নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিংশ শতাব্দীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র -- তৃতীয় পর্ব

২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:২৪

মহিলাদের ভোটাধিকার

যুক্তরাষ্ট্রে ১৯২০ সালে মহিলাদের ভোটাধিকার প্রতিষ্টার আগে দশকের পর দশক ভোটের অধিকারের জন্য মহিলাদের আন্দোলন সংগ্রাম করতে হয়েছে। পূর্ণ ভোটাধিকার পাওয়ার আগে কখনো শুধুমাত্র স্থানীয় পর্যায়ে, কখনো শুধু রাজ্য পর্যায়ে আবার কখনো সীমিত আকারে এই অধিকার প্রদান করা হয়েছে।

আঠার শতকের ৪০এর দশকে মহিলাদের ভোটাধিকারে দাবিতে আন্দোলন শক্তিশালী হয়ে উঠে। ১৮৪৮ সালে নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত মহিলাদের অধিকার সংক্রান্ত এক সম্মেলনে অন্যান্য প্রস্তাবের সাথে মহিলাদের ভোটাধিকারের প্রস্তাব গৃহীত হয়। অবশ্য মহিলাদেরই কোনো কোনো গ্ৰুপ এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে এই বলে যে, মহিলাদের ভোটাধিকারে দাবি এক ধরণের বাড়াবাড়ি। ১৮৫০ সালে ম্যাসাচুসেটসে অনুষ্ঠিত প্রথম জাতীয় মহিলা সম্মেলনে মহিলাদের ভোটাধিকারের দাবি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসাবে উঠে আসে।

১৮৬৯ সালে একই সময়ে মহিলাদের ভোটাধিকার আদায়ের জন্য দুইটা প্রতিযোগী সংগঠন গড়ে উঠে। একটা সংগঠনের নেতৃত্বে ছিলেন সুসান বি. এন্থনি ও এলিজাবেথ ক্যাডি স্ট্যান্টন, অপর সংগঠনের নেতৃত্বে ছিলেন লুসি স্টোন। দুই সংগঠনের মধ্যে দীর্ঘ বিরোধের পর ১৮৯০ সালে তারা একত্রিত হয়ে জাতীয় আমেরিকান মহিলা ভোটাধিকার সমিতি বা National American Woman Suffrage Association (NAWSA) গঠন করে। সুসান বি. এন্থনি এই নতুন সংগঠনের নেতৃত্ব দেন।

মহিলারা আশা করেছিল যে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট 'ভোটাধিকার মহিলাদের সাংবিধানিক অধিকার' এমন রায় দিবে। ১৮৭০ সালে মহিলারা ভোট দিতে চেষ্টা করে ব্যার্থ হওয়ার পর তারা আইনি লড়াই শুরু করে। ১৮৭২ সালে মহিলা নেত্রী সুসান বি. এন্থনি ভোট দিতে সক্ষম হলেও আইন ভঙ্গের জন্য গ্রেফতার হন এবং বিচারে দোষী সাব্যস্থ হন। এই মামলা ব্যাপক প্রচার লাভ করে এতে মহিলাদের ভোটাধিকার আন্দোলন বেগবান হয়ে উঠে। এদিকে সুপ্রিম কোর্ট মহিলাদের ভোটাধিকার অ-সাংবিধানিক বলে ঘোষণা করে। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পর মহিলারা 'ভোটাধিকার সাংবিধানিক অধিকার' এই দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান সংশোধনের আন্দোলন শুরু করেন।

এলিস পল ১৯১৬ সালে জাতীয় মহিলা দল বা National Woman's Party (NWP) গঠন করেন। ১৯১৭ সালে এই দলের সদস্যরা হোয়াইট হাউসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও অনশন ধর্মঘট শুরু করলে, প্রায় ২০০ সদস্যকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তাদের জোর করে অনশন ভাঙ্গায় ও জেলহাজতে বন্দি করে। ১৯১৭ সালের এপ্রিল মাসে ১১টা রাজ্য প্রথম বারের মতো মহিলাদের ভোটাধিকার প্রদান করে। অবশেষে দীর্ঘ বিতর্ক ও কয়েক দফা ভোটাভোটির পর ১৯২০ সালের ২৬ আগস্ট মার্কিন কংগ্রেসে মহিলাদের ভোটাধিকার প্রতিষ্টার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র সংবিধানের ১৯ তম সংশোধনী গৃহীত হয়। এই সংশোধনীতে বলা হয়, "মার্কিন নাগরিকদের ভোট প্রদানের অধিকার স্ত্রী-পুরুষ ভেদে অস্বীকার করা যাবে না।"

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৩৪

রিফাত হোসেন বলেছেন: এই সংশোধনীতে বলা হয়, "মার্কিন নাগরিকদের ভোট প্রদানের অধিকার স্ত্রী-পুরুষ ভেদে অস্বীকার করা যাবে না।"

২৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ৯:২৬

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র সংবিধানের ১৯ তম সংশোধনীর মাধ্যমে মহিলাদের ভোটাধিকার প্রদান করা হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.