নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমেরিকা ফার্স্ট (America First) নীতি এবং মনরো মতবাদ (Monroe Doctrine) ভিন্ন ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট থেকে উদ্ভূত এবং স্বতন্ত্র উদ্দেশ্য থাকলেও এই নীতি দুইটি আমেরিকার পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে কিছু কিছু বিষয়ে একই ধরণের দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত করে। এই দুটি মতবাদের কিছু নির্দিষ্ট দিকের মধ্যে সমান্তরাল আঁকার চেষ্টা করবো।
দুই মতবাদের মধ্যে তুলনা এবং পার্থক্যের কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট:
মনরো মতবাদ:
১. ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট:
১৮২৩ সালে প্রেসিডেন্ট জেমস মনরো Monroe Doctrine বা মনরো মতবাদ প্রচার করেন। এই মতবাদের লক্ষ্য ছিল পশ্চিম গোলার্ধকে অর্থাৎ সমগ্র আমেরিকা মহাদেশকে ইউরোপীয় হস্তক্ষেপ এবং উপনিবেশ থেকে মুক্ত প্রভাবের অঞ্চল হিসাবে প্রতিষ্ঠা করা।
২. হস্তক্ষেপ না করার নীতি:
মনরো মতবাদের মূল নীতি ছিল আমেরিকা মহাদেশের স্বাধীন দেশগুলির বিষয়ে ইউরোপীয় শক্তিগুলির কোনরূপ হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। এই নীতির ফলে ঐ সময়ে নতুন করে উপনিবেশ স্থাপন বা ঐ অঞ্চলে হস্তক্ষেপ করার যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছিল।
৩. বিচ্ছিন্নতাবাদী উপাদান:
মনরো মতবাদে একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী উপাদান ছিল। অর্থাৎ পশ্চিম গোলার্ধকে ইউরোপীয় প্রভাব থেকে দূরে রাখার একটা প্রচেষ্টা ছিল।
আমেরিকা প্রথম নীতি:
১. ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট:
২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকা ফার্স্ট (America First) নীতিটি স্লোগান এবং দিক নির্দেশনামূলক নীতি হিসাবে প্রচার করা হয় ৷ এই নীতির ফলে প্রাথমিকভাবে পররাষ্ট্র নীতি এবং বাণিজ্য সহ রাষ্ট্র শাসনের বিভিন্ন দিকগুলিতে আমেরিকার স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেয়া হয় ৷
২. জাতীয়তাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি:
আমেরিকা ফার্স্ট নীতি আমেরিকান জাতীয়তাবাদী দৃষ্টিভঙ্গির উপর জোর দিয়েছে। এই নীতির উদ্দেশ্য ছিল আমেরিকা যেসব সিদ্ধান্ত নিবে তার প্রধান বিবেচ্য বিষয় হবে জাতির স্বার্থ এবং মঙ্গলকে অগ্রাধিকার দেওয়া। এটি বিভিন্ন দেশের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক, সামরিক জোট এবং অভিবাসন নীতিতে এই জাতীয় স্বার্থ অগ্রাধিকার পাবে।
৩. অর্থনৈতিক সুরক্ষাবাদ (Protectionism):
আমেরিকা ফার্স্ট নীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে অর্থনৈতিক সুরক্ষাবাদ। আমেরিকা বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে যেসব বাণিজ্যিক সুবিধা দেয় তা আমেরিকার স্বার্থের প্রতিকূলে। তাই বিভিন্ন দেশের সাথে নতুন করে বাণিজ্য শুল্ক এবং বাণিজ্য চুক্তি পুনঃ আলোচনার মাধ্যমে আমেরিকান শিল্প ও শ্রমিকদের রক্ষা করতে হবে।
দুই মতবাদের মধ্যে সমান্তরাল এবং সাযুজ্য:
১. সার্বভৌমত্ব এবং হস্তক্ষেপ না করার নীতি:
মনরো মতবাদ এবং আমেরিকা ফার্স্ট নীতি আমেরিকার সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং বহিরাগত হস্তক্ষেপ সীমিত করার উপর জোর দেয়। মনরো মতবাদ ওই সময়ে প্রেক্ষাপটে ইউরোপীয় শক্তির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে, কিন্তু আমেরিকা ফার্স্ট নীতি এই ধারণাটিকে বিশ্বব্যাপী আমেরিকার সম্পৃক্ততার বিভিন্ন দিককে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
২. জাতীয় স্বার্থ প্রথম:
উভয় মতবাদই আমেরিকার জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেয়। মনরো মতবাদ সমগ্র আমেরিকা মহাদেশের দেশগুলির স্বাধীনতা রক্ষা করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আমেরিকা ফার্স্ট নীতি আমেরিকার অর্থনৈতিক, সামরিক এবং কূটনৈতিক স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েছিল।
এই সমান্তরালতা সত্ত্বেও এটি স্বীকার করা অপরিহার্য যে মনরো মতবাদ এবং আমেরিকা ফার্স্ট নীতির সাথে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, প্রেরণা এবং নির্দিষ্ট নীতিগুলি উল্লেখযোগ্য ভাবে পৃথক। মনরো মতবাদ ১৯ শতকের রাজনৈতিক পরিস্থিতির সাথে গভীরভাবে প্রোথিত। এটি পশ্চিম গোলার্ধ এবং ইউরোপীয় শক্তির মধ্যে সম্পর্কের সাথে জড়িত। কিন্তু আমেরিকা ফার্স্ট নীতি আমেরিকার শাসনের বিভিন্ন দিকের উপর বিস্তৃত ফোকাস সহ একটি সমসাময়িক পদ্ধতি।
(তথ্য যাচাই, গবেষণা, বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য নেয়া হয়েছে।)
সূত্র: ১. progressive.org; ২. thedailybeast.com; ৩. hoover.org; ৪. time.com; ৫. theconversation.com; ৬. bulletin.kenyon.edu; ৭. cfr.org
৮. cato.org; ৯. news.yahoo.com; ১০. defensenews.com; ১১. msn.com; ১২. bbc.com; ১৩. factcheck.org
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৪৮
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
পড়লাম।
ধন্যবাদ, পড়াটাই গুরুত্বপূর্ণ।
২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৪১
বিজন রয় বলেছেন: আপনি আসলে কি নিয়ে কাজ করেন, দুনিয়ার সব কিছু আপনি জানেন।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৪৫
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
আমার কোন ছদ্ম নাম নেই।
কোন গোপন পরিচয় নাই।
আমার পরিচয় প্রোফাইলে যা লেখা আছে, তাই আমার পরিচয়।
আমি দুনিয়ার সব কিছু জানি, এটা যদি আমি বিশ্বাস করি, তা হলে আমি দুনিয়াতে সবচেয়ে মূর্খ বা আবু জাহেল বা মূর্খের পিতা হিসাবে আখ্যায়িত হবো।
এটা নিশ্চয়ই আপনি চান না।
প্রথমত: যেকোনো বিষয় সম্পর্কে জানার আগ্রহটাই প্রধান।
দ্বিতীয়: ইকরা, পড়, পড়, পড়। দিনে নিয়মিত দুই থেকে তিন ঘণ্টা পড়তে হবে।
তৃতীয়ত: চিন্তা করতে হবে।
চতুর্থত: নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে।
এইগুলি যে করবে সে দুনিয়াতে চলমান, বিদ্যমান, প্রচলিত, আলোচিত বিষয়গুলি সম্পর্কে সাধারণ ধারণা পেয়ে যাবে।
আমি এই ভাবেই বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে ধারণা এবং জ্ঞান লাভ করি।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম।