নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
২১শ সংশোধনী
ধারা ১। এতদ্বারা যুক্তরাষ্ট্র সংবিধানের ১৮শ সংশোধনী বাতিল করা হল।
ভাষ্য
সংবিধানের ২১শ সংশোধনী ১৯৩৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি কংগ্রেসে পাস হয়, আর ১৯৩৩ সালের ৫ ডিসেম্বর তা অনুমোদিত হয়।
সংবিধানের ১৮শ সংশোধনীর মাধ্যমে মদ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু যে উদ্দেশ্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে মদ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল তা ব্যর্থ হয়। ফলে এই সংশোধনীর দ্বারা এই বিধান বাতিল হয়ে যায়।
ধারা ২। কোন রাজ্য, অঞ্চল, বা যুক্তরাষ্ট্রের দখলকৃত কোন এলাকায় আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে মাদকদ্রব্য পরিবহন বা আমদানি নিষিদ্ধ করা হলো।
ভাষ্য
এই বিধানের দ্বারা প্রতিটি রাজ্যকে মাদকদ্রব্যের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের জন্য নিজস্ব আইন বা বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা দেয়া হলো।
ধারা ৩। কংগ্রেস কর্তৃক উপস্থাপিত হওয়ার ৭ বছরের মধ্যে সংবিধানে বর্ণিত পদ্ধতিতে রাজ্যগুলি বিধানসভায় অনুমোদিত না হলে এই অনুচ্ছেদ অকার্যকর হয়ে যাবে।
ভাষ্য
এই সংশোধনী রাজ্যগুলি কর্তৃক অনুমোদিত হওয়ার সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে ৭ বছর। ৭ বছরে মধ্যে রাজ্যগুলি কর্তৃক অনুমোদিত না হলে, এই সংশোধনী অকার্যকর হয়ে যাবে।
২২শ সংশোধনী
ধারা ১। কোন ব্যক্তি দুই বারের বেশী প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হতে পারবেন না, এবং কোন ব্যক্তি যিনি অন্য কোন নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের স্থলে প্রেসিডেন্ট হিসাবে বা ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসাবে দুই বছরের বেশি পদে ছিলেন তিনি একাধিক বার নির্বাচন করতে পারবেন। কিন্তু কংগ্রেস যখন এই অনুচ্ছেদ প্রস্তাব করছে, তখন যিনি প্রেসিডেন্ট পদে আছেন তার ক্ষেত্রে এই অনুচ্ছেদ বলবত হবে না, এবং কোন ব্যক্তি যিনি এই মেয়াদের প্রেসিডেন্টের স্থলে প্রেসিডেন্ট হিসাবে বা ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন তাকেও এই অনুচ্ছেদ দ্বারা বিরত করা যাবে না।
ধারা ২। কংগ্রেস কর্তৃক উপস্থাপিত হওয়ার ৭ বছরের মধ্যে তিন-চতুর্থাংশ রাজ্যগুলি বিধানসভায় অনুমোদিত না হলে এই অনুচ্ছেদ অকার্যকর হয়ে যাবে।
ভাষ্য
সংবিধানের ২২শ সংশোধনী ১৯৪৭ সালের ২১ মার্চ কংগ্রেসে পাস হয়, আর ১৯৫১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি তা অনুমোদিত হয়।
মূল সংবিধানে একজন ব্যক্তি কতবার প্রেসিডেন্ট থাকতে পারবেন তার কোন সীমাবদ্ধতা ছিল না। প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটন এত জনপ্রিয় ছিলেন যে, তিনি ইচ্ছা করলে আজীবন প্রেসিডেন্ট থাকতে পারতেন। প্রেসিডেন্ট হিসাবে দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ করার পর তিনি স্বেচ্ছায় অবসরে যান। প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটনের দুই মেয়াদের পর স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়াতে এটা একটা অলিখিত প্রথায় পরিণত হয়। প্রায় ১৫০ বছর ধরে এই প্রথা চলতে থাকে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাংকলিন ডি রুজভেল্ট ১৯৩৩ সাল টি ১৯৪৫ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পরপর ৪ বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ঐ সময়ে তিনি আমেরিকার মহা-মন্দ (Great Depression), দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সাফল্যের সাথে মোকাবেলা করেন। প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাংকলিন ডি রুজভেল্ট চলে যাওয়ার পর, আমেরিকার জনগণ আবার প্রেসিডেন্ট পদকে দুই মেয়াদে সীমাবদ্ধ করার কথা চিন্তা করতে থাকে। যার ফলে এই সংশোধনী।
©somewhere in net ltd.