নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

খাওলা বিনতে আল-আজওয়ার

১২ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:২৮

সর্ব কালের সর্ব শ্রেষ্ঠ মুসলিম মহিলা সেনাপতি।

খাওলা বিনতে আল-আজওয়ার খুলাফায়ে রাশেদিনের সময় একজন আরব মুসলিম যোদ্ধা ছিলেন। তিনি লেভান্টের (বর্তমানে ইসরাইল, জর্ডান, লেবানন, প্যালেস্টাইন, সিরিয়া এবং তুরস্কের অধিকাংশ অঞ্চল) মুসলিম বিজয়ে প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন। তাকে ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ নারী সৈনিকদের একজন হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। তিনি একজন সাহাবী ছিলেন।

সপ্তম শতাব্দীতে বনু আসাদ গোত্রের অন্যতম প্রধান মালিক বা তারেক বিন আওস তার পিতা ছিলেন। বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে ৬৩৬ সালে ইয়ারমুকের সিদ্ধান্তমূলক যুদ্ধ সহ অনেক যুদ্ধে তিনি লড়াই করেছিলেন। যুদ্ধের ৪র্থ দিনে তিনি বাইজেন্টাইন সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে একদল নারীর নেতৃত্ব দেন এবং এর প্রধান সেনাপতিকে পরাজিত করেন এবং পরে একজন গ্রীক সৈন্যের সাথে তার লড়াইয়ের সময় আহত হন।

সামরিক জীবন:

খাওলা বিনতে আল-আজওয়ার ভাই ধীরার ছিলেন বনু আসাদ গোত্রের একজন সেনাপতি। তিনি তার ভাইয়ের কাছে সামরিক প্রশিক্ষণ নেন।

সিরিয়া বিজয়:
তার প্রতিভা প্রথম দেখা যায় ৬৩৪ সালে সানিতা-আল-উকাবের যুদ্ধের সময়। দামেস্ক অবরোধের জন্য যুদ্ধ চলছিল। তার ভাই ধিরার মুসলিম বাহিনীর নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। যুদ্ধের এক পর্যায়ে বাইজেন্টাইন সেনাবাহিনীর দ্বারা ধিরার আহত ও বন্দী হয়েছিলেন। খালিদ ইবনে ওয়ালিদ তাকে উদ্ধার করতে তার মোবাইল গার্ড নিয়ে গেলেন। এই সময় খাওলা বিনতে আল-আজওয়ার বাইজেন্টাইন সৈন্যদলের সাথে একাই আক্রমণ শুরু করেন। তার বর্ম এবং আরব যোদ্ধাদের সাধারণ ঢিলেঢালা পোশাকের জন্য তাকে একজন মহিলা হিসাবে চিনা যাচ্ছিল না, যতক্ষণ না খালিদ তাকে তার পরিচয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। যুদ্ধের পর অনেক সৈনিক বলেছে তারা খাওলা বিনতে আল-আজওয়ার কে চিনতে পারে নাই। তারা মনে করেছে খালিদ ইবনে ওয়ালিদ যুদ্ধের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

খাওলার লড়াইয়ের দক্ষতা খলিফা উমর প্রশংসা করেছিলেন। সৌদি আরবের অনেক রাস্তা ও স্কুলের নামকরণ করা হয়েছে তার নামে। অনেক আরব শহরে খাওলা বিনতে আল-আজওয়ারের নাম বহনকারী স্কুল ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে, মহিলাদের জন্য প্রথম সামরিক কলেজ, খাওলাহ বিনতে আল আজওয়ার ট্রেনিং কলেজও তার জন্য নামকরণ করা হয়েছে।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:২১

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:



তিনি বিয়ে করেননি?

১২ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:২৫

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


হা, তিনি বিয়ে করেছেন। তবে অনেক অনুসন্ধান করেও তার স্বামীর নাম জানতে পারি নাই।

২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:০৯

বিজন রয় বলেছেন: জানতাম না। আজ জানলাম।
তাকে নিয়ে তো কোথাও কোনো লেখা পড়িনি।
হয়তো আমার সামনে পড়েনি। আমার অপারগতা থাকতে পারে।

কিন্ত পৃথিবীর বিখ্যাত সব মানষদের নিয়ে তো সবসময় লেখালেখি হয়।
তাকে নিয়ে তো দেখিনা।

সর্বকালে সর্বশ্রেষ্ঠ হলে তো এতদিন চোখে পড়ার কথা!!

আজকাল অনেককে, অনেক কিছুকেই সর্বশেষ্ঠ বানানো হচ্ছে, পরে সত্য প্রকাশ হলে দেখা যায় অন্য কিছু।

যাহোক জানলাম।

১২ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৪২

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


আমরা সবসময় সব কিছু জানি না বা জানতে পারি না।
এই ব্যাপারটা আপনার মতো আমিও জানতাম না।
আমি যখন প্রথম তাঁর নাম জানতে পারি তখন ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে তাঁর সম্পর্কে অনেক তথ্য জানতে পারি। যেকোনো বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পরেই আমি কোন পোস্ট দেই।

এখন শুধু ইন্টারনেট সার্চ না, এ আই সফটওয়ার ব্যবহার করেও যেকোনো তথ্য যাচাই করা যায়।

"আজকাল অনেককে, অনেক কিছুকেই সর্বশেষ্ঠ বানানো হচ্ছে, পরে সত্য প্রকাশ হলে দেখা যায় অন্য কিছু।"

আপনার এই কথা শতভাগ সত্য।
তবে আজকাল সচেতন মানুষের কাছে সত্য গোপন করাও কঠিন।
যখনই কোন তথ্য দেখবেন তা যাচাই করে নিবেন।

আমরা তাঁর নাম না জানলেও আরব দেশগুলিতে তিনি কেমন বিখ্যাত তার কিছু উদাহরণ লেখার শেষ অনুচ্ছেদে উল্লেখ করেছি।
আরবের অসংখ্য রাস্তা, স্কুল কলেজ ইত্যাদি তাঁর নামে রাখা হয়েছে।

এমনকি উগ্রপন্থীরা তাঁর নামে একটি জঙ্গি সংগঠনও গড়ে তুলেছে।
এতে তাঁর নাম বিতর্কিত হয়েছে।
তবে এতে আবার তাঁর নাম বিশ্বব্যাপী প্রচারিত হয়েছে।
এই যে আজ আমরা তাঁর নাম জানতে পারছি তার কারণ, জঙ্গি সংগঠন তাঁর নাম ব্যবহার করার পর পশ্চিমা বিশ্লেষকরা অনুসন্ধান করতে শুরু করে, কে এই ব্যক্তি, যার নামে এত বড় সংগঠন করা হয়েছে।
তখনই এই ইতিহাস বিশ্ব দরবারে উঠে এসেছে।
আমি আপনে এখন জানতে পারছি।

৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:১২

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: ইতিহাসের পাতা থেকে
...................................................
এ ধরনের তথ্য আমার খুব ভালো লাগে ।
শুভ ব্লগিং

১২ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৫০

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


ভাল লাগার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৫৫

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: অথচ হুজুর গণ ইসলামে মেয়েদের ঘরেই বাইরে যাওয়া হারাম ফতুয়া দিতে ব্যস্ত।

১২ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৫৫

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:

কোরআনে বর্ণিত ইসলাম আর হুজুরদের বর্ণিত ইসলাম এক না।
কোন কোন হুজুর তার জ্ঞান, বুদ্ধি, প্রজ্ঞা এবং মেধা বলে যা বুঝেছে সেই ইসলাম বলে প্রচার করেছে।
আবার কিছু হুজুর আছে দরবারী হুজুর। শত শত বছর যাবত এই দরবারী হুজুররা শাসকের নির্দেশ মত ইসলামের নামে ফতোয়া দিয়েছে।

তাই প্রতিটা বিশ্বাসীর উচিত নিজে বুঝে মূল কোরআন পড়া।
তাহলে সহজেই আল্লার ইসলাম এবং হুজুরদের ইসলামের পার্থক্য বুঝতে পারবেন।

৫| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: আসলে খাওলার অবদান গুলো কি কি?
বিশ্ববাসী তাকে কেন মনে রাখবেন?

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৪২

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


খাওলা বিনতে আল-আজওয়ার অবদানের কথা আমি লেখাতেই উল্লেখ করেছি। তারপর আপনার সুবিধার্থে সংক্ষেপে আবার বলছি।

১. তিনি অনেকগুলি যুদ্ধে নার্স হিসাবে আহত সৈনিকদের সেবা করেছেন। তখন যুদ্ধ ক্ষেত্রে সাধারণত মহিলারা যেতেন না।

২. তিনি অনেকগুলি যুদ্ধে সৈনিক বা সেনাপতি হিসাবে অংশ নিয়েছেন। যেমন আজনাদায়নের যুদ্ধ, ইয়ারমুকের যুদ্ধ এবং সানিতা-আল-উকাবের যুদ্ধ।

৩. সানিতা-আল-উকাবের যুদ্ধে তিনি বাইজান্টাইন বাহিনীর বিরুদ্ধে সেনাপতিত্ব করেন। এই যুদ্ধ পরবর্তীতে মুসলিমদের আরো বৃহত্তর বিজয় নিশ্চিত করে।

আপনি প্রশ্ন করেছেন, "বিশ্ববাসী তাকে কেন মনে রাখবেন?"
উত্তর: বড় বড় বীরদেরকে যেমন বিশ্ববাসী মনে রাখে ঠিক সেই কারণে শুধু সানিতা-আল-উকাবের যুদ্ধে তার বীরত্বের কারণে মনে রাখবে। এই যুদ্ধ ছিল একটা সিদ্ধান্তমূলক যুদ্ধ। এতে বাইজেন্টানদের পরজয়ের মাধ্যমে ইতিহাসের গতি প্রকৃতি পরিবর্তন হয়ে যায়।

৬| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:১৩

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: মহিলা সেনাপতি? তাজ্জব হয়ে গেলাম!! :-<

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:০১

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


ইয়ারমুকের যুদ্ধে এই মহিলা বাইজান্টাইন বাহিনীর বিরুদ্ধে সেনাপতিত্ব করেন।

৭| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:১২

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: অনেক আগে একজন মুসলিম নারী সেনাপতির কাহিনী পড়েছিলাম এক বইয়ে, নামটা ঠিক মনে পড়ছে না। খাওলার কি আর কোনো নাম ছিলো প্রচলিত?

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:০৬

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


তার সম্পূর্ণ নাম খাওলা বিনতে আল-আজওয়ার।
আরবিতে (خولة بنت الازور)
আমি কোন বইয়ে তার আর অন্য কোন নাম পাই নাই।

৮| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানিতে।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:০৭

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:

মাঝে মাঝে আসিয়া দেখিয়া এবং জানিয়া যাইবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.