নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যুক্তরাষ্ট্র সুপ্রিম কোর্টের যুগান্তকারী রায়সমূহ - ৬

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৯

ব্রাউন বনাম বোর্ড অফ এডুকেশন [৩৪৭ ইউ এস ৪৮৩ (১৯৫৪)]
অলিভার ব্রাউন, মিসেস রিচার্ড লাউটন, মিসেস স্যাড এমমানুয়েল এবং অন্যান্যরা -- আবেদনকারীগন
বোর্ড অফ এডুকেশন, টোপেকা, শাওনি কাউন্টি, কানসাস এবং অন্যান্যরা -- রেসপন্ডেন্টগন
রায় ঘোষণার তারিখ: মে ১৭, ১৯৫৪
প্রধান বিচারপতি আর্ল ওয়ারেন সর্বসম্মত রায় প্রদান করেন।

মামলার বিবরণ
ক্যানসাসের টোপেকা বোর্ড অফ এডুকেশন ১৮৭৯ সালের আইন অনুসারে সাদা এবং কালো ছাত্রদের জন্য পৃথক পৃথক স্কুল পরিচালনা করছিলেন। টোপেকা কাউন্টিতে তখন ১৫ হাজার লোক বাস করতো। কালোদের সংগঠন (National Association for the Advancement of Colored People সংক্ষেপে NAACP) সিদ্ধান্ত নেয়, তারা এই সাদা-কালো পৃথক স্কুল ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করবে। তারা ২০ জন বাচ্চার ১৩ জন অভিভাবককে এই ব্যবস্থা চ্যালেঞ্জ করার জন্য স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে নিয়োগ করে। ১৯৫১ সালে প্রতিটি পরিবার তাদের নিকটস্থ সাদাদের জন্য নির্ধারিত স্কুলে তাদের বাচ্চাদের ভর্তি করার চেষ্টা করে। স্কুল কর্তৃপক্ষ সাদাদের স্কুলে কালো বাচ্চাদের ভর্তি করতে অস্বীকার করে এবং তাদেরকে কালোদের জন্য নির্ধারিত স্কুলে ভর্তি করতে বলে। কালোদের স্কুলগুলি ছিল তাদের বাসা থেকে দূরে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, অলিভার ব্রাউনের মেয়ে লিন্ডা ব্রাউন যে সাদা স্কুলে ভর্তি হতে চেষ্টা করে, তা তার বাসা থেকে মাত্র কয়েক ব্লক দূরে। অথচ তাকে যদি কালোদের স্কুলে ভর্তি হতে হয়, তা হলে বাসা থেকে বেশ দূরে বাস স্ট্যান্ডে যেতে হবে, তারপর বাসে করে মাইল খানিক দূরে স্কুলে যেতে হবে।

কালো বাচ্চাদেরকে সাদাদের স্কুলে ভর্তি করতে অস্বীকার করায়, কালোদের সংগঠন NAACP মামলা দায়ের করে। কিন্তু তারা নিম্ন আদালতে হেরে যায়। নিম্ন আদালত প্লেসি বনাম ফার্গুসন [১৬৩ ইউ এস ৫৩৭ (১৮৯৬)] মামলার আলোকে রায় দেয়। অর্থাৎ সাদা এবং কালোদের জন্য পৃথক স্কুল অবৈধ না, তবে সমান সুযোগ-সুবিধা থাকতে হবে। "পৃথক কিন্তু সমান (separate but equal)" এই মতবাদকে তারা অনুসরণ করে রায় দেয়। নিম্ন আদালত এই অভিমতও দেয়, সাদা এবং কালোদের জন্য পৃথক স্কুল ব্যবস্থা কালো শিশুদের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে। তবে সাদাদের স্কুলের মতো কালোদের স্কুলে একই মানের শিক্ষক, পাঠ্যক্রম, সুযোগ-সুবিধা এবং যাতায়াত সুবিধা দিতে হবে।

কালোদের সংগঠন NAACP এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করলে, সুপ্রিম কোর্ট একই ইস্যুতে সাউথ ক্যারোলিনা, ভার্জিনিয়া, ডেলাওয়্যার এবং ওয়াশিংটন ডি সি র মামলাগুলি একত্র করে শুনানি করে। কালোদের সংগঠন NAACP কর্তৃক দায়েরকৃত বিভিন্ন রাজ্যের মামলাগুলোতে তারা নিম্ন আদালতে হেরে যায়, শুধুমাত্র ডেলাওয়্যার রাজ্যের গীবহার্ট বনাম বেল্টন মামলায় তারা জিতে যায়। ব্রাউনের মামলাটা অন্যদের থেকে একটু পৃথক ছিল, কারণ সে "পৃথক কিন্তু সমান (separate but equal)" এই মতবাদকেও চ্যালেঞ্জ করে।

বিচার্য বিষয়
(১) বর্ণের ভিত্তিতে পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা সংবিধানের ১৪শ সংশোধনীর সমান সুরক্ষা বিধির (Equal Protection Clause) লঙ্ঘন কি?

রায়
প্রধান বিচারপতি আর্ল ওয়ারেন সর্বসম্মত রায় প্রদান করেন।

বিচার্য বিষয়ের উত্তর--হাঁ। বর্ণের ভিত্তিতে পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা সংবিধানের ১৪শ সংশোধনীর সমান সুরক্ষা বিধির (Equal Protection Clause) লঙ্ঘন। তারা অভিমত দেন, "পৃথক কিন্তু সমান (separate but equal)" সুযোগ-সুবিধা আসলে প্রকৃতিগত ভাবেই বৈষম্যমূলক এবং এই নীতি সংবিধানের ১৪শ সংশোধনীর সমান সুরক্ষা বিধির (Equal Protection Clause) সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তারা আরো অভিমত দেন, বর্ণের ভিত্তেতে পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা কালো শিশুদের মনে হীনমন্যতা বোধের সৃষ্টি করবে, যা তাদের শিক্ষা এবং মানুষিক বিকাশকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

বিশ্লেষণ
এই রায়ের মাধ্যমে --
১. বর্ণের ভিত্তিতে পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা বাতিল হয়ে যায়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.