নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
যুদ্ধের পক্ষে অধিকাংশ কংগ্রেস সদস্য মত দেয়ার পর, প্রেসিডেন্ট জেমস ম্যাডিসন ১৮১২ সালের ১৮ জুন ব্রিটেনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক যুদ্ধ ঘোষণা করেন। যুদ্ধের পক্ষে-বিপক্ষে কংগ্রেস চরমভাবে বিভক্ত হয়ে পরে। পশ্চিম ও দক্ষিণ অঞ্চলের অধিকাংশ কংগ্রেস সদস্য যুদ্ধের পক্ষে ছিল, অপরদিকে ফেডেরালিস্টরা যুদ্ধের বিপক্ষে ছিল। আবার কিছু সদস্য ছিল, যারা যুদ্ধের পক্ষেও না, আবার বিপক্ষেও না। এই ধরণের পক্ষ-বিপক্ষ অবস্থান আমেরিকার যুদ্ধ অভিযানকে দুর্বল করে তুলে।
কানাডা ছিল তখন ব্রিটেনের উপনিবেশ, আমেরিকানরা প্রথমেই কানাডাকে আক্রমণ করে বসে। মার্কিন সেনাধ্যক্ষদের ধারণা ছিল তাদের প্রস্তুতি ভালো, তাই অতর্কিত আক্রমণ করে কানাডা দখল করে নিবে। কিন্তু স্যার আইজেক ব্রুকের নেতৃত্বাধীন ব্রিটিশ বাহিনী মার্কিন বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তুলে। আমেরিকার কানাডা অভিযান ব্যার্থ হয়। ব্রুক ও টাকুমেসএর নেতৃত্বাধীন বাহিনীর প্রবল পাল্টা আক্রমণের মুখে মার্কিন বাহিনীর প্রধান মিশিগান উইলিয়াম হাল ডেট্রয়েট শহরে আত্মসমর্পন করেন। ১৮১২ সালের ১৬ অগাস্ট মাসে এই যুদ্ধে মার্কিন বাহিনী সুচনীয় পরাজয় বরণ করে।
অপর দিকে মার্কিন নৌবাহিনী যুদ্ধে অনেক সাফল্য অর্জন করে। তারা ১৮১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে লেক এরিতে বিজয় অর্জন করে। ১৮১৪ সালের ৬ এপ্রিল ফ্রান্সের সম্রাট নেপোলিয়ান বোনাপার্ট ক্ষমতা চ্যুত হলে, ব্রিটেনের শক্তি আরো বেড়ে যায়। তারা বিনা বাঁধায় আমেরিকাতে আরো সৈন্য পাঠাতে সক্ষম হয়। ১৮১৪ সালের আগস্টে মাসে শক্তিশালী ব্রিটিশ সেনা দল আমেরিকার মূল ভূখণ্ডে অবতরণ করে রাজধানী ওয়াশিংটন ডি. সি. দখল করে নেয়। অবশ্য কয়েক সপ্তাহ পরে তারা সেনা প্রত্যাহার করে নেয়। ১৮১৪ সালে ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তবে গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ সংঘটিত হয় এই চুক্তি স্বক্ষরিত হওয়ার পর। ১৮১৫ সালের ৮ জানুয়ারী ব্রিটিশ বাহিনী নিউ অরলিন্স যুদ্ধে সুচনীয় পরাজয় বরং করে।
©somewhere in net ltd.