![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পুরো পৃথিবী জুড়ে নারকীয় প্রলয় নিয়ে এসেছিল 'প্রথম বিশ্বযুদ্ধ'। ১৯১৮ সালের নভেম্বর মাসের ১১ তারিখ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। যুদ্ধে মারা যায় নয় বিলিয়নেরও বেশি মানুষ। তাদের স্মরণ করতে প্রতি বছর আন্তর্জাতিকভাবে এই দিনে পালন করা হয় রিমেম্বারন্স ডে।
ইউরোপের বড় বড় প্রায় সব নগরীই নভেম্বরের ১১ তারিখ বেলা ১১টার সময় থমকে যায়। একমিনিটের জন্য শহর জুড়ে পালন করা হয় নীরবতা। কারণ ১৯১৮ সালের এই দিনই ঠিক বেলা ১১টায় প্রথম বিশ্বযুদ্ধে সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছিল। যুদ্ধে মারা যায় নয় মিলিয়নেরও বেশি মানুষ, তাদের স্মরণে এভাবেই পালন করা হয় রিমেমবার্স ডে।
এ দিন সকাল থেকেই অনেকের জামায় গোঁজা থাকে টকটকে লাল পপি ফুল। বেলা ১১টার সময় তারা জামায় গোঁজা রক্তলাল পপি ফুল প্রথম বিশ্বযুদ্ধের নিহতদের স্মরণে গড়া স্মৃতি সৌধ, ভাস্কর্য কিংবা সমাধিতে রেখে আসেন।
এসময় সরকারিভাবে পপি ফুলের তোড়া দেয়া হয় এই সময়ে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ ও বেদিগুলোতে। পপি ফুলটিকে রিমেমবার্স ডের প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। এ কারণে দিনটিকে পপি ডেও বলা হয়ে থাকে।
কানাডার এক কবি লেফটেন্যান্ট কর্নেল জন মেক ক্যারির লেখা একটি কবিতা থেকে এই পপি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর রীতি শুরু হয়। তিনি ফ্লান্ডার ফিল্ড নামের একটি যুদ্ধ ক্ষেত্র নিয়ে কবিতা লিখেছিলেন, 'সারি সারি মৃতদেহ শুয়ে আছে বিশাল প্রান্তরজুড়ে। তাদের স্মরণে সারি সারি পপি ফুল ফুটে আছে যুদ্ধে নিহতদের আত্মার শান্তি, ভালোলাগায় ভরিয়ে দিতে। অপরূপ-অপার্থিব এক প্রাকৃতিক প্রার্থনা যেন মৃতদেহের সারি আর লাল পপির সারির মাঝে।'
'ফিল্ডার ফিল্ড' নামের এ কবিতাটি ছাপা হয় ১৯১৫ সালের ৮ ডিসেম্বর। কবিতায় বর্ণনা করা পপি ফুলই প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষে হয়ে উঠে শ্রদ্ধা জানানোর প্রতীক।
যুগে যুগে মানুষে যুদ্ধের বিভীষকায় অকালে মানুষরেই হাতে প্রাণ হারিয়েছে কোটি কোটি। যুদ্ধ মানবকে করে তোলে দানব। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ভয়াবহতা বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে মানবসভ্যতাকে। কেড়ে নিয়েছে মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার। যুদ্ধের বিরুদ্ধে শান্তিকামী মানুষ বার বার হয়েছে প্রতিবাদ মুখর। কিন্তু যুদ্ধ থেমে থাকে নি। দেশে দেশে জাতিতে জাতিতে আজও চলছে যুদ্ধ নামের বিভৎস হত্যালীলা।
প্রতিবছর রিমেমবার ডে আসে, যুদ্ধবিরোধী স্লোগান নিয়ে। শান্তিপ্রিয় মানুষ দিনটি পালন করে শান্তির প্রত্যাশায়।
লিংক দেখুন (প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ভিডিও সহ) >> প্রতিমুহূর্ত.কম
২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:২৫
নিকষ বলেছেন: প্রথম প্যারায় ৯ মিলিয়ন, বিলিয়ন হয়ে গেছে।
কথা হল, মারা গেছে কি ৯ মিলিয়ন না ১৬ মিলিয়ন। উইকি অনুযায়ী প্রায় ১৬ মিলিয়ন।
৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:১১
মামুন রশিদ বলেছেন: ইতিহাস থেকে কেউ নাকি শিক্ষা নেয় না, কিন্তু ইউরোপিয়ানরা নিয়েছে । দুই দুইটা মহাযুদ্ধ সহ তারা প্রায় একনাগারে তিনশত বছর নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ করেছে । রিমেমবারস ডে পালন তাদের ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়ার প্রমান ।
৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫৭
ধুত্তরি বলেছেন: রিমেমবার্স ডে তো না, উচ্চারণটি "রিমেমব্রেন্স ডে" হবে। ইংরেজি তে Remembrance Day.
৫| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৪
পাগলাগরু বলেছেন: ইউরোপ এক মিনিট থমকে গেলে আপনের কি। আপনের নিজের পাছায় কাপড় নাই
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:৩২
ঢাকাবাসী বলেছেন: চমৎকার জিনিস জানালেন, ধন্যবাদ।