নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
তোলপাড় করা বিশের দশক -২
সার্বজনীন সংস্কৃতির বিকাশ
বিংশ শতাব্দীর বিশের দশকে আমেরিকানদের হাতে প্রচুর টাকা চলে আসে। ফলে প্রয়োজনীয় খরচ করার পরও অনেকের কাছেই অতিরিক্ত টাকা থেকে যায়। আমেরিকানরা এই অতিরিক্ত টাকা ভোগ্যপণ্য ও বিলাসসামগ্রী কেনায় ব্যায় করতে থাকে। তারা দোকান থেকে নানান ধরণের তৈরি পোশাক, জামা-কাপড়, জুতা ইত্যাদি কিনতে অনেক টাকা খরচ করতে থাকে। প্রায় প্রতি বাড়িতেই ইলেকট্রিক ফ্রিজ কেনা হয়। বিশেষ করে এমন কোনো পরিবার নেই যারা রেডিও কিনেনাই। অর্থাৎ প্রায় সব বাড়িতেই রেডিও ছিল। ১৯২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম রেডিও স্টেশন কেডিকেএ (KDKA) পিটসবার্গ থেকে সমপ্রচার শুরু করে। এরপরে তিন বছরের মধ্যে পাঁচ শ'র অধিক রেডিও স্টেশন আমেরিকাতে চালু হয়ে যায়। বিশের দশকের শেষ দিকে ১ কোটি ২০ লক্ষেরও বেশী বাড়িতে রেডিও ছিল। আমেরিকানরা হলে যেয়ে সিনেমা দেখতে শুরু করে। ঐতিহাসিকরা ধারণা করেন ওই সময়ে তিন-চতুর্থাংশ আমেরিকান প্রতি সপ্তাহে সিনেমা দেখতে হলে যেত।
তবে ঊনিশ শতকের বিশের দশকে সবচাইতে উল্লেখযোগ্য ভোগ্যপণ্য ছিল মোটরগাড়ি। দশকের শুরুতেই কম দামে এবং সহজ শর্তে ঋণ পাওয়ার কারণে বিলাসবহুল মোটরগাড়ি সাধারণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে চলে আসে। ১৯২৪ সালে ২৬০ ডলার দিয়ে ফোর্ডের মডেল টি গাড়িটা কেনা যেত। দশকের শেষ দিকে মোটরগাড়ি বিলাস দ্রব্যের পরিবর্তে একটা বাস্তব প্রয়োজনীয় জিনিষ হিসাবে গণ্য হয়। ১৯২৯ সালে প্রতি পাঁচ জন আমেরিকানের জন্য একটা গাড়ি ছিল। আবার মোটরগাড়িকে কেন্দ্র করে অনেক নতুন নতুন বেবসা-বাণিজ্যের প্রসার লাভ করে, যেমন-গাড়ি মেরামত ও রক্ষনাবেক্ষনের জন্য ওয়ার্কসপ, পেট্রোল পাম্প, ইত্যাদি। আবার ড্রাইভার ও যাত্রীদের থাকার জন্য মোটেল, খাবারের দোকান ইত্যাদি।
জ্যাজ সংগীতের যুগ
বিশের দশকে কালো আমেরিকানরা আফ্রিকান ও ইউরোপিয়ান সংগীতের সংমিশ্রনে জ্যাজ সঙ্গীতধারার জন্মদেয়। সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে এই সময় কালকে জ্যাজ সংগীতের যুগ বলে অভিহিত করা হয়। এই সময়ে প্রচলিত সংগীতধারার বদলে নতুন এক সংগীত ও নৃত্যধারার জন্ম হয়। কালোরা ছাড়াও মধ্যবিত্ত সাদা আমেরিকানরাও জ্যাজ সংগীতকে গ্রহণ করে। তবে উচ্চবিত্ত সাদারা এটাকে অপসংস্কৃতি এবং অশ্লীল বলে অবজ্ঞা করে। নিউ অরলিন্সে এই সংগীত ধারার সূচনা হলেও উত্তরের বড়বড় শহর যেমন, নিউ ইউর্ক, শিকাগোতে এর জনপ্রিয়তা ও প্রসার লাভ করে। এই নতুন সংগীতধারা আমেরিকার সংস্কৃতিক পরিমন্ডলে একটা পরিবর্তন নিয়ে আসে। অল্প সময়ে এর জনপ্রিয়তার একটা কারণ হলো, ওই সময়ে আমেরিকাতে মদ নিষিদ্ধ থাকায় অবৈধ নাইট ক্লাব ও মদের দোকানে বেআইনি ভাবে মদ বিক্রির সাথে সাথে জ্যেজ সংগীত পরিবেশন করা হতো। তাছাড়া ওই সময়ে গান রেকর্ডিংয়ের উন্নত প্রযুক্তি আবিষ্কার হয়। এছাড়াও ওই সময়ে কয়েক জন বিখ্যাত শিল্পী যেমন-ডিউক এলিংটন, ক্যাব ক্যালোয়ায়, চিসিক ওয়েব প্রমূখ এবং কয়েকটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র যেমন- অ্যাপোলো থিয়েটার, কটন ক্লাব ইত্যাদি জ্যেজ সংগীতের জনপ্রীতির পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। ওই সময়ে ব্যাপকভাবে রেডিও সম্প্রচারের কারণেও জ্যেজ সংগীত দ্রুত ও সহজেই শ্রুতাতের কাছে পৌঁছে যায়।
জ্যেজ সংগীতধারা ছিল অনেকটা প্রচলিত ও ঐতিহ্যগত সংস্কৃতির বিরুদ্ধে বিদ্রোহের মতো। এই বিদ্রোহের পিছনে কালো আমেরিকান, মধ্যবিত্ত সাদা আমেরিকান ও নতুন মহিলা সমাজের ভূমিকা ছিল।
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪০
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: এটা একটা মূল্যায়ন মাত্র। যেকোনো মূল্যায়ন একজনের কাছে সঠিক মনে হলেও অন্যের কাছে সঠিক মনে নাও হতে পারে। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল কিছু লিখুন। কঠিন কথা ভালো লাগে না।
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৬
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: আমি যে বিষয় নিয়ে লিখছি, তার উপর অনেক বড়বড় জটিল-কঠিন কিতাব লেখা হয়েছে। আমি ওই সমস্ত জ্ঞানগর্ভ কথা থেকে সহজ-সরল করে, ছোটছোট বাক্যে, সহজ সহজ শব্দে, আমার মতো সহজ সরল সাধারণ মানুষের উপযোগী করে লিখছি। এরপরও কঠিন মনে হলে, এটা আমার ব্যর্থতা। আমি চেষ্টা করব আমার ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠার জন্য। কষ্টকরে পড়ার জন্য ধ্যনবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:০৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: জ্যেজ সংগীতধারা ছিল অনেকটা প্রচলিত ও ঐতিহ্যগত সংস্কৃতির বিরুদ্ধে বিদ্রোহের মতো। এই বিদ্রোহের পিছনে কালো আমেরিকান, মধ্যবিত্ত সাদা আমেরিকান ও নতুন মহিলা সমাজের ভূমিকা ছিল। ধন্যবাদ , সঠিক মুল্যায়নের জন্য ।