নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
ওয়াল স্ট্রিট ধ্বস
১৯২৯ সালে আমেরিকার অর্থনৈতিক অবস্থা দ্রুত খারাপ হতে থাকে। মানুষের কাছে নতুন গাড়ির চাহিদা কমে আসে। নতুন বাড়ি বানানোর গতি কমে আসে। কিন্তু বিশের দশকের শেষ দিকেও পুঁজি বাজারে তেজীভাব বজায় থাকে। মানুষ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে স্টক মার্কেট থেকে শেয়ার কিনতে থাকে। এতে শেয়ার মার্কেটে শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক ভাবে বাড়তে থাকে। শেয়ারের দাম আকাশচুম্বি হয়ে উঠে। ফলে কিছু লোক এই সুযোগে তাদের শেয়ার বিক্রি করে দিতে থাকে। ১৯২৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে শেয়ারের দাম দ্রুত কমে যেতে থাকে। শেয়ার ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পরে। ১৯২৯ সালের ২৪ অক্টোবর শেয়ার বাজারে ধ্বস নেমে আসে। এই দিনকে বলা হয় ব্ল্যাক থ্রাসডে (Black Thursday) এবং এই ঘটনাকে বলা হয় ওয়াল স্ট্রিট ধ্বস (Wall Street Crash)। ফলশ্রুতিতে বিনিয়োগকারীদের ব্যবসার প্রতি আস্থা নষ্ট হয়ে যায়; অধিকাংশ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হয়ে যায় এবং শিল্প উৎপাদন ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়। ১৯৩২ সালে শিল্পপণ্য উৎপাদন অর্ধেকে নেমে আসে। ১৯২৯ সালের তুলনায় রফতানী বাণিজ্য এক-তৃতীয়ংশে নেমে আসে। বেকারত্ব বেড়ে যায়। এক-চতুর্থাংশ কর্মক্ষম ব্যক্তি বেকার হয়ে যায়। বেকারত্ব বাড়ার সাথে সাথে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে আসে। ফলে পণ্য চাহিদা কমে আসায় উৎপাদন আরো কমে যায়, এতে আরও লোক বেকার হতে থাকে। এই ভাবে আমেরিকার অর্থনীতি খারাপ থেকে আরো খারাপের দিকে যেতে থাকে। এই অবস্থাটাকে বলা হয় মহা-মন্দা (Depression)
অর্থনৈতিক মন্দা (depression)
বিংশ শতাব্দীর ত্রিশের দশককে যুক্তরাষ্ট্র সহ সারা পৃথিবীতে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে মন্দা দেখা দেয়। অনেক দিন পর্যন্ত এই মন্দা স্থায়ী হয়। এই মন্দা ছিল অনেক গভীর ও ব্যাপক। একটা সবল অর্থনীতি কি ভাবে মন্দার কবলে পড়তে পারে অর্থনীতিবিদের কাছে এটা ছিল এক জ্বলন্ত উদাহরণ। শেয়ার বাজার পতনের মাধ্যমে এই মন্দার সূচনা হয়। এই সময়ে হার্বার্ট হোভার যুক্তরাষ্ট্রের ৩১ তম প্রেসিডেন্ট হিসাবে ক্ষমতায় ছিলেন। তিনি মন্দ কাটিয়ে উঠার জন্য অনেক পদক্ষেপ নেন। তিনি প্রথমে মালিকদেরকে রাজি করতে চেষ্টা করেন যাতে কর্মচারীদের বেতন না কমিয়ে অন্ততপক্ষে যা আছে সেই পরিমান বজায় রাখতে। মানুষের যাতে কর্মসংস্থান হয় এবং আয় করতে পারে সেই জন্য রাস্তা, ব্রিজ এবং সরকারী ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন। কিন্তু তিনি বেকার ভাতা দিতে অস্বীকার করেন। তিনি মনে করতেন বিনা-পরিশ্রমে সরকারী ভাতা জনগণকে অলস ও সরকারী ভাতার উপর নির্ভশীল করে তুলবে। ফলে মন্দার সময়ে বেকারদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠে। অনেকেই লঙ্গরখানায় যেয়ে খাবার সংগ্রহ করতো। এতে প্রেসিডেন্ট হোভারের জনপ্রিয়তায় ধ্বস নামে। ১৯৩২ সালের নির্বাচনে ফ্র্যাংকলিন ডিলান রুজভেল্ট আমেরিকার ৩২ তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:০২
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: আসলে এই ঘটনাগুলি ঐতিহাসিক সত্য। এখানে আমার কোনো মন্তব্য নাই। উত্থান-পতন, যুদ্ধ-বিগ্রহ, হাঁসি-কান্না, সংগ্রাম-প্রচেষ্টার ভিতর দিয়ে একটা শক্তিশালী রাষ্ট্র এগিয়ে গেছে। আমরা ইতিহাস থেকে ভালো ভালো দিকগুলি শিখতে পারি, খারাপ দিকগুলি থেকে দূরে থাকতে পারি। কিন্তু ইতিহাসের শিক্ষা হচ্ছে, ইতিহাস থেকে কেউ শিখেনা।
২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:৪৫
তপোবণ বলেছেন: লেখার পর্ব গুলো খুব উপভোগ করছি। ধন্যবাদ লেখককে।
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:০৪
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: আপনার ভালো লাগছে জেনে আমারও ভালো লাগছে। পড়তে থাকুন।
৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: বিষয় টি জেনে ভালো লাগল।
৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:০৫
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:১৬
টারজান০০০০৭ বলেছেন: পরের পর্বে কেমনে ডিপ্রেশন কাটলো জানাইতে হপে কিন্তুক ! আমার ডিপ্রেশন কাটাইতে হপে যে !
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৪:১১
রিফাত হোসেন বলেছেন: প্রেসিডেন্ট হোভার সঠিক ছিলেন। আরেকটা Black Thursday খুব দরকার। তাদের যুদ্ধের তেজটা একটু হলেও আরাম পাবে।
আমি আছি, চালিয়ে যান।