নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
গ্রীক স্থাপত্যে কলাম খুব গুরুত্বপূর্ণ। গ্রীক স্থাপত্যে ডোরিক, আয়নিক এবং করিন্থিয়ান এই তিন ধরণের কলাম ব্যবহার করা হয়। এই কলামগুলো দেখেই পুরো ভবনের নকশা কোন রীতিতে হয়েছে তা বুঝা যায়।
আয়নিক রীতি:
১. নাম থেকেই আয়নিক অর্ডারের উৎপত্তি স্থল জানা যায়। আয়নিক অর্ডারের উৎপত্তি আইওনিয়া নামক স্থানে। আইওনিয়া মধ্য আনাতোলিয়ার (বর্তমান তুরস্ক) একটি উপকূলীয় অঞ্চল। এই অঞ্চলে অনেকগুলি প্রাচীন গ্রীক বসতি অবস্থিত ছিল।
২. খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে আয়োনিয়াতে আয়নিক আদেশের বিকাশ ঘটে। এরপর খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীতে গ্রীসের মূল ভূখণ্ড এই রীতিতে ভবন নির্মাণ শুরু হয়।
৩. ভেলোটগুলি (স্ক্রোল-এর মতো অলঙ্কার) আয়নিক স্থাপত্য রীতিকে অন্য রীতি থেকে আলাদা ভাবে চিহ্নিত করে।
৪. আরেকটা বৈশিষ্ট্য দেখে আয়নিক অর্ডারকে ডোরিক অর্ডার থেকে আলাদা করা যায় --সেটা হল এর কলামের একটি গোলাকার ভিত্তি।
৫. ৫৭০-৫৬০ খৃস্টপূর্বাব্দে স্থপতি রোইকোস দ্বারা নির্মিত সামোস দ্বীপের হেরা স্মারক মন্দির ছিল প্রথম দিকের আয়নিক ভবনগুলোর মধ্যে বিখ্যাত।
৬. খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দী ইফিসাসের আর্টেমিসের মন্দির প্রাচীন বিশ্বের আশ্চর্য-তম এটিও একটি আয়নিক নকশা ছিল।
৭. ৪৪৭-৪৩২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে এথেন্সে আয়নিক অর্ডারের পার্থেননের কিছু বৈশিষ্ট্যকে প্রভাবিত করে। বিশেষ করে আয়নিক ফ্রিজ যা মন্দিরের সেলকে ঘিরে থাকে।
৮. ৪৩৭-৪৩২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে আয়নিক স্তম্ভগুলি অ্যাক্রোপলিসের স্মারক প্রবেশদ্বারের অভ্যন্তরেও স্থাপন করা হয় যা প্রোপিলাইয়া নামে পরিচিত।
৯. সূক্ষ্ম অনুপাতের জন্য আয়নিক অর্ডারটি বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। সূক্ষ্ম অনুপাতের কারণে ডরিক অর্ডারের চেয়ে আয়নিক অর্ডারে আরও সরু এবং মার্জিত কারুকাজের সৃষ্টি হয়।
১০. প্রাচীন রোমান স্থপতি ভিট্রুভিয়াস ডরিক মডিউলটিকে একটি বলিষ্ঠ পুরুষ দেহের সাথে তুলনা করেছেন। আর আয়নিক মডিউলটিকে আরও সুন্দর এবং মেয়েলি দেহের অনুপাতের সাথে তুলনা করেছেন।
১১. ট্রাইগ্লিফ এবং মেটোপ দিয়ে গঠিত ডরিক ফ্রিজের বিপরীতে আয়নিক অর্ডার অবিচ্ছিন্ন ভাস্কর্যের দ্বারা চলমান ফ্রিজ দ্বারা নির্মাণ করা হয়েছে।
১২. আয়নিক স্তম্ভের বিভিন্ন অংশ:
(i) ব্যস বা ভিত্তি
(ii) ভিত্তির উপর কলাম। কলামগুলো আবার শ্যাফ্ট এবং ফিলেট দ্বারা পূরণ।
(iii) কলামের উপরে ক্যাপিটাল। ক্যাপিটালের আবার দুইটা অংশ --(ক) ভল্যুট (খ)এবাকাস
(iv) তার উপর এন্টাব্লাচার। এন্টাব্লাচারের আবার কয়েকটি অংশ --(ক)আর্কিট্র্যাব (খ) মোল্ডিং (গ) ফ্রিইজ (ঘ) কার্নিশ
(v) রকিং কার্নিশ
(vi) পেডিমেন্ট এবং গ্যাবল।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৩০
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
পরের পর্বে।
২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৫:১১
আলামিন১০৪ বলেছেন: ভাই, আইন পেশা বাদ দিয়ে স্থপতি হওয়ার চিন্তা করতেছেন নাকি? তাজমহলের ব্যাপারে কিছু লিখেন।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৩৬
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
স্থপতি হওয়ার কোন ইচ্ছা নাই।
তবে স্থাপত্য শিল্প সম্পর্কে আগ্রহ আছে।
এই আগ্রহ থেকেই পড়াশুনা, লেখালেখি, গবেষণা, পর্যবেক্ষণ ইত্যাদি।
তাজমহলের ব্যাপারে এত বেশি লেখা হয়ে গেছে যে এটা নিয়ে লেখা আর বাঙ্গালকে হাইকোর্ট দেখানো একই কথা।
৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: মনে হচ্ছে আপনি শিক্ষক।
আমরা ছাত্র। আপনি আমাদের শিখাচ্ছেন।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৪৪
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
আপনার কোন কিছু মনে হওয়ার আপনার মানসিক ব্যাপার।
আমি আমার মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো, আপনার মনকে তো আমি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো না।
তবে সাধারণ ফর্মুলা মানলেই এই সমস্যা হবে না।
ফর্মুলা ১. সব লেখা সবার জন্য নয়।
ফর্মুলা ২. যে লেখা ভাল লাগবে না তা পড়বেন না।
ফর্মুলা ৩. সবার সব লেখা ভাল লাগে না।
ফর্মুলা ৪. আপনার যে লেখা ভাল লাগছে না, সেটা অন্য কারো ভাল লাগতে পারে।
ফর্মুলা ৫. ভাল না লাগলেই তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করবেন না।
ফর্মুলা ৬. সব বিষয়ে মন্তব্য না করা বুদ্ধিমানের কাজ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:০০
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: তাহলে বাকি রইলো করিন্থিয়ান।