নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যুক্তরাষ্ট্র সুপ্রিম কোর্টের যুগান্তকারী রায়সমূহ - ৪

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৩

প্লেসি বনাম ফার্গুসন [১৬৩ ইউ এস ৫৩৭ (১৮৯৬)]
হোমার অ্যাডলফ প্লেসি -- আবেদনকারী
জন ফার্গুসন -- রেসপন্ডেন্ট
রায় ঘোষণার তারিখ: মে ১৮, ১৮৯৬
বিচারপতি হেনরী বি. ব্রাউন ৭-১ সংখ্যাগরিষ্ঠ রায় প্রদান করেন।

মামলার বিবরণ
রেলগাড়িতে সাদা এবং কাল মানুষদের জন্য পৃথক পৃথক কামরার ব্যবস্থা করে লুইজিয়ানাতে সেপারেট কার এক্ট (Separate Car Act) আইন পাস করা হয়। আফ্রিকান বংশোদ্ভূত হোমার অ্যাডলফ প্লেসি ট্রেনের টিকেট কেটে সাদাদের জন্য নির্ধারিত কামরায় বসেন। তাকে সাদের জন্য নির্ধারিত কামরা থেকে নেমে কালোদের জন্য নির্ধারিত কামরায় যেতে বললে, সে যেতে অস্বীকার করে। ফলে আইন ভঙ্গের জন্য তাকে গ্রেফতার করা হয়।

সেপারেট কার এক্ট (Separate Car Act) সংবিধানের ১৩শ এবং ১৪শ সংশোধনীর পরিপন্থী, সুতরাং তার গ্রেফতার বেআইনি এই অভিযোগে হোমার অ্যাডলফ প্লেসি এই মামলা দায়ের করেন।

বিচার্য বিষয়
(১) সেপারেট কার এক্ট (Separate Car Act) এ বর্ণ বিভাজন মূলক যে বিধান রাখা হয়েছে তা সংবিধানের ১৪শ সংশোধনীতে নাগরিকদের বিশেষাধিকার, দায়মুক্তি এবং সমান সুরক্ষা পাওয়ার বিধানকে অসাংবিধানিক ভাবে লঙ্ঘন করেছে কি ?

রায়
বিচারপতি হেনরী বি. ব্রাউন ৭-১ সংখ্যাগরিষ্ঠ রায় প্রদান করেন।

বিচার্য বিষয়ের উত্তর--না। সেপারেট কার এক্ট (Separate Car Act) যুক্তরাষ্ট্র সংবিধানকে লঙ্ঘন করে নাই। বরং সংবিধানের সীমারেখার মধ্যেই প্রণীত হয়েছে। সাদা এবং কালোর জন্য সমান কিন্তু পৃথক ব্যবস্থা সংবিধানের ১৪শ সংশোধনীর বিধানকে লঙ্ঘন করে নাই। সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারক বর্ণ বিভাজন মূলক আইন সেপারেট কার এক্ট (Separate Car Act) বহাল রাখার পক্ষে মত দেন। বিচারপতিরা অভিমত দেন, সুযোগ-সুবিধা যদি সমান হয়, তা হলে সাদা এবং কালোর জন্য পৃথক ব্যবস্থা সংবিধানের ১৪শ সংশোধনীর পরিপন্থী নয়। বিচারপতিরা অবশ্য এই যুক্তিটা মেনে নেন যে সংবিধানের ১৪শ সংশোধনীর উদ্দেশ্য হল, আইনের চোখে সব বর্ণের মানুষ সবদিক থেকে সমান। তবে বিচারপতি ব্রাউন তার রায়ে উল্লেখ করেন, মানুষের বর্ণের ভিত্তিতে যে পার্থক্য, তা দূর করা সংবিধানের ১৪শ সংশোধনীর উদ্দেশ্য না। অথবা রাজনৈতিক ভাবে সমান আর সমাজে এক সাথে উভয় বর্ণের মানুষের মেলামেশা এক জিনিষ না। অথবা দুই বর্ণের মানুষকে এক সাথে মিশ্রিত করা উভয় বর্ণের মানুষের কাছে অসন্তোষজনক হতে পারে। রায়ের শেষ কথা, বর্ণের কারণে পৃথক ব্যবস্থা বেআইনি বৈষম্য নয়।


বিশ্লেষণ
১৯৫৪ সালে ব্রাউন বনাম বোর্ড অফ এডুকেশন মামলায় এই রায় বাতিল হয়ে যায়। এই রায়ের ভিত্তি ছিল "পৃথক কিন্তু সমান (separate but equal)" এই মতবাদ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.