নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
একটি দেশের মানুষ যদি সৎ, ন্যায়পরায়ণ এবং পরোপকারী হয়, তাহলে সেই রাষ্ট্র শান্তিপূর্ণ, বিবাদ শূন্য, বিরোধহীন, অবিরোধী এবং উন্নত হবে। অন্যদিকে যদি একটি দেশের মানুষ অসাধু, নীতিবিগর্হিত, পাপাত্মক, দুরাশয়, দুশ্চরিত্র, পাপপরায়ণ এবং স্বার্থপর হয় তাহলে সেই রাষ্ট্র অশান্ত, অস্থির এবং দুর্নীতিগ্রস্ত হবে।
একজন ব্যক্তির চরিত্র তার শিক্ষা, বিদ্যাচর্চা, অধ্যয়ন, পরিবেশ, প্রতিবেশ, পরিমণ্ডল, জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতার দ্বারা গঠিত হয়। ভাল শিক্ষা এবং সুস্থ পরিবেশ একজন ব্যক্তিকে সৎ এবং ন্যায়পরায়ণ হতে সাহায্য করে। অন্যদিকে খারাপ শিক্ষা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ মানুষকে অসাধু, অসৎ, মন্দ, নীতিবিগর্হিত, পাপাত্মক, দুরাশয়, দুশ্চরিত্র, পাপপরায়ণ এবং স্বার্থপর হতে সাহায্য করে।
একটি রাষ্ট্রকে ভালভাবে পরিচালনা করার জন্য সেই দেশের মানুষকে ভাল চরিত্র গঠন করতে হবে। মানুষকে সৎ, ন্যায়পরায়ণ এবং পরোপকারী হতে হবে। তাদেরকে অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল, দরদমন্দ, দরদি, সমব্যথী এবং সহায়ক হতে হবে।
যদি মানুষ ভাল চরিত্র গঠন করতে পারে, তাহলে সেই দেশ একটি শান্তিপূর্ণ, নির্বিবাদ, বিবাদশূন্য, বিরোধহীন, উন্নত, মহৎ, উদার, মার্জিত, সভ্য এবং সমৃদ্ধ দেশ হবে।
একজন ব্যক্তির চরিত্র গঠনের জন্য কিছু পদক্ষেপ নিতে পারে:
১. সৎ, ন্যায়পরায়ণ এবং পরোপকারী হতে চেষ্টা করুন।
২. অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল, দরদমন্দ, দরদি, সমব্যথী এবং সহায়ক হন।
৩. অন্যদের জন্য ভাল, উত্তম, হিতকর, কল্যাণকর, শোভন এবং উচিত কাজ করুন।
৪. নিজের ভুল, ভ্রান্তি, প্রমাদ স্বীকার করুন এবং ক্ষমা চান।
৫. অন্যদের ক্ষমা করুন এবং অন্যের দোষ বা অপরাধ মার্জনা করুন।
৬. ধৈর্য ধরুন এবং অন্যদের সাথে সহনশীল এবং সহিষ্ণু হন।
এই পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করে আমরা একটি ভাল চরিত্র গঠন করতে পারি এবং আমাদের দেশকে একটি ভাল জায়গা করে তুলতে পারি।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৫০
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
মানুষের মূল সমস্যা হচ্ছে তারা নিজের চেয়ে অন্যকে নিয়ে বেশি ভাবে।
আমরা সব সময় চেষ্টা করি নিজে পরিবর্তন না হয়ে অন্যকে পরিবর্তন করতে।
আমরা কখনই অন্যকে পরিবর্তন করতে পারবো না।
আমি থিউরিটিকেল অনেক কথাই বলতে পারবো।
কোনোটাই কাজে আসবে না।
কিন্তু প্রেক্টিকেল হচ্ছে আগে নিজে পরিবর্তন হয়ে যান।
দেখেন কি ভাবে ম্যাজিকের মত কাজ করে।
জাস্ট দুই তিনটা ধাপে কাজ করতে হবে।
প্রথম ধাপ: এই কথাগুলি বিশ্বাস করে। প্রথম সমস্যাও এটাই। মানুষ এটা বিশ্বাস করতে পারে না।
দ্বিতীয় ধাপ: আপনি নিজে পালন করুন। অন্যের দিকে তাকাবেনও না। দ্বিতীয় সমস্যাও এটা। আমরা সব সময় অন্যের দিকে লক্ষ্য রাখছি। কে কি করছে, কে কি বলছে ইত্যাদি।
তৃতীয় ধাপ: আপনি এইগুলি পালন করার পর আপনি আপনার প্রতি সন্তুষ্ট থাকুন। আপনি আপনার উপর বিশ্বাস রাখুন। তৃতীয় সমস্যা এটি। আমরা ভাল হওয়ার পর নিজের উপর সন্তুষ্ট হতে পারি না।
২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:২৬
কামাল১৮ বলেছেন: আমাদের দেশের জন্মের শুরু থেকেই জনগন দুই দলে বিভক্ত ।এক পক্ষ রাজাকার আরেক পক্ষ মুক্তি যুদ্ধের পক্ষে।আমাদের দেশের কি হবে?
৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৫৩
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
আমি মূল লেখায় বলেছি। তারপর আপনার প্রশ্নের প্রেক্ষিতে আবার বলছি --
১. সৎ, ন্যায়পরায়ণ এবং পরোপকারী হতে চেষ্টা করুন।
২. অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল, দরদমন্দ, দরদি, সমব্যথী এবং সহায়ক হন।
৩. অন্যদের জন্য ভাল, উত্তম, হিতকর, কল্যাণকর, শোভন এবং উচিত কাজ করুন।
৪. নিজের ভুল, ভ্রান্তি, প্রমাদ স্বীকার করুন এবং ক্ষমা চান।
৫. অন্যদের ক্ষমা করুন এবং অন্যের দোষ বা অপরাধ মার্জনা করুন।
৬. ধৈর্য ধরুন এবং অন্যদের সাথে সহনশীল এবং সহিষ্ণু হন।
এই পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করে আমরা একটি ভাল চরিত্র গঠন করতে পারি এবং আমাদের দেশকে একটি ভাল জায়গা করে তুলতে পারি।
৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:৩৩
কামাল১৮ বলেছেন: রাজাকারের জাঁত গুষ্ঠিকে বলুন তাদের কৃত কর্মের জন্য ক্ষমা চাইতে।দেখেন শুনাতে পারেন কিনা।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:৪২
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
নাগরিকদের চরিত্র একটি দেশের নীতি এবং আইনকে প্রভাবিত করে।
এখানে নাগরিক বলতে আইন অনুসারে যারা নাগরিক তারা সবাই অন্তর্ভুক্ত।
আমার লেখা সব নাগরিকদের নিয়ে।
কোন একজন বা একটা গুষ্টি বা একটা দল দেশের নীতি এবং আইনকে সম্পূর্ণভাবে প্রভাবিত করতে পারবে না।
সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: ছবি গুলো সুন্দর।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৩৭
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
সুন্দর ছবির কৃতিত্ব এআই এর।
ধন্যবাদ এআই।
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:০১
নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: মনে করেন আমি সব পালন করলাম। এরকম মানবিক এবং গুণাবলী সম্পূন্ন মানুষও হলাম। কিন্তু দেখা গেলো, আমার আশে-পাশের মানুষ ঘুষখোর, তাদের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে, আমাকে বাধ্যতামূলক ঘুষ খেতে হবে। নচেৎ চাকরি হারাতে হবে। এই ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কী? সৎ মানুষটার কী করা উচিত বলে মনে করেন?