নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজ্জাক রাজ্জাকেই

২২ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৫

রাজ্জাকের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে অনেকেই রাজ্জাককে কলকাতার অভিনেতা উত্তমকুমারের সাথে তুলনা করেন। নির্বাচিত পোস্টের দৃষ্টি আকর্ষণ বেনারে এ ট্রিবিউট টু লিজেন্ড নায়করাজ রাজ্জাক!!! শিরোনামে একটা লেখা আছে। যেখানে "জয়তু বাংলাদেশের উত্তমকুমার" বলে লেখাটা শেষ করা হয়েছে। এটা রাজ্জাকের প্রতি অবিচার। অবশ্য ওই লেখককে পুরা দোষ ও দেয়া যায় না, কারণ তিনি প্রথম রাজ্জাকের ছবি দেখেছেন আশির দশকে। আর রাজ্জাক সিনেমা শুরু করেছেন ষাটের দশকে। রাজ্জাককে শুধু অভিনেতা হিসাবে মূল্যায়ন করলে তার প্রতি সুবিচার করা হবে না।

রাজ্জাক অভিনয়ের পাশাপাশি অভিনেতা, অভিনেত্রী, চিত্রনির্মাতাদের সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা ও বৃদ্ধি করেছেন। মানুষ সিনেমা দেখত ঠিকই কিন্তু এই শিল্পের সাথে জড়িতদের সম্মানের চোখে দেখত না। একটা উদাহরণ দেই, গুলশানে যখন প্লট বরাদ্দ শুরু হল, তখন রাজ্জাক একটা প্লটের জন্য আবেদন করলো। ডি আই টি (বর্তমান রাজউক) তার আবেদন বাতিল করলো এই বলে যে গুলশানের প্লট শুধুমাত্র সরকারি কর্মকর্তা, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যবসায়ী এবং সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জন্য। রাজ্জাক এই ক্যাটাগরিতে পরে না, তাই তার আবেদন বাতিল করা হল।

এখন চিন্তা করেন, তখনকার সময়ে এই দেশে অভিনেতাদের সামাজিক মর্যাদা কি ছিল। রাজ্জাক দমলেন না, গুলশানের প্লটটা সংগ্রাম করে আদায় করলেন। নিজে শুধু প্লটই আদায় করলেন না, সেই সাথে অভিনেতা, অভিনেত্রীদের সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করলেন। ডি আই টি (বর্তমান রাজউক) অভিনেতা, অভিনেত্রীদেরকে সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে বাধ্য হল।

এইটা একটা মাত্র উদাহরণ। রাজ্জাক এইরকম আরো অনেক বাধা অতিক্রম করে এই দেশের চলচ্চিত্রকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। যা উত্তমকুমার করেন নাই বা করার প্রয়োজন হয় নাই। অনেকেই তর্ক করে বলবেন, উত্তমকুমারের সাথে রাজ্জাকের তুলনাটা অভিনয়ের ক্ষেত্রে। না সে তুলনাটাও ঠিক না। একটা সমতল ভূমিতে নাচা আর অসমতল ভূমিতে নাচা এক জিনিস না।

রাজ্জাক রাজ্জাকেই।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:০৯

সোহানী বলেছেন: সহমত......

১৩ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০০

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


সহমত প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ।
অবশ্য ভিন্ন মতকেও আমি সম্মান করি।

২| ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:২০

সনেট কবি বলেছেন:




নায়ক রাজ রাজ্জাক স্মরণে-

তুমি চলে গেলে চির প্রস্থান স্থানের
গহিনে হারিয়ে; ছেড়ে ভক্ত কূল দলে
শোকের আড়ালে একা, হে নায়ক রাজ
রাজ্জাক, তোমার স্মুতি স্মরণে অম্লান।
তুমি চেয়েছ গুণের মর্মর প্রাসাদ
সাজিয়ে সেথায় গড়ে আনন্দ ধারার
রকমফের, সেথায় আনবে নতুন
চিত্ত বিনোদক সব শান্তির বারতা।

তুমি পেরেছ নায়ক স্বার্থকতার কি
অফুরান সুখ, সেটি অনুভব করে
নিজ রাজ্যে বিচরণ করতে নিয়ত।
সালাম নায়ক আজ বিদায়ী সালাম,
দিয়েছ অনেক তুমি পেয়েছ অনেক
ভক্তের হৃদয়ে চির পেয়েছ আসন।

১৩ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০২

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


খুব সুন্দর কবিতা। নায়ক রাজের প্রতি যথার্থ সম্মান।

৩| ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:২৪

সনেট কবি বলেছেন:



বিদায় হে নায়ক রাজ

ছিল সে রাজার মতো অভিনয়ে সেরা
যে আসন ছেড়ে গেল ভক্ত হৃদয়েতে
নেই সে তবুও আছে গুণেতে অপার
রাখবে মানুষ তাঁরে স্মৃতির মিনারে।
হে নায়ক রাজ গুণী আব্দুর রাজ্জাক
শূণ্যতায় ভরে দিল তোমার প্রস্থান।
অভিষেক হয়ে কারো তোমার সে স্থানে
হয়নি এখনো সেই স্থানটি পূরণ।

বিদায় তো স্বাভাবিক সকলের হয়
কিন্তু সকল জনের কথা মনে থাকে
এমন ক’জন আছে পৃথিবীর মাঝে?
অথচ গুণের ভারে হয়েছ অমর
মরেও এখন তুমি; আছ স্মরণেতে
ভক্তর হৃদয়ে এক শক্ত অবস্থানে।

১৩ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৪

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


দুটা কবিতাই খুব ভাল হয়েছে।
সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে নায়ক রাজের প্রতি সম্মান, ভালোবাসা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.