নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নির্ভীক৭১

নির্ভীক৭১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিএনপি-জামায়াতি হরতালে ভাড়াটে লোক দিয়ে পিকেটিং!!!

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭

ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। গ্রীষ্মে প্রখর খরতা, বর্ষায় পানি আর পানি, শীতে হাঁড় কাপুনী ঠান্ডা। এরূপ ঋতু বৈচিত্র্যের দেশ আর কোথাও আছে কিনা আমার জানা নেই। তবে ষড়ঋতুর এই দেশটির বর্তমান সময়টা অর্থাৎ শরৎকালটা আমার বেশ ভাল লাগে। না প্রখর খরতাপ, না পানিতে ভীজে যাওয়ার বিড়ম্বনা বা নেই হাড় কাঁপুনী শীত। এ সময়টাতে ভোরে নামাজের পর একটু বেশী ঘুমাতেও ভাল লাগে। কিন্তু আফসোস, অনেক সময় প্রবল ইচ্ছা থাকলেও ঘুমাতে পারিনা। বাঁধা বা প্রতিপক্ষ আমার পেশা। পেশাগত কারণেই একজন ফটো সাংবাদিক হিসেবে অনেক সময় কাঁক ডাকা ভোরেই ক্যামেরাটা বগলদাবা করে বাসা থেকে বেরিয়ে যেতে হয়। তীর্থের কাঁকের মতো অপেক্ষা করতে হয়, সংবাদ সংগ্রহ করতে বা বিশেষ দৃশ্য ধারণ করার জন্য।



তারিখ ০৪ঠা নভেম্বর ২০১৩। সময় ভোর ৬টা। বাসা থেকে বেরিয়েছি সেই মান্ধাতা আমলের সিডিআই ১০০ হোন্ডা মটর সাইকেলটা নিয়ে। কাধেঁ সেই চিরসাথী ক্যানন ক্যামেরা। উদ্দেশ্য বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের লাগাতার ৬০ ঘন্টার হরতালের প্রথম দিনের প্রয়োজনীয় দৃশ্য ধারণ করা । প্রয়োজনে নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলা। সময় ভোর ৬টা ৪৫ মিনিট, স্থান কাঁকরাইল মোড়। খারাপ কিছু নেই। বিএনপি জামায়াতের কোন নেতা/কর্মী নেই। অপরিচিত ৫/৭ জন টোকাই প্রকৃতির কিশোর ২/১ বার পিকেটিং করার চেষ্টা করে পুলিশের টহলের গাড়ী দেখে অদৃশ্য হয়ে গেল। সকাল ৭টা ১৫ মিনিট, ফকিরাপুল মোড়। অনুরূপ দৃশ্য। বিএনপি জামায়াতের কোন পিকেটার নেই। ১০/১২ জন অপরিচিত কিশোর/যুবক এসেছিল আরও সকালে, পিকেটিং করার জন্য। তার দোকানে কলা, ব্রেড, চা, সিগারেট খেয়ে অনেক কথাবার্তা বলে চলে গিয়েছে বলে জানাল ফুটপাতের এক দোকানদার। সময় ৭টা ৪৫ মিনিট, স্থান পুরানা পল্টন মোড়। সকল প্র্রকার যানবাহন চলাচল করছে। তবে অন্যান্য দিনের চেয়ে মাত্রা সামান্য কম। জীবনযাত্রা স্বাভাবিক। জানা গেল সকাল থেকেই এলাকায় হরতালের সমর্থনে কোন প্রকার পিকেটিং, পিকেটার বা জামায়াত-বিএনপির নেতা/কর্মী দেখা যায়নি।



সময় সকাল ৮টা। স্থান জাতীয় প্রেসক্লাব সংলগ্ন সচিবালয় লিংক রোড মোড়। পিকেটিং, পিকেটার বা জামায়াত-বিএনপির নেতা/কর্মী নেই। হরতালের সমর্থনে ভোর থেকেই কোন প্রকার কর্মকান্ড নেই। প্রেসক্লাবে ঢুকবো, এমন সময় তিন সতীর্থ বাধা দিয়ে বলল, অনেক জায়গা ঘুরে এসেছি, গলাটা গরম পানিতে ভেজাতে হবে, চল চা খাওয়া যাক। চার সতীর্থ সল্টেড বিস্কুট দিয়ে চা খেলাম। বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি আর হরতাল পরিস্থিতির নিয়ে মত বিনিময় করলাম। যোগফল বা সারাংশ হল, ১৮ দলীয় জোটের কথিত হরতাল চলছে, বলতে গেলে মাঠে জামায়াত-বিএপির পিকেটিং বা নেতা/কর্মী নেই। কিছু জায়গায় ভাড়াটে পিকেটার দিয়ে পিকেটিং করার চেষ্টা করা হলেও কাজ হয়নি। রাজধানীতে যানবাহন চলাচলসহ জীবনযাত্রা স্বাভাবিক, শুধু ট্রাফিক জ্যাম নেই।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.