নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যুক্তরাষ্ট্র সুপ্রিম কোর্টের যুগান্তকারী রায়সমূহ - ৫

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫০

করেমাতসু বনাম যুক্তরাষ্ট্র [৩২৩ ইউ এস ২১৪ (১৯৪৪)]
ফ্রেড টয়সাব্যুরো করেমাতসু -- আবেদনকারী
যুক্তরাষ্ট্র -- রেসপন্ডেন্ট
রায় ঘোষণার তারিখ: ডিসেম্বর ১৮, ১৯৪৪

বিচারপতি হুগো এল ব্ল্যাক ৬-৩ সংখ্যাগরিষ্ঠ রায় প্রদান করেন।

মামলার বিবরণ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানিরা পার্ল হারবারে বোমা বর্ষণ করলে, যুক্তরাষ্ট্র সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে জাপানিজ-আমেরিকানদেরকে ক্যাম্পে নিয়ে আটক করা হবে। বোমা হামলার দুই মাস পর প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট ১৯৪২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাহী আদেশ নং ৯০৬৬ সাক্ষর করেন। নির্বাহী আদেশ জারি হওয়ার তিন মাস পরে যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনী সিভিলিয়ান রেস্ট্রিকটিভ অর্ডার নং ১ এবং সিভিলিয়ান এক্সক্লুশন অর্ডার নং ৩৪ দ্বারা নির্বাহী আদেশ বলবত করে। নাশকতার জন্য সন্দেহ ভাজন হউক বা না হউক, অথবা কোন ক্ষতিকারক আচরণ করুক বা না করুক, এই নির্বাহী আদেশ সব জাপানিজ-আমেরিকানদের উপর বলবত করা হয়।

ফ্রেড টয়সাব্যুরো করেমাতসু একজন জাপানিজ-আমেরিকান। সে ক্যালিফোর্নিয়ার সান লিয়ান্দ্র এলাকায় বাস করতো। সে সিদ্ধান্ত নেয়, আদেশ অমান্য করে তার বাসাতেই বসবাস করবে। তাকে আটক করা হলে সে আদালতে আর্জি পেশ করে বলে, নির্বাহী আদেশ নং ৯০৬৬ সংবিধানের ৫ম সংশোধনীর পরিপন্থী। কারণ হেবিয়াস কর্পাস স্থগিত করা হয় নাই এবং সামরিক বাহিনীর কার্যকলাপ আইনের যথাযথ প্রয়োগ ছাড়াই তার স্বাধীনতার অধিকারকে হস্তক্ষেপ করছে। যা তার সাংবিধানিক অধিকার।

বিচার্য বিষয়
(১) প্রেসিডেন্ট এবং কংগ্রেস কি তাদের যুদ্ধকালীন ক্ষমতার বাইরে যেয়ে জাপানি বংশোদ্ভূত আমেরিকানদের অধিকার বাদ দিতে বা খর্ব করতে পারবেন?

রায়
বিচারপতি হুগো এল ব্ল্যাক ৬-৩ সংখ্যাগরিষ্ঠ রায় প্রদান করেন।

বিচার্য বিষয়ের উত্তর--হাঁ। নির্বাহী আদেশটি বৈধ। সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতি সরকারের পক্ষ অবলম্বন করেন। তারা মনে করেন, প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশটি জাতিগত বিদ্বেষ থেকে জারি কর হয়নি। বরং যুক্তরাষ্ট্র, বিশেষ করে এর পশ্চিম উপকূলকে নাশকতা এবং বহিরাক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য এই নির্বাহী আদেশ একটি কৌশলগত বাধ্যবাধকতা (strategic imperative) । রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তিকে প্রতিরোধ করার গুরুত্ব বাদীর অধিকারের চাইতে বেশি।


বিশ্লেষণ
এই রায়ের মাধ্যমে --
১. রাষ্ট্রের নিরাপত্তাকে নাগরিকদের স্বাধীনতার চাইতে গুরুত্বপূর্ণ গণ্য করা হয়েছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.