![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে নাকি পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘোরেÑ এই প্রশ্নে যদি কেউ বলে,সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে- তাহলে লোকে তাকে নির্ঘাত ভাতুল ভাববে।
কিন্তু এক সময় এই ধারণা ছিলই মুখ্য। কোপার্নিকাস, গ্যালেলিওরা যখন এই ধারনা করেছিল তখন খিষ্টান ধর্ম যাযকরা তাদের হত্যা করেছিল বিভিন্ন ভাবে। কিন্তু দেখেন বর্তমান যুগে ঐ বিজ্ঞানী দার্শনিকদের কথা সত্য হলো। মুখ্য সেই বিশ্বাসের বিরুদ্ধে দাড়িয়ে ব্রুনো , কোপার্নিকাস বলেছিলেন- পৃথিবী ই সূর্যের চারদিকে ঘুরে। গানিতিক ভাবে এটা প্রমানও করে দিয়েছিলেন। এই ধারনা ও বিশ্বাসের কারণে ধর্ম যাযকরা ব্রুনোকে আগুনে পুড়ে মেরে পেলেছিল। গ্যালিলিওকে সারা জীবন অন্ধকার প্রকোষ্ঠে দিনাতিপাত করতে হয়েছিল। তাতে সত্য ডাকা পড়ে নি। মেঘে ডাকা সূর্যর মতই অন্ধকার সময়ের অবগুন্ঠন খুলে সুর্যের মহিমায় স্ব-মহিমায় আত্ব্যপ্রকাশ করেছে। অন্ধবিশ্বাসের অন্ধকার জীবন থেকে মানুষকে সত্যে ও যুক্তির আলোয় উদ্ভাসিত করেুেছ। অন্ধকার রাস্তায় টর্চ জ্বেলে মানুষ যেমন সঠিক পথের সন্ধান করে সমস্ত অন্ধকারকে আলোকিত করে সঠিক পথের সন্ধান দেয়, অজানা পশ্নের উত্তর দিয়ে রক্ষনশীল সমাজের সত্যের মুখোশ উন্মেচন করে দেয়। স্বার্থে আঘাত লাগে বলে রক্ষনশীলরা বিজ্ঞানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায়, বিজ্ঞানের চিন্তাকে যারা ধারণ করে,লালন করে তাদের উপর অত্যাচার চালায়, কখনো কখনো জীবননাশের পথও বেছে নেয়। জীবন সংহার করতে পারলেও চিন্তাকে, সত্যেকে সংহার করা যায়না। বিজ্ঞান সে সত্যেকে উর্দ্ধে তুলে ধরে, সে সত্যে অমোঘ। তাই সর্ত্যের শক্তি বিজ্ঞানের শক্তি। আধুনিক সভ্যতার ভিদ । যে জাতি বিজ্ঞানের এই শক্তিকে ভালোভাবে চিনতে পেরেছে, ধারন করতে পেরেছে ও কাজে লাগিয়েছে তারাই উন্নতির শীর্ষে আহোরণ করেছে। এই উন্নতি শুধূ বস্তু গত সম্পদের প্রাচুর্য নয়, বিজ্ঞানের সাধনা তো সত্যের সাধনা, আর সত্যের সাধনা তো মনুষ্যত্বের সাধনা, তাউ বিজ্ঞান উন্নতি নৈতিকতা ও মুল্যবোধেল আধারে সমাজের ভিত্তি স্থাপন করেছে। আর যখনই যারা বিজ্ঞানকে প্রত্যাখান করে বন্ধমুল বিশ্বাসকে আঁকড়ে ধরে বাচার চেষ্টা করছে, সে জাতির বৌদ্ধিক ও নৈতিক বিকাশ হয়ে পড়েছে স্থবির। সেই হিসেবে বলতে গেলে বাংলাদেশে যেভাবে মুক্ত চিন্তার মানুষদেরকে হত্যা করা হচ্ছে সে হিসেবে তা বাংলাদেশরই ক্ষতি হচ্ছে। আমরা রাশিয়ার দিকে তাকালে বুঝতেপারি রাশিয়া আজ এতো উন্নত কেন। সেখানে মুক্তি চিন্তার চর্চা হয বলে খুব অল্প সময়ে তারা এতো উন্নত। রাশিয়া ১৯১৭ সালে জার্মান জারের হাত থেকে মুক্ত হয়ে মাত্র ১০ বছরে তারা যে পরিমান উন্নতির শিখরে পৌচেছে সে হিসাব করলে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট গোটা ১০০বছরেই পারতো না। আর সেখানে আমাদের বাংলাদেশ পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠীর হাত থেকে মক্তি পেয়েছে আজ ৪৪ বছর। এখনো আমরা সামান্য তম উন্নতির শিখরের ছোঁয়া পাইনি। আর না পাওয়ার ও অনেক যুক্তি আছে। যত দিন এই দেশ সামাজিক কুসংস্কার ও ধর্মীয় গোড়ামির বিরুদ্ধে কথা বলবে না তত দিন এই দেশ ভালো উন্নতি করতে পারবেনা। যাইহোক তাহলে আমরা আসল কথায় আসি। বাংলাদেশের মুক্তচিন্তার প্রতিচ্চবি হচ্ছে হুমায়ন আজাদ স্যার, জাপর ইকবাল স্যার , অভিজিৎ রায় ইত্যাদি আরো অনেকে। কিন্তু তাদেরই হত্যা করেছে এদেশরই কিছু মানুষ। দুঃখিত ওদের মানুষ বললে ভুল হবে। তারা তো অমানুষ। আর এই দেশরই সরকার দেশরই মুল্যবান সম্পদকে নষ্ট করার সহায়তা করছে। কিন্তু সংবিধানেও এই মুক্তচিন্তার কথা বলা হয়েছে। তবুও সরকার তার গগী হারানো ভয়ে এই সব মুক্ত চিন্তার মানুষদের হত্যার কোনো বিচার করছেনা। মুক্ত চিন্তার মানুষ হত্যা ভিন্ন মত নয় বৈজ্ঞানিক চিন্তার উপরই আক্রমণ শত শত বছর আগে বিজ্ঞানের সত্যকে তুলে ধরার জন্য ব্রুনোকে অগ্নিকুন্ডে জীবন দিতে হয়েছিল। সেটা ছিল অন্ধকার যুগ। আর আজ তথাকথিত গণতান্ত্রিক রাষ্টেও বিজ্ঞানের চিন্তাকে প্রচারের কারণে খুন হতে হয়েছে অভিজিৎ, অনন্ত বিজয়, রাজিব হায়দার, ও ওয়াসিকুর রহমান বাবুকে। তাদের প্রচারিত মতের সাথে কারও মতভিন্নতা হতেই পারে। তাই বলে তাদের হত্যা করতে হবে? যেই আদর্শের কারণে যাদের হত্যার কথা স্বীকার করা হলো- রক্তপিপাসু ওই হাত কোন ধর্ম প্রতিষ্ঠা করা হলো? এতেই কি তার মহুত্ব প্রতিপন্ন হলো। এতে কি তার আদর্শ ধংশ করতে পেরেছে । কিছু করতে পারেনি। বরং যে চার জন কে হত্যা করেছে তার জন্য আরো হাজার হাজার জন মুক্তচিন্তার মানুষ তৈরি হয়েছে। মুক্ত চিন্তার মানুষ যদি কোনো ভুল করে থাকে বা ভুল বলে থাকে তাহলে তাহলে যুক্তি দিয়ে তাদের আদর্শকে ভুল বলে প্রতিপন্ন করো। মুক্ত চিন্তার মানুষ যদি রাষ্ট বা দেশের কোনো ক্ষতি করে থাকে তাহলে বৈজ্ঞানীক প্রমান ও রাষ্টের আইন অনুযায়ী বিচার করা হতো। পৃথিবীর সকল দেশে মুক্ত চিন্তা আসার অনেক গুলো ইতিহাস আছে। এই ক্ষেত্রে মুক্তচিন্তাকে স্বাধীনতা ও বলা যায়। যখন একজন মানুষ তার মাথা থেকে সর্ব প্রকার কুসংস্কারচন্ন ধ্যান ধারণা ও সর্ব প্রকার লোভ লালসা থেকে নিজেকে স্বাধীন করতে পারে তাকে মুক্ত চিন্তা বলে। স্বাধীনতা বলতে আমরা বুঝি শুধু - নিজে যা কিছু করবো তারই অধিকার। আসলে কি তাই । না তা নয়। বিখ্যাত বনফুল রচনাবলী পড়লে বুঝা যায় সত্যকারের স্বাধীনতা কি। যেমন, আসিব ও আকিব দুইজন বন্ধু। আসিব ও আকিব দুজনই একদিন একটি আম বাগান দিয়ে হাঁটছিল । হঠাৎ আসিব দুইটি আম পেল। যার মধ্যে একটি আম ভালো অন্য একটি আম পৌঁচা। তাহলে আসিব কোনটা নিবে? ভালোটা না পোঁচা টা? নিশ্চই ভালোটা। কিন্তু আসিব একদমই করলো না। সে ভালো আম টা আকিব কে দিয়ে পোঁচাটা আসিব নিজেই নিয়ে নিলো। আর এর মাঝে সে তার হিংসা বিদ্ধেস নেই বলেল চলে। এটাকে ও এক ধরণের স্বাধীনতা বলে। সত্যকারের স্বাধীনতা বলতে যা করলে সত্যকারের আনন্দ পাওয়া যায় তাকে বলে স্বাধীনতা। মুক্ত চিন্তার মানুষরা যে তাদের জীবন বিপন্ন করে দেশ ও তার জাতিকে কুসংস্কারছন্ন অন্ধকার কুন্ডলীথেকে বের করে নিয়ে আসতে চেয়েছিল দেশে স্বাধীনতা আছে মনে করে। আসলে কি স্বাধীনতা আছে বাংলাদেশে। না ! নেই ! পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠীর হাত থেকে দেশ স্বাধীন হতে পারে কিন্তু দেশের মানুষ স্বাধীন হতে এখনো পারেনি। দেশের মানুষের স্বাধীন চেতনাকে এখনো বিকশিত করতে পানেনী। দ্যা আমেরিকান টাইমস সের এক রিপোটে বলা হয়েছে বাংলাদেশে যেভাবে মুক্ত চিন্তার মানুষ দের কে হত্যা করা হচ্ছে এতে করে তাদের নিজের দেশরই অনেক টা ক্ষতি হচ্ছে যা দেশ ও দেশের সরকার বুঝতে পারছেনা। এ দেশের মানুষের চিন্তা ও স¦াধীনতা কে হরণ করা হচ্ছে। তাই আমি একজন সচেতন নাগরিক হয়ে এই দেশের সরকার ও রাষ্টকে অনুরোধ করছি আপনারা চাইলে এমন হত্যা যোর্গ বন্ধ করতে পারেন। মুক্তচিন্তার মানুষদের যদি ভুল হয়ে থাকে তারা যদি আপনার ও দেশের কোনো ক্ষতি করে থাকে তাহলে বৈজ্ঞানিক প্রমান দিয়ে দেশের সংবিদান ও আইন অনুযায়ী বিচার করুন। আর দেশের মানুষকে তার চিন্তার স্বাধীনতা করতে সুযোগ করে দিন।
২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৫
আকাশ ইকবালট বলেছেন: ধন্যবাদ।
আমি এখানে নতুন । আশা করি সব সময় সাহাস্য করবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৮
ঝাপসা বালক বলেছেন: লেখাটি পড়ে ভালো লাগল । সহমত প্রকাশ করছি ।