![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আকাশ আমার সীমানা । ।
আমাদের মদ্ধবিত্ত রক্ষণশীল পরিবারে প্রেম করে বিয়ে করা খুব ভাল চোখে দেখা হয় না, পরিবারের মেয়েগুলো ছোটবেলা থেকেই এটাই মেনে আসছে যে বাবা মা একদিন ভাল ছেলে দেখে তাদের বিয়ে দেবে, তেমন এক পরিবারের মেয়ে সাদিয়া,যার কখন সুযোগ ই হয়নি নিজে কাউকে পছন্দ করার মনে মনে, বয়স যখন ১৯ সমন্ধ আসছে, এরকম শিক্ষিতা সুন্দরি আর ঘরেলু মেয়েদের কদর বেশি বিয়ের বাজারে তাই ভাল ভাল সমুন্ধ আসছে তার জন্য, যেখানে মেয়েটিকে কখনো কোন ছেলের সাথে কথা বলার অনুমতি দেওয়া হত না সেখানে মেকাপ মেখে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিয়ের জন্য ভাইবা দিতে, আর প্রশ্ন গুলো ও যেন বউ নয় কোন বাড়ীর বুয়া হবার জন্য ইন্টার্ভিউ দিচ্ছে , কোন কোন ক্ষেত্রে টো পাত্রের সাথে আলাদা কথা বলার জন্য ও দেওয়া হচ্ছে , মেয়েটি এরকম পরিবেশে কখনই অভস্থ ছিল না তাই কেমন যেন অচেনা লাগছে তার সবকিছু । কখনো বাসায় কখনো শপিং মল কিংবা কোন রেস্তরায় পরীক্ষা দিতে হচ্ছে তার। ভালমন্দ চিন্তা করার কিংবা সিদ্ধান্ত নেবার অধিকার তার নেই, অথচ অনেকের সাথেই তার আলাপ হচ্ছে আলাদা দেখা করার নামে তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে সম্পূর্ণ অচেনা কারো সাথে, অনেক অপ্রিতিকর প্রশ্নের ও সম্মুখ হতে হয় তাকে সেদিন তোঁ একজন হাত ধরে কথা বলছিল, মা বললেন ছেলেটি বেশি মডার্ন তোঁ তাই। খুব অবাক হয় সে, এ কেমন আরেঞ্জেড ম্যারেজ।কেউ কেউ তোঁ ফোন নম্বর নিয়ে ফোন ও করে কথা বলে ।
এমন ই একজন পাত্র নিলয়,একটি কম্পানিতে মার্কেটিং বিভাগে কাজ করে। প্রথম দেখাতেই ভাল লাগে যায় সাদিয়া র, কথা বলে তা আর বেরে যায়, ফোন নাম্বার ও দেওয়া নেওয়া হয় , বাসা থেকে নিলয়ের ও তার পরিবারের ব্যাপারে খোঁজ খবর চলে সপ্তাহখানেক,দুজন এর মাঝে ২ বার দেখাও করেছে পরিবারের অনুমতিতেই, এর মাঝেই সাদিয়া-নিলয়ের মাঝে বেশ ভাল এলতা সম্পর্ক গড়ে ওঠে, সম্ভবত সেটা প্রেম ই ছিল। নিলয়ের ও ভাল লাগে সাদিয়াকে, কিন্তু বাধ সাধল পরিবার ,কোন এক অজানা কারনেই তাদের সমন্ধ বাতিল হল, হয়তো পারিবারিক কিংবা সামাজিক স্ট্যাটাস কারন ছিল , দুজনের জন্যই আবার সমন্ধ খোঁজা হচ্ছে, সাদিয়া ভুলতে পারে না নিলয়কে ,প্রথম প্রেম মনে হয় একেই বলে। শুরুহয় পরিবারের চোখের আড়ালে দুজনের ভালবাসার নতুন অধ্যায় । প্রায় এক বছর, চলে এর মাঝে চলে ঘটকের চেষ্টা। ঠিক হয় সাদিয়ার বিয়ে, পাত্র ব্যাংকার ধনিও বটে, সাদিয়া কোনভাবেই মেনে নিতে পারে না এই বিএ ওদিকে নিলয় এর ও একি অবস্থা,নিলয় অনেক চেষ্টা করেও পরিবারকে মানাতে পারে না সাদিয়াকে বিয়ে করার জন্য । অগত্যা সাদিয়ার বিয়ে হয়ে যায় তার চেয়ে বয়সে ১০/১২ বছরের বড় তারেক এর সাথে। সংসার ও শুরু হয়,বছর কাটে একটি ফুটফুটে মেয়ে আসে সাদিয়ার কোলে। কিন্তু সাদিয়া যেন কোন ভাবেই তারেকের নয়, তার হৃদয়ের কোথায় যেন নিলয় নামের মানুষটি রয়ে গেছে ,মাঝে মাঝে তার জানতে ইচ্ছে করে নিলয় ও কি তার কথা ভাবে এমন করে ?
২| ০২ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ২:২৬
এস.বি.আলী বলেছেন: এরেঞ্জ ম্যারেজ এই যুগে একটা নির্মম প্রথা। ছেলে মেয়েরা এই যুগে আর আগের মতন ফ্লেক্সিবল না। তাই এরেঞ্জ ম্যারেজে প্রবলেম হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সম্ভব হলে কাউকে ভালোবেসেই বিয়ে করা উচিত। যদিও প্রেম পিরীতির নামে অনেকের সাথে ফষ্টি-নষ্টি করে বেড়ানো এ যুগের ট্রেন্ড হয়ে গেছে।
শিরোনাম দেখে জাস্ট একটা অপিনিয়ন দিলাম আরকি।
৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:০৫
অন্তহীন আকাশ বলেছেন: অপিনিওন এর জন্য ধন্যবাদ,
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৩
কামরুল_নুমান বলেছেন: যদিও আমি লটারি পছন্দ করি না কিন্তু তারপরও যদি লটারি ধরতেই হয় আমি নিজ হাতে ধরবো। পিছনে কে কি বলে বেড়ায় তা নিয়া আমি কখনোই ভাবি নায় আর আগামীতেও ভাববো না।