নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
চীন বাংলাদেশের ব্যাপারে তাদের নীতি পরিবর্তন করেছে। তারা বাংলাদেশ থেকে তাদের হাত গুটিয়ে নিয়ে ইন্ডিয়াকে খালি মাঠ ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশে একক রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করার জন্য ইন্ডিয়াকে ছাড় দেয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চীনের নীতি পরিবর্তনের কারণসমূহ:
১.পাকিস্তান, শ্রীলংকা, নেপাল, এবং মালদ্বীপকে নিজেদের প্রভাব বলয় নেয়ার মাধ্যমে চীন ইন্ডিয়ার চাইতে কৌশলগত সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে।
২. বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে ইন্ডিয়া খুব স্বচ্ছন্দ বোধ করছে না। এদিকে শ্রীলংকা, নেপাল, এবং মালদ্বীপও হাতছাড়া হয়ে গেছে। ইন্ডিয়ায় যাতে এই পরিস্থিতিতে খুব বেশি বিচলিত না হয়ে পরে, তার জন্য কিছুটা স্বস্তি দেয়া।
৩. যেখানে কোন লাভ নেই, সেখানে ভূ-রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে অংশ নিতে রাজি নয় চীন। যেমন-মধ্যপ্রাচ্যে চীনের কোন ভূমিকা নাই অথবা খুব সীমিত।
৪. বর্তমান চীনা সরকারের ভূমি সম্প্রসারণেরও কোন ইচ্ছা নেই।
৫. বাংলাদেশের পরিবর্তে মিয়ানমারের সাথে সম্পর্ক জোরদার করলে চীনের কৌশলগত সুবিধা বেশি। ফলে রোহিঙ্গা সমস্যায় চীন মিয়ানমারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
৬. বাংলাদেশে কৌশলগত উপস্থিতি বাড়ালে মিয়ানমারের সাথে দূরত্ব বাড়তে পারে। বর্তমানে চীন সেটা চায় না।
৭. বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের মধ্যে ভারসাম্য রাখা বর্তমান খুবই অসুবিধাজনক। চীন সেটা এড়িয়ে চলতে চাচ্ছে।
৮. বাংলাদেশের চাইতে ভুটানের দোকলাম করিডোর চীনের কাছে বেশি কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ মনে হচ্ছে।
৯. চীনের কাছে বাংলাদেশ এ মুহূর্তে কৌশলগত ভাবে কম গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবসা বাণিজ্যের বাইরে বাংলাদেশে অন্য কোন ধরনের উপস্থিতি চীন বাড়াতে চাচ্ছে না।
১০. ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ অংশীদারিত্ব নিয়ে প্রতিযোগিতায় চীন ইন্ডিয়ার সাথে জিতে গেছে। বাংলাদেশ কিভাবে ব্যবসা করতে হয় তাও তাদের জানা হয়ে গেছে। অবকাঠামো খাতে স্বল্প বিনিয়োগ করে কি ভাবে টাকা ভাগ করে নিতে হয় তা তাদের জানা হয়ে গেছে। তাই সামরিক কৌশল গত দিকে ইন্ডিয়াকে ছাড় দিয়ে বাংলাদেশ থেকে শুধু মুনাফা লুটে নেবে।
আওয়ামীলীগের খুশি হওয়ার কারণ---
ইন্ডিয়া চাচ্ছে দীর্ঘ মেয়াদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকুক। অন্তত ২০৪২ সাল পর্যন্ত, যা সুষমা স্বরাজ বলেছেন।
ইন্ডিয়ার খুশি হওয়ার কারণ--
বাংলাদেশ বিষয়টা দেখাশুনা করা এখন তাদের জন্য খুব সহজ হয়ে গেছে। খুব কষ্ট করতে হবে না।
১৩ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৯
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
না, আমার চাকরি আছে।
আপনারটা আছে তো?
ভালো থাকুন।
২| ০৮ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৪১
ইনাখ বলেছেন: বাংলাদেশ ভূগোল থেকে এখন ইতিহাস হয়ে যাবে বলেই মনে হচ্ছে !
০৮ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৫২
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
চীনের কৌশলগত পরিবর্তন কারো কারো জন্য সুখবর হলেও বাংলাদেশের জন্য ভাল খবর না। বড় দুই দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকলে ছোট দেশের জন্য ভাল। ছোট দেশটি শক্তিশালী দেশগুলি থেকে সুবিধা নিতে পারে। পক্ষান্তরে শক্তিশালী দেশগুলি নিজেদের স্বার্থেই ছোট এবং অপেক্ষাকৃত দুর্বল দেশটিকে কিছু সুবিধা দেয়। বাংলাদেশ কিছুটা হলেও এই সুবিধা ভোগ করতো।এখন চীনের কৌশলগত পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ এই সুবিধা পাবে না।
৩| ০৮ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:০৩
টারজান০০০০৭ বলেছেন: উহু , চীন মাঠ ছাড়িবে বলিয়া মনে হয় না ! বরং সংগোপনে মাঠ দখলের চেষ্টাই করিবে ! সম্ভবত ভাগাভাগিই হইবে !
০৮ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১০
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
চীনের নীতি পরিবর্তনের ১০ কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২ এবং ৯ নম্বর কারণটা বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষণ, কিন্তু বাকি কারণগুলি বাস্তবে দৃশ্যমান।
আপনার কাছে মনে হচ্ছে চীন মাঠ ছাড়বে না। এই রকম মনে হওয়ার পিছনের কারণগুলি বিশ্লেষণ করলে ধারণাটা পরিষ্কার হতো।
আপনি আরেকটা সম্ভাবনার কথা বলেছেন যে ভাগাভাগি হবে। কি ভাগাভাগি হবে?
যদি বলেন ব্যবসা ভাগাভাগি হবে। তার উত্তরে আমি আগেই বলেছি চীন বাংলাদেশের সাথে ব্যবসা করবে। বরং আরো বেশি ব্যবসা করবে। ১০ নাম্বার পয়েন্টে বলেছি, ইন্ডিয়াকে হারিয়ে চীন ইতোমধ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের অংশীদারিত্ব নিয়ে নিয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশ চীন থেকে যেসব পণ্য আমদানি করে তার বাজার ইন্ডিয়া কোনো দিনই দখল করতে পারবে না। গুনে মানে দামে চীন সবসময় এগিয়ে থাকবে।
কিন্তু ভাগাভাগি বলতে যদি কৌশলগত অবস্থান বলেন, তার উত্তর হচ্ছে কৌশলগত অবস্থা প্রতিদ্বন্দ্বীদের মাঝে কখনই ভাগাভাগি হয় না। কৌশলগত অবস্থান হয় তোমার, নয় আমার।
৪| ০৮ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২২
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার চিন্তা ভাবনার সাথে আমি একমই হতে পারলাম না।
০৮ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৯
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
আপনি চিন্তাশীল একজন প্রাজ্ঞ মানুষ।
কোন কোন পয়েন্টে কি কি কারণে একমত হতে পারলেন না ব্যাখ্যা করে বললে জানতে ও শিখতে পারতাম।
আমি কখনো দাবি করি না আমার মত বা বিশ্লেষণ চূড়ান্ত এবং অভ্রান্ত।
আমার বিশ্লেষণ ভুল হতে পারে। এমন কি যে সব তথ্যের ভিত্তিতে আমি বিশ্লেষণ করেছি, সেসব তথ্যও ভুল হতে পারে।
আশা করি আপনার মূল্যবান মতামত, যুক্তি এবং বিশ্লেষণ জানতে পারব।
৫| ০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:২৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
চীন এখনো ব্যবসা খুঁজে বেড়াচ্ছে বিশ্বময়
০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ২:০৫
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
চীনারা বাংলাদেশ কি ভাবে ব্যবসা করতে হয় তা ভাল ভাবে রপ্ত করেছে। শুধু একটা উদাহরণ দেই। তাদের একটা অনেক অনেক পুরাতন সাবমেরিন ছিল, যা বহুবছর আগেই বাতিল করে দিয়েছিল। ওটা দিয়ে তাদের নবীন ছাত্রদের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দিত। তারা যেহেতু ইতোমধ্যে জেনে গেছে কিভাবে, কি দিয়ে, কার সাথে বাংলাদেশে ব্যবসা করতে হবে, তাই মাথায় বুদ্ধি এলো ওটাকে লোহা লক্কড় হিসাবে বিক্রি না করে কিছু মেরামত করে রং টং করে বাংলাদেশ বিক্রির প্রস্তাব দেয়ার।
চীনারা বলল, যা দাম চুক্তিতে থাকবে তার এক-তৃতীয়াংশ আমাদেরকেই দিলেই চলবে। বাকি দুই তৃতীয়াংশ তোমরা রেখে দিয়ো।
চীনের লোহা-লক্কড়ও বিক্রি হয়ে গেলো, বাংলাদেশও সাবমেরিনের গর্বিত মালিক হল।
এই রকম অনেক অনেক প্রকল্প আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:০৯
রাকু হাসান বলেছেন: স্যার , আপনার বিশ্লেষণ এবং বর্তমান বাংলাদেশ নিয়ে চীনের অবস্থান আমার কাছে এমনটা মনে হচ্ছে । কৌশলগত ভাবে বাংলাদেশের চেয়ে মিয়ানমার যে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ,সেটার প্রমাণ তো পাচ্ছিই । ভূ-রাজনীতির দিক দিয়ে চীন বাংলাদেশ কে ছোট মনে করলেও ,বাণিজ্যের দিক দিয়ে সুবিধাজনক অভস্থানে থাকার জন্য পিছপা হবে না । বৃহৎ অর্থনৈতিক স্বার্থ রয়েছে বাংলাদেশ কে নিয়ে । সে হিসাবে রোহিঙ্গা প্রশ্নে মিয়ানমার কে খুশি করছে বলে মনে হয় , বাংলাদেশ কে সান্তনা দিচ্ছে মাত্র । সব মিলিয়ে আমাদের জন্য সু সংবাদ ভয়ে আনছে না তাহলে !! ভারতরে প্রভাব আরও বেড়ে যেতে পারে , আমাদের কি উচিত নয় চীনের অর্থনৈতিক প্রভাব থেকে বেড়িয়ে আসতে শুরু করা ? আমরা যদি রোহিঙ্গা ইস্যুর মত সমস্যার ব্যাপারে চীনের সহায়তা নাই পাই তাহলে এত দিনের অর্থনৈতিক বন্ধু দিয়ে কি করলাম !
আপনাকে নিয়ে সনেট কবি view this link ,পড়তে মিস করবেন না ,সেই কামনা ,ভাল থাকুন সব সময়
০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২১
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে কতগুলি কথা মনে রাখতে হবে ---
১. আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে স্থায়ী কোন বন্ধু বা শত্রু নাই। আজ যে বন্ধু কাল সে শত্রু হতে পারে আবার আজ যে শত্রু কাল সে বন্ধু হতে পারে।
২. বন্ধু শব্দটা ব্যক্তির ক্ষেত্রে যে অর্থ বহন করে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ঠিক একই অর্থ বহন করে না। আন্তর্জাতিক সম্পর্কে বন্ধু মানে পারস্পরিক স্বার্থ।
৩. স্বার্থ ছাড়া কোন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নাই। বিনা স্বার্থ বা লাভ কোন রাষ্ট্র ওপর রাষ্ট্রকে সাহায্য করতে আসবে না। আমেরিকা যেহেতু শক্তিশালী রাষ্ট্র তাই কোন রাখ ঢাক না করেই পরিষ্কার ভাবে তাদের পররাষ্ট্র নীতিতে বলে দিয়েছে, আমেরিকার স্বার্থ রক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নির্ধারণ করে। সব রাষ্ট্রের নীতিমালা এটাই।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৪১
কাইকর বলেছেন: চাকরী চলে গেছে ভাই আপনা