নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মহান রুমি তার মসনবীতে বলেছেন - যার সারমর্ম হলো - তুমি নিজেকে এমনভাবে গড়ে তুলো , যাতে তোমার কুফরিও ইসলাম হয়ে যায় ।
প্রিয় বিশ্ববাসী , ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর রাঃ রাসুল সাঃ এর জীবদ্দশাতেও অনেক ভিন্নমত করেছেন , যা আল্লাহ কোরান নাজিল করে ইসলামের অংশ করে দিয়েছেন। রাসুল সাঃ এর ইন্তেকালের পরও উমর রাঃ তারাবির নামাজ জামাত করেছেন এবং একসাথে তিন তালাক দিলে তা তিন তালাকই কার্যকর করেছেন , যা রাসুল সাঃ এবং আবুবকর রাঃ এর সময় এক তালাক কার্যকর ছিলো । এসব সিদ্ধান্ত রাসুল সাঃ এর সিদ্ধান্তের বিপরীত ছিলো এবং মহান আল্লাহ এগুলোকে ইসলামের অংশ করেছেন । যদিও রাসুল সাঃ এর বিপরীত সিদ্ধান্ত নেওয়া স্পষ্ট কুফরি ।
এর মাধ্যমে মহান আল্লাহ এটাই প্রতিষ্ঠা করেছেন যে , তোমার মন যদি সরল ও পবিত্র হয় , তাহলে তোমার কুফরিও ইসলামের অংশ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ এবং এটা বিদাআতে হাসানা হবে ।
হযরত উসমান গনি রাঃ সম্পূর্ণ কোরান একত্রিত করছেন এবং অন্যান্য কোরান লিখিত বস্তুসমূহ আগুনে পুড়িয়ে ফেলেছেন । এটাও বিদআত ছিলো । কারণ রাসুল সাঃ কোরান একত্রিত করেন নাই এবং আবুবকর রাঃ - ও করেন নাই । আবুবকর রাঃ কে কোরান একত্রিত করতে বললে , তিনি বলেন যে , যে কাজ রাসুল সাঃ করেন নাই , আমি তা করতে পারি না ।
হযরত আলী রাঃ এর সময় কোরানের ব্যাকরণ তৈরি হয় , আর এটাও বিদআতে হাসানা । তাছাড়া তিনি অন্য সাহাবিদের সাথে জামালের যুদ্ধ এবং সিফফিনের যুদ্ধ করেছেন , তবুও তারা কাফের হন নাই । এর মানে হলো যে , সময়ের প্রয়োজনে অনেক সময় নতুন নতুন সিদ্ধান্ত নিতে হবে , যা রাসুল সাঃ নেন নাই ।
এভাবে উসুলে হাদিস এবং উসুলে ফিকাহ তৈরিও বিদাতে হাসানা এবং হাদিস গ্রন্থ তৈরিও বিদাআতে হাসানা । রাসুল সাঃ এর সময় কোনো উসুলের পরিভাষা তৈরি হয় নাই অথবা কোনো হাদিসের গ্রন্থও তৈরি হয় নাই । তারপরও অকৃতজ্ঞ আহলে হাদিসরা বিদআতে হাসানা অস্বীকার করে । সম্ভবত খুব শীঘ্রই তারা ধ্বংস হবে। কারণ সত্য নিকটবর্তী ইনশাআল্লাহ ।
( জাহাঙ্গীর আলম আকন্দ ) ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:০৯
বিটপি বলেছেন: হযরত ঊমর, উসমান এবং আলী (রা) এর সময়কালে রাজনৈতিক অবস্থা অনেকটাই স্থিতিশীল হয়ে এসেছিল, তাই তারা কোরআনের উন্নয়ন, আন্তর্জাতিকীকরণ এবং ইসলামের বিশ্বাব্যাপী প্রচারের জন্য এই কাজগুলো করেছেন। তাঁরা শরীয়তের বিধানগুলোর কোন পরিবর্তন করেননি। তাই এগুলোকে কুফুরি তো বলাই যাবেনা, বিদআত বলতে গেলেও চিন্তা করে বলতে হবে।