নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
অনুচ্ছেদ ১
ধারা ৭।
দফা ১। রাজস্ব আদায়ের জন্য সব বিল হাউস অফ রিপ্রেসেন্টেটিভসে উত্থাপন করতে হবে, কিন্তু সিনেট অন্যান্য বিলের মতো সংশোধনী সহ প্রস্তাব করতে পারে বা একমত হতে পারে।
ভাষ্য
রাজস্ব ও কর সংক্রান্ত সব বিল প্রথমে হাউস অফ রিপ্রেসেন্টেটিভে উত্থাপন করতে হবে। হাউস অফ রিপ্রেসেন্টেটিভে বিলটি পাস হলে অন্যান্য বিলের মতোই তা সিনেটে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। সিনেট যেমন অন্যান্য বিল সংশোধন করতে পারে, তেমনই রাজস্ব ও কর সংক্রান্ত বিলও সংশোধন করার ক্ষমতা সিনেটের আছে। বর্তমানে সব বিলের ক্ষেত্রেই একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়, ফলে বর্তমানে এই দফাটি তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়।
দফা ২।একটি বিল আইনে পরিণত হওয়ার আগে হাউস অফ রিপ্রেসেন্টেটিভ এবং সিনেটে পাস হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের নিকট উপস্থাপন করতে হবে; যদি তিনি অনুমোদন করেন তা হলে এতে স্বাক্ষর করবেন, কিন্তু যদি না করেন তাহলে তার আপত্তি সহ যে পরিষদে বিলটির সূচনা হয়ে ছিল সেই পরিষদে ফেরত পাঠাবেন, তারা তাদের জার্নালে আপত্তির বিষয়টা বিস্তারিত ভাবে লিপিবদ্ধ করবেন এবং পুনর্বিবেচনার প্রক্রিয়া শুরু করবেন। যদি এইরূপ পুনর্বিবেচনার পর ওই পরিষদের দুই তৃতীয়ংশ বিলটি পাস করতে সম্মত হয়, তা হলে আপত্তির বিষয়টা সহ এইটা অপর পরিষদে পাঠাবে, এই পরিষদ একই ভাবে এটাকে পুনর্বিবেচনা করবে, এবং ওই পরিষদের দুই তৃতীয়ংশ অনুমোদন করলে, বিলটি আইনে পরিণত হবে। কিন্তু উভয় পরিষদের ভোট হ্যাঁ এবং না ভোটে নির্ধারিত হবে, এবং যথাক্রমে প্রত্যেক পরিষদের জার্নালে যারা বিলের পক্ষে এবং বিপক্ষে ভোট দিয়েছে সেই ব্যক্তিদের নাম লিপিবদ্ধ করতে হবে। যদি কোনো বিল উপস্থাপন করার দশ দিনের মধ্যে (রবিবার দিনগুলি বাদ দিতে হবে) প্রেসিডেন্ট ফেরত প্ৰদান না করেন, তাহলে এটা আইনে পরিণত হবে, অনুরূপভাবে যেন তিনি এটাতে স্বাক্ষর করেছেন যদি না কংগ্রেস তাদের মুলতবি দ্বারা ফেরত প্রদানকে প্রতিহত করে, সেই ক্ষেত্রে এটা আইনে পরিণত হবে না।
ভাষ্য
এই দফায় একটা বিল কিভাবে আইনে পরিণত হয় তার প্রক্রিয়া বর্ণনা করা হয়েছে।
প্রথমে বিলটি উভয় পরিষদ অর্থাৎ হাউস অফ রিপ্রেসেন্টেটিভ এবং সিনেটে পাস হতে হবে। বিলটি উভয় পরিষদে পাস হলে স্বাক্ষরের জন্য প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠাতে হবে। পাসকৃত বিলটি পাওয়ার পর প্রেসিডেন্ট তিন ধরণের আচরণ করতে পারেন।
এক-বিলটিতে স্বাক্ষর করতে পারেন। স্বাক্ষর করার সাথে সাথে বিলটি আইনে পরিণত হবে।
দুই-বিলটিতে স্বাক্ষর না করে তার আপত্তির কথা উল্লেখ করে কংগ্রেসে ফেরত পাঠাতে পারেন।
তিন-স্বাক্ষর করলেন না আবার ফেরতও পাঠালেন না। সেই ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টের কাছে বিলটি পাঠানোর দশ দিন পরে বিলটি আইনে পরিনত হবে।
প্রেসিডেন্ট যদি বিলটিতে স্বাক্ষর না করে তার আপত্তির কথা উল্লেখ করে কংগ্রেসে ফেরত পাঠান, সেই ক্ষেত্রে বিলটিকে পুনর্বিবেচনার জন্য হাউস অফ রিপ্রেসেন্টেটিভে উত্থাপন করা হবে। এই ক্ষেত্রে দুই তৃতীয়ংশ সদস্য ভোট দিলে বিলটি পাস হবে। হাউস অফ রিপ্রেসেন্টেটিভে বিলটি পাস হলে, প্রেসিডেন্টের আপত্তির কথা উল্লেখ করে বিলটি পুনর্বিবেচনের জন্য সিনেটে পাঠানো হবে। সিনেটেও যদি দুই তৃতীয়ংশ সদস্য ভোট দেয় তা হলে বিলটি আইনে পরিণত হবে। এই ক্ষেত্রে স্বাক্ষরের জন্য প্রেসিডেন্টের কাছে আর পাঠাতে হবে না।
তৃতীয় যে পরিস্থিতি, অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট বিলে স্বাক্ষরও করলেন না আবার ফেরতও পাঠালেন না। এটাকে বলে পকেট ভেটো। বিলটি প্রেসিডেন্টের নিকট পাঠানোর দশ দিন পরে অটোমেটি আইনে পরিণত হবে। দশদিন গণনার সময় রবিবারগুলি বাদ দিতে হবে। কিন্তু এই দশদিন শেষ হওয়ার আগেই যদি কংগ্রেস অধিবেশন মুলতবি হয়ে যায় সেই ক্ষেত্রে দশদিন শেষ হলেও বিলটি আইনে পরিণত হবে না।
দফা ৩। প্রত্যেক আদেশ, রেসল্যুশন, বা প্রস্তাব যাতে সিনেট এবং হাউস অফ রিপ্রেসেন্টেটিভ সম্মত হয়েছে (মুলতবি প্রস্তাব ছাড়া) তা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের নিকট উত্থাপন করতে হবে; এবং ঐগুলি কার্যকর হওয়ার আগে তার দ্বারা অনুমোদিত হতে হবে অথবা যেগুলি তার দ্বারা অনুনোমোদিত হবে সেগুলি একটা বিল পাস হওয়ার জন্য যে বিধি এবং সময়সীমা আছে সেই অনুসারে সিনেট এবং হাউস অফ রিপ্রেসেন্টেটিভে দুই তৃতীয়ংশ দ্বারা পুনরায় পাস হতে হবে।
ভাষ্য
কংগ্রেসে যৌথ কোনো প্রস্তাব পাস হলে তা অনুমোদনের জন্য প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠাতে হবে। যৌথ কোনো প্রস্তাবে প্রেসিডেন্ট স্বাক্ষর করলে তা আইনের শক্তি অর্জন করে। কংগ্রেসের কোনো সাধারণ প্রস্তাব প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরের জন্য পাঠানোর প্রয়োজন নাই। কারণ সাধারণ প্রস্তাব আইনের মর্যদা লাভ করে না।
©somewhere in net ltd.