নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
অনুচ্ছেদ ১
ধারা ৯।
দফা ১। যেহেতু কোনো কোনো রাজ্যে ওই ধরণের দেশান্তরিত বা আমদানিকৃত মানুষদের প্রবেশকে সঠিক মনে করে, কংগ্রেস এক হাজার আট শত এবং আট সালের আগে তা নিষিদ্ধ করতে পারবে না, কিন্তু ওই ধরণের আমদানির ক্ষেত্রে কর বা শুল্ক আরোপ করা যাবে, যা প্রতি ব্যক্তির ক্ষেত্রে দশ ডলারের বেশি হবে না।
ভাষ্য
যুক্ত্ররাষ্ট্রে সংবিধানে কোথাও ক্রীতদাস শব্দটি ব্যবহার করা হয়নি। ক্রীতদাস শব্দের বদলে 'এই ধরনের ব্যক্তি' এমন শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। দাসপ্রথার মতো ঘৃণিত কাজকে নরম শব্দের আড়ালে একটু ঢেকে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। সংবিধানের এই বিধানের ফলে কংগ্রেস ১৮০৮ সালের আগে দাস আমদানি নিষিদ্ধ করতে পারেনি। ১৮০৮ সালের পরপরই কংগ্রেস দাস আমদানি নিষিদ্ধ করে দেয়, যদিও পরবর্তী ৬০ বছর অর্থাৎ গৃহযুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ বাজারে দাস কেনাবেচা অব্যাহত থাকে।
দফা ২। হেবিয়াস কর্পাস রিটের অধিকারকে স্থগিত করা যাবে না, যদি না রাষ্ট্রদ্রোহ বা জনগণের নিরাপত্তার উপর আক্রমনের ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রয়োজন হয়।
ভাষ্য
নাগরিক স্বাধীনতার একটা গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হচ্ছে এই হেবিয়াস কর্পাস রিট। হেবিয়াস কর্পাস একটা ল্যাটিন পরিভাষা, যার আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে, 'তোমার শরীর থাকতে হবে'। আর বাস্তব অর্থ হচ্ছে, কোনো ব্যক্তিকে বিনা অভিযোগে জেলে আটক রাখা যাবে না। উপযুক্ত আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া কাউকে অনিদৃষ্টকাল আটক রাখা যাবেনা। এই বিধানকে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে লঙ্ঘন করা হয়েছে। যেমন, আমেরিকার গৃহযুদ্ধের সময় প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশ হেবিয়াস কর্পাস রিটের অধিকারকে স্থগিত করেছিলেন।
দফা ৩। বিল অফ এটেন্ডার বা এক্স পোস্ট ফ্যাক্টো আইন পাস করা যাবে না।
ভাষ্য
বিল অফ এটেন্ডার হলো কারো বিচার না করে, আইন বা আদেশের মাধ্যমে ঘোষণা করে দেয়া হলো ওই ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ অপরাধী এবং কথিত অপরাধের ভিত্তিতে সাজা দিয়ে দেয়া হলো। কংগ্রেস এই ধরণের কোনো আইন বা আদেশ পাস করতে পারবে না। আবার এটাকে ঘুরিয়ে এভাবেও বলা যায়, কংগ্রেসের কোনো ক্ষমতা নাই বিনা বিচারে শুধু আদেশ বলে বিচারক বা জুরিদের মতো কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগের রায় প্রদান করার। পক্ষান্তরে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এই ক্ষমতা আছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা পুরুষরা আইনসভার এই ক্ষমতাটাকে মানুষের স্বাধীনতার চরম লঙ্ঘন বলে মেনে করেন, তাই সংবিধানিক ভাবে কংগ্রেস তথা আইনসভার এই ক্ষমতাটাকে চিরতরে নিষিদ্ধ করে দেন।
এক্স পোস্ট ফ্যাক্টো আইন হলো এমন আইন, যা কোনো ঘটনা ঘটার সময় আইনটি ছিলোনা। কিন্তু ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর ভূতাপেক্ষভাবে কার্যকর করা হয়েছে। অন্য কথায় বললে, যখন কাজটি করা হয়েছে তখন কাজটি অবৈধ ছিলোনা, কিন্তু পরবর্তী সময়ে কাজটিকে অবৈধ করে আইন পাস করা হয়েছে। এইধরণের কাজের জন্য কোনো ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা যাবে না।
দফা ৪। রাজ্যগুলির মধ্যে কোনরূপ ভাগাভাগি না করে এবং আদমশুমারি বা গণনার উপর নির্ভর না করে, কংগ্রেস আয়ের উপর, তা যে উৎস থেকে আসুক না কেন, কর আদায় করতে পারবে।
ভাষ্য
মূল সংবিধানে ব্যক্তির আয়ের উপর কর আদায় করার বিধান ছিল না। রাজ্যের জনসংখ্যার অনুপাতে কর ধার্য করা হতো। সংবিধানের ১৬ তম সংশোধনীর মাধ্যমে আধুনিক কর ব্যবস্থা চালু করা হয়। আয়কর ব্যবস্থা প্রচলন করা হয়।
১৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ১১:৪১
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: এটা সাধারণ মানুষের জন্য সাধারণ ভাবে লেখা। অথবা বলতে পারেন সহজ করে লেখা, সাধারণ মানুষ, যাদের যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান সম্পর্কে জানার আগ্রহ আছে তাদের কৌতহল মিটাবে।
২| ২০ শে জুন, ২০১৭ রাত ১২:১৮
মাঝ আকাশে শিশুর জন্ম বলেছেন: ভাইয়ু!!!!!!!!!
বাহ!!!!!!!!
মুগ্ধ মুগ্ধ মুগ্ধ!!!!!!!!
কেন মুগ্ধ জানিনা!!!!!!!!
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ১০:২৩
বিজন রয় বলেছেন: এটা কি একাডেমিকদের কাজে লাগবে?