নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
আল আকসা মসজিদ
আল আকসা মসজিদ এবং বায়তুল মোকাদ্দস এক স্থাপনা নয়।
সূরা আল ইসরা ১নং আয়াতে আল্লাহ মসজিদুল আকসার কথা উল্লেখ করেছেন।
"পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা তিনি, যিনি স্বীয় বান্দাকে রাত্রি বেলায় ভ্রমণ করিয়েছিলেন মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত-যার চার দিকে আমি পর্যাপ্ত বরকত দান করেছি যাতে আমি তাঁকে কুদরতের কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দেই। নিশ্চয়ই তিনি পরম শ্রবণকারী ও দর্শনশীল।(সূরা ইসরা, আয়াত ১)
আকসা শব্দের অর্থ দূরবর্তী এবং মসজিদুল আকসা অর্থ ‘দূরের মসজিদ’। ইতিহাস থেকে আমরা জানতে পারি, যে সময়ে মিরাজ সংঘটিত হয়েছিল সে সময় বাইতুল মুকাদ্দাস ধ্বংসপ্রাপ্তই ছিল। তবে তার মানে এই নয় যে, সে এলাকা একদম শূন্য ছিল। বরং, প্রাচীর দিয়ে ঘেরাও করা ছিল সে পবিত্র এলাকা এবং সেখানে অনেকগুলো প্রবেশ দাড় ছিল। তাছাড়া পূর্ববর্তী নবীদের ব্যবহার করা জায়গার স্মৃতিচিহ্ন ছিল। উক্ত আয়াতেই উল্লেখ আছে ‘যার চার দিকে আমি পর্যাপ্ত বরকত দান করেছি’ অর্থাৎ একটি ‘এলাকা’-র কথাই বলা আছে। আর আশীর্বাদপুষ্ট পবিত্র এলাকা বলতে আল হারাম আশ শরীফ বা টেম্পল মাউন্ট এলাকাই আছে সেখানে। হাদিস ও কুরআনে একে মসজিদ বলা হয়েছে, কারণ সেটি সিজদার স্থান ছিল, মসজিদ বলতে কোনো ছাদওয়ালা ইমারতকে বোঝানো হয় না সবসময়।
৬৩৭ সালের এপ্রিল মাসে উমর (রাঃ) যখন জেরুজালেম আসেন বাইজেন্টাইন প্রশাসক সোফ্রোনিয়াসের কাছ থেকে শহরের শাসন ভার গ্রহণ করার জন্য তখন তিনি বায়তুল মোকাদ্দস বলে চিহ্নিত জায়গায় নামাজ পড়েন এবং সেখানে ছোট আকারের একটা নামাজ ঘর নির্মাণ করেন।
উমাইয়া খলিফা আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ান (৬৪৬-৭০৫) এ মসজিদটি পুনর্নির্মাণ ও প্রসারিত করা শুরু করেন, তার পুত্র খলিফা আল ওয়ালিদ (৬৬৮-৭১৫) নির্মাণ কাজ শেষ করেন।
৭৪৬ সালের ভূমিকম্পে মসজিদুল আকসা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়।
৭৫৪ সালে আব্বসীয় খলিফা আল মনসুর (৭১৪-৭৭৫) সেটি আবার নির্মাণ করেন।
৭৮০ সালে এটি আবার সংস্কার করা হয়।
১০৩৩ সালে মসজিদটি আরেক ভূমিকম্পে আবার ধ্বংস হয়ে যায়।
দু’বছর পর ফাতিমি সপ্তম খলিফা আলী আজ জাহির (১০০৫-১০৩৬) আবারও সে জায়গায় মসজিদটি নির্মাণ করেন। তিনি যে সীমানা অনুযায়ী মসজিদটি বানিয়েছিলেন, আজকের মসজিদুল আকসা ঠিক ততটুকু জায়গার উপরেই দাঁড়িয়ে। এমনকি আজকের সে মসজিদের কিবলা দেয়ালের মোজাইকও তার আমলের।
১০৯৯ সালে ক্রুসেডাররা জেরুজালেম জয় করে নেবার পর এ মসজিদটিকে প্রাসাদ হিসেবে ব্যবহার করে। ক্রুসেডাররা মসজিদুল আকসাকে ডাকত "সলোমন টেম্পল" (Temple of Solomon) বলে।
১১১৯ সালে মসজিদুল আকসাকে নাইট টেম্পলারদের (Knights Templar অর্থাৎ খ্রিস্টান সৈন্য বাহিনী) হেডকোয়ার্টার বানানো হয়। তারা আল আকসা মসজিদের সাথে পূর্ব ও পশ্চিম দিকে দুটো অংশ যোগ করে। বর্তমানে পশ্চিম দিকের সে অংশ নারীদের নামাজের জায়গা এবং পূর্ব দিকের অংশটি ইসলামি জাদুঘর হিসেবে চালু আছে।
১১৮৭ সালে সুলতান সালাহউদ্দিন ক্রুসেডারদের কাছ থেকে জেরুজালেম জয় করবার পর মসজিদুল আকসার চেহারা সম্পূর্ণ বদলে ফেলেন। তিনি এর সংস্কার করেন এবং সুলতান নুর আল দীনের মিম্বর সেখানে যোগ করেন।
১৮১৬ সালে মসজিদুল আকসা জরাজীর্ণ হয়ে গেলে জেরুজালেমের গভর্নর সুলাইমান পাশা আল আদিল একে সংস্কার করেন।
১৯২২ সালে আবার সংস্কার করা হয় মসজিদটির। এরপর আরো নানা সংস্কার করা হয়েছে বিভিন্ন সময়েই।
১৯৫১ সালের ২০ জুলাই জর্ডানের রাজা প্রথম আব্দুল্লাহকে মসজিদুল আকসায় জুম্মার নামাজে গুলি করে হত্যা করা হয়, খুনি ছিল মুস্তাফা আশু নামের একজন মুসলমান।
১৯৬৯ সালে মসজিদুল আকসার উপর নতুন গম্বুজ নির্মিত হয়।
১৯৮৩ সালে অ্যালুমিনিয়ামের বদলে সীসা দিয়ে গম্বুজকে পুনর্নির্মাণ করা হয় খলিফা আজ জাহিরের মূল নকশা ফিরিয়ে আনতে।
মসজিদুল আকসার গম্বুজ কিন্তু সোনালি নয়, বরং কালচে ধূসর। অনেকেই সোনালী গম্বুজের সাথে ভুল করে। সোনালী গম্বুজটা হচ্ছে কুব্বাত আস সাখরা বা ডোম অফ দ্য রক।
বর্তমানে মসজিদুল আকসাতে একসাথে প্রায় ৫,০০০ মানুষ নামাজ আদায় করতে পারে।
মসজিদুল আকসার ওজু করবার ঝর্ণাটি ‘আল-কাস’ (পেয়ালা) নামে পরিচিত।
০৫ ই মে, ২০২০ রাত ১০:৫৩
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
ভালো তো।
জান পড়ে আসেন।
২| ০৬ ই মে, ২০২০ রাত ২:৩২
নেওয়াজ আলি বলেছেন: ছবি কি আপনি নিজে তুলেছেন
০৬ ই মে, ২০২০ রাত ১০:৩০
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
না, ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই মে, ২০২০ রাত ১০:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: আল আকসা মসজিদে দুই রাকাত নামাজ পড়তে চাই।