নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুররাট হাউস মিউজিয়াম

৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:২১


সুররাট হাউস বা মেরি সুররাট হাউস। প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের হত্যাকারী জন উইলক্স বুথ এই বাড়িতে বসে প্রথমে আব্রাহাম লিংকনকে অপহরণ এবং পরে হত্যার ষড়যন্ত্র করে। এই ষড়যন্ত্রের সাথে এই বাড়ির মালিক মেরি সুররাট এবং তার ছোট ছেলে জন সুররাট জড়িত ছিল। তবে মেরি সুররাটের জড়িত থাকার বিষয়টা এখনো বিতর্কিত। সামরিক আদালতের বিচারে মেরি সুররাটের মৃত্যুদণ্ড হয়। তিনিই যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম মহিলা যার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।


মেরি সুররাট


সুররাট হাউস ট্রেভার্নের ফ্রন্ট ডেস্ক

ছেলে জন সুররাট ঘটনার পরে কানাডার মন্ট্রিয়লে পালিয়ে যায়। তার মা, মেরি সুররাটের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা পর্যন্ত ঐখানেই লুকিয়ে ছিল। মন্ট্রিয়ল থেকে কুইবেক এরপর নাম পরিবর্তন করে যুক্তরাজ্যের লিভারপুলে চলে যায়। সেখান থেকে ইতালি। কিন্তু ভাগ্য খারাপ, তার এক বন্ধু সেখানে তাকে চিনে ফেলে। সে কর্তৃপক্ষকে খবর দিলে জনকে গ্রেফতার করে ইতালির এক কারাগারে রাখা হয়। সেখান থেকে আরেক বন্ধুর সহায়তায় সে পালতে সক্ষম হয়। সে কানাডার নাগরিক পরিচয়ে মিশরের আলেক্সজান্ড্রিয়াতে চলে যায়। সেখানে সে যুক্তরাষ্ট্রের আর্মির দ্বারা আবার গ্রেফতার হয়। মিশরের আলেক্সজান্ড্রিয়া থেকে তাকে ওয়াশিংটন ডিসিতে নিয়ে আসা হয়।




ট্রেভার্নের মূল্য তালিকা

ট্রেভার্নের লবিতে ঝুলানো একজন ক্রীতদাসকে ধরিয়ে দেয়ার বিজ্ঞপ্তি

মেরি সুররাটের বিচার হয়েছিল সামরিক আদালতে। কিন্তু ছেলে জন সুররাটের বিচার হয়েছে ম্যারিল্যান্ডের সিভিল কোর্টে। বিচার শেষে ৮জন জুড়ি তাকে নির্দোষ এবং ৪জন জুড়ি দোষী ঘোষণা করে। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠ রায়ে সে নির্দোষ হিসাবে মুক্তিলাভ করে।

ডাইনিং রুম

মেরি সুররাটের শোবার ঘর

বাথটাব

এটিকের ভিতর একটা ছোট রুম। একজন ক্রীতদাসী এই রুমে থাকত। এই রুমেই আব্রাহাম লিঙ্কনকে হত্যার জন্য সংগ্রহীত অস্ত্রগুলি লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।

লুকিয়ে রাখা একটা অস্ত্র। যদিও এটা ব্যবহৃত হয়নি।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:২৫

টেকনিক্যাল এনালিসিস বলেছেন: ভালো পোস্ট

৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৪৫

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


ধন্যবাদ। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের প্রতিটি ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা আছে। অনেক কিছুই জানা যায়। ইতিহাসকে সুন্দরভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে। প্রতিটি ঐতিহাসিক বাড়ি, স্থান, এবং ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম সঠিক ইতিহাস জানতে পারে।

২| ৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:২৬

প্রামানিক বলেছেন: অনেক কিছু জানা হলো। ধন্যবাদ

৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৪৮

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহাসিক স্থানগুলি ভ্রমণ করলে মনে হয় এই সময়ে চলে গেছি। ঐ সময়টাকে ধরে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। এমনকি যে মহিলাটা আমাদের গাইড ছিল, তার পরনে ছিল ওই সময়ের পোশাক।

৩| ৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:৪৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: শোবার ঘর তো বেশ পরিস্কার। এখনো কি ভাড়া হয়? পোস্ট ভালো লেগেছে। তারা ইতিহাসকে মর্যাদা দিয়েছে। আমাদের দেশ হলে তো বিকৃত করত...

৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:১৪

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


এটা এখন মিউজিয়াম। আর এই ঘরটা মেরি সুররাটের নিজের রুম ছিল। এইগুলি নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা হয়। প্রয়োজন হলে মেরামত করা হয়, রং করা হয়। বিশেষ যত্ন নিয়ে আগের মতোই রাখা হয়। যাতে দর্শকরা ইতিহাস জানার সাথে সাথে আগে কেমন ছিল জানতে পারে।

৪| ৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:২০

জাহিদ অনিক বলেছেন:
বাহ ! চমৎকার !

০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ১২:২৭

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


আরো কিছু তথ্য:
১. জন হ্যারিসন সুররাট মেরি জেনকিন্সের ১৮৩৯ সালে বিয়ে করেন।
২. তখন মেরির বয়স ছিল ১৬ এবং জনের বয়স ছিল ২৬।
৩. তাদের দুই ছেলে এবং এক মেয়ে।
৪. এই খামার বাড়ির জন্য জন ১৮৫২ সালে ২০০ একর জায়গা কিনেন।
৫. ১৮৫৩ সালে এই বাড়ি নির্মাণ শেষ হয়।

৫| ৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:২৪

ইমরান আশফাক বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পারলাম এই পোষ্টটি পড়ে, ধন্যবাদ আপনাকে।

০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ১২:৪২

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


আরো কিছু তথ্য:
১. জন এই বাড়ির ভিতরে একটা পোস্টঅফিসে স্থাপন করেন।
২. জন এই পোস্টঅফিসের পোস্ট মাস্টার ছিলেন।
৩. এই খামারবাড়িতে মূল ভবন ছাড়া আরো ছিল--
ক. Carriage house (ঘোড়ার গাড়ি রাখার ঘর)
খ. Corn crib (ভুট্টা রাখার ঘর অনেকটা গোলাঘরের মত )
গ. গুদাম ঘর
ঘ. গোলাঘর
ঙ. ময়দা কল
চ. আস্তাবল
ছ. তামাক পাতা প্রক্রিয়াজাত করার ঘর (tobacco curing house)
জ. Wheelwright (ঘোড়ার গাড়ির চাকা তৈরি ও মেরামত করার কারখানা)

৬| ০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ১২:২৩

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: বর্ণনা ও ছবি ভালো লাগল।

০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ১২:৫০

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


সংক্ষেপে বর্ণনা করা খুব কঠিন। কারণ আমি যখন এই মিউজিয়াম দেখতে যাই, আমাদের গাইড এত বেশি তথ্য বর্ণনা করেন এবং সাথে সাথে অনেক বই পত্র দিয়েছেন। আবার এখানে সীমিত সংখ্যক ছবি আপলোড করা যায়। ফলে সব তথ্য, সব ছবি দেয়া সম্ভব না। আবার বিস্তারিত বলতে গেলে অনেক বড় হয়ে যাবে।

তবে আপনার ভাল লেগেছে জেনে ভালোই লাগছে।

৭| ০১ লা জুন, ২০১৮ ভোর ৪:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


একটি বড় ঐতিহাসিক ঘটনাকে সংক্ষেপে সুন্দরভাবে প্রকাশ করেছেন; ভালো লাগলো।

০১ লা জুন, ২০১৮ ভোর ৬:০৫

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস এত বিস্তারিত এবং তথ্য বহুল যে পড়তে পড়তে খেই হারিয়ে যায়। একপর্যায়ে আমার নিজের মনে রাখার জন্য যে বিষয়গুলি আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে তা লিখে রাখতে থাকি।

আরো কিছু পরে মনে হয়েছে এই লেখাগুলি যদি সামুতে পোস্ট করে দেই তা হলে কেমন হয়। ১৫২৬-১৯৯১ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি মোট ৮২টা পর্বে সামুতে পোস্ট করেছি।

আশার কথা খুব বেশি পাঠক লেখাগুলি পড়ে নাই। মন্তব্য খুবই অল্প। আমার মনে আছে প্রথম দিকের একটা লেখায় আপনি একটা তথ্যগত ভুল দেখিয়ে দিয়ে ছিলেন। আমি ভুল স্বীকার করে সঙ্গে সঙ্গে এডিট করে সঠিক তথ্য দিয়ে ছিলাম।

এতদিন বইয়ে পড়েছি, এখন বেশ কিছুদিন যাবত ঐতিহাসিক স্থানগুলি ঘুরে দেখছি। এত তথ্য তাই সংক্ষেপে লেখা খুব কঠিন।

৮| ০১ লা জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট।
ব্লগে এরকম পোষ্ট বেশি বেশী করে দিবেন।

০১ লা জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৮

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


মন্তব্য করে অনুপ্রাণিত করার জন্য ধন্যবাদ। আমি প্রায় সব বিষয়েই পড়তে এবং লিখতে পছন্দ করি। তবে আমার একসময়ে সবচেয়ে প্রিয় বিষয় ছিল রাজনীতি এবং ইতিহাস। আবার আইনের ছাত্র হিসাবে আমাদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে সরকার এবং রাজনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ইত্যাদি পড়তে হয়েছে।

এখন সবচেয়ে বিপদজনক বিষয় হচ্ছে রাজনীতি। তাই ইচ্ছা থাকলেও রাজনীতি নিয়ে লিখি না। বাংলাদেশের ইতিহাসও খুবই বিপদজনক বিষয়। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকার ইতিহাস চর্চা করা আনন্দদায়ক এবং নিরাপদ, যদিও সামুর পাঠকরা এগুলি পছন্দ করেন না। মোট ৮২ পর্বে আমেরিকার ইতিহাস সামুতে পোস্ট করেছি। পাঠক হাতে গনা ১০/১৫ জন। লাইক শূন্য। মন্তব্য ১/২।

তবে আশার কথা ১০/১৫ জন পাঠক পরে, ২/১ জন মন্তব্য করে আর আমি নিজে পছন্দ করি। আমি নিজে পছন্দ করি--এটাই সবচেয়ে বড় আশার কথা। আলহামদুলিল্লাহ, এতেই চলবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.