নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নির্ভীক৭১

নির্ভীক৭১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছাত্রশিবিরের পুনর্বাসন কেন্দ্র ছাত্রদল ও যুবদল - নাখোস বিএনপি নেতৃবৃন্দ

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২৯

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির একটি সংগঠন। সংক্ষেপে যাকে বলা হয় ছাত্রশিবির। সংগঠনটি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অঙ্গসংগঠন। কথায় বলে, বাপকা বেটা, সিপাইকা ঘোড়া, কুচ না হতো থোড়া থোড়া। এর অর্থ হলো বাপ যেমন বেটাও তেমনি হয়। সিপাহীর ঘোড়াও হয় সিপাহীর মতো তেজবান। জামায়াত ইসলামী মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে এদেশে মানবতা বিরোধী কি জঘন্য কর্মকান্ড করেছে তা শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্ববাসীও জেনেছে। ইসলামী ছাত্রশিবির জামায়াত প্রসবিত সংগঠন। আর এ সংগঠনটি কি করতে পারে, আর কি করেছে তা বিগত মহাজোট সরকারের শাসনামলে তথাকথিত সরকার বিরোধী আন্দোলনে দেখা গেছে। ছাত্রশিবির ছিল জামায়াতের প্রধান সিপাহশালার। শুধু জামায়াতের কেন, বিএনপিসহ ১৮ দলীয় জোটের প্রধান হাতিয়ারই ছিল ছাত্রশিবির। পুলিশ পেটাতে হবে? দরকার ছাত্রশিবির। গাড়ী ভাংচুর করতে হবে? দরকার ছাত্রশিবির। থানায় হামলা চালাতে হবে? দরকার ছাত্রশিবির। মিটিং মিছিলে ককটেল ফোটাতে হবে? ছাত্রশিবির। বাসে পেট্রোল বোমা মারতে হবে? সেখানেও ছাত্রশিবির। কোথায় নেই ছাত্রশিবির? দেশের গন্ডি পেরিয়ে ছাত্রশিবিরের নাম লেখা হচ্ছে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে। বর্তমানে বিশ্বে ১০টি অরাষ্ট্রীয় সশস্ত্র সংগঠনের তালিকায় ইতোমধ্যেই তৃতীয় স্থান দখল করে নিয়েছে জামায়াতের প্রধান সিপাহশালা ছাত্রশিবির। এখন অনুধাবন করুন, সারা বিশ্বে প্রায় হাজার হাজার ছাত্র সংগঠন রয়েছে। এর মধ্যে সন্ত্রাসী অরাষ্ট্রীয় সশস্ত্র সংগঠনের তালিকায় তৃতীয় স্থান দখল করা চাট্টিখানি কথা নয়। ভবিষ্যতে উক্ত তালিকায় প্রথম স্থান দখল করাও ছাত্রশিবিরের জন্য অস্বাভাবিক কোন ব্যাপার নয়।



তবে বাঁধ সেঁজেছে বর্তমান সরকার। ইতোমধ্যেই ছাত্রশিবিরের সহিংস ও নাশকতামূলক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স গ্রহণ করার ফলে শিবিরের নেতা-কর্মীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তারা যাবে কোথায় ? চিন্তা নেই ! এক্ষেত্রে একবুক ভালোবাসা নিয়ে এগিয়ে এসেছে বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদল ও যুব সংগঠন যুবদল। আপনারা হয়তো ইতোমধ্যেই বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জেনেছেন, ছাত্রদল ও যুবদলের নতুন কমিটিতে অনেক ছাত্রশিবির নেতা-কর্মীদের অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। উদ্দেশ্য একটাই, আদর করে বুকে নিয়ে সন্ত্রাসীকে যায়েজ করা। কিন্তু এখানেও বাঁধ সেঁজেছে বিএনপির সিনিয়র অনেক নেতা। যারা আগে থেকেই বিএনপির সাথে ক্রিমিনাল জামায়াতে ইসলামী ও বিশ্বের সন্ত্রাসী সংগঠনে তৃতীয় স্থানধারী ছাত্র শিবিরের সখ্যতা পছন্দ করেন না। মনে প্রাণে ঘৃণা করেন তারা। যাক, সেসব কথা। শিবির ছাত্রদলে পূর্ণবাসিত হোক বা জামায়াত বিএনপির সাথে মিশে যাক, সে ব্যাপারে বিচার বিশ্লেষণ করা আমার কাজ নয়। তবে আমার চিন্তা একটাই অতীতে ছাত্রশিবিরের যে ভয়ংকর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড দেখেছি, তা ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু ছাত্রদলের সাথে ছাত্রশিবিরের সংমিশ্রনে যে হাইব্রিড সংগঠন তৈরী হবে তার নাম বা ভবিষৎ কর্মকান্ডের ব্যাপারে শিউরে উঠছি। সংকিত হচ্ছি, ভবিষ্যৎ চিন্ত করে। কি ভয়াবহ সন্ত্রাসী হতে পারে সে সংগঠনটি?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.