![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পুরনো বছরকে বিদায় দিয়ে নতুন বছরে পা রেখেছে বিশ্ব। নতুন দিনের হাতছানি সবার সামনে। বিশ্বের প্রতিটা মানুষের চাওয়া, ২০১৬ হোক অন্য যেকোনো বছরের চেয়ে সাফল্যমন্ডিত। আশা দেকাচ্ছে সম্ভাব্যনাও। বিশেষজ্ঞরা তারপও বলেছেন, কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো এ বছরটিকে অততের যেকোনো বছরের চেয়ে ব্যর্থ করে দিতে পারে। এর মধ্যে তেলের অব্যাহত দরপতন, চীনা অর্থনীতি, বিশ্বব্যাপী চলমান সংঘাত ও বাংলাদেশে একের জঙ্গি হামলাসহ মুক্তচিন্তার উপর আঘাত উল্লেখযোগ্য। তবে এসব বিষয়ে কোনো বিপর্যয় দেখা না দিলে ২০১৬ সাল অতীতের যেকোনো বছরের চেয়ে সফল হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ক্রম বর্ধমান সংঘাত: গত এক দশক ধরে বিশ্ব ব্যপি ক্রম বর্ধমান সংঘাত বেড়ে চলেছে। গত এক দশকের মধ্যে গত এক বছর ২০১৫ সালে সব চেয়ে বেশি সংঘাত ঘটে চলেছে। এই সব সংঘাতের কারণে ২০১৫ সাল অতীতের যেকোনো বছর ছাড়িয়ে গেছে। ওই বছর বিশ্ব ব্যাপী যুদ্ধ, সহিংসতা ও নিপীড়নে ছয় কোটির বেশি মানুষ ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। প্রতিদিন ৪হাজার ৬০০ মানুষ জন নতুন করে শরণার্থী জীবন বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন। অপরদিকে, শুধু সিরিয়াতেই ২০১৫ সালে নিহত হয়েছেন ৫৫ হাজার মানুষ। ২০১৫ সালের শরণাথী সংকটই বিশ্বের সামনে এসব যুদ্ধ, সংঘাত ও নিপীড়নের প্রকৃত চিত্রের কিছুটা হলেও তুলে ধরেছে। ও বছর শুধু মাত্র ইউরোপ পাড়ি জমিয়েছে ১০ লাখের বেশী মানুষ। অপেক্ষামাণ আরও ২০ লাখ মানুষ তরস্কে অবস্থান করছেন।
তেলের দরপতন: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তেলের দরপতন অব্যাহত থাকলে ২০১৬ সালের শেষ নাগাত অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল ২০ ডলারেও (১ হাজার ৫৭৪ টাকা) ধাম নেমে যেতে পারে। আর এ ঘটনা যদি ঘটে তাহলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হতে পারে সৌদি আরব সহ আরো অনেক গুলো রাষ্টের। বিশেষ করে সৌদি আরবের জাতীয় আয়ের ৯০ শতাংশ আসে তেল বিক্রির অর্থ থেকে। তেলের অব্যাহত দরপতনে ২০১৫ সালের বাজেট ঘোষণায় ঘাটতি ধরা হয়েছে ৮৪ বিলিয়ন ডলার ( ৭ লক্ষ ৬৯ হাজার ৬৫৪ কোটি টাকা)। আর তেল বিক্রি থেকে জাতীয় আয় ধরা হয়েছে ৭৩ শতাংশ। তবে এসব হিসাব তখনি কাজে আসবে, যখন তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৪০ ডলার থেকে ৫০ ডলারের মধ্যে থাকবে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, তেলের দাম আরো কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পরমাণু চুক্তির সম্পাদনের সঙ্গে সঙ্গে ইরান ঘোষনা দিয়ে রেখেছে, এক বছরের মধ্যে তেল উৎপাদন দ্বিগুন করবে তারা। ২০১২ সালের হিসাবে দেশটির দৈনিক উৎপাদন ছিল পাঁচ লাখ ব্যারেল। এছাড়া মার্কিন শেল তেলের প্রসার, বাজার ধরে রাকতে সৌদি আরবেনর একগুয়ে উৎপাদন বাড়িয়ে চলা এই পণ্যের দরপতনে বিশেষ ভুমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
চীনা ধস: ২০২৫ সালের ২৪ আগষ্ট হঠাৎ করেই চীনা শেয়ার মার্কেটে ধস দেখা দেয়। আর এর প্রভাবে ওইদিন বিশ্বের প্রতিটা বড় মার্কেটেই সূচকের পতন রেকর্ড গড়ে। এই টুকুতেই বোঝা যায়, বিশ্ব অর্থনীতিতে চীনের গুরুত্ব কতটুকু।
প্রসারমান বাজারের দেউলিয়া হয়ে যাওয়া: গত ১৬ ডিসেম্বর সুদের হার ০.২৫ শতাংশ থেকে ০.৫০ শতাংশের মধ্যে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাষ্টের ফেডারেল রিজার্ভ। তাৎক্ষণিকভাবে বিশ্ব অর্থনীতিতে এর প্রতিক্রিয়া ইতিবাচক হলেও তা একটা পর্যায়ে প্রসারমান বাজারকে দেউলিয়া করে দিতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। বেশ কয়েক কয়েক মাস ধরে আর্ন্তজাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিষ্টিনে লাগার্দে সতর্ক করে আসছেন, যুক্তরাষ্টে সুদের হার বৃদ্ধি উন্নয়নশীল বিশ্বে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, যদি ২০১৬ সালে সংঘাত অব্যাহত থাকে তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে। এর অন্যতম কারণ ইউরোপের দেশ গুলো শরণার্থী আশ্রয়ের ব্যাপারে এরই মধ্যে অপারগতা জানাতে শুরু করেছে। কিন্তু শরণার্থী সৃষ্টি হওয়া বন্ধ হয়নি। ফলে এই সংকট আরো প্রকট হয়ে উঠবে।
২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৪
আকাশ ইকবালট বলেছেন: yes.
Tar por o asa kora zay.
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০০
মিশু ইমতিয়াজ বলেছেন: তার পর ও আমরা ২০১৬ এ ভাল কিছু আশা করি