নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নভেল করোনাভাইরাস বা SARS-CoV-2

২৬ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৩৬

নভেল করোনাভাইরাস বা SARS-CoV-2



২০১৯ সালের শেষের দিকে, চিনের উহান থেকে শ্বাস-প্রশ্বাসের সংক্রমণ হচ্ছে এমন একটা নতুন ধরণের অসুখের খবর আসে। সেই সাথে এই খবর আসে শ্বাস-প্রশ্বাসের এই সংক্রমণটা মারাত্মক ধরণের এবং প্রাণঘাতী। নতুন ধরণের অসুখের ভাইরাসটি দ্রুতই সনাক্ত হয় যার নাম দেয়া হয় নভেল করোনাভাইরাস এবং সেই সাথে ২০০২-২০০৪ সালের মহামারীর জন্য দায়ী SARS এবং ২০১২ সালের মহামারীর জন্য দায়ী MERS ভাইরাসের সাথে এই নতুন ভাইরাসের সম্পর্ক আছে বলে চিহ্নিত করা হয়।

ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন এই নতুন ভাইরাস থেকে যে রোগ হচ্ছে তার নাম দেয় COVID-19 (কোভিড-১৯) এবং আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্যের জন্য জরুরী অবস্থার ঘোষণা দিয়েছে। আজকে এই লেখা পর্যন্ত এই ভাইরাসটি সারা বিশ্বে ৪,৮৮,৩৪৫ জনকে আক্রান্ত করেছে এবং ২২,০৭১ জনকে হত্যা করেছে।

অন্যান্য করোনাভাইরাসগুলির মতো, SARS-CoV-2 ভাইরাসের কণাগুলি গোলাকার হয় এবং তাদের পিঠে কাঁটার মত প্রোটিনের স্পাইক থাকে। ছিটকিনি দিয়ে যে ভাবে দরজা আটকানো হয় ঠিক সে ভাবে ভাইরাসটি তার কাঁটাগুলি দিয়ে মানুষের কোষগুলির সাথে নিজেদেরকে প্রথমে আটকায়। তারপরে একটি কাঠামোগত পরিবর্তন হয় যা ভাইরাল ঝিল্লিটি মানুষের কোষের ঝিল্লি দিয়ে গলিয়ে ফেলে মানুষের কোষের মধ্যে দ্রবীভূত হয়ে যায়। ভাইরাল জিনগুলি তারপরে তাদের মত আরো ভাইরাস উৎপাদনে জন্য মানুষের কোষটিতে প্রবেশ করতে পারে এবং আরও ভাইরাস তৈরি করতে থাকে। সাম্প্রতিক গবেষণাগুলিতে দেখায় যে SARS-CoV-2 ভাইরাসটি ২০০২ সালের SARS ভাইরাসের মত তার স্পাইকগুলি দিয়ে মানুষের কোষের মধ্যে একটা রিসেপ্টর তৈরি করে যার নাম অ্যাঞ্জিওটেনসিন-কনভার্টিং এনজাইম ২ (ACE2) । এই রিসেপ্টরের কাজ হচ্ছে আলো, তাপ বা অন্যান্য বাহ্যিক উপাদান থেকে তথ্য সংগ্রহ করে মানুষের সংবেদনশীল স্নায়ুত্রন্ত্রকে সংকেত প্রেরণ করা।

দ্রুত গবেষণা অগ্রগতি স্বার্থে, নতুন করোনাভাইরাসের জিনোম ক্রমটি চীনের বিজ্ঞানীরা জনসাধারণের জন্য প্রকাশ করেছিলেন। অস্টিনের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাঃ জেসন ম্যাকেলেন'স ল্যাব এবং এনআইএআইডি ভ্যাকসিন রিসার্চ সেন্টার (VRC) এর বিজ্ঞানীদের সমন্বয়ে একটি দল করোনাভাইরাসগুলির জিনোমের একটি অংশ বিচ্ছিন্ন করতে পেরেছে। ফলে ভাইরাসটির স্পাইকের প্রোটিনগুলির মধ্যে থাকা সংকেতগুলি গবেষকরা জানতে পারবে। এখন ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য গবেষকরা সেল কালচার করে এই ধরণের অনেক প্রোটিন সেল উৎপাদন করবে।
এই তথ্যগুলি পাবেন ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ এলার্জি এন্ড ইনফেকসাস ডিজিসেস (NIAID) এর গবেষণা পত্রে।

স্পাইক প্রোটিনের কাঠামোর বিশদ ছবি তোলার জন্য গবেষকরা ক্রিও-ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপি (cryo-electron microscopy) নামে একটি কৌশল ব্যবহার করেছিলেন। ভাইরাস কণার হাজার হাজার ছবি তোলার জন্য বরফ শীতল নমুনা প্রোটিনটির মাধ্যম দিয়ে উচ্চ-শক্তির ইলেকট্রনের একটি প্রবাহকে পাঠানো হয়। এই হাজার হাজার ছবিগুলি একত্রিত করে ভাইরাসটির একটি বিশদ ৩ডি ছবি বানানো হয় ।



গবেষকরা দেখেছেন যে SARS-CoV-2 ভাইরাসের প্রোটিন স্পাইকটি ২০০২ সালর SARS ভাইরাস থেকে ১০ থেকে ২০ গুণ বেশি অ্যাঞ্জিওটেনসিন-কনভার্টিং এনজাইম ২ (ACE2) মানব কোষে তৈরি করতে পারে। ফলে এই ভাইরাসটি আগের ভাইরাসগুলোর তুলনায় বেশি ছড়াতে পারে অর্থাৎ বেশি ছোঁয়াচে।

SARS ভাইরাস এবং SARS-CoV-2 ভাইরাসের মধ্যে ক্রমবিন্যাস এবং কাঠামো গত অনেক মিল থাকা সত্ত্বেও SARS ভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর তিনটি পৃথক অ্যান্টিবডি SARS-CoV-2 ভাইরাসের ক্ষেত্রে কাজ করছে না। তাই গবেষকরা বলছেন একদম নতুন অ্যান্টিবডি ভিত্তিক একটা ভ্যাকসিন বানানোর প্রয়োজন।


মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: এত এত করোণা নিয়ে পোষ্ট পরে মাথা জট পাকিয়ে গেছে।

২৬ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:১৪

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



"এত এত করোণা নিয়ে পোষ্ট পরে মাথা জট পাকিয়ে গেছে।"
সব পোস্ট পড়বেন না।
যেটা ভাল লাগে বা যেটাতে ইন্টারেস্ট পান সেটাই পড়বেন।
বা কোন কনফিউশন থাকলে ফ্যাক্ট চেক করার জন্য পড়বেন।

২| ২৬ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: ওকে। ধন্যবাদ।

২৭ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৪৩

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



আপনাকেও ধন্যবাদ।

৩| ২৬ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৪২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: কেউ কেউ করোনা নিয়ে ৩টা/ ৪টা পোষ্ট দিতেছে। এক দিকে ভয় আরেক দিকে বিরক্তিকর। নেভার মাইন্ড।


২৭ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১:০০

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



"নেভার মাইন্ড।"

না, মাইন্ড করার কিছু নাই।
কথায় কথায় মাইন্ড করলে --
১৩ বছর ২ সপ্তাহ ধরে এই ব্লগে থাকতে পারতাম না।
৩৭৭টি পোস্ট লিখতে পারতাম না।
১৪৭৮টি মন্তব্য করতে পারতাম না।
আর ৩৮৫৭টি মন্তব্য পেতাম না।

"কেউ কেউ করোনা নিয়ে ৩টা/ ৪টা পোষ্ট দিতেছে।"
৩/৪টা শুধু না, এমন দিন আছে ৭/৮টাও পোস্ট দিয়েছি।

"এক দিকে ভয় আরেক দিকে বিরক্তিকর।"
প্রথমত: ভয় এবং বিরক্তি মানসিক সমস্যা। এর সমাধান আপনাকেই করতে হবে।
দ্বিতীয়ত: একটা ব্লগে নানা ধরণের মন মানসিকতার লেখক এবং পাঠক আছেন। সব লেখা সবার জন্য না।
তৃতীয়ত: এখানে তো কোন বাধ্যবাধকতা নেই যে আপনাকে সব লেখা পড়তে হবে। যে লেখাটা আপনার ভাল লাগছে না, সেটা না পড়লেই হল। সবই তো ফ্রি।
চতুর্থত: আনন্দের জন্য পড়ুন, এবং জানার জন্য পড়ুন, কিন্তু বিরক্তির জন্য বা ভয়ের জন্য পড়বেন না।
পঞ্চমত: বিরক্তিকর লেখাটা না পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ষষ্ঠত: মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৪| ২৭ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: আমি কিন্তু আপনার পোষ্টে বিরক্ত হই নাই।

২৭ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:১৩

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



"আমি কিন্তু আপনার পোষ্টে বিরক্ত হই নাই।"
বিরক্ত না হওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
আর বিরক্ত হলেও করার কিছু নাই।
আমার লেখা আমি লেখেই যাব।
যে পড়তে চায় সে পড়বে আর যে পড়তে চায় না সে পড়বে না।
আমি তো আর টিচার না। যে পড়তে বাধ্য করবো।
আর সবার যে সব লেখা ভাল লাগবে তারও কোন কারণ নাই।
সবাই যে সব লেখা বুঝবে তাও না।

৫| ২৭ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৪১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তথ্য বহুল পোস্ট।

২৭ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:১৫

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:

তথ্য জানার অধিকার সবার আছে।
আর তথ্য যদি কাজে লাগে তাহলে আর ভালো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.