নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পঞ্চম খলিফা (আল-খুলাফা আল-রাশিদুন)

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৪০

অধিকাংশ মানুষ আল-খুলাফা আল-রাশিদুনের চারজন খলিফা সম্পর্কে জানলেই পঞ্চম খলিফা সম্পর্কে তেমন জানেন না। কারণ তার খিলাফত ছিল খুব অল্প সময়ের জন্য।

পঞ্চম খলিফা হাসান ইবনে আলী আল-মুজতবা আমির আল-মুমিনীন।

১. জন্ম ৬২৫ খ্রিস্টাব্দ ২ মার্চ (১৫ রমজান, ৩ হিজরী), মদিনা, হেজাজ, আরব (বর্তমান সৌদি আরব)।

২. রাসূল সল্লেল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার নাম রাখেন হাসান। তিনি দেখতে এবং স্বভাবচরিত্রে অনেকটা রাসূল (সাঃ) এর মত ছিলেন।

৩. ৭ বছর বয়স পর্যন্ত অর্থাৎ রাসূল (সাঃ) এর মৃত্যু পর্যন্ত তিনি রাসূল (সাঃ) এর কাছে বড় হয়েছেন।

৪. ৬৩১ সালের অক্টোবর মাসে (১০ম হিজরী) নাজরানের (বর্তমান সৌদি আরব)খ্রিস্টান প্রতিনিধিদের সাথে রাসূল (সাঃ) এর যে মিটিং হয় (হাদিস আল-মুবাহালা), এতে হাসান অংশগ্রহণ করেন।

৫. ৬৫৬ সালে (৩৬ হিজরী) আলী (রাঃ) খিলাফতের সময় আয়শা (রাঃ) বিরুদ্ধে উটের যুদ্ধে (বসরা, ইরাক) তিনি অংশগ্রহন করেন।

৬. ৬৫৭ সালে (৩৭ হিজরী) চতুর্থ খলিফা আলী ইবনে আবু তালিব এবং সিরিয়ার বিদ্রোহী গভর্নর মুয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ানের মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধ যা সিফ্ফিন যুদ্ধ নাম পরিচিত তাতে অংশগ্রহণ করেন।

৭. ৬৬১ সালের জানুয়ারী মাসে চতুর্থ খলিফা আলী ইবনে আবু তালিব আততায়ীর হাতে নিহত হলে তিনি পঞ্চম খলিফা (আল-খুলাফা আল-রাশিদুন) হিসাবে শাসন ক্ষমতা গ্রহণ করেন।

৮. সিরিয়ার বিদ্রোহী গভর্নর মুয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান হাসান ইবনে আলীকে খলিফা হিসাবে মেনে নিতে অস্বীকার করেন এবং আত্মসমর্পনের জন্য সৈন্যবাহিনী পাঠান।

৯. দীর্ঘ আলোচনার পর খলিফা হাসান ইবনে আলী গভর্নর মুয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ানের কাছে খিলাফতের ক্ষমতা হস্তান্তরের কিছু শর্ত প্রদান করেন।

১০. শান্তি চুক্তির শর্তসমূহ:

(ক) মুয়াবিয়া কুরআন ও সুন্নাহ মেনে চলবেন;
(খ) মুয়াবিয়ার উত্তরসূরি একটি কাউন্সিল (শুরা) দ্বারা নিযুক্ত করা হবে;
(গ) জনগণ নিরাপদ থাকবে এবং
(ঘ) হাসানের সমর্থকরা সাধারণ ক্ষমা পাবে।


১১. মুয়াবিয়া শর্তগুলি মেনে নিলে খলিফা হাসান গভর্নর মুয়াবিয়ার কাছে খিলাফতের ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। ৬৬১ সালের অগাস্ট মাসে তিনি খলিফার পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

১২. পদত্যাগের পর তিনি কুফা থেকে মদিনাতে ফিরে এসে বসবাস করতে থাকেন। তিনি আর রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন নাই।

১৩. পদত্যাগের (৬৬১ সাল) ৯ বছর পর ৬৭০ সালে ২ এপ্রিল (৫০ হিজরী) মদিনাতে মৃত্যুবরণ করেন।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০৩

সোনাগাজী বলেছেন:



খলীফা, ফেরাউন, ইত্যাদিদের সম্পর্কে কতটুকু জানার দরকার? আপনি কি রিটায়ার করেছেন?

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:০১

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত সংঘর্ষের মূল কারণ বুঝতে হলে এইগুলি জানতে হবে।

অধিকাংশ মুসলিমের ধারণা বিধর্মীরা মুসলিম বলে তাদের উপর আক্রমণ করছে।

ট্রাইবাল বা গোত্র গত কারণে ঐ সময় থেকেই সংঘাত সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।
এটার ধারাবাহিকতা এখনো চলছে।

ইউরোপ এবং আমেরিকা এইগুলিকে মাথায় রেখে কাজ করে।
চীন এইগুলি তেমন জানে না।
না, জেনে কিছুদিন আগে ইরানের সাথে সৌদিদের একটা সমঝোতা করে দিয়েছে।
সবাই খুব বাহবা দিয়েছে।

এক বছরও ঘুরতে পারে নাই। হুতি নিয়ে চীন মহা বিপদে পড়েছে। বাব আল মান্দাব প্রণালী দিয়ে চীনের প্রায় ২৫ শতাংশ মালামাল পরিবাহিত হয়। এখন হুতি হামলার পর এই পথে চীনের পণ্য পরিবহনে মারাত্মক সমস্যা দেখা দিয়েছে।

চীন উভয় সংকটে পড়েছে। হুতি দমন করতে গেলে ইরান নাখোশ। আবার হুতি দমন না করলে সৌদি নাখোশ এবং নিজের ব্যবসার ক্ষতি।

হুতি কি ভাবে দমন করবেন? এই স্ট্রেটিজি ঠিক করার জন্য খলীফা, ফেরাউন, ইত্যাদিদের সম্পর্কে অনেক বেশি জানা দরকার।


আপনি কি রিটায়ার করেছেন?

না, আমি রিটায়ার করি নাই।

২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৬:৩০

রিফাত হোসেন বলেছেন: ভাল বিশ্লেষণ।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৫৮

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


ধন্যবাদ।

৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:৪২

সোনাগাজী বলেছেন:


আমি রিটায়ার করেছি।

আমার মনে হয়, আপনি আন্তে্র্জাতিক রাজনীতির টং দোকান খুলেছেন।

৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: খলিফাদের দিন শেষ।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০২

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:

খলিফাদের দিন শেষ এটা জানতে হলেও খলিফাদের কথা জানতে হবে।

অন্ধ হলে প্রলয় বন্ধ হয় না।

৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: খলিফাদের ইতিহাসে মারামারি কাটাকাটি প্রাসাদ ষড়যন্ত্র এগুলিতেই ভরপুর ছিল ।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০৭

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


খলিফাদের ইতিহাসে মারামারি কাটাকাটি, প্রাসাদ ষড়যন্ত্র এগুলিতেই ভরপুর ছিল। এর কারণগুলি হল:

১. খলিফাদের শাসন ছিল একনায়কতন্ত্রী।

খলিফা ছিলেন রাষ্ট্রের প্রধান ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতা। তাঁর ক্ষমতা ছিল অসীম। এর ফলে খলিফাদের মধ্যে ক্ষমতার লোভ ও দ্বন্দ্ব দেখা দেওয়া স্বাভাবিক ছিল।

২. খলিফাদের রাজ্য ছিল বিশাল।

এটি উত্তর আফ্রিকা থেকে মধ্য এশিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। এর ফলে খলিফাদের শাসনকে কার্যকর করা কঠিন ছিল। এতে বিভিন্ন অঞ্চলের গভর্নর ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষমতার লড়াই দেখা দেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছিল।

৩. খলিফাদের রাষ্ট্রে বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক গোষ্ঠীর মানুষ বাস করত।

এর ফলে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেওয়া স্বাভাবিক ছিল। এই দ্বন্দ্ব প্রায়ই খলিফাদের মধ্যে বিরোধের কারণ হয়ে দাঁড়াত।

খলিফাদের ইতিহাসে মারামারি কাটাকাটির কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা হল:

ক. উসমানী খলিফা প্রথম মুহাম্মদ ও তাঁর ছেলে দ্বিতীয় মুরাদের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব। এই দ্বন্দ্বে প্রথম মুহাম্মদ নিহত হন।

খ. আব্বাসী খলিফা আল-মামুন ও তাঁর ভাই আল-মুতাসিমের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব। এই দ্বন্দ্বে আল-মুতাসিম জয়ী হন।

গ. উমাইয়া খলিফা আল-ওয়ালিদের পুত্র ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে তাঁর ভাই খলিফা আবদুল-মালিকের বিদ্রোহ। এই বিদ্রোহে ইব্রাহিম পরাজিত ও নিহত হন।

প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের কারণে খলিফাদের অনেক শাসনকালই স্বল্পস্থায়ী ছিল। অনেক খলিফাকে ষড়যন্ত্রের কারণে হত্যা করা হয়েছিল।

খলিফাদের ইতিহাসে মারামারি কাটাকাটি ও প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের কারণে রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতায় ব্যাঘাত ঘটেছিল। এতে সাম্রাজ্যের বিস্তার ও উন্নয়ন ব্যাহত হয়েছিল।

৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৩২

বিজন রয় বলেছেন: আজকে ইসলামের ইতিহাস জানলাম।
লিখতে থাকুন।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:০৮

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত এবং সংঘর্ষের পটভূমি এবং সমাধানের পথ জানতে চাইলে এই ইতিহাসগুলি জানতে হবে।

তবে এইগুলি খুব জটিল। ইউরোপীয়রা অনেক আগে থেকেই জানে। ইউরোপীয়দের উত্তরসূরি হিসাবে এবং ৭০/৭৫ বছর ধরে সরাসরি ভাবে আমেরিকা কিছুটা জানে।

চীন সম্প্রতি কালে জানার চেষ্টা করছে। চীন ইতোমধ্যে ইরান-সৌদি সম্পর্কের মধ্যে ঢুকে খেই হারিয়ে ফেলেছে।

মুসলিমরা ইসলামী ইতিহাস সবচেয়ে কম জানে। কারণ তারা ইসলামী ইতিহাস এবং ধর্মকে এক করে ফেলেছে।

৭| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:১৬

আঁধার রাত বলেছেন: তার বিয়ে শাদী ও যৌন জীবন সম্পর্কে কিছু জানেন। একটা হাদিস পড়লাম। তাতে হাসানকে মিতালাক(মহান তালাক প্রদানকারী) উপাধীতে ভুষিত করা হয়েছে।
তিনি নাকি এক সাথে তিন চারটা করে বিয়ে করতেন, মাস না পেরুতে তালাক দিয়ে আবার নতুন একসেট নিয়ে আসতেন। অনেক অনেক দেলমোহর দিতেন। খেলাফতের দাবী ত্যাগ করে যে বৃত্তি পেতেন তার বড় একটা অংশ দেলমোহরের পেছনে খরচ করতেন। এসব অভিযোগ সম্পর্কে কিছু জানেন নাকি কিছু?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.