নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
করোনা ভাইরাস দমনে বিসিজি টিকা কি কোন ভূমিকা রাখতে পারে?
গবেষকরা করোনা ভাইরাস থেকে মানবজাতিকে বাঁচানোর জন্য প্রাণান্তকর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কেউ নতুন ভ্যাকসিন আবিষ্কারের চেষ্টা করছেন কেউ নতুন ওষুধ আবিষ্কারের চেষ্টা করছেন। আবার কেউ কেউ পুরাতন কিছু দিয়ে কাজ হয় কিনা তাও গবেষণা করে দেখছেন।
এরমধ্যে গবেষকদের ১০০ বছরের পুরাতন একটা টিকার কথা ভাবছেন। টিকার নাম আমরা সবাই জানি -- বিসিজি। ব্যাসিলাস ক্যালমেট – গুউরিন বা সংক্ষেপে বিসিজি -- যক্ষ্মা রোগের টিকা। দুইটা সম্ভাবনা বা ধারণা থেকে গবেষকদের মাথায় এই টিকার কথা এসেছে। প্রথমত, তারা ভাবছেন যক্ষ্মার ফলে মানুষের ফুসফুস আক্রান্ত হয়, আবার করোনা ভাইরাসেও ফুসফুস আক্রান্ত হয় তা হলে এর মধ্যে কি কোন যোগ সূত্র আছে? দ্বিতীয় ভাবনাটা এসেছে পরিসংখ্যান থেকে। তারা লক্ষ্য করছেন যে সব দেশে বিসিজি টিকা দেয়া আছে সেই সব দেশে মানুষ কম আক্রান্ত হচ্ছে।
প্রশ্ন হচ্ছে: বিসিজি টিকা কি মানুষকে করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা করতে পারবে?
উত্তর হচ্ছে: আমরা এখনো জানিনা।
দেখা যাচ্ছে করোনা ভাইরাস কোন কোন দেশে প্রচণ্ড ভাবে আক্রমণ করেছে আবার কোন কোন দেশে কম আক্রমণ করেছে। এই পরিসংখ্যানকে মাথায় রেখে গবেষকরা একটা সাধারণ সূত্র বের করার চেষ্টা করছেন। তারা একটা সূত্র পেয়েছেন যে এশিয়ার প্রায় সব দেশে বিশেষ করে গরিব এবং অনুন্নত দেশগুলিতে বাচ্চা জন্ম হওয়ার অল্পদিনের মধ্যেই বাধ্যতামূলক ভাবে বিসিজি টিকা দেয়া হয়। কিন্তু ইউরোপিয়ান দেশগুলিতে বাধ্যতামূলক ভাবে দেয়া হয় না, শুধু প্রয়োজন হলেই দেয়া হয়। আর আমেরিকাতে বিসিজি টিকা দেয়াই হয় না। এরমধ্যে কি জন যোগসূত্র আছে? গবেষকরা এটা খুঁজে দেখছেন।
বৈজ্ঞানিকরা বিসিজি টিকাকে "ভাগ্যবান দুর্ঘটনা" বলেন। কারণ এই বিসিজি টিকা যদিও আবিষ্কার করা হয়েছিল যক্ষ্মা রোগের জন্য কিন্তু পরে দেখা গেছে শ্বাসতন্ত্রের অন্যান্য সংক্রমণের ক্ষেত্রেও এটা ভাল কাজ করে। তাছাড়াও সাধারণ ভাবে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। উদাহরণ হিসাবে, medRxiv এর এক গবেষণায় দেখা গেছে পশ্চিম আফ্রিকাতে বিসিজি টিকা দেয়ার ফলে শিশু মৃত্যুর হার ৫০% কমে গেছে। তাদের শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ, সেপসিস এবং রক্ত দূষণ কমে গেছে।
জীবন্ত মাইকোব্যাক্টেরিয়াম বোভিসের দুর্বল আকার দিয়ে এই বিসিজি ভ্যাকসিনটি তৈয়ার করা হয়েছে। এই ভ্যাকসিনটি ১৯২০ সালে প্যারিসে আবিষ্কৃত হয়। পরে সারা বিশ্বে এটা পাঠানো হয়। এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নিজ নিজ ফর্মুলা অনুসারে জীবন্ত বেক্টেৰিয়া দিয়ে এই বিসিজি টিকা তৈরি করে। বোস্টন চিলড্রেন হাসপাতালের ভ্যাকসিন প্রোগ্রামের পরিচালক এবং হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের অধ্যাপক ডাঃ ওফের লেভি বলেছেন, একেকটা বিসিজি টিকার একেক ধরণের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমা আছে।
আমেরিকার স্বাস্থ্য ও মানব পরিষেবা বিভাগ বলেছে, সাধারণত জীবন্ত ভ্যাকসিনগুলি (যেমন বিসিজি) জীবাণুর বিরুদ্ধে শক্তিশালী এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখে এবং কখনও কখনও এমনকি আজীবন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখে। কিন্তু তুলনা করলে নিষ্ক্রিয় ভ্যাকসিনগুলি (যেমন ফ্লু ভ্যাকসিনগুলি) তেমন "শক্তিশালী" রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি করে না।
বিসিজি টিকা দেয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এমন হয় যে এটা শুধু যক্ষ্মার জীবাণুর বিরুদ্ধেই যুদ্ধ করে না। বরং যেকোনো জীবাণু শরীরে ঢুকলেই একটা প্রাথমিক প্রতিরক্ষা গড়ে তুলে।
তবে বৈজ্ঞানিকরা এখনো এই ব্যাপারে নিশ্চিত না। তাই আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং নেদারল্যান্ডে করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রে বিসিজি টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়েছে।
সূত্র:
১. লাইভ সায়েন্স
২. medRxiv
৩. রিসার্চ গেইট
৪. ভেকসিন ডট গভ
৫. U.S. Department of Health and Human Services
১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৫৮
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
"যক্ষ্মা টিকার কথা এখানেও আলাপ হচ্ছে।"
আমি আমার লেখাতে এই কথা উল্লেখ করেছি। আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং নেদারল্যান্ডে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে।
২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৪৪
মেমননীয় বলেছেন: ১২ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে,বিসিজি টিকা দেয়া থাকলে কিংবা বিসিজি টিকা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচিয়ে দেয়- এই বক্তব্যের স্বপক্ষে তারা কোনো প্রমাণ পায়নি।
https://www.who.int/news-room/commentaries/detail/bacille-calmette-guérin-(bcg)-vaccination-and-covid-19
১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:০৫
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
"১২ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে,বিসিজি টিকা দেয়া থাকলে কিংবা বিসিজি টিকা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচিয়ে দেয়- এই বক্তব্যের স্বপক্ষে তারা কোনো প্রমাণ পায়নি।"
উত্তর: আমি আমার লেখায় লিখেছি, "প্রশ্ন হচ্ছে: বিসিজি টিকা কি মানুষকে করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা করতে পারবে?
উত্তর হচ্ছে: আমরা এখনো জানিনা।"
আরেক জায়গায় লিখেছি, "তবে বৈজ্ঞানিকরা এখনো এই ব্যাপারে নিশ্চিত না। তাই আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং নেদারল্যান্ডে করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রে বিসিজি টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়েছে।"
এক. আমি কোথাও বলি নাই, "বিসিজি টিকা দিয়ে করোনা ভাল হবে এটা বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত।"
দুই. যেহেতু প্রশ্নটা এসেছে তাই গবেষকরা পরীক্ষা করে দেখছেন।
তিন. উন্নত দেশে কোন প্রশ্নকে সরাসরি নাকচ করে না। পরীক্ষা করে দেখে। প্রমাণ পেলে প্রমাণিত, আর না পেলে অপ্রমাণিত।
৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: করোনা ভাইরাস দমনে বিসিজি টিকার সামান্য ভূমিকা নেই।
১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:১৭
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
"করোনা ভাইরাস দমনে বিসিজি টিকার সামান্য ভূমিকা নেই।"
আমাদের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, কোন কিছু বিশ্বাস করতে যেমন কোন প্রমাণ লাগে না, আবার কোন কিছু অবিশ্বাস করতেও কোন প্রমাণ লাগে না।
আমার মনে হল এটা ঠিক প্রমাণ ছাড়াই এটা ঠিক।
আবার আমার মনে হল এটা বে-ঠিক তো প্রমাণ ছাড়াই বে-ঠিক।
আর উন্নত দেশের বৈশিষ্ট্য হল কোন প্রশ্ন, বা কোন ধারণা বা কোন মত বা কোন সন্দেহ সামনে আসলেই তারা তা নিয়ে গবেষণা করে।
গবেষণার ফলাফলের উপর তারা তাদের চূড়ান্ত মতামত দেয়।
আমি আমার লেখাতে উল্লেখ করেছি তারা দুইটা ধারণার উপর ভিত্তি করে এই গবেষণ করছেন।
প্রথমত, তারা ভাবছেন যক্ষ্মার ফলে মানুষের ফুসফুস আক্রান্ত হয়, আবার করোনা ভাইরাসেও ফুসফুস আক্রান্ত হয় তা হলে এর মধ্যে কি কোন যোগ সূত্র আছে?
দ্বিতীয় ভাবনাটা এসেছে পরিসংখ্যান থেকে। তারা লক্ষ্য করছেন যে সব দেশে বিসিজি টিকা দেয়া আছে সেই সব দেশে মানুষ কম আক্রান্ত হচ্ছে।
যেহেতু বিসিজি টিকা ইতোমধ্যেই আছে তাই নতুন করে তৈরি করার দরকার নাই। তারা সরাসরি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে চলে গেছে।
ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে যদি দেখা যায় ফলাফল পজিটিভ তা হলে এটা তারা প্রয়োগ করতে শুরু করবে আর নেগেটিভ হলে সেটাও তারা জানিয়ে দিবে।
৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৫০
মেমননীয় বলেছেন: Click This Link)-vaccination-and-covid-19
১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:১৮
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
আমি আমরা লেখার নিচে অনেকগুলি লিংক দিয়েছি। সেখানে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:১০
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: প্রয়োগ করে ফলাফল পাওয়া গেলে প্রমান হবে সঠিক কিনা।
১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২২
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
"প্রয়োগ করে ফলাফল পাওয়া গেলে প্রমাণ হবে সঠিক কিনা।"
কথা সেটাই।
লেখার তৃতীয় অনুচ্ছেদেই আমি বলেছি,
"প্রশ্ন হচ্ছে: বিসিজি টিকা কি মানুষকে করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা করতে পারবে?
উত্তর হচ্ছে: আমরা এখনো জানিনা।"
"জানি না" মানে আমরা জানার চেষ্টা করছি।
আর শেষ অনুচ্ছেদে বলেছে,
"তবে বৈজ্ঞানিকরা এখনো এই ব্যাপারে নিশ্চিত না। তাই আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং নেদারল্যান্ডে করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রে বিসিজি টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়েছে।"
৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:১৯
নতুন বলেছেন: এটা একটা পরিসংখ্যান যে যেই সব দেশে করোনার আক্রমনে আক্রান্তের সংখ্যা কম সেখানে বিসিজি টিকাও বেশি দেওয়া আছে।
আর যেহেতু বিসিজি টিকা ফুসফুসের অন্য রোগের জন্য সাহাজ্য করে তাই গবেষরা এই টিকা এবং করোনার মাঝে কোন সম্পক` আছে কিনা সেটা খুজে দেখছেন।
এটা সময় লাগবে। যাদের করোনা আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়েছিলেন তাদের রক্তের থেকে প্লাজমা নিয়ে করোনা রোগীর চিকিতসার বিষয়টাও খুজে দেখছে গবেষকরা।
১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৪১
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
আপনি লিখেছেন, "এটা একটা পরিসংখ্যান যে যেই সব দেশে করোনার আক্রমনে আক্রান্তের সংখ্যা কম সেখানে বিসিজি টিকাও বেশি দেওয়া আছে।"
আমি এই ব্যাপারে লিখেছি,
"দ্বিতীয় ভাবনাটা এসেছে পরিসংখ্যান থেকে। তারা লক্ষ্য করছেন যে সব দেশে বিসিজি টিকা দেয়া আছে সেই সব দেশে মানুষ কম আক্রান্ত হচ্ছে।"
আমি আরো লিখেছি,
"তারা একটা সূত্র পেয়েছেন যে এশিয়ার প্রায় সব দেশে বিশেষ করে গরিব এবং অনুন্নত দেশগুলিতে বাচ্চা জন্ম হওয়ার অল্পদিনের মধ্যেই বাধ্যতামূলক ভাবে বিসিজি টিকা দেয়া হয়। কিন্তু ইউরোপিয়ান দেশগুলিতে বাধ্যতামূলক ভাবে দেয়া হয় না, শুধু প্রয়োজন হলেই দেয়া হয়। আর আমেরিকাতে বিসিজি টিকা দেয়াই হয় না। এরমধ্যে কি জন যোগসূত্র আছে? গবেষকরা এটা খুঁজে দেখছেন।"
আপনি লিখেছেন, "আর যেহেতু বিসিজি টিকা ফুসফুসের অন্য রোগের জন্য সাহাজ্য করে তাই গবেষরা এই টিকা এবং করোনার মাঝে কোন সম্পক` আছে কিনা সেটা খুজে দেখছেন।"
এই ব্যাপারে আমি লিখেছি,
"প্রথমত, তারা ভাবছেন যক্ষ্মার ফলে মানুষের ফুসফুস আক্রান্ত হয়, আবার করোনা ভাইরাসেও ফুসফুস আক্রান্ত হয় তা হলে এর মধ্যে কি কোন যোগ সূত্র আছে?"
আরেক জায়গায় লিখেছি,
"medRxiv এর এক গবেষণায় দেখা গেছে পশ্চিম আফ্রিকাতে বিসিজি টিকা দেয়ার ফলে শিশু মৃত্যুর হার ৫০% কমে গেছে। তাদের শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ, সেপসিস এবং রক্ত দূষণ কমে গেছে।"
আপনি লিখেছেন, "এটা সময় লাগবে। যাদের করোনা আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়েছিলেন তাদের রক্তের থেকে প্লাজমা নিয়ে করোনা রোগীর চিকিতসার বিষয়টাও খুজে দেখছে গবেষকরা।"
আমার উত্তর: নিশ্চয় সময় লাগবে। তবে তারা সবগুলি সম্ভাবনাই গবেষণা করে দেখছেন। তাদের একটা প্রধান লক্ষ্য অবশ্য দ্রুত কাজ করা। মানুষের মৃত্যু রোধ করা যেমন জরুরি ঠিক তেমনি দ্রুত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করাও উন্নত দেশগুলির জন্য জরুরি। তাই তারা তাড়াহুড়া করছেন। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা অনেক কমিয়ে আনা হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গবেষণাগারগুলির মধ্যে তথ্য আদানপ্রদান করা হচ্ছে। এতে গবেষণা কাজের বেশ গতি এসেছে।
৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:২৭
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আপনার আপডেটগুলো দারুণ হচ্ছে। চালিয়ে যাবেন আশা করি।
১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৫৪
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
১৩ বছর ১ মাস যাবত চালিয়ে যাচ্ছি।
তাও আবার নিজের আসল নামে।
ভালো লাগার জন্য ধন্যবাদ।
৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৩৫
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমরা এখনো জানিনা।
১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:০০
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
"আমরা এখনো জানিনা।"
আমরা জানবো কি করে?
আমরা তো আর গবেষণা করি না।
আমরা গবেষকদের গুরু।
আমরা গবেষণা ছাড়াই বলে দিতে পারি।
পৃথিবীর উন্নত জাতিগুলি বোকা।
তারা গবেষণার পিছনে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করে।
আমরা কত চালাক। এক পয়সা খরচ না করেই গবেষণা ফল ভোগ করি।
আবার যে দেশ এইগুলি গবেষণা করে আমাদের কাছে উপকার পৌঁছে দেয় তাদের অহর্নিশ গালিগালাজ করি।
আমরা বুদ্ধিমান এবং চালাক।
৯| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:১১
আখেনাটেন বলেছেন: ভালো একটি পোস্ট লিখেছেন।
বিসিজি নিয়ে নেগেটিভ, পজিটিভ দুই ধরনের কথায় শুনা যাচ্ছে। তবে নেগেটিভের পাল্লায় ভারী.... ব্যাকটেরিয়া দিয়ে ভাইরাসের চিকিৎসা....।দেখা যাক...
১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৩৮
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
যারা বিষয়টা নিয়ে গবেষণা করেন না তাদের এক দল কোন গবেষণা ছাড়াই নেগেটিভ এবং আরেক দল কোন গবেষণা না করেই পজিটিভ বলেন।
আসলে গবেষকরা দুইটা সূত্র ধরে বিষয়টা দেখছেন।
একটা সূত্র হচ্ছে পরিসংখ্যান।
প্রথমেই তারা দেখছেন যে দেশগুলি বেশি আক্রান্ত হয়েছে তারা কেন বেশি আক্রান্ত হল এবং যে দেশগুলি কম আক্রান্ত হয়েছে সেটারই বা কারণ কি?
কমন বৈশিষ্ট্যগুলি তারা পরীক্ষা করছে।
তারা দেখছে তাপমাত্রার কোন প্রভাব আছে কিনা?
আর্দ্রতার কোন প্রভাব আছে কিনা?
এমন কি ডিসেম্বর মাস থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত যে সব মানুষ আমেরিকাতে প্রবেশ করেছে তারা তার বিস্তারিত বিবরণ পরীক্ষা করছে।
এরই ধারাবাহিকতায় একটা কমন সূত্র তাদের নজরে এসেছে।
এই কমন সুটটা হচ্ছে বিসিজি টিকা।
এটা কাকতালীয় হতে পারে।
তারা পরিসংখ্যানে দেখেছে বিসিজি টিকা দেয়া দেশগুলিতে সংক্রমণ অপেক্ষাকৃত কম।
উন্নত দেশগুলি গবেষণা করে প্রমাণ সংগ্রহ না করা পর্যন্ত কোন বিষয় নাকচ করে না বা কোন বিষয় গ্রহণও করে না।
এই কারণেই বিসিজি টিকা নিয়ে ক্লিনিকাল টেস্ট হচ্ছে।
যদি দেখা যায় কোন যোগসূত্র নাই -- তাহলে ওখানেই শেষ।
আর যদি দেখা যায় যোগসূত্র আছে -- তা হলে সে ভাবে পদক্ষেপ নিবে।
ভাল লাগার জন্য ধন্যবাদ।
১০| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:০১
সুপারডুপার বলেছেন:
epidemic curve -এর উপর ভ্যাকসিনের প্রভাব দেখে বোঝা যায় , ভ্যাকসিন / টিকা প্রয়োগ করলে আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও সম্পূর্ণ নির্মূল হবে না (উপরের চিত্র)। এছাড়া টিকা আবিষ্কার হওয়ার পরে জনসংখার কত ভাগ টিকা নিয়েছে সেটাও একটা বড় ফ্যাক্টর হবে। বাংলাদেশের জন্য অনেক অনেক সময়ের ব্যাপার। বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশের জন্য এই মুহূর্তে দরকার করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া। এই বিষয়েও কিছু লিখবেন আশা করছি।
১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৩৯
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
এই ব্যাপারে আমি আলাদা একটা পোস্ট লেখার জন্য কয়েকদিন থেকে চিন্তা করছি এবং তথ্য সংগ্রহ করছি।
এখন চিন্তাটা আরো দ্রুত গুছিয়ে আনতে হবে।
আপনারা কথা এবং গ্রাফটার সাথে আমি একমত হয়ে দু একটা কথা সংযোজন করছি।
১. গুটি বসন্ত ১৯৮০ সালে পৃথিবী থেকে নির্মূল করা হয়েছে। ভ্যারিওলা ভাইরাস দ্বারা এই রোগ হতো।
২. ১৭৯৬ সালে গুটি বসন্তের টিকা আবিষ্কৃত হয়।
১১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৫০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এটা নিশ্চিত ভাবে জানতে কত দিন লাগবে? আদৌ কি জানা যাবে?
১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৪৩
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
অবশ্যই জানতে পারবেন।
তবে কিছু দিন সময় লাগবে।
এই ব্যাপারে সঠিক তথ্য জানতে ফেইসবুক বা বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমের উপর নির্ভর না করে CDC (https://www.cdc.gov/) এবং WHO (https://www.who.int/) এর ওয়েবসাইট গুলি দেখবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৩৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
যক্ষ্মা টিকার কথা এখানেও আলাপ হচ্ছে।