নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
অনুচ্ছেদ ১
ধারা ৩।
দফা ১। প্রতি রাজ্য থেকে ঐ রাজ্যের জনগণের সরাসরি ভোটে ছয় বছরের জন্য নির্বাচিত দুইজন করে সিনেটর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট গঠিত হবে; এবং প্রত্যেক সিনেটরের একটি করে ভোট থাকবে। রাজ্য বিধানসভার নির্বাচনে ভোটার হওয়ার যোগ্য ব্যক্তিরাই এই নির্বাচনে ভোটার হিসাবে গণ্য হবে।
ভাষ্য
প্রত্যেক রাজ্য থেকে দুইজন করে সিনেটর থাকবে। ৫০টা রাজ্য থেকে মোট ১০০ জন সিনেটর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট গঠিত। সিনেটররা জনগণের সরাসরি ভোট নির্বাচিত হবেন। মূল সংবিধানে সরাসরি ভোটের বিধান ছিল না। তখন প্রত্যেক রাজ্যের আইনসভার মাধ্যমে ঐ রাজ্যের সিনেটর নির্বাচিত হতো। সংবিধানের ১৭ তম সংশোধনীর মাধ্যমে সরাসরি ভোটার মাধ্যমে সিনেটর নির্বাচনের বিধান করা হয়।
সিনেটরদের পদের মেয়াদ হবে ছয় বছর। সিনেটে প্রত্যেক সিনেটর একটা করে ভোট দিতে পারবেন। রাজ্য বিধানসভার নির্বাচনে যারা ভোটার তারাই সিনেট নির্বাচনের ভোটার হিসাবে গণ্য হবেন।
দফা ২। প্রথম নির্বাচনের ফল ঘোষিত হওয়ার পর অধিবেশনে মিলিত হওয়ার অব্যবহিত পরই তারা সমভাবে তিনটা শ্রেণীতে ভাগ হয়ে যাবে। প্রথম শ্রেণীর সিনেটরদের আসন দ্বিতীয় বছরে শূন্য হয়ে যাবে, দ্বিতীয় শ্রেণীর আসন চতুর্থ বছরে শূন্য হবে, এবং তৃতীয় শ্রেণীর আসন ষষ্ঠ বছরে শূন্য হবে, যাতে এক-তৃতীয়াংশের নির্বাচন প্রতি দ্বিতীয় বছরে অনুষ্ঠিত হয়। যখন সিনেটে কোনো রাজ্যের প্রতিনিধির পদ শূন্য হবে, সেই রাজ্যের নির্বাহী কর্তৃপক্ষ ওই শূন্য পদ পূরণের জন্য নির্বাচনী প্রজ্ঞাপন জারি করবেন: তবে শর্ত থেকে যে, কোনো রাজ্যের আইনসভা এই মর্মে নির্বাহী কর্তৃপক্ষকে ক্ষমতা প্রদান করতে পারে যে জনগণের ভোটে নিবাচিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সাময়িক ভাবে কাউকে নিয়োগ দিতে পারবেন।
ভাষ্য
সিনেটরদের পদের মেয়াদ ছয় বছর হলেও, প্রথম সিনেট গঠিত হওয়ার পর সকল সিনেটরদেরকে তিনটা ভাগে ভাগ করা হয়। প্রথম ভাগের সিনেটরদের মেয়াদ দুই বছর পর শেষ হয়ে যায়। অর্থাৎ দুই বছর পর এক-তৃতীয়ংশ পদের নির্বাচন হয়, তাদের মেয়াদ ছয় বছর। দ্বিতীয় ভাগের সিনেটরদের মেয়াদ চার বছর পর শেষ হয়ে যায়। অর্থাৎ চার বছর পর আরো এক-তৃতীয়ংশ পদের নির্বাচন হয়, তাদের মেয়াদও ছয় বছর। তৃতীয় ভাগের সিনেটরদের মেয়াদ শেষ হয় ছয় বছর পর। অর্থাৎ ছয় বছর পর অবশিষ্ট এক-তৃতীয়ংশ পদের নির্বাচন হয়, তাদের মেয়াদও ছয় বছর। এতে দাঁড়াচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট কখনো এক সাথে শূন্য হবে না। প্রতি দুই বছর পর পর এক- তৃতীয়ংশ সিনেটর পদে নির্বাচন হবে।
কোনো সিনেটরের পদ খালি হলে, তিনি যে রাজ্য থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন সেই রাজ্যের নির্বাহী কর্তৃপক্ষ, মানে ওই রাজ্যের গভর্নর নতুন নির্বাচনের ঘোষণা দিবেন। কোনো রাজ্যের আইনসভা ইচ্ছা করলে গভর্নরকে এমন ক্ষমতা দিতে পারে যে, জনগণের সরাসরি ভোট নির্বাচিত হওয়ার আগ পর্যন্ত গভর্নর অস্থায়ী ভাবে একজনকে সিনেটর হিসাবে নিয়োগ দিতে পারেন। এর উদ্দেশ্য হলো নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত সিনেটে ঐ রাজ্যের সিনেটরের পদ খালি থাকবে না। অর্থাৎ সবসময় সিনেটে রাজ্যের প্রতিনিধি থাকবে।
দফা ৩। কোনো ব্যক্তি সিনেটর হতে পারবে না, যার বয়স ত্রিশ বছর হয়নি, এবং যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিক হয়েছেন তা নয় বছর হয়নি, এবং তিনি যে রাজ্য থেকে নির্বাচন করবেন বলে ঠিক করেছেন নির্বাচনের সময় সেই রাজ্যের বাসিন্দা ছিলেন না।
ভাষ্য
এই দফায় সিনেটর হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার তিনটি যোগ্যতার কথা বলা হয়েছে।
(১) প্রার্থীর বয়স ত্রিশ বছর হতে হবে;
(২) যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হিসাবে নয় বছর অতিবাহিত হতে হবে; এবং
(৩) তিনি যে রাজ্য থেকে সিনেটর নির্বাচিত হতে চান, তাকে সেই রাজ্যের বাসিন্দা হতে হবে।
দফা ৪। যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট সিনেটের প্রেসিডেন্ট হবেন, কিন্তু তার কোনো ভোট থাকবে না, যদি না তারা সমান ভাবে বিভক্ত হয়ে পরে।
ভাষ্য
ভাইস প্রেসিডেন্ট পদাধিকার বলে সিনেটের প্রেসিডেন্ট হিসাবে গণ্য হবেন। তবে তিনি কোনো প্রস্তাবের পক্ষে বা বিপক্ষে ভোট দিতে পারবেন না। তিনি শুধু মাত্র সভাপতি হিসাবে সিনেটের অধিবেশন পরিচালনা করবেন। তবে কোনো প্রস্তাবের পক্ষে বিপক্ষে সমান সংখ্যক ভোট পড়লে সেই ক্ষেত্রে সিনেট সভাপতি যে কোনো পক্ষে তার ভোট প্রদান করতে পারবেন।
দফা ৫। সিনেট তাদের অন্যান কর্মকর্তাদের মনোনয়ন করবে, এবং ভাইস প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতিতে বা তিনি যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্বরত থাকবেন তখন একজন প্রেসিডেন্ট প্রো টেমপোরি মনোনয়ন করবে।
ভাষ্য
সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা এবং সংখ্যালঘিষ্ঠ নেতা সিনেটরদের দ্বারাই মনোনীত হবেন। সাধারণত সিনেটের অধিবেশন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট সভাপতিত্ব করেন। পদাধিকার বলে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্টই সিনেটের প্রেসিডেন্ট। তবে কোনো কারণে যদি ভাইস প্রেসিডেন্ট সিনেটের অধিবেশন পরিচালনা করতে না পারেন, সেই ক্ষেত্রে সিনেট সাধারণত সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের সবচে জ্যেষ্ঠ সিনেটরকে প্রেসিডেন্ট প্রো টেমপোরি হিসাবে মনোনীত করে। প্রেসিডেন্ট প্রো টেমপোরি ভাইস প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতিতে সিনেটের অধিবেশন পরিচালনা করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট যে কোনো কারণে দায়িত্ব পালনে অক্ষম হলে, সেই ক্ষেত্রে ভাইস প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন। ঐ সময়ে প্রেসিডেন্ট প্রো টেমপোরি সিনেটের প্রেসিডেন্ট হিসেবে অধিবেশনে সভাপতিত্ব করবেন
দফা ৬। অভিশংসনের বিচার করার ক্ষমতা একমাত্র সিনেটের। যখন এই উদ্দেশ্য অধিবেশন বসবে তখন তাদেরকে শপথ বা প্রত্যায়ন করতে হবে। যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বিচার হবে তখন প্রধান বিচারপতি অধিবেশনের সভাপতিত্ব করবেন। উপস্থিত সদসদের দুই-তৃতীয়ংশের সম্মতি ছাড়া কাউকে সাজা দেয়া যাবে না।
ভাষ্য
সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১ ধারা ২ দফা ৫ এ বলা হয়েছে অভিশংসনের ক্ষমতা কেবলমাত্র হাউস অফ রিপ্রেসেন্টেটিভসের। অভিশংসন মানে অভিযুক্ত করা। হাউস অফ রিপ্রেসেন্টেটিভসে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে শুধুমাত্র অভিযুক্ত করতে পারবে। কিন্তু কোনো সাজা দিতে পারবে না। সাজা দেয়ার ক্ষমতা শুধুমাত্র সিনেটের। অভিযোগ প্রমাণিত হলেও সিনেট ইচ্ছা করলে সাজা দিতেও পারে বা ক্ষমা করে দিতে পারে।
কারো বিরুদ্ধে অভিশংসনের বিচার করার জন্য যখন অধিবেশন বসবে তখন সব সিনেটরকে আবার শপথ নিতে হবে। সাধারণত ভাইস প্রেসিডেন্ট বা তার অনুপস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট প্রো টেমপোরি সিনেট অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন, কিন্তু যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের অভিশংসনের বিচার হবে তখন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সিনেট অধিবেশনের সভাপতিত্ব করবেন।
অভিশংসনের বিচারে কাউকে সাজা দিতে হলে, উপস্থিত সদসদের দুই-তৃতীয়ংশের সম্মতির প্রয়োজন হবে।
দফা ৭। অভিশংসনের বিচারে রায়ে শুধুমাত্র পদ থেকে অপসারণ, এবং যুক্তরাষ্ট্রের সম্মানজনক পদ, ট্রাস্ট পদ, বা লাভজনক পদ গ্রহণ বা ভোগ করা থেকে অযোগ্য ঘোষণা করতে পারবে: কিন্তু তা সত্ত্বেও দণ্ড প্রাপ্ত পক্ষ আইন অনুসারে অভিযুক্ত হওয়া, বিচারের সম্মুখীন হওয়া, রায় এবং দণ্ডের সম্মুখীন হতে পারবে।
ভাষ্যে
অভিশংসনের বিচারে কোনো ব্যক্তি দোষী প্রমাণিত হলে, সিনেট দোষী বেক্তিকে তার পদ থেকে অপসারণ করতে পারবে এবং দোষী ব্যক্তি যাতে রাষ্ট্রের কোনো সম্মানজনক পদ, ট্রাস্ট পদ, বা লাভজনক পদ গ্রহণ বা ভোগ করতে না পারে তার জন্য ওই ব্যক্তিকে অযোগ্য ঘোষণা করতে পারে। এর বাইরে সিনেট ওই দোষী ব্যক্তিকে আর কোনো সাজা দিতে পারবে না।
তবে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনের বিধান মতো যেকোনো কার্যক্রম গ্রহণ করা যেতে পারে, এতে কোনো বাধা নেই।
০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:০৮
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান একটি সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা এই শিরোনামে মোট ২৫টা পর্ব আছে। সবগুলি পর্ব পড়লে আপনি যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের সবটাই জানতে পারবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা জুন, ২০১৭ রাত ১১:২৪
ফিলিপস বলেছেন: Nice... want more.