নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আল্লাহর নামে

ডাঃ আকন্দ

একজন চিকিৎসক ।

ডাঃ আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পবিত্রতা এবং তায়াম্মুম

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:৪২

গত ২০০ বছর ধরে বিজ্ঞানের ব্যাপক উৎকর্ষতা হচ্ছে , এখন বিজ্ঞান উচ্চ শিখরে আরোহিত । গত ২০ - ৩০ বছর ধরে মোবাইল এবং রাসায়নিক সমৃদ্ধ খাবার মানুষকে একেবারে দুর্বল করে দিয়েছে । রাসায়নিক খাবার খেয়ে মানুষ অসুস্থ হওয়ার পর , পুনরায় সুস্থ হওয়ার জন্য আবার সেই রাসায়নিক ঔষধই খাচ্ছে । কি অদ্ভুত ব্যাপার !



তারপর আবার বেশিরভাগ মানুষ সর্দ্দি কাশি টনসিলাইটিস ও হাঁপানিতে আক্রান্ত । মানুষ তাহলে কতটা দুর্বল, একবার ভাবুন । এই দুর্বল মানুষের উপর এখনকার মুসলিম স্কলাররা সেই ১৪০০ বছর পূর্বের পূর্ণাঙ্গ ইসলাম চাপিয়ে দিচ্ছে । তাদের কথায় ইসলামে কখনোই কোনো কম বেশি করা যাবে না । ১৪০০ হিজরি বলুন , আর কিয়ামতের পূর্বেই বলুন , ইসলামে কোনো কম বেশি করা যাবে না । আল্লাহর কসম এদের চাইতে বড়ো জালেম এবং বড়ো মূর্খ একটাও নেই ।



বর্তমান জামানায় প্রায় ৯৫ ভাগ মানুষ ঔষধের অছিলায় সুস্থ থাকার চেষ্টা করে । অনেক মানুষ এমনও আছে , যারা খাবার সংগ্রহের পূর্বে ঔষধ সংগ্রহ করে । তারপরও এই দুর্বল মানুষের উপর সেই ১৪০০ বছর পূর্বের পূর্ণাঙ্গ ইসলাম চাপিয়ে দেয়। অথচ কোরান হাদিস মতে এখন ১০ ভাগের ১ ভাগ আমল করলেই পরকাল মুক্তি নিশ্চিত । তবে ইসলামের পাঁচ স্তম্ভ পরিপূর্ণ মানতে হবে এবং মানুষের হক তথা সৃষ্টির হকও পরিপূর্ণ আদায় করতে হবে ।



প্রিয় মুসলিম আমার কথা স্পষ্ট , এখন অধিকাংশ মানুষ সর্দ্দি কাশি টনসিলাইটিস ও হাঁপানিতে আক্রান্ত । তাছাড়া প্রায় সব মানুষ শারিরীক এবং মানসিকভাবে দুর্বল । এজন্য প্রায় সব মানুষের জন্যই পবিত্রতা অর্জনের জন্য অযুর বদলে তায়াম্মুমের প্রচলন করা আবশ্যিক তথা ফরজ । এখানে পানি গরম বা চিকিৎসার কথাও প্রযোজ্য হবে না । কারণ মানুষ এখন একেবারেই দুর্বল । আমার মতে প্রতিটি মসজিদে তায়াম্মুমের জায়গা নির্ধারণ করে দেওয়া উচিত । যাতে মানুষ সহজে তায়াম্মুম করে নামাজ আদায় করতে পারে ।



আরেকটি বিষয় হলো - বিয়ের সময় বর কনে , বিশেষ করে কনে অনেক সাজ সজ্জা করে থাকে । তাই তাদের অযু করা সম্ভব হয় না । এজন্য তো নামাজ ছাড়া যাবে না । তাই বর কনেও তায়াম্মুম করে নামাজ আদায় করবে । বর কনে তায়াম্মুমের সময় হাত দ্বারা মুখে শুধু হালকা চাপ দিবে , আর তাতেই মাসেহ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ ।



প্রিয় মুসলিম এটা আমার ব্যাক্তিগত মত না , বরং কোরান হাদিস দ্বারা বর্তমানের জন্য সাব্যস্ত । তাই এই বিধানকে ঘৃণা করে কেউ জালেম হবেন না । এই বিধানকে যারা ঘৃণা করবে , তারা জালেম সাব্যস্ত হবে এবং পরে ইমানহারা হয়ে যাবে। যদি মৃত্যুর পূর্বে তওবা না করে এবং উক্ত বিধান মেনে না নেয় , তাহলে তার মৃত্যু ইমানহারা অবস্থায় হবে এবং চিরজাহান্নামী হবে । এখন প্রায় শতভাগ মানুষই দুর্বল এবং অসুস্থ । তাই সবাই তায়াম্মুম করে নামাজ আদায় করতে পারবে । শীতকালে তো পারবেই , গরমকালেও সামান্য ওজর থাকলে তায়াম্মুম করতে পারবে । তাছাড়া যদি গোসল ফরজ হয় তাহলে গরম পানি দিয়ে গোসল করতে হবে বা ঠান্ডা অল্প পানি দিয়ে গোসল করতে হবে । বেশি অসুস্থ হলে তায়াম্মুমই যথেষ্ট ।



কোনোভাবেই নামাজ ছাড়া যাবে না । তায়াম্মুম করুন এবং নামাজ আদায় করুন । কে কি বললো সেটার দিকে ভ্রূক্ষেপ করবেন না । এভাবেই বর্তমানে নামাজ প্রতিষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ । যা অযুর মাধ্যমে সম্ভব নয় । কারণ মানুষ খুবই দুর্বল । পূর্ববর্তী হক সুফিদেরকে ভালবাসুন এবং তাদের অছিলা দিয়ে ধ্যান করুন ও দোয়া করুন , ইনশাআল্লাহ সফলকাম হতে পারবেন ।



( জাহাঙ্গীর আলম আকন্দ ) ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৪৬

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আকন্দ সাহেব, আপনি একজন ডাক্তার মানুষ; আমাদের ডাক্তারী বিদ্যা শিখান, এসব ধর্মীয় বিদ্যা তো ইইটিউব, ওয়াজ মাহফিলে হরহামেশাই শুনতে পাই। বছরখানেক আগে কোন এক টিভি চ্যানেলে বিষেশজ্ঞ এক ডাক্তারের আলোচনা শুনছিলাম, তিনি ডাক্তারি পরমর্শের পাশাপাশি মানুষকে দোয়া দরুদের নাম ও বলে দিচ্ছিলেন কখন কোন দোয়া পড়তে হবে।
কিঅ্যাক্টা অবস্তা এই দ্যাশের!! :-B

২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: বিরক্তকর পোষ্ট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.