়া হবে, কেউ কারো কাছে নিজের দ্বায়িত্বের কথা বলতে পারবে না।”
সবাই বিশালদেহীর কথা মেনে চলল। একে একে সবাই বিশালদেহীর কাছে আসতে লাগল। সবাইকে দ্বায়িত্ব বুঝিয়ে দেবার পর সবাই যে যার মত চলে গেল, একজন বাদে।
“বাচ্চা দুটোকে কি করবে?” মেয়েলী কন্ঠের জন বলে উঠল।
“আমি তাদের বড় করব, বর্তমান সময়ের অনেক জ্ঞান তাদের জানা উচিত।”
“সেটা কি তাদের জন্য মারাত্মক ফল বয়ে আনবে না।”
“হয়তো বা হয়তো বা না, সেটা সময় বলে দিবে,” তারপর বিশালদেহী মেয়েলী কন্ঠের জনকে বলল, “অপেক্ষা কর সবই জানতে পারবে।”
“আচ্ছা কথা কি সত্যি যে তুমি ভবিষৎ দেখতে পার।”
“ভবিষৎ দেখতে পারলে আজকের দিন হয়তো দেখা হত না।”
“আসলেই তুমি অনেক রহস্যময়।”
বিশালদেহী মুচকি হেসে উঠল, চাদের আলোয় তার হাসি দেখে একটা বাচ্চার হাসির মত মনে হল। মেয়েলী কন্ঠের জন কিছু বলল না। সে সমুদ্রে ঝাপ দিল। সমুদের বিশাল ঢেউ তার জন্য কোনো বাধা সৃষ্টি করতে পারল না। মনে হচ্ছে সে সমুদ্রের পানিরই একটা অংশ। সে সমুদ্রের পানির ভিতর দিয়ে অজানা পথের দিকে চলতে লাগল। তার সামনে অনেক কাজ, অনেক কাজ।
বিশালদে চারিদিকে একবার তাকাল। সমুদ্রে ঢেউয়ের শব্দ ছাড়া আর কোনো শব্দ নেই। সে বাচ্চা দুটোর দিকে তাকাল। একটা ছেলে আর একটা মেয়ে। তাদের দিকে তাকাতেই সে দেখল ছেলেটার চুল কালো এবং সেটা অনেক সুন্দর।, চাদের আলোর কারনে সেই চুলের সৌন্দর্য অনেক বেড়ে গেছে। সে ছেলেটার চুলে হাত বুলাতে লাগল, তারপর সে মেয়েটার দিকে তাকাল মনে হল খালি ছেলেকেই আদর করলে তো হবে না মেয়েটাকেও আদর করা লাগবে। সে মেয়েটার বাদামী কোকড়া চুলের দিকে হাত বাড়িয়ে আদর করতে লাগল, দুজনের দিকে তাকাতেই চিন্তা করতে লাগল তার নিজের দ্বায়িত্বের কথা। অনেক বড় দ্বায়িত্ব এখন তার এবং সেটা সুষ্ঠু ভাবে সম্পুর্ন করতে হবে।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪২
আজবছেলে বলেছেন: মাত্রতো শুরু...
২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫২
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: চমৎকার +
ভালো থাকবেন
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৯
আজবছেলে বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বেশ রহস্যময়!!!!
চলুক.....................