![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আসসালামু আলাইকুম । কেমন আছেন সবাই ? শুক্রবার আমরা শুক্রবারের , কথা চিন্তা করলেই আমাদের চোখে ভেসে উঠে একটি অলস ছুটির দিন, দেরি করে ঘুম থেকে উঠা, আলসেমি আর অখণ্ড অবসর। সারা সপ্তাহ জুড়ে কাজের শেষে আজ
ছুটির দিন ! স্কুল নেই, অফিস নেই, নেই কোনো ছকে বাঁধা কাজের তাড়া ! শুক্রবার মানেই হৈ হুল্লোড়, ঘুরে বেড়ানো , সিনেমা দেখা ,
খেলা দেখা অথবা বন্ধু পরিবারের সাথে সময়টাকে উপভোগ করা, অথবা কিছুই না করে বিশাল একঘুম দেয়া !
ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে এই দিনটির বিশেষ তাৎপর্য ও গুরুত্ব আমরা অনেকেই জানিনা ! শুক্রবার মুসলমানদের জন্য একটি গুরুত্ব পূর্ণ দিন।
অনেকেরই জানা নেই যে শুক্রবার কেন এত গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামে শুক্রবারের দিনটি অনেক বরকতময় ও তাৎপর্যপূর্ণ। এই দিনে প্রথম মানুষ হযরত আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করা হয়েছে , এইদিনে তাকে বেহেশতে স্থান দেয়া হয়েছে,এই দিনেই তিনি পৃথিবীতে অবতরণ করেন এবং সপ্তাহের সাতটি দিনের মাঝে শুক্রবারই সে দিন যেদিন তিনি মৃত্যুবরণ করেছিলেন। শুক্রবার দু’আ কবুলের ও দিন, তবে দুয়ায় নিষিদ্ধ কিছু চাওয়া যাবে না। এই দিনেই সংঘটিত হবে কিয়ামত। আল্লাহ শুক্রবারকে অন্যান্য দিনের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন! রাসুলুল্লাহ (সাঃ) দিনটির এরকম আরো কিছু বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করেছেন। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) এবং হুযাইফা রাঃ থেকে বর্ণিত : রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন : “আমাদের পূর্বে যারা এসেছিলেন আল্লাহ তাদেরকে শুক্রবার থেকে দূরে রেখেছিলেন। ইহুদীদের ছিল শনিবার এবং খ্রিস্টানদের ছিল রবিবার। অতঃপর আল্লাহ আমাদেরকে শুক্রবারের ব্যাপারে জ্ঞান দিলেন। তাই শুক্রবার, শনিবার,রবিবার যেভাবে ক্রমানুসারে আসে, হাশরের দিনে ও তারা আমাদের অনুসরণ করবে। আমরা এই পৃথিবীর সর্বশেষ উম্মত কিন্তু হাশরের দিন আমরা সবার অগ্রে থাকব এবং আমাদের বিচার কার্যও অন্য সবার পূর্বে হবে।” রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেন, “তোমাদের দিনগুলোর মধ্যে সর্বোত্তম শুক্রবার। এই দিনে আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করা হয়েছিল; এই দিনেই তিনি মারা যান , এই দিনেই শিঙ্গায় ফু (কেয়ামত) দেয়া হবে এবং সকল সৃষ্টিকূল ধ্বংশ হয়ে যাবে । কাজেই বেশি করে দরুদ পড়। আবু দাউদ,সুনান আবু দাউদ ৪/২৭৩( .আবু লুবাবাহ ইবন আল-মুনধির হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, “শুক্রবার সব দিনের সেরা, এই দিন আল্লাহ আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করেন, এই দিনেই পৃথিবীতে প্রেরণ করেন , এই দিনেই তিনি মারা যান , শুক্রবার দিনটিতে এমন একটি নিদৃষ্ট সময় আছে যখন আমরা আল্লাহ তায়ালার কাছে যাই চাই না কেন আল্লাহ তা কবুল করেন , যতক্ষণ পর্যন্ত না এমন কিছু চাওয়া হয় যা ইসলামে নিষিদ্ধ। এই দিনেই হবে কেয়ামত। এমন কোন ফেরেশতা নেই, নেই কোন আসমান, নেই কোন যমীন, নেই কোন পর্বত আর নেই কোন সাগর শুক্রবারের দিনটিকে ভয় করে না। ” (ইবন মাজাহ : ০৮৪). বুখারী ও মুসলিম হতে বর্ণিত আছে এখানে হাদীসটি উল্লেখ করা হল , আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) জুমার দিনের ফযিলত সম্পর্কে বলেন , ” শুক্রবারে এমন একটি ক্ষণ আছে যখন একজন মুসলিম , সে নামাজ আদায় করেছে এবং দুয়া করেছে সেই দুয়া কবুল করা হয়ে থাকে”. তিনি (সাঃ) তাঁর হাতের দ্বারা ইশারা করে বোঝান যে, তা খুব অল্প একটি সময় । (বুখারি ও মুসলিম). শুক্রবারের আরেকটি ফযিলত হল জুমার নামায। এর গুরুত্ব এতই অধিক যে ,পবিত্র কুরআনে আল-জুমুয়াহ নামে একটি পূর্ণ সুরা রয়েছে । আল্লাহ তায়ালা কুরআনে জুমার দিনের গুরুত্ব সম্পর্কে বলেন, “মুমিনগণ, জুমআর দিনে যখন নামাজের আযান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের পানে তাড়াতাড়ি করো এবং বেচাকেনা বন্ধ কর । এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝ। এটি এমন একটি দিন যে দিন আল্লাহ তায়ালা, পরম করুনাময় আমাদের সগীরা ছোট( গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দিয়ে থাকেন, শুধুমাত্র ঐ দিনেরই নয় বরং পুরো সপ্তাহের এবং সাথে অতিরিক্ত আরো তিন দিনের। সহীহ মুসলিমের হাদীসটি বর্ণিত হল :আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, যদি কেউ যথাযথভাবে ওযু পবিত্রতা অর্জন করল, এরপর জুমার নামাযে আসো, এবং মনোযোগের সাথে খুতবা শুনো এবং নীরবতা পালন কর ।
-
©somewhere in net ltd.