![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের রাজনীতিতে এই মুহূর্তে সবচেয়ে আলোচিত দুই ব্যক্তিত্ত্ব ও বাংলাদেশের সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ কান্ডারী হলেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান, লন্ডনে চিকিৎসাধীন, মরহুম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বড় ছেলে তারেক রহমান, এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও মরহুম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতি সজীব ওয়াজেদ জয় । তারা তাদের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের ছোঁয়ায় জাতিকে নতুনভাবে সাজাতে উদগ্রীব এবং নিজেদেরও নতুনভাবে তুলে ধরছেন । তারেক জিয়া বর্তমানে যেমনি তার অতীতের ভুল-ত্রুটি শুধরিয়ে নিজেকে শহীদ জিয়ার যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে নতুনভাবে উপস্থাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন আর মাঝে মাঝে সীমিতভাবে রাজনৈতিক কর্মকান্ড করছেন, তেমনি সজীব ওয়াজেদ জয়ও আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিতে তার প্রবাসের গোছানো জীবন দূরে ঠেলে দেশের ধুলো মাখা পথে পথসভা করছেন ।
এই দুজনই সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে নিজেদের বক্তব্য, বিবৃতির মাধ্যমে বেশ আলোড়ন ও ঝড় তুলেছেন।বাংলাদেশের সকল প্রকারের মিডিয়া থেকে শুরু করে বিদেশের এবং বাঙালি মালিকানাধীন সর্বপ্রকারের অনলাইন মিডিয়ায় এ দুজনের সাম্প্রতিক বক্তব্য নিয়ে নানা আলোড়ন, আলোচনা, মতামত, বিশ্লেষণ, সমালোচনা, তর্ক, বিতর্ক চলছে, যেমন করে চলছে আমাদের গভীর রাতের টক শো গুলোতে। যেসব টক শো গুলোতে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক অত্যন্ত জোরালো ও শানিত যুক্তি-তর্কের মাধ্যমে দুজনের তুলনামূলক একটা গ্রহণযোগ্যতার প্রেক্ষিত তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। তাদের সাথে সমান তালে পাল্লা দিয়ে দুই দলের রাজনৈতিক কর্ণধারদের নানা তির্যক ও কিছুটা হালকা আক্রমণাত্মক রাজনৈতিক বক্তব্যের ভিতর দিয়ে অরাজনৈতিক বক্তব্যও প্রকাশিত হচ্ছে। জনগণ কিন্তু সকলের বক্তব্য খুব আনন্দের সাথে শুনছেন।
সুন্দর ও সমৃদ্ধিময় আগামীর প্রত্যাশায় জনগণ এই দুই তরুণ নতুন প্রজন্মের রাজনৈতিক কর্ণধারকে নিয়ে এখন ভাবতে শুরু করেছেন। তার যথেষ্ট প্রমাণও পাওয়া যায়। চায়ের টেবিল থেকে শুরু করে কৃষকের মাঠের ধান আর হাল চাষের অবস্থান, হাট-বাজার, শহর, রেডিও, টেলিভিশন আর পত্র-পত্রিকায় এই দুই তরুণের বক্তব্য নিয়ে বাজার গরম করা চলতি অবস্থানে তাদের গ্রহণ যোগ্যতা ও তাদের নিয়ে নানা বক্তব্য ও সমালোচনার মাধ্যমে সহজেই আঁচ করা যায়, সন্দেহ নেই এই দুই তরুণ রাজনৈতিক নেতাকে নিয়ে আগামী দিনের বাংলাদেশের রাজনীতি ঘুর পাক খাবে, নিয়ন্ত্রিত হবে, আবর্তিত হয়ে এগিয়ে চলবে, যা এ দেশের রাজনীতিতে বেশ একটা পরিবর্তন এনে দিবে, অনেকেই এমন ধারণা পোষণ করছেন।
তারেক জিয়া এবং সজীব ওয়াজেদ জয় এর বেশকিছু মিল রয়েছে - এই দুজনই রাজনৈতিক পরিবারের উত্তরাধিকার হয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে গরম হাওয়ার ঝড় তুলেছেন আর তাদের দুজনেরই পরিবার বিপথগামী সেনা সদস্যদের আক্রোশের শিকার। তবে সবচেয়ে বড় অমিল হলো – রাজনীতিতে পরিপক্কতার দিক দিয়ে তারেক জিয়া বহু ক্রোশ এগিয়ে, রাজনৈতিক পথচলাও তার আগেই শুরু ।
একজন তারেক জিয়া সময়ের স্রোতে ও আগামীর সাথে নতুনের ও পুরাতনের মিল খুঁজে নতুন বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে তার দর্শন, তার চিন্তা, তার আগামীর রাষ্ট্র পরিচালনার রূপরেখা নিয়ে লন্ডনের রাজনৈতিক সমাবেশ থেকে দেশ ও জনগণের উদ্দেশ্যে নিজের বক্তব্য উপস্থাপনের মাধ্যমে সকলের নজর ও দৃষ্টি তারেক জিয়ার প্রতি অসম্ভব এক মোহনীয় ও জাদুকরী শক্তি নিয়ে আবদ্ধ করে চলেন। তারেক যখন বলেন, তখন যেন গোটা বাংলাদেশ বলে উঠে- এমন এক জাদুকরী মন্ত্র তারেক গোটা বাংলাদেশ ও বিশ্ব বাঙালির কাছে তুলে ধরেন। যার ফলে তারেকানুরাগি এবং তারেক বিরোধীশক্তি একাট্টা হয়ে মিডিয়ায় হুমড়ি খেয়ে পড়েন। পত্র-পত্রিকায় এ নিয়ে চলে বিস্তর আলোচনা, সমালোচনা, বিতর্ক। এখানেই তারেকের সব চাইতে বড় ক্যারিশমা। এ যেন এক ঐন্দ্রিয় মায়াময়ী জাদুকরী এক শিল্পী-যে রাজনীতির মাঠে রাজনীতির জাদু ফেরি না করেও প্রভাব বিস্তার করে চলেন। তারেক জিয়া নিছক এক অসাংবিধানিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের প্রেক্ষিতে কতিপয় সন্দেহ প্রবণ ঘটনার অবস্থানের (যেহেতু এখনো বিচারাধীন) দায় মাথায় নিয়ে ব্রিটেনে অনিচ্ছা স্বত্বেও বলা যায় প্রতিকুল ও বিরুদ্ধ এক রাজনৈতিক স্রোতের বিপরীতে, নিজেকে ধরে রেখে, আগামীতে নিজের অবস্থানের জানান দিতেই, শারীরিক অসুস্থতার বোঝা নিয়ে ব্রিটেনে স্ত্রী, সন্তান নিয়ে বিদেশে কষ্টকর জীবন-যাপন করেন, যার পেছনে বিতর্ক সমান তালে বয়ে চলে।
সন্দেহ নেই এই দুজন বাংলাদেশের আগামীর রাজনীতিতে এক বড় ধরনের ভূমিকা রাখবেন, যা আসন্ন সাধারণ নির্বাচনকে ঘিরে ব্যাপক মেরুকরণ লক্ষ্য করা যাবে। এই দুই তরুণের রাজনৈতিক ক্যারিশমা ও রাজনৈতিক দর্শন নিয়ে আসন্ন নির্বাচন বেশ ভালোভাবে জমে উঠবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। তারেক জিয়া চরম বিপরীত স্রোতের এই রাজনৈতিক অবস্থায় কেমন করে তিনি দেশে ফিরবেন, সেটা যেমন এক বিরাট প্রশ্ন, ঠিক একইভাবে সজীব ওয়াজেদ জয় কতোটুকুই বা পাশ্চাত্যের ঐ আরাম-আয়েশের জীবন পেছনে ফেলে বাংলাদেশের নিরন্ন জনগণের জন্য নিজেকে বিসর্জন করবেন তা নিয়েও কফির টেবিলে আলোচনার ঝড় উঠবেই । তথাপি পাঁচ বছর পরপর পালাবদলের সংস্কৃতি পরিবর্তন না হলে হয়তো তারেক জিয়াই হবেন বাংলাদেশীদের শেষ ভরসা, আমার তার ব্যক্তিত্ব আর নেতৃত্বে বিমোহিত হতে চাই ।
©somewhere in net ltd.