নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
অভ্যন্তরীন অভিবাসন
এই শতাব্দীর আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলো যুক্তরাষ্ট্রে অভ্যন্তরীন অভিবাসন। প্রায় ১০ লক্ষ ৪০ হাজার কালো আমেরিকান দক্ষিণের রাজ্যগুলি থেকে উত্তর ও মধ্যে-পশ্চিম অঞ্চলের রাজ্যগুলিতে চলে আসে। বিশেষ করে এই রাজ্যগুলির বড়বড় শহরগুলিতে তারা বসবাস শুরু করে। এই অভ্যন্তরীন অভিবাসনের পিছনে মূলত দুইটা কারণ ছিল, যথা- (১) বর্ণবাদী ঘৃণা থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখা, এবং (২) ভালো কর্মসংস্থান লাভ করা। দুই দফায় এই অভিবাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়, প্রথম দফা ১৯১০ থেকে ১৯৪০ সাল পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় দফা ১৯৪০ সাল থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত। এই প্রক্রিয়ার ভিতর দিয়ে শতকরা ৯০ ভাগ আফ্রিকান-আমেরিকান গ্রাম অঞ্চল থেকে শহর অঞ্চলে স্থানান্তরিত হয়। অর্থাৎ বর্তমান শতকরা ৯০ ভাগ আফ্রিকান-আমেরিকান শহরে বাস করে। ১৯০৯ সালে কালোদের উন্নয়নের জন্য জাতীয় সংস্থা (The National Association for the Advancements of Colored Peoples) গঠন করা হয়। এতদসত্ত্বেও ১৯১৯ সালে কয়েকটা শহরে বর্ণ দাঙ্গা সংঘটিত হয়।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনকে সীমিত করার জন্য ১৯২১ সালে একটা আইন পাস করা হয়। যা Emergency Quota Act বা Emergency Immigration Act of 1921 বা Immigration Restriction Act of 1921 নামে পরিচিত। এই আইন পাশের মাধ্যমে আমেরিকার অভিবাসন নীতির ব্যাপক পরিবর্তন আসে। এই আইনের মাধ্যমে প্রতি বছরের জন্য অভিবাসীদের একটা সংখ্যা নির্ধারণ করে দেয়া হয় এবং একটা কোটা পদ্ধতি চালু করা হয়।
ইমার্জেন্সি কোটা আইনে বিধান রাখা হয়, ১৯১০ সালের আদমশুমারি অনুসারে যে দেশের যত সংখ্যক মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে বাস করে তার শতকরা ৩ ভাগ ওই দেশ থেকে প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হিসাবে আসতে পারবে। এরফলে পূর্ব ও দক্ষিণ ইউরোপের বা ইউরোপের বাইরের দেশগুলির তুলোনায় উত্তর ইউরোপ থেকে অধিক সংখ্যক মানুষ প্রতি বছর অভিবাসী হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রে আসতে পারবে। তবে পেশাজীবীদের জন্য দেশ নির্বিশেষে কোনো কোটা থাকবে না। তারা যে কোনো সংখ্যায় আসতে পারবে। এই আইনে ল্যাটিন আমেরিকান দেশগুলির জন্য কোনো সংখ্যা সীমা নির্ধারণ করা হয় নাই। আবার যেসমস্ত দেশের সাথে অভিবাসনের ব্যাপারে যুক্তরাষ্টের দ্বিপক্ষীয় চুক্তি আছে, সে ক্ষেত্রেও এই আইন প্রযোজ্য হবে না।
ইমার্জেন্সি কোটা আইনের কারণে অভিবাসীর সংখ্যা কমে আসতে থাকে। ১৯২০ সালে যেখানে ৮,০৫,২২৮ জন অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে আসে, সেখানে ১৯২১-২২ সালে আসে ৩,০৯,৫৫৬ জন। পূর্ব ও দক্ষিণ ইউরোপের দেশগুলি থেকে অভিবাসীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে যায়।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপ ও আমেরিকা উভয়েই অর্থনৈতিক মন্দা ও সামাজিক অস্থিরতা দেখা দেয়। ইউরোপে যুদ্ধের ক্ষয়-ক্ষতি, রুশ বিপ্লব, অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয়ান সাম্রাজ্যের পতন, ওসমানীয় খিলাফতের পতন ইত্যাদি কারণে ওই সময় অনেক মানুষ অভিবাসী হিসাবে আমেরিকাতে আসে। এতে আমেরিকাতে বেকারত্বের সংখ্যা বেড়ে যায়।
বেকারত্ত্ব বেড়ে যাওয়ার কারণে আমেরিকাতে অভিবাসন বিরোধী আন্দোলন জোরদার হয়ে উঠে। এর পরিপ্রেক্ষেতে নতুন অভিবাসন আইন, ১৯২৪ (Immigration Act of 1924) পাস হয়। নতুন আইনের ফলে অভিবাসী আগমনের সংখ্যা আরো কমে যায়। এর পর অভিবাসনের ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি বাতিল করে মেধা এবং পরিবার ভিত্তিক নতুন আইন, অভিবাসন এবং জাতীয়তা আইন, ১৯৬৫ (Immigration and Nationality Act of 1965) প্রণয়ন করা হয়।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৯
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: আন্তরিক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৩৬
প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: আপনাকে একটা কথা বলি। লাইক বা কমেন্টের প্রত্যাশ্যা যেন আপনার লেখনীকে থামিয়ে না দেয়। কারণ বেশিরভাগ ভিউয়ার লগিন না করলেও আপনার লেখা মনোযোগ সহকারে পড়ে। পরের পর্বের প্রত্যাশায়..