নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যুক্তরাষ্ট্র সুপ্রিম কোর্টের যুগান্তকারী রায়সমূহ - ১০

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৭

লাভিং বনাম ভার্জিনিয়া [৩৮৮ ইউ এস ১ (১৯৬৭)]
রিচার্ড লাভিং -- আবেদনকারী
ভার্জিনিয়া -- রেসপন্ডেন্ট
রায় ঘোষণার তারিখ: জুন ১২, ১৯৬৭
প্রধান বিচারপতি আর্ল ওয়ারেন সর্বসম্মত রায় প্রদান করেন।

মামলার বিবরণ
১৯৫৮ সালে মিলড্রেড জেটার নামের একজন কালো মহিলা, রিচার্ড লাভিং নামের একজন সাদা পুরুষকে ওয়াশিংটন ডি সি তে বিয়ে করেন। উভয়ই ভার্জিনিয়ার বাসিন্দা ছিলেন। বিয়ের পর রিচার্ড লাভিং ভার্জিনিয়াতে আসেন। ঐ সময়ে দক্ষিণের আরো ১৬টা রাজ্যের মতো ভার্জিনিয়াতেও সাদা এবং কালোর মধ্যে বিয়ে নিষিদ্ধ ছিল। ১৯২৪ সালের জাতিগত বিশুদ্ধতা আইন (Racial Integrity Act of 1924) ভঙ্গ করার অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলায় লাভিং দোষ স্বীকার করায় তার ১ বছরের কারাদণ্ড হয়। বিচারক অবশ্য দণ্ড স্থগিত করতে সম্মত হন, এই শর্তে যে লাভিং ভার্জিনিয়া ছেড়ে চলে যাবে এবং ২৫ বছরের মধ্যে ভার্জিনিয়াতে সে ফিরে আসতে পারবে না। লাভিং ভার্জিনিয়া ছেড়ে ওয়াশিংটন ডি সি তে বসবাস করতে থাকেন। কিন্তু কিছু দিন পরেই তারা ভার্জিনিয়াতে ফিরে যেতে মনস্থ করে। তাদের সাজার ৫ বছর পর ১৯৬৪ সালে মিসেস লাভিং অ্যাটর্নি জেনারেল রবার্ট এফ কেনেডির মাধ্যমে আমেরিকান সিভিল লিবার্টিস ইউনিয়ন [American Civil Liberties Union (ACLU)] এর সাথে যোগাযোগ করেন। ACLU রায় প্রত্যাহার এবং সাজা বাতিল করার জন্য মামলা করে। লাভিংও ফেডারেল কোর্টে মামলা করেন। ভার্জিনিয়ার সুপ্রিম কোর্ট দণ্ডাদেশ পরিবর্তন করলেও রায় বহাল রাখেন।

বিচার্য বিষয়
(১) ভার্জিনিয়ার বর্ণ বিরোধী আইন (Racial Integrity Act of 1924), সংবিধানের ১৪শ সংশোধনীর সমান সুরক্ষা বিধিকে কি লঙ্ঘন করেছে?

রায়
প্রধান বিচারপতি আর্ল ওয়ারেন সর্বসম্মত রায় প্রদান করেন।
বিচার্য বিষয়ের উত্তর--হাঁ। ভার্জিনিয়ার বর্ণ বিরোধী আইন (Racial Integrity Act of 1924), সংবিধানের ১৪শ সংশোধনীর সমান সুরক্ষা বিধিকে লঙ্ঘন করেছে। বর্ণের ভিত্তিতে মানুষে মানুষে পার্থক্য করা 'মুক্ত মানুষের বিরুদ্ধে দূষণীয় কাজ' এবং সমান সুরক্ষা বিধির আলোকে এই ধরণের কাজকে কঠোর ভাবে পর্যালোচনা করতে হবে। এই আইনের কোন বৈধ উদ্দেশ্য নাই। এই আইন বর্ণ বৈষম্যের ভিত্তিতে স্বাধীন মানুষের মধ্যে অসন্তোষ বা ক্ষোভ উৎপাদন করে। "এই আইন বৈধ, কারণ এই আইন কালো এবং সাদা উভয় বর্ণের মানুষের জন্য সমান ভাবে প্রযোজ্য এবং বর্ণের ভিত্তিতে শ্রেণীবিভাগ করা যাবে না, ১৪শ সংশোধনীর যুক্তিসঙ্গত উদ্দেশ্য তা না", ভার্জিনিয়া রাজ্যের এই যুক্তি সুপ্রিম কোর্ট তার রায়ে বাতিল করে দেয়। সুপ্রিম কোর্ট রায়ে আরো বলে, আইনের যথাযথ প্রয়োগের যে বিধান ১৪শ সংশোধনীতে আছে, ভার্জিনিয়ার এই আইন তারও পরিপন্থী।

প্রধান বিচারপতি আর্ল ওয়ারেন তার রায়ে আরো লেখেন, "এক বর্ণের মানুষ আরেক বর্ণের মানুষকে বিয়ে করার বা না করার যে স্বাধীনতা আমাদের সংবিধান প্রদান করেছে, তা যে কোন ব্যক্তির ব্যক্তিগত বিষয় এবং কোন রাজ্যের কোন অধিকার নেই এই ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা।"

বিশ্লেষণ
এই রায়ের মাধ্যমে --
১. ভিন্ন ভিন্ন বর্ণের বা জাতির মানুষের মধ্যে বিয়ে করার আইনগত বাধা অপসারিত হয়ে যায়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.