নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আল্লাহর নামে

ডাঃ আকন্দ

একজন চিকিৎসক ।

ডাঃ আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মিশ্রিত আমল

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ভোর ৫:৪৩

আল কোরানের ৯ নম্বর সুরা আত-তাওবাহ এর ১০২ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন - এমন অনেক লোক আছে , যারা মিশ্রিত আমল করেছে , ভালো ও মন্দ কাজের মিশ্রিত আমল এবং পরে তওবা করেছে, আশা করা যায় আল্লাহ তাদের ক্ষমা করবেন ।



বিভিন্ন তাফসির গ্রন্থে এই আয়াত সম্বন্ধে বলা হয়েছে যে , এটা কয়েকজন সাহাবীর যুদ্ধে না যাওয়ার কারণে অবতীর্ণ হয়েছে । তবে তাফসিরকারকগন এটাও বলেছেন যে , মিশ্রিত আমলের উদাহরণটা কিয়ামত পর্যন্ত সকল লোকের জন্য প্রযোজ্য হবে ।



বর্তমান পৃথিবীতে অনেকে নামাজও পড়ছে পাশাপাশি পাপ কাজও করছে অথবা নামাজের ভিতরও পাপ চিন্তা করছে । উপরোক্ত আয়াত অনুযায়ী তাদের একেবারে হতাশ হওয়ার কিছু নেই । শেষে তওবা করলে বা তওবা করার ইচ্ছা রাখলে , আল্লাহ তাকে মাফ করবেন ইনশাআল্লাহ । আর এই একবিংশ শতাব্দীতে বা এই অশ্লীল যুগে মিশ্রিত আমল একেবারেই স্বাভাবিক । কিন্তু সর্বদা একনিষ্ঠ আমলের চেষ্টা করতে হবে এবং একদিন সে সফল হবে ইনশাআল্লাহ ।



মোটকথা হলো - এখন মানুষ একেবারেই দুর্বল । তাই প্রথমে - তোমার আকিদা আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের অনুসারী করো এবং পরে তুমি যতো বড়ো পাপই করো না কেনো , পাশাপাশি ইবাদত করে যাও এবং অনেক বেশি ইবাদত করে যাও , অন্য কারো সমালোচনায় মনঃক্ষুণ্ন হইও না এবং কোনোভাবেই ইবাদত ছেড়ো না , যদিও অনেক বড়ো পাপের কাজ করতে থাকো । তবে পাপ কাজ থেকে ফিরে আসার চেষ্টা করতে হবে । একদিন সফলতা আসবে ইনশাআল্লাহ । কিন্তু সৃষ্টির হক কোনোভাবেই নষ্ট করা যাবে না ।



ইউরোপ আমেরিকার মুসলমানদের বলবো - তুমি যেমন জীবনযাপনই করো না কেনো , পাশাপাশি ইবাদত করে যাও । তবে মানুষের হক নষ্ট করো না এবং মানুষের মনে কোনো দুঃখ দিও না । এমনকি এক টাকার হকও নষ্ট করো না এবং সামান্যতম মনে কষ্ট দিও না । অতঃপর পাপ থেকে ফিরে আসার চেষ্টা করতে হবে । ইনশাআল্লাহ আশা করা যায় , মহান আল্লাহ তোমাকে ক্ষমা করবেন এবং জান্নাত দান করবেন ।



( জাহাঙ্গীর আলম আকন্দ ) ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:১৯

কামাল১৮ বলেছেন: “আশা করা যায় আল্লাহ তাদের ক্ষমা করবেন”
এটি আয়াতের একটি অংশ।আশা করা যায় বলতে কি বুঝায়।আল্লাহ কার কাছে আশা করছেন?

২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:০০

ডার্ক ম্যান বলেছেন: নিজের কথা বলি । জীবনে অনেক ভুল করেছি। কিন্তু জেনেশুনে একটি মাত্র পাপ ছাড়া ইচ্ছাকৃত কোন পাপ করি নি। তবে , আমি নামাজ পড়ি না নিয়মিত। আমার ধারণা , আল্লাহ্‌র হক ঠিকমত আদায় করি না। তারপরও আল্লাহ আমাকে জান্নাতে যাওয়ার সুযোগ দিবেন ।
নামাজ না পড়লেও আমি প্রতিদিন অন্তত কয়েকবার দরূদ শরীফ পড়ে আসছি গত ১ বছর ধরে নিয়মিত। আমার বিশ্বাস , এই দরুদ শরীফ পাঠের কারণে আল্লাহ্‌ আমাকে অনেক বড় বিপদ থেকে রক্ষা করেছেন এবং সামনেও করবেন।
আপনার এই পোস্টের কারণে জান্নাতে আদন নামক একটা বিষয়ের কথা জানতে পেরেছি।

অনলাইনে এটা পেলাম । হুবহু তুলে দিলাম ।
১০২.আর অপর কিছু লোক নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেছে, তারা এক সৎকাজের সাথে অন্য অসৎকাজ মিশিয়ে ফেলেছে: আল্লাহ হয়ত তাদেরকে ক্ষমা করবেন(১); নিশ্চয় আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

(১) যে দশজন মুমিন বিনা ওযরে তাবুক যুদ্ধে অংশগ্রহণে বিরত ছিলেন তাঁদের সাত জন মসজিদের খুঁটির সাথে নিজেদের বেঁধে নিয়ে মনের অনুতাপ অনুশোচনার প্রকাশ ঘটিয়েছেন। এদের উল্লেখ রয়েছে এ আয়াতে। ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা এ আয়াতের তাফসীরে বলেন, দশজন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে তাবুকের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি। এদের মধ্যে সাতজন নিজেদেরকে মসজিদের খুঁটির সাথে বেঁধে রেখেছিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মসজিদে এসে জিজ্ঞেস করলেন, এরা কারা, যারা নিজেদেরকে খুঁটির সাথে বেঁধেছে? সাহাবায়ে কিরাম বললেন, এরা আবু লুবাবা ও তার কিছু সাথী। যারা আপনার সাথে যাওয়া থেকে পিছনে ছিল। তারা নিজেদেরকে নিজেরা বেঁধে নিয়েছে এ বলে যে, যে পর্যন্ত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে আমাদের বাঁধন খুলে দিবেন এবং আমাদের ওযর কবুল করবেন, ততক্ষণ আমাদেরকে যেন কেউ না খুলে দেয়।

তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আমিও তাদের বাঁধন খুলব না, তাদের ওযর গ্রহণ করবো না, যতক্ষণ না আল্লাহ নিজেই তাদের ছেড়ে দেন বা ওযর গ্রহণ করেন। তারা আমার থেকে বিমুখ ছিল, মুসলিমদের সাথে যুদ্ধ করতে যায়নি। যখন তাদের কাছে এ কথা পৌছল তারাও বলল, আমরাও আল্লাহর শপথ নিজেদেরকে ছাড়িয়ে নেব না, যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ আমাদের ছাড়ানোর ব্যবস্থা না করেন। তখন এ আয়াত নাযিল হয়। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের কাছে লোক পাঠিয়ে তাদেরকে ছাড়িয়ে নেন। [আত-তাফসীরুস সহীহ]

ঘটনা যদিও সুনির্দিষ্ট তথাপি এর দাবী ব্যাপক। যারাই ভাল ও মন্দ আমলের মধ্যে সংমিশ্রণ ঘটিয়েছে তাদের ক্ষেত্রেই এ আয়াত প্রযোজ্য। যেমন হাদীসে এসেছে, সামুরা ইবন জুনদুব রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে বলেছেন, গত রাত্রে আমার কাছে দুজন এসেছেন, তারা আমাকে উঠালেন, তারপর আমাকে নিয়ে এমন এক নগরীতে নিয়ে গেলেন যার একটি ইট স্বর্ণের অপরটি রৌপ্যের। সেখানে আমরা কিছু লোক দেখলাম, যাদের শরীরের একাংশ এত সুন্দর যত সুন্দর তুমি মনে করতে পার। আর অপর অংশ এত বিশ্রী যত বিশ্রী তুমি মনে করতে পার। তারা দু'জন তাদেরকে বলল, তোমরা ঐ নালাতে গিয়ে পতিত হও। তারা সেখানে পড়ল। তারপর যখন তারা আমাদের কাছে আসল, দেখলাম যে, তাদের খারাপ অংশ চলে গেছে, অতঃপর ভীষণ সুন্দর হয়ে গেছে। তারা দু'জন আমাকে বলল, এটা হলো জান্নাতে আদন। আর ওখানেই আপনার স্থান। তারা দু’জন বলল, আর যাদেরকে আপনি অর্ধেক সুন্দর আর বাকী অর্ধেক বিশ্রী দেখেছেন, তারা হচ্ছেন, যারা এক সৎকাজের সাথে অন্য অসৎকাজ মিশিয়ে ফেলেছে। [বুখারী ৪৬৭৪
তথ্যসূত্র ঃ https://www.hadithbd.com/quran/link/?id=1337

৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৯

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: কামাল১৮ বলেছেন: “আশা করা যায় আল্লাহ তাদের ক্ষমা করবেন”
এটি আয়াতের একটি অংশ।আশা করা যায় বলতে কি বুঝায়।আল্লাহ কার কাছে আশা করছেন?
- বহু জায়গা থেকে বহু কিছু বলতে পারতেন, কিন্তু আপনি এমন একটা অংশ নিয়ে বলেছেন যেটা বাচ্চায়ও বুঝবে। আপনি আর রাজিব নুর এখনও বেসিক লেভেলের নাস্তিকই রয়ে গেলেন। উন্নতি হলো না।

লেখক যেভাবে লিখেছেন, "যারা মিশ্রিত আমল করেছে , ভালো ও মন্দ কাজের মিশ্রিত আমল এবং পরে তওবা করেছে, আশা করা যায় আল্লাহ তাদের ক্ষমা করবেন" সেখান থেকে যে কোন মানুষ, যে ক্লাস ৫ পাশ করেছে (চিটিং ছাড়া) সেও বুঝবে যে "যারা মিশ্রিত আমল করেছে" এবং "পরে তওবা করেছে", তারাই আশা করতে পারে যে আল্লাহ তাদের ক্ষমা করবেন!

৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: আচ্ছা। ভালো।

৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৪৮

কামাল১৮ বলেছেন: উনি বলেছেন,এতো নাম্বার আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন।আপনি আবার বেশি বুঝে ফেললেন।

৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ভোর ৪:৫২

ডাঃ আকন্দ বলেছেন: মহান আল্লাহ নিজের অন্তরের নিকট আশা করেছেন । আর এটা স্বাভাবিক । মানুষ নিজের দেহ নিয়ে চিন্তা করলেই স্রষ্টাকে খুঁজে পাবে । যদি কেউ খুঁজে না পায় , তাহলে সে হতভাগ্য । তার হৃদয়ে সততা নীতি আদর্শ নেই অর্থাৎ কোনো কল্যাণ নেই । ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.