![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক দিন আগের থেকে নিজেকে মুক্তমনা বলে দাবি করি। সমাজের কোন অন্যায় অত্যাচার কে যেমন সংঙ্গ দিতাম না। ঠিক তেমনি ধর্মীয় কোন ব্যাখ্যা বিশ্বাস করিনি কোনদিন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পূর্ব বাংলার হাজার হাজার জনগন তাদের উপর অত্যাচারের জন্য নিজেকে এবং দেশকে বাঁচাতে নিজের জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করে। তারা তাদের দেশকে বাঁছিয়েছে বলে আজ তারা মুক্তিযোদ্ধা। কেন আমি যদি এই অন্ধ বিশ্বাসকে না বিশ্বাস করি, এই অন্ধবিশ্বাস কে না মানি তাহলে কি আমার অপরাদ? সব সময় সত্যকে বিশ্বাস করেছি বলে খুব অল্প দিনে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলাম। মা বাবার কাছ থেকে ও ধুরে বাধ্য হয়েছিলাম। আমি যখন অষ্টম শ্রেনীতে পড়ি তখন থেকে আমি ধর্ম বিশ্বাস থেকে বিরত। কিন্তু তখন ভয় পেতাম। যদি কেউ জানতে পারে তাহলে আমার আস্ত রাখবেনা। সবার আগে আমার বাবা মা। আমার বাবা মা খুব জামাতী। বলা যায় এক ধরণের উগ্র জামাত। আমাকে এবং আমার ভাই বোনকে এতটাই ধর্মীয় কুসংস্কাররে তালিম দিয়েছে যে তারা মুসলিম ধর্মাবলাম্ভী কোন ব্যক্তি ছাড়া অন্য কোন ধর্মের ব্যক্তির সাথে মিশেও না। আমি যখন স্কুল এ পড়তাম তখন আমার অনেক গুলো বন্ধু ছিল হিন্দু। আবার আমি যে পার্টি করতাম তার ও অনেক হিন্দু কমরেড ছিল। যারা সব সময় আমার বাড়িতে যেতে চাইতো কিন্তু আমি আমার পরিবারের ভয়ে কোন দিন নিয়ে যেতাম না। কিন্তু যখন এসব কুসংস্কারকে লাথি মারতে শিখেছি ঠিক তখন থেকে আমি কোন না কোনদিন ইচ্ছা করে আমার হিন্দু বন্ধুদের বাড়িতে নিয়ে যাই। সে দিন থেকে ধর্ম কে বিশ্বাস করা পুরোপুরি বাদ দিয়েছি। সে দিন থেকে সব কুসংস্কার অন্ধকার জীবনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছি। এক সময় আমার মা বাবা জেনে যায়। আমি ইসলাম বিশ্বাস করিনা। আমি ধর্মের কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লিখি। আমি তাদের মতের সাথে একমত নই। তাদের আদর্শ কে লাথি মারি। তারা অনেক চেষ্টা করার পর ও আমাকে নামাজ পড়াতে পারেনা। অনেক চেষ্টা করার পর ও আমার গলায় তাবিজ লাগাতে পারেনি। ঠিক তার কিছু দিন পর আামাকে আলটিমেটাম দিয়েছিল, তুমি যদি ঠিক না হও তাহলে তোমাকে অল্প দিনে বাড়ি চারতে হবে। আমি তখন বলেছিলাম। তোমরা আমাকে ছোট বেলা থেকে সব সময় সত্য কে বিশ্বাস করতে শিখিয়েছো। আর আজ আমি যখন সত্যের স্ঙ্গং দিচ্ছি আর তখন আমকে তোমরা মিথ্যার আশ্চয় নিতে বলছ। আমি তখন এস.এস,সি পরিক্ষা পাশ করি। ঠিক সে সময় আমি বাড়ি ছাড়ি। তার পরে অনেক দিন যাইনা। আর আমার সমস্ত ব্যয় আমাকে বহন করতে হয়। অনেক কষ্ট করে কলেজে ভর্তির টাকা জোগাড় করেছিলাম। তার পর থেকে টিউশন করে মানুষের কাছ থেকে বলে কয়ে নিয়ে পড়া লেখা করে এখন এইচ. এস. সি শেষ করে বিশ্বাবিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছি। কিন্তু এখন কিছু ভাল আছি। সামান্য টাকা আসে আমার হাতে। ভাল ভাবে চলতে ও পারি। আর কারো কাছে হাত পাততে হয় না। যখনই একটু সুখ পেতেছিলাম আর তখনই আজ একটা সমস্যা হয়। আমার সম্পাদক আমাকে বাবা মায়ের মতো শেষ আলটিমেটাম দিয়েদিয়েছে। যে তোমাকে আমাদের সাথে কাজ করতে হলে তিনটা কাজ করতে হবে।১. আমাকে প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে।২. ধর্ম বিরোধী লেখা লেখি বন্ধ করতে হবে। ৩.দাড়ি গোপ ২দিন পর পর কামাতে হবে। ৩টা আমি মানতে পারবো। কিন্তু প্রথম দ্টুা তো নয়। যে আদশ্য নিয়ে বড় হচ্ছি সেটা আমাকে ভুলে যেতে হবে। যে সত্যকে বিশ্বাস করে ঘর চেড়েছিলাম সেটাও বন্ধ করতে হবে?
২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৯
নিমগ্ন বলেছেন: বানামে এতো সমস্যা কেন? ভাল লাগলো আপনার সংগ্রামী জীবনের কথা শুনে। কোন সাবজেক্টে স্টাডি করছেন?
৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৫
আকাশ ইকবালট বলেছেন: অনেক দিন আগে এই লেখাটি লিখেছিলাম। আজ না দেখে পোষ্ট করেছি।
বানান ভুলের জন্য ক্ষমা পার্থী
অনাস করছি
৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪০
আকাশ ইকবালট বলেছেন: মুক্তমনা হতে পেরেছি কিনা জানিনা তবে আমি দাবী করি। চেষ্টা করে যাচ্ছি সঠিক মুক্ত মনা হবার।
ধন্যবাদ
chadgazi
৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:২৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
" মুক্তমনা হতে পেরেছি কিনা জানিনা তবে আমি দাবী করি। চেষ্টা করে যাচ্ছি সঠিক মুক্ত মনা হবার। "
-আপনি নিজেই বুঝেন না কি বলছেন!
৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩১
আইএমওয়াচিং বলেছেন: বিশিষ্ট আঁতেল চাদ্গাজিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি কাউকে মুক্তমনা সার্টিফিকেট দিলেই কেবলমাত্র উনি প্রকৃত মুক্তমনা হইতে পারিবেন, নচেৎ নয় ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
"অনেক দিন আগের থেকে নিজেকে মুক্তমনা বলে দাবি করি। সমাজের কোন অন্যায় অত্যাচার কে যেমন সংঙ্গ দিতাম না। ঠিক তেমনি ধর্মীয় কোন ব্যাখ্যা বিশ্বাস করিনি কোনদিন। "
-আপনি মুক্তমনা নন, আপনি হয়তো আধুনিক মানুষ।