নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
১৫। ৭৯৯ পৃষ্ঠার আবর্জনার স্তূপটা শুরু হয়েছে, ইন্ডিয়ান একজন বিচারপতি ভিভিয়ান বোসের ১৯৫৪ সালের একটা ভাষণের কিছু অংশকে উদ্ধৃত করে। এরপর পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা অপ্রাসঙ্গিক, অবান্তর উদ্ধৃতি আর বাগাড়ম্বর।
১৬। নিয়ম অনুযায়ী যে কথাটা রায়ের প্রথমেই বলতে হয়, তা তিনি বললেন ৭ নং পৃষ্ঠায় এসে। কথাটা হলো, তারা কি বিচার করতে বসেছেন। তারা বিচার করতে বসেছেন, ১৬শ সংশোধনী সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকে ব্যাহত করেছে কি না? The moot question that raised in this appeal that requires a clear answer from this court is whether the Constitution (Sixteenth Amendment) Act, 2014 has violated the basic structure of the constitution. (পৃষ্ঠা ৭)
১৭। এই বিচার্য বিষয়ের উত্তর -- না, ১৬শ সংশোধনী সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকে ব্যাহত করে নাই।
কারণ -- বাহাত্তরের মূল সংবিধানে এই বিধান ছিল। ১৬শ সংশোধনীর মাধ্যমে এই বিধান ফিরত আনা হয়েছে মাত্র। এখন এই সত্যটাকে ঢাকার জন্য ৭৯৯ পৃষ্ঠার আবর্জনা ফেলা হয়েছে। এই আবর্জনা নিয়ে আলোচনা করা মানে সময় নষ্ট করা। উদ্ধৃতির পর উদ্ধৃতি, একই কথার পুনরাবৃত্তি।
১৮। তা হলে উদ্দেশ্য কি? উদ্দেশ্য জানতে হলে আগে জানতে হবে কে সে? মানবজমিন পত্রিকায় একটা টেলিফোন কথোপকথনের টেপ প্রকাশিত হয়েছিল। তিনি ট্রাইব্যুনালের এক বিচারপতিকে বলছেন, ২/৩ জনকে ফাঁসি দিয়ে আসেন, আপিলেট ডিভিশনে নিয়ে নিব। সুতরাং তার সততা, সাধুতা, ন্যায়পরতা ইত্যাদি নিয়ে কারো সন্দেহ থাকার কথা না।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:১১
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: আসলে মৌলিক কাঠামো বলে কিছু নাই।
তারা আসলে সংবিধান থেকে "আল্লাহ উপর পূরণ বিশ্বাস এবং আস্থা" এই কথাটা বাদ দেয়ার জন্য মৌলিক কাঠামো তত্ত্ব আমদানি করেছেন।
এই তত্ব মতে বাহাত্তরে সংবিধানে যা নেই, তাই মৌলিক কাঠামোর পরিপন্থী।
আমি তাদের তত্ব নিয়ে তর্ক না করেই, দেখাতে চেয়েছি তার কত অসৎ ও সুবিধাবাদী।
বাহাত্তরের সংবিধানে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধান ছিল না। তাদের যুক্তিতেই এই বিধান মৌলিক কাঠামোর পরিপন্থী।
সব কিছু মৌলিক কাঠামোর পরিপন্থী বলে বাদ দিয়ে, শুধু সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধানটা রেখে দেয়া তাদের অসৎ ও সুবিধাবাদী চরিত্রকে প্রকাশ করে।
২| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:৪০
চুলবুল পান্ডে বলেছেন: সব গড়াপেটা
৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৪
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: এসমস্ত পদে আসতে হলে কম্প্রোমাইজ করেই আসতে হয়।
যে কম্প্রোমাইজ বা আপস বা রফা বা সমঝোতা করবে না, সে এসমস্ত পদে আসতে পারবে না।
আর এই আপোষকামী মানুষের সীমাবদ্ধতা আছে।
এই আপোষকামিতার সর্বনিম্ন সীমা দাসত্ব, আর সর্বোচ্চ সীমাও দাসত্ব।
একজন দাস যা করবে তা তার প্রভুর জন্য এবং প্রভুর দ্বারাই।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:১৬
কাউয়ার জাত বলেছেন: মৌলিক কাঠামো এই কনসেপ্ট এর বয়স কত?
এটা নিজেই কি একটা অবাস্তব থিওরি নয়? কিছু মানুষ ৫০ বছর আগে জনগণের অর্পিত ক্ষমতায় যা প্রণয়ন করেছে। আজ একই অর্পিত ক্ষমতা নিয়ে অন্যরা কেন সেটা পরিবর্তন করতে পারবেনা?
আসলে কথা হচ্ছে separation of power theory দেয়ার পর রাষ্ট্রের তিন অরগ্যানের মধ্যে মন্টেস্কু একটা বেড়া দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
কিন্তু সুযোগ বুঝে প্রত্যেকেই সীমানা ঠেলে অন্যের অধিক্ষেত্রে ঢুকে পড়তে চায়। যে যখন সফল হয় সে তার দখলি জমি বাড়িয়ে নেয়। এখানে ইউনিভার্সাল কোন পরিমাপ পদ্ধতি নেই। তবে ভাঙা আর গড়া এটাতো চলতেই থাকবে। আজ জুডিসিয়ারি যা করবে তার প্রতিরোধে সংসদও তো বুদ্ধি খাটাবে।