![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অপরাধী জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে যখন বাংলার স্বাধীনতাকামী আপামর জনসাধারণ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে, দেশকে যখন কলংকমুক্ত করার ইতিহাস রচনা শুরু হয়েছে, বাংলার উচ্ছ্বসিত জনতা যেখানে লাল সবুজের মানব পতাকা তৈরী ও কন্ঠে জাতীয় সংগীত ধারণের মাধ্যমে বিশ্বরেকর্ড করার চেষ্টায় রত, ঠিক তখনই স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবির ও তার মিত্ররা ফাঁসিকে প্রত্যাখান করে দেশব্যাপী চালিয়েছে নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ, দেশের মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে জামায়াত-বিএনপির গণনিষ্ঠুরতার স্বরূপ। তাদের হামলা থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সমর্থক, সংখ্যালঘু হিন্দু-সম্প্রদায়, ট্রাইব্যুনালের বিচারক, যুদ্ধাপরাধীদের মামলার সাক্ষী, পুলিশ ফাঁড়ি, থানা, সরকারী কার্যালয় এমনকি শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত স্বাধীনতার স্মারক চেতনা’৭১ -কিছুই যেন রেহাই পায়নি। জামায়াত-শিবির নৃশংসভাবে হত্যা করেছে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের। জামায়াত-শিবিরের পাকিস্তানী কায়দায় চোরাগুপ্তা হামলায় বাংলার মানুষ আজ আতংকগ্রস্ত, উৎকন্ঠিত। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবসের মর্যাদাকে উপেক্ষা করে দেশব্যাপী সহিংস হরতাল পালন করেছে জামায়াত-শিবির। ফাঁসির রায় কার্যকর করার পরবর্তী তিন দিনেই জামায়াত-শিবিরের আক্রমনে সারাদেশে প্রাণ হারিয়েছে ৩০ জন। স্বাধীনতাবিরোধী এ দলটিকে আবার ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হিসেবে গ্রহণ করেছে ক্ষমতালিপ্সু বিএনপি।
জামায়াতের চলমান হামলা ও নৃশংস খুন এবং একাত্তরের ২৫ মার্চের কালরাতে নিরীহ ও নিরপরাধ বাঙ্গালীদের উপর পাকিস্তানীদের বর্বরোচিত হামলার মধ্যে যেন মিল খুজে পাওয়া যায়। তখনও তারা হত্যাযজ্ঞ সংগঠনে রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস বাহিনী গঠন করে পাকিস্তানীদের সহায়তা করেছিল। বাঙ্গালী নিরীহ ও স্বাধীনতাকামী মানুষদের উপর হামলায় পাকিস্তানীদের সহযোগী হিসেবেই পাকিস্তানের সাথে জামায়াত-শিবিরের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। স্বাধীনতা লাভের ৪৩ বছর পরও জামায়াত-শিবির ও পাকিস্তানের মধ্যে সে সম্পর্ক ও যোগাযোগ এখনও অটুট রয়েছে। আর সে যোগাযোগ ও সম্পর্কের উষ্ণতার মাত্রায় নতুনত্ব এসেছে জামায়াত-শিবিরের মিত্র হিসেবে বিএনপির আত্মপ্রকাশ ও বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পাকিস্তানের এজেন্ট হওয়ার মাধ্যমে। আর তাইতো যুদ্ধপরাধী কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ার পর পাকিস্তানে গায়েবানা জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং পাকিস্তানের সাধারণ পরিষদে এ ফাঁসি কার্যকরের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আনীত হয়েছে। তাহলে কি জামায়াত-শিবিরকে কাজে লাগিয়ে তালেবানী পাকিস্তান সরকার বাংলাদেশে তালেবানী কায়দায় শাসন কায়েম করতে চায় ? বিএনপি জামায়াতকে নিয়ে পাকিস্তান তাহলে কি নীল নকশা করছে ? বিএনপি জামায়াতে সহযোগিতায় পাকিস্তান কি বাংলাদেশকে এখনো ব্যর্থ রাষ্ট্র বানানোর চেষ্টা করছে ? তাইতো কাদের মোল্লার ফাঁসি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ যখন নতুন মাত্রায় বিজয় উল্লাসে মত্ত, পাকিস্তান তখন বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে উঠছে। একি তাহলে পাকিস্তানী কায়দায় নতুন বাংলাদেশ গড়ার ষড়যন্ত্র ?
এদিকে পাকিস্তানের ইন্ধনে জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকরের পর তুরস্কের রাজধানী আংকারায় বাংলাদেশ দূতাবাসে ও ইস্তাম্বুলে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের দপ্তরে হামলা করে ইসলামপন্থী ও জামায়াতের আদলে গড়ে ওঠা তরুণ সংগঠন আনাতোলিয়ান ইয়ুথ অ্যাসোসিয়েশন। এছাড়া জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন কাদের মোল্লাকে ফাঁসি দেওয়ার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশে ইইউ এর কূটনীতিকরাও দাপ্তরিক ব্যস্ততা দেখিয়ে বাংলাদেশের বিজয় উৎসবকে বর্জন করেছেন। বাংলাদেশ কি তাহলে বিএনপি-জামায়াত ও পাকিস্তানের গোপন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আবার পরোক্ষভাবে পাকিস্তানীদের শোষণ নিপীড়নের মেরুদন্ডহীন রাষ্ট্রে পরিণত হতে যাচ্ছে ? খালেদা জিয়া হয়তো এলক্ষ্যে পাকিস্তানের এজেন্ট ও জামায়াতের বিশেষ দূত হিসেবে কাজ করছেন। আর তাইতো বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের শক্র এবং আল কায়েদাসহ অসংখ্য জঙ্গী সংগঠনের আখড়া হিসেবে খ্যাত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সাথে ওমরাহর নাম করে সৌদিআরব গিয়ে জামায়াত-শিবিরের বিষয়ে বৈঠক করেছেন। সম্প্রতি খালেদা জিয়ার নেতৃত্বধীন ১৮ দলীয় জোটের মুখপাত্র আল কায়েদার আদলে গোপনে থেকে আন্দোলন কর্মসূচী ও দলীয় বার্তা প্রকাশ করে যাচ্ছে, যা বাংলাদেশে তালেবানী রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েমের চেষ্টার নামান্তর। তবে এ কথা অনস্বীকার্য যে, বৃহত্তর কলেবরে মানব পতাকা তৈরী ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনায় বিশ্ব রেকর্ডধারী লাল সবুজের বাংলাদেশীরা তা কখনো হতে দিবে না। বাংলার শান্তিপ্রিয় মানুষেরা অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে সব সময়েই সোচ্চার ও সাহসী ভূমিকা রাখতে বদ্ধপরিকর।
আসুন, আমরা স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবির ও তার দোসরসহ সকল অপশক্তিকে রুখে দাঁড়াই। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায়কে বাস্তবায়ন করে জাতিকে কলংকমুক্ত করি এবং ভবিষৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর, শান্তিময় ও স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে অঙ্গিকারাবদ্ধ হই। পরিত্যাগ করি, পাকিস্তানী নীলনকশা বাস্তবায়নকারী সকল রাজনৈতিক দল ও গোষ্ঠীকে।
২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৫
জনাব মাহাবুব বলেছেন: আওয়ামীলীগ+ইনু+মেনন+ভারত একই সূত্রে গাঁথা
৩| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৯
গ্রাম্যবালক বলেছেন: ইন্ডিয়ান মালাউন এর লোকাল ব্রাঞ্জ বাংলাদেশ আওয়ামিলিগ। আর শেখ মুজিব ছিল সব থেকে বড় রাজাকার। এই রাজাকার যুদ্ধ ঘোষনা না করে পাকি মিলিটারীদের সাথে দর কষাকষি করে ব্যার্থ হয়ে পাকিস্থানে জেল খেটেছে।।
৪| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৬
ক্যাচালবাজ বলেছেন: গ্রাম্যতা আর গ্রামীণতা এক জীনিস নয়............
৫| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৮
কলাবাগান১ বলেছেন: গ্রাম্যবালকের উচিত না নিজেকে বাংলাদেশী হিসাবে পরিচয় দেওয়া......
আজ শেখ মুজিব উনার চোখে বড় রাজাকার ......... নিশ্চয় উনি মনে করেন যে গোলাম আযম সবচেয়ে বড় মুক্তিযোদ্ধা যিনি নিয়াজীর সাথে ডজন ডজন বৈঠক করে দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন
৬| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬
গেন্না বয় বলেছেন: কিচ্ছু বলার নাই
৭| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮
রাজীব দে সরকার বলেছেন: কলাবাগান১ বলেছেন: গ্রাম্যবালকের উচিত না নিজেকে বাংলাদেশী হিসাবে পরিচয় দেওয়া......
আজ শেখ মুজিব উনার চোখে বড় রাজাকার ......... নিশ্চয় উনি মনে করেন যে গোলাম আযম সবচেয়ে বড় মুক্তিযোদ্ধা যিনি নিয়াজীর সাথে ডজন ডজন বৈঠক করে দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন
৮| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৭
এই আমি সেই আমি বলেছেন: ৭১ এ পাকিস্তানিরা ছিল main force আর জামাত ছিল auxiliary force বা রাজাকার আর ৭৩ এ জামাত main force আর বিএনপি auxiliary force বা রাজাকার । আরও দেখুন খালেদা জিয়ার ক্যারিকেচার ইমরানকে ধিক্কার কিন্তু যখন এই দেশেরই একজন নেত্রী এভাবে যুদ্বাঅপরাধীদের পক্ষ নেয় তার বেলায় ?
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১১
রাজীব দে সরকার বলেছেন:
আসুন, আমরা স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবির ও তার দোসরসহ সকল অপশক্তিকে রুখে দাঁড়াই