নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
অনুচ্ছেদ ১
ধারা ৫।
দফা ১। প্রতিটি পরিষদ নিজেদের সদস্যদের নির্বাচন, রিটার্ন এবং যোগ্যতা বিচার করবে, এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের নিয়ে পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনার কোরাম গঠিত হবে; কিন্তু সদস্য সংখ্যা কম হলে ওই দিনের জন্য অধিবেশন মুলতবি হয়ে যাবে, এবং প্রতিটি পরিষদ যেই রকম বিধান করবে সেই অনুসারে অনুপস্থিত সদস্যদেরকে উপস্থিত হতে বাধ্য করা ও জরিমানা করার অনুমতি দেয়া যাবে।
ভাষ্য
এই দফায় দুইটা অংশ আছে এবং এক অংশের সাথে অপর অংশের কোনো সম্পর্ক নাই। প্রথম অংশে সিনেট এবং হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভকে তাদের নিজ নিজ সদস্যদের যোগ্যতা বিচার করা, নির্বাচনী বিরোধ নিষ্পত্তি করা, মনোনয়ন পত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। উদাহর হিসাবে বলা যায়, সিনেট নির্বাচনে দু’জন প্রার্থীই নিজেকে নির্বাচিত বলে দাবি করছে, সেই ক্ষত্রে সিনেট বিচার করে সিদ্ধান্ত নিবে আসলে কে নির্বাচিত হয়েছে। অনুরূপ ভাবে হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভ নির্বাচনে বিরোধ দেখা দিলে, হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভ বিচার করে সিদ্ধান্ত নিবে। এই দফার দ্বিতীয় অংশে উভয় পরিষদের কোরাম সংখ্যা নিয়ে বলা হয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য উপস্থিত থাকলেই অধিবেশনের কোরাম হবে। এর চাইতে কম হলে কোরামের অভাবে ওই দিনের জন্য অধিবেশন মুলতবি হয়ে যাবে। অনুপস্থিত সদস্যদেরকে অধিবেশনে উপস্থিত হতে বাধ্য করার জন্য এবং সদস্যদেরকে জরিমানা করার জন্য উভয় পরিষদ নিজের মতো করে বিধিবিধান প্রণয়ন করবে।
দফা ২। প্রত্যেক পরিষদ কার্যপ্রণালী বিধি প্রণয়ন করবে, সদস্যদের অবাধ্য আচরণের জন্য শাস্তি দিবে, এবং দুই তৃতীয়ংশ সদস্যের সম্মতিতে যে কোনো সদস্যকে বহিষ্কার করবে।
ভাষ্য
সিনেট তাদের নিজেদের কার্যপ্রণালী বিধি প্রণয়ন করবে এবং হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভ তাদের নিজেদের কার্যপ্রণালী বিধি প্রণয়ন করবে। কোনো সিনেটর অবাধ্য আচরণ করলে সিনেট তার বিচার করে শাস্তি দিবে, একই ভাবে কোনো রিপ্রেজেন্টেটিভ অবাধ্য আচরণ করলে হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভ তার বিচার করে শাস্তি দিবে। কোনো সদস্যকে বহিস্কার করতে হলে দুই তৃতীয়ংশ সদস্যের সম্মতি লাগবে।
দফা ৩। প্রত্যেক পরিষদ তার কার্যবিবরণী একটা জার্নালে সংরক্ষণ করবে, এবং তাদের বিবেচনায় যে অংশটার গোপনীয়তা রক্ষা করা প্রয়োজন সেই অংশটা ছাড়া নির্দিষ্ট সময় পরপর তা প্রকাশ করবে; এবং যেকোনো পরিষদের উপস্থিত সদসদের এক পঞ্চমাংশ চাইলে কোনো প্রস্তাবের উপর প্রদত্ত হ্যাঁ বা না ভোটের সংখ্যা জার্নালে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে।
ভাষ্য
কংগ্রেসের উভয় পরিষদ তাদের কার্যবিবরণীর সরকারি রেকর্ড অবশ্যই প্রকাশ করবে। উভয় পরিষদই যখন অধিবেশনে থাকে তখন প্রতিদিনই তাদের কার্যবিবরণী কংগ্রেশনাল রেকর্ড এ প্রকাশ করে, এটাকে ডেইলি ডাইজেস্ট বলে।
দফা ৪। কংগ্রেসের অধিবেশন চলা কালীন সময়ে কোন একটি পরিষদই অপর পরিষদের সম্মতি ছাড়া তিন দিনের বেশী মুলতবি করতে পারবে না, অথবা অন্য কোনো স্থানে অধিবেশন বসাতে পারবে না যেখানে উভয় পরিষদ অধিবেশনে মিলিত হয় না।
ভাষ্য
যাতে এক পরিষদ কাজ থেকে বিরত থেকে অপর পরিষদের কার্যক্রমকে বাধা দিতে না পারে তার জন্য এই বিধান রাখা হয়েছে। অর্থাৎ কংগ্রেসের উভয় পরিষদ একই স্থানে একই সময়ে নিজ নিজ কাজ করে যাবে, যাতে উভয় পরিষদের পারস্পরিক সহযোগিতায় তাদের উপর অর্পিত সাংবিধানিক দায়িত্ব সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হয়।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: হুম।